অর্থনৈতিক সংকট
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘অন্যদের কারণে অনেক দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ।’
সোমবার সৌদি আরবের রিয়াদে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় বিভিন্ন দেশের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বৈশ্বিক সহযোগিতা, প্রবৃদ্ধি ও জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করেন। এতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন সালমান এফ রহমান। এ সভায় ৯০টি দেশের প্রায় ১ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৩০% বৈদ্যুতিক যানবাহন করতে চায় সরকার: সালমান এফ রহমান
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে করোনার আঘাত ভালোভাবে সামলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সে সময় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫ শতাংশ। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতেই অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যে কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এতে বাংলাদেশের কোনো দায় না থাকলেও ভুগতে হচ্ছে।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। ১২ বছর অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও, হঠাৎ ডলারের বিপরীতে টাকাকে বড় ধরনের অবমূল্যায়নের মুখে পড়তে হয়েছে। যুদ্ধ আমাদের সমস্যায় ফেলেছে কিন্তু এর দায় আমাদের নয়।’
আলোচনায় গুরুত্ব পায় শিল্প কারখানায় রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার।
এ প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অতিমাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে মানুষের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। তবে প্রযুক্তির সক্ষমতা ভাগাভাগি করলে সুফল পেতে পারে পুরো বিশ্ব।
এ নিয়ে আলোচনায় বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নেতারা বলেন, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি সামগ্রিক উন্নয়নের পথে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি হুমকি হয়েও ওঠার শঙ্কা রয়েছে। তাই প্রযুক্তির সক্ষমতা উন্নত দেশগুলোতে সীমিত না রেখে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
সভায় আরও ছিলেন- ব্ল্যাকরক কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ল্যারি ফিংক, ওলাইয়ান ফিন্যান্সিং কোম্পানির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান লুবনা এস. ওলাইয়ান এবং জেনারেল অ্যাটলান্টিকের চেয়ারম্যান ও সিইও উইলিয়াম ফোর্ড।
আরও পড়ুন: পানগাঁও বন্দরকে দ্রুতই লাভজনক করা হবে: সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ: সালমান এফ রহমান
৭ মাস আগে
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার দেশটির সংসদের এমপিরা ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেন।
এর আগে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে মে মাসে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
তবে গোতাবায়া রাজাপাকসে গত সপ্তাহে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং ইমেলের মাধ্যমে পদত্যাগ করার পর বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন।
৭৩ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যার কূটনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি অর্থনৈতিক বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রনিল বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে নিয়োগ: স্পিকার
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়নপত্র গ্রহণে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কান পার্লামেন্ট
২ বছর আগে
সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
পদত্যাগের দাবিতে গণবিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন বলে দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, রাজাপাকসেকে বহনকারী সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে (১১১৭ জিএমটি) সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বা এরপর তার গন্তব্য কোথায় সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
এর আগে রাজাপাকসে ও তার স্ত্রী বুধবার ভোরে মালদ্বীপের উদ্দেশে শ্রীলঙ্কান বিমান বাহিনীর একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বানানোর পদক্ষেপ জনসাধারণের বিক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলে।
এদিকে দেশটিতে চলমান কারফিউ শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে বলে সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ফলে বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে সরে যেতে দেখা গেছে।
পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভে একজন নিহত, আহত ৮৪: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
২ বছর আগে
নতুন সরকার গঠনে শ্রীলঙ্কায় বিরোধী দলগুলোর বৈঠক
চরম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তীব্র বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর রবিবার নতুন সরকার নিয়ে একমত হতে দেশটির বিরোধী দলগুলো বৈঠক করেছে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবন, তার সমুদ্র তীরবর্তী কার্যলয় ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অবস্থান করছেন এবং তারা বলছেন, পদত্যাগ আনুষ্ঠানিক না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।
প্রেসিডেন্টের অবস্থান এখনো অজ্ঞাত। তবে তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনসাধারণের কাছে রান্নার গ্যাসের চালান অবিলম্বে বিতরণের আদেশ দিয়েছেন তিনি। এ থেকে বোঝা যায় তিনি এখনো কর্মরত।
শহরের চারপাশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সেনা সদস্যরা কেবল দূর থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন। দেশটির চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ শভেন্দ্র সিলভা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা: প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন দখল করা মানুষজন বাইরের রান্নাঘরে রান্না করেছেন; ক্যারাম খেলেছেন এবং সোফায় ঘুমিয়েছেন।
প্রধান বিরোধীদল ইউনাইটেড পিপলস ফোর্সের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা বলেছেন, অন্যান্য দল ও রাজাপাকসের ক্ষমতাসীন জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হয়েছে এবং আরও বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কবে একটি চুক্তি হতে পারে তা অস্পষ্ট।
এর আগে এমএ সুমন্থিরন নামে আরেক বিরোধী আইনপ্রণেতা জানান, সব বিরোধীদল একত্রিত হয়ে সহজেই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১৩ সদস্য সংগ্রহ করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা রাজাপাকসেকে নতুন সরকার গঠন ও পদত্যাগের আহ্বান জানাবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, নতুন সরকার গঠিত হলে তিনি অফিস ছাড়বেন এবং এর কয়েক ঘণ্টা পর সংসদের স্পিকার জানান, রাজাপাকসে বুধবার পদত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: গোতাবায়ার বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের হামলা
অর্থনৈতিক মন্দায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতিতে শ্রীলঙ্কার মানুষ খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে এই দুই নেতার ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই পদত্যাগ করলে সংবিধান অনুযায়ী স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনা অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ঘাটতি মেটাতে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শুরু করার প্রয়াসে মে মাসে রাজাপাকসে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কায় চলতি সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ
রাজনৈতিক ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ভাষণে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া সম্প্রতি শান্তিপূর্ণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর তার সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সমর্থকদের হামলার নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি এই সপ্তাহের মধ্যে এমন একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পদক্ষেপ নিচ্ছি যার কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ও জনগণের আস্থা রয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশকে পতন থেকে উদ্ধার করতে একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন।
গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেন, ‘আমি নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি নতুন কর্মসূচী উপস্থাপন এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করব।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি তার অনেক ক্ষমতা সংসদকে দেবেন এবং যখন দেশে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে, তখন দেশের শক্তিশালী নির্বাহী প্রেসিডেন্সি ব্যবস্থা বাতিল করার পদক্ষেপ নেবেন।
শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশটিতে সরকার পতনের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। যদিও বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টকে তার বড় ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
২ বছর আগে
বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করেছে শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটিকে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা লাগবে। আর এ বছরই পরিশোধ করা লাগবে সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
লঙ্কান অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার নিখুঁত রেকর্ড রয়েছে। তবে করোনা মহামারি ও ইউক্রেনের সংঘাত শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থান এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যে বিদেশি সরকারি ঋণ পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: গণবিক্ষোভের মুখে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার ঘোষণাটি জরুরি ছিল। কেননা শ্রীলঙ্কার আগামী সপ্তাহে প্রায় ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধের কথা এবং যদি দেশটি সেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে তবে এটি ‘হার্ড ডিফল্ট’ এর মুখোমুখি হবে যা খারাপ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কানরা গ্যাস, জ্বালানি ও দুধ কিনতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধের বিপর্যয়কর ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন জোট
এদিকে তীব্র এ অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবিতে টানা চারদিনের মতো প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের আশ-পাশে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে সোমবার রাতে এক ভাষণে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন।
২ বছর আগে
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকটের সম্ভাবনা নাকচ প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি খুবই শক্তিশালী। আমরা এটি সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক আছি।’
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের মন্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের ৩১তম বৃহত্তম অর্থনীতি।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ
বাংলাদেশের কোনো ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশ সময় মতো ঋণ পরিশোধ করে আসছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি ঋণ পরিশোধে কখনোই খেলাপি হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে সাত শতাংশের ওপরে চলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি এখনও ছয় শতাংশের কম।’
আরও পড়ুন: সরকার ২৯ কোটির বেশি কোভিড ভ্যাকসিন ডোজ সংগ্রহ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
বুধবার স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
২ বছর আগে
কারফিউ সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ও কারকিউ জারি করেছেন। তবে প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে মিছিল করেছেন লঙ্কান বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা ও জনগণ।
এদিকে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হলে রবিবার প্রায় ১৫ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এসব প্লাটফর্মে ঢুকতে পারেননি। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুনরায় চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি
বিক্ষোভকারীরা দেশটির এমন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দায়ী করেন এবং তার পদত্যাগের দাবিতে এসব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তারা বিক্ষোভ সংগঠিত করেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে রাজাপাকসে জরুরি ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে রবিবার দ্বীপ দেশটিতে আরও বেশি বিক্ষোভ হয়েছে।
বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে দেখা গেছে, তরুণরা সরকারবিরোধী স্লোগান ও গান গাইছেন।
রাজধানীতে, ‘দমন বন্ধ করুন’ এবং ‘গোতা গো হোম’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে আইনপ্রণেতারা কলম্বোর প্রধান চত্বরের দিকে মিছিল করে স্লোগান দেন। ‘গোতা’ হলো প্রেসিডেন্টের প্রথম নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।
সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা চত্বর অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড স্থাপন করে রাখেন। চত্বরটি ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন থেকে দেশটির স্বাধীনতার স্মরণে নির্মিত।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা সজিথ প্রেমাদাসা বলেন, ‘এটি অসাংবিধানিক। আপনারা আইন লঙ্ঘন করছেন। যারা কষ্ট পাচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করুন। আপনি কেন এমন সরকারকে রক্ষা করছেন?’
আরেক আইনপ্রণেতা নলিন বান্দারা বলেছেন, ‘তারা কতদিন জরুরি অবস্থায় শাসন করতে পারবেন?’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির সরকারের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র না আনা এবং চা, পোশাক ও পর্যটনের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসের ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি করা পণ্য ভোগের সংস্কৃতিকে।
করোনা মহামারিও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত দুই বছরে দেশটির সরকার ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত মাসে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তা আরও বাড়তে পারে।
তীব্র এই অর্থনৈতিক সংকট দ্বীপ দেশটির সর্বস্তরের মানুষের ওপর আঘাত হেনেছে। মধ্যবিত্ত পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী যারা সাধারণত সড়কে প্রতিবাদ করেন না তারাও দেশের অনেক জায়গায় রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেছেন।
২ বছর আগে
বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে শুক্রবার দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
দ্বীপ দেশটিতে চরম অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করে তার বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ পরিকল্পনার একদিন পর এ আদেশ জারি হলো।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পাবলিক সিকিউরিটি অধ্যাদেশ আরোপ করেছেন যা তাকে জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্রোহ দমন, দাঙ্গা বা নাগরিক বিশৃঙ্খলা বা প্রয়োজনীয় সরবরাহের রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়।
এছাড়া তিনি গ্রেপ্তার অনুমোদন, যে কোনো সম্পত্তির দখল এবং যে কোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। এছাড়া তিনি যেকোনো আইন পরিবর্তন বা স্থগিতও করতে পারেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে বিক্ষোভের জেরে কয়েক ডজন মানুষককে গ্রেপ্তারের একদিন পর এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া রবিবার দেশব্যাপী জনবিক্ষোভের ডাকও দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে আরোপ করা কারফিউ শুক্রবার সকালে তুলে নেয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘ লোডশেডিং ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির জন্য রাজাপাকসেকে দায়ী করেছেন।
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হচ্ছে- দেশটির সরকারের রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র না আনা এবং চা, পোশাক ও পর্যটনের মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসের ওপর নির্ভরতা এবং আমদানি করা পণ্য ভোগের সংস্কৃতিকে।
করোনা মহামারিও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত দুই বছরে দেশটির সরকার ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা গত মাসে ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তা আরও বাড়তে পারে।
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কায় চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে হাজারো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করলে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এদিকে বিক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় রাজধানীর উপকণ্ঠে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ।
কলম্বোর উপকণ্ঠে মিরিহানাতে রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনে যাওয়ার সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা দুটি সেনা বাসে পাথর ছুড়ে। বাস দুটি বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দিকে যেতে বাধা দেয়ার কাজে ব্যবহার করছিল পুলিশ।
বাস দুটির মধ্যে একটিতে জনগণ আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আগুন নেভাতে আসা আরেকটি ফায়ার ট্রাককে তারা ফিরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ঋণের অনুরোধ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: মোমেন
এছাড়া বাসে হামলা থামাতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে একজন গুরুতর আহত হন।
এ সময় ভারী রাইফেলসহ সশস্ত্র সৈন্যরা বিক্ষোভের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা মিরিহানা থানার আশপাশে জড়ো হয় এবং পুলিশ দুর্নীতিবাজদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন এবং সেখানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
শ্রীলঙ্কার বিশাল ঋণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং বৈদেশিক রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। দেশটি আমদানির জন্য অর্থ পরিশোধেও লড়াই করছে। মানুষ জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেন। পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় দেশটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা দেশটিতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: প্রধানমন্ত্রী
দিনে ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে দুলাজ মধুশান নামে এক বিক্ষোভকারী জিজ্ঞেস করেন, ‘কিভাবে মানুষ জীবিকা উপার্জন করতে পারে?’
পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালডুয়া জানিয়েছেন, কলম্বো ও শহরতলির কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চলবে।
কারফিউ জারি করা এলাকার মানুষজনকে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তা লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
২ বছর আগে