বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা’
ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতিতে আমলাতন্ত্রই বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অচিরেই বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ করা জরুরি। গত ২০-২৫ বছরে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরিতে প্রচুর অর্থ খরচ করা হলেও প্রস্তুতিতে তেমন কোনো কাজ হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে গলদ আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই এক্ষেত্রে বড় বাধা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি রোধে করণীয় নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
মেহেদী আহমেদ বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে সবাই আমলা। সেখানে কোনো ইঞ্জিনিয়ার বা জিওলোজিস্ট নেই। আমলারা দক্ষ জনবলের কথা আমলে নিই না। রাজউকে এখনও অনিয়ম রয়ে গেছে। এখানে দুর্নীর্তি হচ্ছে, টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বিগত সময়ে যে দুনীর্তি হয়েছে আজ তা সংশোধন করা কঠিন। ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেমের (ইসিপিএস) মাধ্যমে রাজউকের নকশার অনুমোদন শুরু করা ইতিবাচক। কিন্তু এক্ষেত্রে এখনও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ঢাকা শহরে ২১ লাখ ভবনের মধ্যে অকুপেন্সি সনদ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭০-৮০টিকে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারলেও ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নগরের ৬৫ শতাংশ ভবনই দুর্বল মাটির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। যা ভবন নিরাপত্তা ঝুঁকির অন্যতম কারণ। ভবন নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না তা নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। নির্মাণ শেষে বিল্ডিংয়ের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট পেতেও বেশ কষ্ট হয়। এমনকি নকশা অনুমোদন ও বিল্ডিং কোড মানার ক্ষেত্রে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। ভবন নির্মাণের অনিয়মের সঙ্গে ভবন মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত।
চৌধুরী কিরণ আরও বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, দেশের সব জায়গায় ভবন নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যতক্ষণ পর্যন্ত ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৈতিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, তবে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকেই। ভবন মালিকের ক্যাপাসিটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, ফায়ার সার্ভিস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা শহরে অপরিকল্পিতভাবে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ দফা সুপারিশ করেন। যথা-
১) বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা
২) ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহশীলতা নির্দেশিকা মানতে বাধ্য করা
৩) ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা চিহ্নিত করে এগুলোকে ভূমিকম্প সহনীয় করা
৪) ভবন নির্মাণে সব উপকরণ পরীক্ষার জন্য রিসার্চ, ট্রেনিং ও টেস্টিং ল্যাবরটরি স্থাপন নিশ্চিত করা
৫) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্ষমতা বাড়ানো
৬) ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাস সম্পর্কিত তথ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জানানো
৭) প্রতি তিন মাস পরপর ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহের সমন্বয় ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং মহড়া নিশ্চিত করা
৮) ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় রোধে ভবনের অনুমোদিত নকশা অনলাইনে দেওয়া
৯) বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা
১০) রাজধানীর প্রতি ওয়ার্ডে আরবান রেসকিউ টিম তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষিত করা।
‘ভবন মালিকদের দায়িত্বশীলতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে’- শীর্ষক ছায়া সংসদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিতার্কিকদের পরাজিত করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার অনির্বাণ ও স্থপতি সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি।
প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিষণ্ণতায় ভুগছেন ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী: গবেষণা
বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকায় গাজীপুরের বশেমুরকৃবি
১ বছর আগে
ফারদিনের মৃত্যু: স্থায়ী জামিন পেলেন বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় ডিবি পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন অব্যাহতির আবেদনের ওপর নারাজির বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। একই আদালত ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানার নারাজির বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। তবে এদিন বাদীপক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ হওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: নারাজি দিতে সময়ের আবেদন বাবার
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব মামলার ফটোকপি চেয়ে আবেদন করেন। নারাজির দিতে সময়ও প্রার্থণা করেন তিনি। আদালত তাদের সার্টিফাইড কপি নিতে বলেন। সময় আবেদন মঞ্জুর ১৬ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
অপরদিকে একই আদালতে ফারদিনের বান্ধবী আয়াতুল্লাহ বুশরার আইনজীবী জামিন স্থায়ীর আবেদন করলে শুনানি শেষে আসামির জামিন স্থায়ীর আবেদন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ সজীব এসব তথ্য জানান।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি’র চূড়ান্ত প্রতিবেদন
ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
১ বছর আগে
ফারদিনের মৃত্যু: বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি’র চূড়ান্ত প্রতিবেদন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জড়িত নয় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় বুশরার অব্যাহতি চেয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। ওইদিন প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান আদালতের রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা জড়িত নয় মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার রামপুরা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় বুশরার অব্যাহতি চেয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। ওইদিন প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান আদালতের রামপুরা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১০ নভেম্বর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বুশরা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৮ জানুয়ারি জামিন পান বুশরা।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: ২ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বুশরা
ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
১ বছর আগে
ফারদিন হত্যা মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন ফারদিন নূর পরশের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
নিখোঁজের তিনদিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিনের মৃত্যু: জামিন পেলেন বুশরা
এছাড়া তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এরপর ৯ নভেম্বর রাতে ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তবে বর্তমানে বুশরা জামিনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন নূরের মৃত্যু: বুশরার জামিন আবেদনের আদেশ রবিবার
ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে
মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
মহাবিশ্বে নতুন বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রাণের খোঁজেই হোক আর আবাস সম্প্রসারণের জন্যই হোক; গ্রহান্তরের নেশাটা মানুষের অনেক আগে থেকেই। এই নেশাটা এখন আপাতত স্বপ্নের পর্যায়ে থাকলেও বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা সেই স্বপ্নের ঘোড়াটাকে দুর্দান্ত গতিতে ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর উদ্দেশ্যে নিজেদের তৈরি করা রোবট নিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। চলেন জেনে নেই।
রোবট মঙ্গলতরী
মঙ্গল গ্রহে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি নতুন প্রজন্মের রোবট যান মঙ্গলতরী। রোবটিক্স প্রোজেক্টটির কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে ১১ জন শিক্ষার্থীর হাত ধরে। বর্তমানে এই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৪০-এ, যারা ৯টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রোজেক্টটির বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ আইজাক বারী: বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ‘বিস্ময় বালক’
টিম মঙ্গলতরীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুহাইল হক রাফি। ইলেকট্রনিক্স টিমের প্রধান মাহবুবুল হক, অটোনোমাস, কন্ট্রোল অ্যান্ড সায়েন্স দলনেতা সুহাইল হক রাফি ও ডিজাইন অ্যান্ড মেকানিক্যাল দলনেতা শামস ফেরদৌস অর্ণব। নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ভিশননের দায়িত্ব পালন করছেন সাদ নূর মিম বিধু। রিসার্চ অ্যান্ড ডকুমেন্টেশনের দিকটি দেখাশোনা করছেন বৃষ্টি দাস। মুরছালিন আহমেদ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্সের দায়িত্বে আছেন।
২০১৫ থেকে প্রতি বছর আপডেট হওয়া মঙ্গলতরীর এবারের ভার্সনে যুক্ত হচ্ছে হারানো বস্তু পুনরুদ্ধার, দৃষ্টিগোচর যে কোন কিছু রেকর্ড করা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচরণ করা বৈশিষ্ট্য।
আরও পড়ুন: ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা
প্রতিবারের মত এবারও মঙ্গলতরী অংশ নিতে যাচ্ছে ইউআরসি (ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ)তে। এটি মঙ্গলে পাঠানোর জন্য তৈরি প্রোটোটাইপ রোবটের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা হাজির হন নিজেদের নকশা করা মঙ্গল যান নিয়ে। মঙ্গলতরী ২০১৬ সাল থেকেই এখানে অংশ নিয়ে আসছে। এবারের আসর বসবে আগামী জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ্র এমডিআরএস (মার্স ডেসার্ট রিসার্চ স্টেশন)-এ। সবচেয়ে গর্বের বিষয় হচ্ছে, গত দুই বছর ধরে এই প্রতিযোগিতায় টিম মঙ্গলতরীর প্রাপ্ত নাম্বার ৯০-এর ওপর। ২০২০ সালে ৯৩টি দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল মঙ্গলতরী টিম। অবশ্য করোনা মহামারির কারণে ইভেন্টটি শেষমেশ ফাইনালের মুখ দেখতে পারেনি।
এ বছর আরও একটি রোবট প্রতিযোগিতা আইআরসি (ইন্টারন্যাশনাল রোভার চ্যালেঞ্জ)-এ অংশ নিবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই দলটি। আগামী মার্চ-এ ভারতের চেন্নাইয়ের ভিআইটি(ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি)তে শুরু হবে এ প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
ড্রোন নির্ভীক
নির্ভীক মঙ্গলগ্রহে ভ্রমণের জন্য বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়)-এর শিক্ষার্থীদের নির্মিত একটি ড্রোন। এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা হলেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগের খন্দকার শিহাবুল হক, মো. রাসুল খান, ও কুশল রায়; যন্ত্রকৌশল বিভাগের নাফিজ ইমতিয়াজ, নাজীব চৌধুরী, রাফি বিন দস্তগীর, অপূর্ব সরকার, স্বরূপ চন্দ, মিসফাকুর রহমান, মো. আমিন হক, সৈয়দ তাওসিফ ইসলাম, ইন্তেসার জাওয়াদ জায়গীরদার, অজয় কুমার সরকার, ইয়ামিনুল হক, ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী, ইমন রায়, আর কে বি এম রিজমি, এম আবরার মুহিত ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এস এম সাকিফ সানি।
নির্ভীক ড্রোনটি নিয়ে কাজের সময় মঙ্গলগ্রহের বাতাসের চাপ, আদ্রতা, অভিকর্ষের মান নিয়ে সুক্ষ্ম গবেষণা করা হয়েছে। পুরো প্রোজেক্ট শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস।
আরও পড়ুন: গ্যালাক্সি আনপ্যাকড অনুষ্ঠানে গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ও এস২২+ উন্মোচন করল স্যামসাং
নির্ভীক’র বিভিন্ন ধরনের সেন্সরগুলো মঙ্গলগ্রহের বাতাসে থাকা নানান উপাদান যাচাই করে তার ডাটা পাঠাতে পারবে। প্রায়-১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সক্ষম নির্ভীক।
নির্ভীক’র মূল কাঠামোর নকশা করেছেন রাফি বিন দস্তগীর ও যান্ত্রিক নকশার রূপকার স্বরূপ চন্দ।
আরও পড়ুন: রিয়েলমি ৯ আই: ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং এবং স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসরের সেরা পারফর্মার
২০২১ এর আইপিএএস (ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানেটারি অ্যারিয়াল সিস্টেম চ্যালেঞ্জ)-এ ইন্টারপ্ল্যানেটার নামে অংশ নেয় বুয়েটের টিমটি। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ড্রোন তৈরির নিমিত্তে আইপিএএস চ্যালেঞ্জের আয়োজন করে মার্স সোসাইটি সাউথ এশিয়া। প্রতিযোগিতায় বুয়েটের ইন্টারপ্ল্যানেটার অষ্টম স্থান অধিকার করলেও উদ্ভাবনে সর্বসেরা খেতাবটি অর্জন করে নেয় নির্ভীক টিম।
সবশেষে বলা যায় যে একাডেমির গণ্ডি পেরিয়ে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর জন্য এই প্রোটোটাইপগুলোর এখন প্রয়োজন শিল্পায়নে অন্তর্ভুক্ত করা। তবেই এই শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিশ্বের পেশাদার প্ল্যাটফর্মের নজরে পড়বে। আর এভাবেই লালিত হবে কোন এক বাংলাদেশির নকশায় গড়া রোবটের মঙ্গলগ্রহে পাড়ি জমানোর অপার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: এলিয়েন কি সত্যি পৃথিবীতে এসেছিল?
২ বছর আগে
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
৪ বছর আগে
বুয়েটের নতুন উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
৪ বছর আগে