ভুল চিকিৎসা
ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নার্সের ভুলে ৩ দিন বয়সি এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাভির ইনজেকশন হাতের শিরায় পুশ করার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন।
নিহত শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন বলেন, রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। বাচ্চাটা বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আমি নার্সদের ডেকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক সানিকোর্ড (Sanicord) নামে একটি ওষুধ নিয়ে আসতে বলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসি। একজন নার্স সেই ওষুধ সিরিঞ্জে করে নিয়ে হাতের ক্যানুলাতে পুশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সন্তান মারা যায়। আমরা এর বিচার চাই।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, খবর পেয়ে শিশু ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। তিন দিন বয়সি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে
যশোরে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত শুরু
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন সিটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তাহেরা খাতুন নামে একজন ব্রেস্ট টিউমার রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুক্রবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ সাত দিনের মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
নিহতের পুত্র শহিদুল ইসলাম বলেন, তাহেরা খাতুন বুকের ব্যথার চিকিৎসা নিতে নাভারন সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন গত ২৮ এপ্রিল রাত ৮টার সময়। হাসপাতালের ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তার ব্রেস্ট টিউমার হয়েছে বলে জানায়। এক পর্যায়ে সিটি হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে রাত ১০টার সময় হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তার সুজিত রায় তাহেরা খাতুনকে অপারেশনের জন্য অপারশন কক্ষে নেন। এসময় অজ্ঞান করার দায়িত্বে ছিলেন এমবিবিএস ডাক্তার আশরাফুল আলম। অপারেশন শেষে রোগীর জ্ঞান না ফেরায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন নিহতের পুত্র শহিদুল ইসলাম।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছাম্মদ মাহফুজা খাতুন বলেন, ঘটনাটি আমার এলাকায় হলেও খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তর এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দিয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশনা পাওয়ার পর ৩ মে মেডিসিন বিশেজ্ঞ ডা. রফিকুজ্জামানকে প্রধান কর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা।
নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহ: খুলনার হাসপাতালগুলোয় রোগীর বাড়তি চাপ, ব্যাহত চিকিৎসা
ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলায় সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতি মোসা. মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বামনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এবং বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মালিক।
ডৌয়াতলা কলেজ রোডের এই হাসপাতালে সোমবার বিকালে উত্তর বামনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের (তারেক) প্রসূতি স্ত্রী মেঘলা আক্তারকে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবুজ কুমার দাস, পরিচালক মো. রেজাউল ইসলামসহ ৫/৬ জনে মিলে প্রসূতি মেঘলা আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করেন।
রাত পৌনে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটরে মেঘলা আক্তার এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়। এরপর সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিক, ডাক্তার, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠান।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।
তিনি আরও জানান, এই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মেঘলা আক্তার ও তার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। তাই আমরা হাসপাতালটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বামনা থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
হাসপাতালের চেয়ারম্যান এবং বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে মালিক পক্ষ, ডাক্তার, নার্সসহ কোনো স্টাফকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
১১ মাস আগে
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
ভারতের যশোদা হাসপাতালে 'ভুল চিকিৎসায়' নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ঘটনা তদন্তের দাবি জানিযেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
একই সঙ্গে ভুল চিকিৎসায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত ফারহানা আক্তার ওরফে ডিনার পরিবারের সদস্যরা এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নিহতের স্বামী আমিন আল মামুন বলেন, তার স্ত্রী বাম কাঁধে ব্যথায় ভুগছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও পরিত্রাণ পাননি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ২০ জুলাই তাকে ভারতের হায়দ্রাবাদের যশোদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭০ হাজার রুপি মূল্যের বিভিন্ন ল্যাব টেস্ট করা হয়। অর্থোপেডিক ডাক্তার সুনীল দাচেপল্লী তাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রীর জয়েন্টের হাড় বেড়ে গেছে এবং তার অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
আমিন আল মামুন বলেন, ‘আমি তখন ডাক্তারকে বললাম, আমার স্ত্রীর অ্যানেস্থেসিয়ায় অ্যালার্জি আছে। ওষুধে অ্যালার্জির কারণে সে দু'বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেসময় আমার স্ত্রী যেসব ওষুধ খেয়েছিলেন ডাক্তার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ভুল চিকিৎসায়' কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ৩
তিনি আরও বলেন, ‘২৮ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আধা ঘন্টা পরে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমার স্ত্রীর অ্যানেস্থেসিয়ায় অ্যালার্জি আছে কি না। আমি তখন তাদের বলি যে আমি এই বিষয়ে তাদের (ডাক্তারদের) বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছি।’
ফারহানা আক্তারের স্বামী বলেন, হাসপাতালের ডা. সুনীল ও ডা. এস প্রশান্ত রেড্ডি তখন বলেন যে তারা তাকে ওষুধ প্রয়োগ করার পর তার শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হলে সেখানে ১ আগস্ট ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি ভুল চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক ও অন্যান্যদের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ওই দম্পতির ২ মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
১ বছর আগে
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
জানা যায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে গত ১০ জুন বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
১ বছর আগে
ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ, লাশের সঙ্গে ডাক্তার অবরুদ্ধ
ফেনীর একটি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা আদনান আহমেদ নামে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও অ্যানেস্থেসিয়ার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে লাশের সঙ্গে অপারেশান থিয়েটার রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কাঁচা তরকারির আড়তের সামনে অবস্থিত আল মদিনা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
ওইদিন রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন টিপুর সমঝোতায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মৃত ওসমান গনি (৫) ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
এছাড়া, রবিবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এবং আইন লঙ্ঘন করে পরিচালনা করায় মেডিকেল প্রাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স ১৯৮২ মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে ছিলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুভল চাকমা। এসময় জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষে চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) আশিকুদ্দোলা, ফেনী সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ছিলেন চিকিৎসা কর্মকর্তা (এমও) যোবায়ের ইবনে খায়ের। ফেনী মডেল থানা–পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করে।
শিশুটির মা আসমা খাতুন বলেন, ‘আমার জ্যান্ত ছেলের কিডনি কেটে ডাক্তার মেরে ফেলেছে। আমার সন্তান চাই। আর কিছু চাই না, আমার সন্তানকে বুকে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
ওসমানের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হার্নিয়া রোগের অপারেশন করার জন্য শনিবার বিকাল ৪টায় আমি আমার ছেলেকে নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করি। কথা ছিল সন্ধ্যার পর অপারেশন হবে। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৪টায় ডাক্তার এসে ইনজেকশন পুশ করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ছেলের মৃত্যুর খবর আসে। আমরা এর বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি চাই।’
হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগী আমাদের আত্মীয় হয়। অপারেশন শেষ হওয়ার পর তার জ্ঞান ফিরেনি। অপারেশন থিয়েটারে তার সার্জারিতে কোনো ভুল হয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।’
থিয়েটারে অ্যানেস্থেসিয়া দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর রোগীর অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। পরে তার জ্ঞান ফিরে না আসায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। এক পর্যায়ে দেখি সে বেঁচে নেই। সম্ভবত সে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে।’
থিয়েটারে সার্জারি চিকিৎসকের দায়িত্বে থাকা আদনান আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম মোতাবেক অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আমি তার অপারেশন শেষ করি। রোগীর জ্ঞান ফিরে আসা না আসাটা মূলত অ্যানেস্থেসিয়ার ওপর নির্ভর করে।’
বিষয়টি নিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত হলে মূল সমস্যা বের হয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের সঙ্গে সমস্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালটি পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. মো. শিহাব উদ্দিন জানান, ভুল অপারেশানে শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালটি পরিদর্শন করে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন না থাকায় এবং আইন লঙ্ঘন করে পরিচালনা করায় মেডিকেল প্র্যাকটিস ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিনেন্স ১৯৮২ মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে 'ভুল চিকিৎসায়' শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
মনপুরায় হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ভুল চিকিৎসায়' কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগে আটক ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের তিন কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ইসতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং পৌর ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আটকেরা হলেন-হাসপাতালের মালিকের ভাই এমদাদুল বশির জয়, হাসপাতালের স্টাফ নাজমুল হক এবং আরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
স্বজনেরা জানায়, নাকের পলিপাসের সমস্যা নিয়ে শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন জেলরোডের আল-খলিল হাসপাতালে ভর্তি হন ইশতিয়াক। ওই হাসপাতালে ঢাকা থেকে আসা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. রাফিউল আলম অ্যানেস্থিসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তীর তত্ত্বাবধানে তার নাকের পলিপাস অপারেশন করা হয়। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় তাকে বেডে দেয়া হয়। এ সময় রোগীর করুণ অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করে। রোগীর জ্ঞান না ফেরায় হাসপাতালের লোকজন পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ইকরামকে শহরের আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে পালিয়ে যায়। সেখানে শনিবার সকালে অচেতন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইশতিয়াকের চাচা শিক্ষানবিশ অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তার অপারেশন করেছেন ডা. রাফিউল আলম।। কিন্তু রাফিউল দাবি করেছেন যে তিনি অপাশেন করেননি। ইশতিয়াকের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়ডাগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. মানিক বলেন, ‘হাসপাতালে কোনও ভুল চিকিৎসা হয়নি। অপারেশন করেছেন ডা. রাফিউল আলম হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা আছে, সব ভিডিও আছে।’
এ ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এতে আল-খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান খলিলুর বশির মানিক, হাসপাতালের সার্জন ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও অ্যানেস্থিসিয়া চিকিৎসক ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
রামগতিতে ৪ হাজার কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, আটক ৯
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
ময়মনসিংহে পৌর শহরে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সামনে স্বজনদের প্রতিবাদের মুখে পালিয়ে গেছে ক্লিনিকের মালিক ও কর্মচারীরা।
নিহত রেখা আক্তার (২৯) ত্রিশালের আনিয়া ভাঙ্গুরী গ্রামের মাহাবুব রহমানের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৌকা উল্টে দুই নারীর মৃত্যু
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য ১৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তারকে ভর্তি করা হয় নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় বেসরকারি পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিকে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করার সময় রোগীর মৃত্যু ঘটে। তখন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরী থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নিয়ে গেলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রোগীর স্বজনরা লাশ নিয়ে পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিকে এসে প্রতিবাদ জানায়।
হাসপাতালের সামনে স্বজনদের প্রতিবাদের মুখে ক্লিনিকে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে ক্লিনিকের মালিক-কর্মচারী।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে ১৩ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নারীর পিত্তথলির পাথর অপারেশন করা গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে ক্লিনিকের মালিক-কর্মচারী।
তিনি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
নড়াইলে বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঝিনাইদহে 'ভুল চিকিৎসায়' শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ঝিনাইদহে ভুল চিকিৎসায় ইসরাত জাহান মাহেরা নামে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার নারায়নপুর ত্রিমোহনী এলাকায় ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
শিশু ইসরাত জাহান মাহেরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিক মালিক আবু সাঈদ মুন্সী ও অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করেছে। এছাড়া ক্লিনিকটির নার্স সহ স্টাফরা গা ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে পেটে ব্যথা নিয়ে ইসরাত জাহান মাহেরা নামে ছয় বছরের এক শিশু ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ভর্তির পরে চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক শিশুটির শরীরে পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন পুশ করে নার্সরা। ফলে সন্ধ্যা নাগাদ শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুটির মুমূর্ষ অবস্থা দেখে মা শামীমা আক্তার ডিউটিরত অভিযুক্ত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনের শরণাপন্ন হলে তিনি ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাত আটটার দিকে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এদিকে অপচিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা ক্লিনিকে ঢুকে ডাক্তারের চেম্বার, অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল কক্ষসহ আসবাবপত্র তছনছ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ক্লিনিক মালিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মুন্সী ও কথিত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, অপচিকিৎসার কারণে ইতোপূর্বে ওই ক্লিনিকটি একাধিকবার সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। ক্লিনিকে সর্বক্ষণ কোন চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্স ছাড়াই চলে আসছে বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সু্প্রা রানী দেবনাথ জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা মোল্লা তৌহিদুর রহমান জানান, শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিক মালিক ও কথিত এক চিকিৎসককে নিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, আটক ২
২ বছর আগে