চরাঞ্চল প্লাবিত
ভোলায় ইয়াসের প্রভাবে চরাঞ্চল প্লাবিত, ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার ওপর মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির চাপে মনপুরায় দুটি স্থান দিয়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। জেলার দুর্গম অন্তত ৩০টি চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ভোলার লালমোহন উপজেলায় আবু তাহের (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে লালমোহনের কালমা ইউনিয়নের চর কলমি ফরাজি বাজারের কৃষক আবু তাহের (৪৫) প্রকৃতির ডাকা সারা দিতে ঘরের বাইরে যায়। এ সময় ঝড়ো বাতাসে গাছের একটি ঢাল ভেঙে তার নিচে চাপা পড়েন তিনি। এতে তার বুকের পাজর ভেঙে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। জোয়ারের পানিতে জেলার মনপুরা, চরফ্যাসনের ঢাল চর, কুকুরি মুকরি, চরনিজাম, চর জহিরউদ্দিন, মাঝের চর, মদনপুর, চরপাতিলা, চরজ্ঞান, সোনার চর, কুলাগাজীর তালুক, চর যতিন, চর শাহজালাল, কলাতলীর চরসহ প্রায় ৩০টি নিম্নাঞ্চল ৩-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাসহ বিস্তীর্ন এলাকা ডুবে আছে। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ফলে উপকূলে আতঙ্কছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সাইক্লোন সেল্টারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বাগেরহাটে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ভোলা সদরের শিবপুর ইউনয়নের চেয়ারম্যাস জসিম উদ্দিন জানান, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে অন্তত অর্ধশত ঘর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে জোয়ার এলে পরিবার নিয়ে সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
রাজাপুর ইউনিয়নের আমির হোসেন জানান, রাজাপুরের বেড়িবাঁধের বাইরে কন্দকপুর, রুপা পুর, রামদাসপুরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
চরফ্যাসন উপজেলার সাগর মোহনার ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ৬-৭ শত ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ।
৩ বছর আগে
ধরলা, ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৪ বছর আগে
তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটারের ওপরে, চরাঞ্চল প্লাবিত
ভারি বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৪ বছর আগে
কুমিল্লার নদীতে পানি বেড়েছে, চরাঞ্চল প্লাবিত
মৌসুমি নিম্নচাপে ফলে কুমিল্লায় গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে জেলার নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৪ বছর আগে
ফরিদপুরের চরাঞ্চলে পাট, বাদাম খেত প্লাবিত
ফরিদপুরে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু করেছে। টানা তিন দিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
৪ বছর আগে