বীজ
কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
প্রায় সব বয়সের লোকেদেরই হাল্কা নাস্তা হিসেবে প্রিয় পছন্দ কেক ও বিস্কুট। জন্মদিন সহ বিভিন্ন উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে সবচেয়ে ভালো লাগা উপহারগুলোর মাঝে অনায়াসেই জায়গা করে নেয় এই মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো। কিন্তু খাবারগুলো যে কতটা ক্ষতিকর তা দুঃখজনকভাবে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। নিত্য দিনের খাদ্যাভাসে এই খাবার দু’টির উপস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদে ভয়াবহ স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। কিন্তু কেক ও বিস্কুটের বিকল্প হিসেবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিমেষেই মুক্তি দিতে পারে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি থেকে। চলুন, কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলোর পাশাপাশি সেই বিকল্প পুষ্টিকর খাবারগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কেক ও বিস্কুট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়
কেক ও বিস্কুট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, কারণ এতে থাকে প্রচুর চিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিক পরিমাণে খাওয়া হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ হতে পারে।
এ ধরণের বেকারি পণ্যগুলোতে সাধারণত তরল উদ্ভিজ্জ তেল, মাখন, পাম এবং নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। ফলে, এগুলোতে থাকা চর্বিগুলো কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল (এলডিএল) বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য, পাম তেল সস্তা এবং খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক তেলগুলোর মধ্যে একটি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়া শর্করা এবং স্টার্চ সম্পন্ন খাবারের কারণে দাঁতে ক্যাভিটিস হতে পারে। কেক ও বিস্কুটের কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
সাধারণ মিষ্টি বিস্কুটে প্রতি ২৫ গ্রামে শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম লবণ থাকে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া এতে দেহে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, বিধায় শরীর ভরপুর অনুভূত হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের বেকারি পণ্যে থাকে বিউটিলেটেড হাইড্রোক্সাইনিসোল (বিএইচএ) এবং বুটিলেটেড হাইড্রোক্সিটোলুইন (বিএইচটি)। এগুলো হলো প্রিজার্ভেটিভস যা মানুষের রক্তের জন্য ক্ষতিকর।
১ বছর আগে
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশে সার, বীজসহ কৃষি উপকরণের কোনরকম দাম বাড়ান হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পলিসি হলো যেকোন মূল্যে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা। সেজন্য, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে যত কষ্টই হোক সরকার বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়াবে না। অন্যান্য খাতে যে পলিসিই নেয়া হোক না কেন, কৃষিখাতে বিশাল ভর্তুকি প্রদানসহ সকল সহযোগিতামূলক নীতি অব্যাহত থাকবে। কৃষি উৎপাদন টেকসই করতে যা যা করা দরকার, তা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার অদূরে সাভারের ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তনে সার্কভুক্ত দেশসমূহে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন নেটওয়ার্ক (বায়েন) ও ভারতের পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (প্রাডিস) যৌথভাবে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত আছে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, ইনশাল্লাহ এ গ্যারান্টি দিতে পারি।
ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের মধ্যে বিরাট গ্যাপ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গবেষক/বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত জাত যেটি গবেষণা পর্যায়ে বিঘাতে ৮ মণ উৎপাদন হয়, সেটি সম্প্রসারণের পর কৃষক পর্যায়ে দেখা যায় উৎপাদন হয় বিঘাতে ৩-৪ মণ। এটি কেন হবে, এই বিশাল গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোর প্রতি খাদ্যকে যুদ্ধ ও অবরোধের বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ফসলের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি খুবই ধীরে সম্প্রসারণ বা কৃষকের নিকট পৌঁছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি ধান, সরিষাসহ অনেক ফসলের কতগুলো উন্নত উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছেন। এদের মধ্যে লবণসহিষ্ণু জাতও রয়েছে। কিন্তু এগুলো মাঠে কৃষকের নিকট যাচ্ছে খুবই দেরিতে। এতো দেরিতে মাঠে যাওয়ার কারণ কি, তা সম্প্রসারণকর্মীদের খুঁজে বের করতে হবে। সম্প্রসারণকর্মীদেরকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রাডিসের সিনিয়র এডভাইজর ভিভি সাডামাতে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি দানিয়েল গুস্তাফসন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বায়েনের সভাপতি হামিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কৃষি সম্প্রসারণকর্মীদের তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
এফএওকে একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব শেখ হাসিনার
আগামী দিনগুলোতে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করুন, যা শতবর্ষ ধরে যেকোনো দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করতে পারে।’
রবিবার গণভবনে এফএওর মহাপরিচালক কু ডংইউ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসময় শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি ডিজিটাইজেশন এবং উদ্ভাবনের প্রকল্প গ্রহণের জন্য একটি সমন্বিত তহবিল গঠনের জন্য এফএও’র মহাপরিচালককে বলেন, বাংলাদেশ সেখানে অবদান রাখতে প্রস্তুত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপরই বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করেন। তখন বাংলাদেশ মারাত্মক খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, তারপর থেকে মাত্র দুই বছর পর তার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম হয়ে উঠেছে।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা তার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল। কারণ বিপুল জনসংখ্যার দেশটি চাষযোগ্য জমির অভাবের কারণে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল।
শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে প্রশংসা করেন বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া- লবণ, খরা, জলাবদ্ধতাসহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির জাত উদ্ভাবনের মতো অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি বলেন,‘খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পর, তার সরকার এখন সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।’
চলমান করোনা মহামারির মতো আসন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি খাদ্য সংরক্ষণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির যুগে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
খুলনায় প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে সফল তড়িৎ বিশ্বাস
খুলনায় প্রথমবারের মতো পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই পেঁয়াজের বীজ সংরক্ষণে সফল হয়েছেন ডুমুরিয়ার তরুণ কৃষক তড়িৎ বিশ্বাস।
শুধু বীজ নয়, তিনি পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের কালি উৎপাদন করে বিক্রি করছেন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় মাত্র ৫০ শতক জমিতে তিনি এই পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করেন। একই সঙ্গে সংরক্ষণ করা বীজ স্বল্প মুনাফায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রি করছেন এই তরুণ। স্বল্প খরচে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে অধিক আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা ফসল। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই পেঁয়াজের চাষ হয়। জলবায়ুর পরিবর্তন, বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ ও পোকার আক্রমণ ইত্যাদির কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজের জাতীয় গড় ফলন বিশ্বব্যাপী গড় ফলন অপেক্ষা কম।
আরও পড়ুন: দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা প্রণীত হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে ১.৭৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ১৭.৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে (বিবিএস, ২০১৮)। আমাদের দেশে যে পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় তা দিয়ে দেশের মোট চাহিদার মাত্রা ৫৭.১৪% মিটানো সম্ভব। ফলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে। প্রতি বছর চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
পেঁয়াজের বাল্বের ফলন বৃদ্ধির জন্য মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের দেশে উন্নত জাত, সঠিক সময়ে ও সঠিক মাত্রায় সার, সেচ ও বালাই দমন ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পেঁয়াজের বীজের ফলন বৃদ্ধিসহ মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। সেই আলোকে খুলনায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে ঝোঁক দিয়েছে কৃষি বিভাগ। এবারই প্রথম খুলনায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। তাতে সফলতাও এসেছে।
গত বছর পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি ছিল। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এ বছরও দুই হাজার টাকার পেঁয়াজের বীজ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। কৃষক যদি নিজেরাই বীজ তৈরি করে তাহলে সিন্ডিকেট ভাঙবে এমনটা ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে শিকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া পাখি অবমুক্ত
ডুমুরিয়ার তড়িৎ বিশ্বাস বলেন, কৃষি অফিস থেকে পেঁয়াজের বাল্ব দিয়েছিল। বর্গা নিয়ে ৫০ শতক জমিতে ১৩ মণ বাল্ব লাগিয়েছিলাম। সেখান থেকে ২৩ মণ পেঁয়াজ এবং ২৫ কেজি বীজ উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের কালি ৩ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। বীজগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কৃষি অফিসের সহায়তায় মওসুমের সময়ে বীজগুলো বিক্রি করা হবে। কৃষি অফিস থেকে বাল্ব দেওয়া হয়েছিল। আর আমি শ্রম ও পরিচর্যা করেছি। তিন মাস পরিচর্যা করে ফসল ঘরে তুলেছি।
তরুণ এই কৃষক বলেন, আমি এবার প্রথম পেঁয়াজের চাষ করেছি। বীজও খুলনায় প্রথম। চাষ করে খুব ভালো লেগেছে। আগামী বছর বীজ দিয়ে পেঁয়াজ চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, পেঁয়াজ একটি উচ্চমূল্যের ফসল। বীজের দাম অনেক বেশি ছিল। এ বছর ৬ হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত দাম হয়েছিল। যে কারণে দরিদ্র কৃষকদের পক্ষে বীজ ক্রয় করে পেঁয়াজ উৎপাদন করা সম্ভব ছিল না। এ কারণে আমরা কৃষক পর্যায়ে ডাল, তেল, মসলার উন্নতমানের বীজ সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তা তড়িৎ বিশ্বাসকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং পেঁয়াজের বীজ ও সার প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মতো খুলনায় পেঁয়াজের বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৩০ কেজির মতো বীজ হয়েছিল। কিন্তু শোকানোর কারণে কমে ২৫ কেজির মতো রয়েছে তড়িৎ বিশ্বাসের কাছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তার দেখাদেখি আগামীতে আরও কৃষক উৎসাহিত হবে। পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এক কেজি পেঁয়াজের বীজ সংরক্ষণ করবে এবং বাকী বীজ বিক্রি করে দিবে। এক কেজি বীজে ৫০ থেকে ৫২ শতকে লাগানো যাবে। নভেম্বর মাসে পেঁয়াজ লাগানো হয় এবং এপ্রিলের শেষ পর্যায়ে উঠানো হয়। ৫০ শতক জমিতে পেঁয়াজ, কালি ও বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, খুলনার মাটি পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। অল্প-স্বল্প পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এবারই প্রথম পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে বারি-১ জাতের বাল্ব লাগিয়ে পেঁয়াজের বীজ উৎপান ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজের বীজ এনে চাষাবাদ করা হতো। খুলনায় এবার ২৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। এই বীজ কৃষক তড়িৎ বিশ্বাসের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে স্থানীয় চাষিদের মাঝে।
৩ বছর আগে
পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ভর্তুকি দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
পাটবীজের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশে পাটবীজ উৎপাদনের মূল সমস্যা হলো অন্য ফসলের তুলনায় কম লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা চাষ করতে চায় না। পাটবীজে কৃষকদের আগ্রহী করতে ও কৃষকেরা যাতে চাষ করে লাভবান হয় সেজন্য প্রণোদনা বা ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার ‘পাটবীজের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনার’ ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী উদ্যোগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পাটের জিনোম আবিষ্কার করেছে। সেই জিনোম ব্যবহার করে দেশের বিজ্ঞানীরা উচ্চফলনশীল পাটের জাত উদ্ভাবন করেছে; যার ফলন ভারতের পাটজাতের চেয়ে অনেক বেশি। কৃষক পর্যায়ে এসব জাতের চাষ জনপ্রিয় করতে পারলে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব। সেজন্য, এসব দেশীয় জাত দ্রুত জনপ্রিয় করতে সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী এসময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, সম্প্রসারণকর্মী ও বিজ্ঞানীদেরকে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য রোডম্যাপ বাস্তবায়নে দ্রুততার সাথে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে উৎপাদিত পাটের ৮৫ ভাগই তোষা জাতের পাট। এ পাটবীজের চাহিদার প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ ভারত থেকে আনতে হয়। এই বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৫-২৬ এই ৫ বছরের মধ্যে দেশে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চমূল্যের রবি ফসলের পরিবর্তে কৃষক পাটবীজ উৎপাদনে তেমন আগ্রহী হয় না। হিসেব করে দেখা গেছে, তোষা পাটবীজ চাষ করে একর প্রতি কৃষকের নীট লাভ ৪৮ হাজার টাকা, যেখানে ফুলকপি চাষে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বাধাকপি চাষে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নীট লাভ হয়। তাই পাটবীজ উৎপাদনের পরিবর্তে পাট চাষের সময় কৃষক বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে পাট চাষ করা লাভজনক বলে মনে করে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা ও সংস্থা প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
খুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দেবীতলায় তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাগ্য ফিরছে কৃষকদের। কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন দেখছেন।
৩ বছর আগে
পেঁয়াজ বীজ ফরিদপুরের চাষিদের কাছে ‘কালো সোনা ’
পেঁয়াজ বীজ চাষে হাসি ফুটেছে ফরিদপুরের কৃষকদের। গত কয়েক বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এবারও স্বপ্নটাও বড়। আর তাই একে সোনার সাথে তুলনা করছেন।
ফরিদপুর কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে সাড়ে ১৭শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদ করা হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এই জেলার প্রতি বছরই পেঁয়াজ বীজের চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে ১ হাজার ৫৬ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হযরত আলী জানান, চলতি মৌসুমে ফরিদপুর অঞ্চলের ১ হাজার ৫৬ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদিন হবে। যার বাজার প্রায় মূল্য (গত বছরের মতো হলে) ৫শ কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
তিনি জানান, সরকারের বিএডিসির সংগৃহীত মোট পেঁয়াজ বীজের ৭০ শতাংশ ফরিদপুর জেলা থেকে করে থাকে। এ বীজ উৎপাদন করে রবি মৌসুমে চাষিরা অধিক মুনাফা করে এই কারণে এই ফসলকে ব্লাক গোল্ড বা কালো সোনা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
সরেজমিনে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে, সেখানকার চাষিরা বীজ সংগ্রহের কাজে ব্যস্থ রয়েছে। অনেক কৃষক-কৃষাণী চুক্তিতে (পেঁয়াজ বীজ গাছে পেঁয়াজ তাদের আর বীজ মালিকের) এই কাজে অংশ নিচ্ছে।
অম্বিকারপুর এলাকার গোবিন্দুপুর মাঠে কৃষক হারিজ মোল্লা, জুলেখা বেগম, ফাতেমা খানমের মতো অনেকেই জানান, এই মৌসুমে বীজ তোলার কাজ করে যে পেঁয়াজ পাই তাই দিয়ে সংসারের সারা বছরের পেঁয়াজের চাহিদা মিটে যায়।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অনেক কৃষক রাজশাহী, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর জেলা থেকে এসেছেন।
এদের মধ্যে রহমান মাতুব্বর, আশিক মেল্লা বলেন, পেঁয়াজ বীজ তোলা সময় আমাদের মতো অনেকেই ফরিদপুরে আসে জনবিক্রির কাজে। এই সময়টায় আমাদের ভালো আয় হয় ।
তারা জানান, করোনার সময়ে এমনিতেই কাজের অভাব, তাই ফরিদপুরের এই মৌসুমে আমাদের মতো অনেকেই চলে আসে জনদিতে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা
জেলা সদর উপজেলার পেঁয়াজ বীজ চাষিরা জানান, প্রচণ্ড রোদ থাকার পরেও চলতি মৌসুমে আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ভালো ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মণ বীজ উৎপাদন হবে। গত বছরের বাজার মূল্যে ছিল প্রতি মণ দুই লাখ টাকা মতো। আর খরচ প্রতি বিঘায় ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। সেই হিসেবে বিঘা প্রতি ভালোই আয় হবে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের বিএডিসির তালিকাভুক্ত পেঁয়াজ বীজ চাষি মো. আকবর খান বলেন, ‘এই বছর চার বিঘা জমিতে বীজের চাষ করছি। আশা করছি ৮ মণের বেশি বীজ উৎপাদন হবে।’
একই গ্রামের পেঁয়াজ বীজের চাষ করে লাভলি- ইমতিয়াজ দম্পতি।
তারা জানান, পেঁয়াজের বীজের কালো দানা আমাদের এলাকার ‘কালো সোনা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাজারে যে দাম পাওয়া যাচ্ছে, তাতে পেঁয়াজ বীজ আমাদের কাছে সোনার মত।
তারা বলেন, এই অঞ্চলের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, বিএডিসি কতৃপক্ষ সব চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে না।
আমাদের দাবি, সরকারের যেহেতু বীজের দরকার, তবে কেনো সকলের কাছ থেকে নিবে না।
গোবিন্দুপুর গ্রামে আরেক পেঁয়াজ বীজ চাষি শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকগুলো শুধু জমির মালিকদের লোন দেয়। আমার মতো বর্গা চাষিদের লোন দেয় না। আমরা বাধ্য হয়ে এনজিও’র কাছ থেকে অধিক সুদে লোন নিয়ে পেঁয়াজ বীজ চাষ করি।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ফরিদপুরের পেঁয়াজ বীজ বিএডিসির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও এ বীজ চাষে অনেক বেকার যুবকরা তাদের কর্মস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। কারণ অল্প খরচে অধিক মুনাফা লাভ করার সহজ উপায় হলো বীজ চাষ।
তিনি বলেন, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সদরপুর ও সালথা উপজেলার পেয়াজ বীজ চাষীদের এখন আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
তিনি জানান, সারা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশীদার ফরিদপুরের বীজ চাষিরা।
৩ বছর আগে
পাটের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে: পাট মন্ত্রী
চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাটের চাষ নিশ্চিত করা ও চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত পাট বীজ সরবরাহ ঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
৩ বছর আগে
সরকারের প্রণোদনায় সারা দেশে আউশের আবাদ বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেছেন, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বীজ, সার, সেচসহ কৃষি উপকরণে বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ায় সারা দেশে আউশের আবাদ বেড়েছে।
৪ বছর আগে
বীজ কোম্পানিগুলোকে কম মুনাফা অর্জনের অনুরোধ কৃষিমন্ত্রীর
দেশের বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলোকে বীজে কম মুনাফা অর্জন করার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
৪ বছর আগে