শুক্রবার দুপুর ১২টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া, কুড়িগ্রামের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় পরিবারের লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের ইন্দ্রগড়, ধনিরামপুর, শৌলমারী, জালির চর ও কাইয়ের চর, বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ইসলামের চর, চর কৃঞ্চপুর ও কামারের চর, নারায়ণপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ নিম্ন চরাঞ্চল এবং নুনখাওয়া ইউনিয়নসহ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভূরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ উলিপুরের কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
আগাম বন্যার ফলে চরাঞ্চলের আবাদি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট, ভুট্টা, কাউন, তিল, চিনা বাদাম ও সবজি খেতের। অন্যের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফসল আবাদ করে এখন বড় ধরনের ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক। পানিতে তলিয়ে যাওয়া চলতি আউশ মৌসুমের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মাঠে কাজ করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর ও রৌমারী উপজেলায় ৩৭ হেক্টর আউশ, ৯৩ হেক্টর তিল এবং ৬ হেক্টর মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, এ মাসের শেষে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও বেড়ে গিয়ে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।