স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
বিজয় দিবস উপলক্ষে আবারও ৭ দিনের টিকা ক্যাম্পেইন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী সাত দিনের বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সামনে বিজয় দিবস আসছে, এই উপলক্ষে টিকার ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি পহেলা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে, চলবে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: দেশেই স্থানীয়ভাবে করোনা টিকা তৈরির প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশেষ এই টিকা ক্যাম্পেইনে ৯০ লাখ লোককে টিকা দেয়া হবে। আমরা এর আগে যতগুলো ক্যাম্পেইন করেছি, সবগুলোই সফল হয়েছে। আশা করি এটিও সফল হবে।
এছাড়া আমরা এ পর্যন্ত ১৪ কোটি ৬৯ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা আমরা দিয়েছি।
১২ কোটিরও বেশি দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি।
আরও পড়ুন: প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকার ক্যাম্পেইন বাড়ল আরও ৩ দিন
৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
দেশে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ টিকা কার্যক্রমে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পিছিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে ছেলে মেয়েরা প্রায় সমান সমান হলেও বুস্টার ডোজে মেয়েরা পিছিয়ে আছে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েও অনেক মেয়ে বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে টিকা যখন দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধদের আগে টিকা দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি।সবশেষে এখন শিশুদের টিকা হাতে পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।
শিশুদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় চার কোটি ৪০ লাখ টিকা লাগবে। আমরা ইতোমধ্যেই ৩০ লাখের মতো টিকা হাতে পেয়েছি। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দিবে বলে নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
করোনায় আতঙ্কিত নই, তবে চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ চিন্তিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।’
রবিবার (২৬ জুন) বিকালে রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআর,বিতে কলেরা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি। এতে সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিল। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোটায়। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠে এসেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনায় মন্ত্রণালয়ের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিসেও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
কলেরা টিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কলেরা ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে ঢাকার সংক্রমণপ্রবণ পাঁচটি এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে ওরাল ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে। আমরা এক থেকে সকল বয়সী মানুষকে এই টিকা দেব। আমরা প্রথমবারের মতো দেশে এই ভ্যাকসিন দেব। এর আগে ট্রায়ালে যে সব এলাকায় টিকা দিয়েছি সেখানে কলেরার প্রাদুর্ভাব একদম কমে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের শ্রমিকদের কলেরার টিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের অনেক শ্রমিকের দেহে কলেরার জীবাণু পাওয়া গেছে। তাই করোনা টিকার মতো ভবিষ্যতে আমরা তাদেরকেও কলেরার টিকা দিয়ে বিদেশে পাঠাবো।
পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ১৬৮০, মৃত্যু ২
জাহিদ মালেক বলেন, সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে আমরা বহুদিন যুদ্ধ করছি। এক পর্যায়ে আমরা সংক্রামক রোগগুলো প্রতিরোধে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। একসময় মহামারিত রূপ নেয়া রোগগুলো এখন শুধুমাত্র সিজনাল রোগ হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায়। এক সময় ডায়রিয়া-কলেরায় হাজার হাজার মানুষ মারা যেতো। এখন তা হয় না। এর পেছনে সরকার ও আইসিডিডিআরবির গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেছে। সরকার এসব রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার থেকে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে কলেরা-ডায়রিয়া ইউনিট চালুর নির্দেশ দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহামিদ আহমেদ, ড. মু. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশন ডিজিজ ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: মির্জা ফখরুল ফের করোনায় আক্রান্ত
বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়স আরও কমল
এবার বুস্টার ডোজ দেয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছে। তাই এখন থেকে ৪০ বছরেও পাবে বুস্টার ডোজ। আমাদের হাতে নয় কোটি টিকা রয়েছে।’
আজ রবিবার মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দিব। পূর্বে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ কোটি ১২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল ফ্রান্স
শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দিব। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেব না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের থেকে আমরা বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের টিকা সনদ থাকতে হবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
‘১২-১৮ বছর বয়সী ৬৪ ভাগ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে’
শুক্র ও শনিবার মডার্নার ২৫ লাখ টিকা আসছে দেশে
টিকা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় আগামীকাল শুক্রবার রাতে ১২ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা দেশে আসছে। এছাড়া আগামী ৩ জুলাই শনিবার সকালে আসবে অবশিষ্ট ১৩ লাখ ডোজ টিকা।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এই টিকা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামীকাল রাত ১১টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: শিগগরই মডার্নার ২৫ লাখ টিকা আসছে দেশে
এর আগে ২৬ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সের আওতায় শিগগিরই ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পাবে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত মিলার এক টুইটে বলেন, ‘বাংলাদেশ শিগগরই জিএভিআইয়ের মাধ্যমে আমেরিকান জনগণের কাছ থেকে মর্ডানার ২৫ লাখ ডোজ উপহার পাবে।’
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্সের সবচেয়ে বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসেবে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রর টিকা সরবরাহ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ফাইজারের টিকাদান সোমবার থেকে শুরু
আগামীকাল সোমবার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ।
রবিবার (২০ জুন) করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটিকে সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি আগামীকাল (২১ জুন) থেকে ফাইজার টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকা নিবন্ধিত ব্যক্তিরা সিরিয়াল অনুযায়ী পাবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রথম দিনে রাজধানীর তিনটা হাসপাতালে ফাইজারের টিকা কার্যক্রম প্রথম চালু হবে। তিনটি কেন্দ্র হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। সেগুলোর প্রতিটি কেন্দ্রে ১২০ জন করে মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা পূর্বে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তারা এখনও টিকা নিতে আসতে পারেননি, তারা প্রথমত টিকা নিবেন।
কাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ফাইজারের ১ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, এটা হলো ফাইজারের টিকায় আমাদের ফাস্ট রান, এরপরে তাদেরকে আমরা পর্যবেক্ষণ করব ৭ থেকে ১০ দিন। আমরা আশা করি আরও কয়েকটি হাসপাতাল চালু হবে।
লাইন ডিরেক্টর বলেন, যারা এখনও অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেন নি বা অপেক্ষমান আছেন, তাদেরকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আশা করি অতি শিগগিরই আপনারা এই টিকা পেয়ে যাবেন। তবে এখনও অনেক কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলছে, তারা সেসব কেন্দ্রে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে টিকা নিয়ে নিতে পারবেন।
এর আগে ৭ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ফাইজারের টিকা নিবন্ধিত ব্যক্তিরা সিরিয়াল অনুযায়ী পাবেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
তিনি বলেন, ‘ফাইজারের ডাইলুয়েট মিশ্রণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আজকে রাতে এটি আসার কথা রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন যারা করেছেন, সিরিয়াল অনুযায়ী তারাই আগে পাবেন।’
বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার বলেছেন, দেশের বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ফি সরকার নির্ধারণ করে দেবে।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার বলেছেন, ‘দেশের করোনা মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।