ঘর
শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
শীতকালে ঘরের অভ্যন্তরীণ বাতাসের গুণমান বৃদ্ধিতে উৎকৃষ্ট গৃহস্থালি ডিভাইস হিউমিডিফায়ার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশেও ব্যাপক পরিসরে এসব ডিভাইসের ব্যবহার বেড়েছে। এই ডিভাইসগুলো চার দেয়ালের মাঝের শুষ্ক পরিবেশকে নিমেষেই আরামদায়ক করে তোলে। এতে শুষ্ক ত্বক ও শ্বাসকষ্টের আশঙ্কা থাকে না। এমনকি কম আর্দ্রতার কারণে কাঠের আসবাবপত্রের সমস্যাও দূর করতে পারে হিউমিডিফায়ার। আজকের নিবন্ধে বর্তমান বাজারে সেরা কিছু হিউমিডিফায়ারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হবে। চলুন, সঠিক ডিভাইসটি কেনার জন্য কোন কোনও বিষয়গুলো যাচাই করা উচিত- তা জেনে নেওয়া যাক।
হিউমিডিফায়ার কেনার সময় যে বিষয়গুলো দেখে নেওয়া উচিত
একটি মানসম্পন্ন হিউমিডিফায়ারের ন্যূনতম কিছু বিশেষত্ব থাকে, যা সামগ্রিকভাবে এর ব্যবহারের উপর প্রভাব ফেলে। ক্রয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের যাওয়ার পূর্বে সেই বিষয়গুলো যাচাই করে দেখা উচিত। চলুন সেগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ করা যাক।
ধরণ
নির্দিষ্ট পরিবেশের জন্য নির্ধারিত ফাংশনের হিউমিডিফায়ার তৈরি করা হয়। কুল মিস্ট মডেলগুলো কক্ষ-তাপমাত্রার আর্দ্রতা ছড়ায় বিধায় এগুলো উষ্ণ মৌসুমের জন্য ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে, শীতকালে ব্যবহৃত ওয়ার্ম মিস্ট হিউমিডিফায়ার জলীয়বাষ্প নির্গত করে। এতে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন অ্যালার্জেন ধ্বংস হয় এবং হিম শীতল পরিবেশে আরামদায়ক উষ্ণতা বিরাজ করে।
আল্ট্রাসনিক হিউমিডিফায়ার উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে সূক্ষ্ম মিস্ট তৈরি করে শব্দবিহীন অপারেশন নিশ্চিত করে। ইভাপোরেটিভ মডেলগুলো আর্দ্রতা ছড়ানোর জন্য ফ্যান এবং ল্যাম্প ফিল্টারের উপর নির্ভর করে। কম পাওয়ারের স্টিম ভ্যাপোরাইজার সাধারণত থেরাপি বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
কভারেজ এলাকা এবং ধারণক্ষমতা
হিউমিডিফায়ারের কার্যকারিতা মূলত পুরো আবদ্ধ স্থানটিকে সঠিকভাবে মিস্ট ছড়াতে পারছে কিনা সেই ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। ছোট রুমের জন্য ডিজাইন করা মডেলগুলো স্বাভাবিকভাবেই বড় লিভিং রুমের জন্য প্রযোজ্য হবে না। তাই ঘরের মাত্রা পরিমাপ করে তার সঙ্গে ডিভাইসের বাক্সের গায়ে লিপিবদ্ধ কভারেজ এলাকা মেলাতে হবে। এটি সাধারণত বর্গফুট বা বর্গমিটারে উল্লেখ থাকে।
একইসঙ্গে ট্যাঙ্কের পানি ধারণক্ষমতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যাচাইয়ের মূল দিক হচ্ছে অপারেশনের সময়কাল। ট্যাঙ্ক আকারে বড় হলে ঘন ঘন রিফিল করার দরকার পড়ে না। অন্যদিকে, ছোট ট্যাঙ্কগুলো বারবার পানি ভরার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। এগুলো সহজে বহনযোগ্য এবং যে কোনো স্থানে সহজেই রাখা যায়।
সহজে রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা
ডিভাইসটি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের মাঝে কতটা পরিষ্কার বা প্রতিস্থাপন করতে হবে তা জানা জরুরি। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ছাড়া এগুলো নিমেষেই ছাঁচ, ব্যাকটেরিয়া এবং খনিজের আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এটি এর যথাযথ কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে ঘরের বাতাসের গুণমানকে নষ্ট করে।
এর জন্য ভেতরের অংশ সহজে খুলে ফেলা যায় এবং ডিশওয়াশার পার্ট আছে এমন মডেলগুলো পছন্দ করা যেতে পারে। ফিল্টার ভালো হলে পর্যায়ক্রমিক প্রতিস্থাপনের পরেও ময়লা পরিষ্কারে সাহায্য করে। আল্ট্রাসনিক মডেলগুলোতে জমতে থাকা খনিজ পদার্থগুলো বারবার পরিষ্কারের প্রয়োজন হয়। মোট কথা তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এমন ডিজাইনগুলো অনেক দিন স্থায়ী হয়।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
শব্দের মাত্রা এবং শক্তির যথার্থ ব্যবহারযোগ্যতা যান্ত্রিক শব্দ প্রায়শই বিরক্তির উদ্রেক করে। এদিক থেকে আল্ট্রাসনিক মডেলগুলো সেরা হিউমিডিফায়ার, কেননা এগুলোর অপারেশনের কোনো শব্দ হয় না বললেই চলে। কিন্তু ইভাপোরেটিভ মডেলের কার্যকারিতা বেশি হলেও ফ্যান ঘূর্ণনে সৃষ্ট শব্দ যথেষ্ট লক্ষণীয়।
নিঃশব্দে দীর্ঘ সময় ধরে ডিভাইস চালানোর ক্ষেত্রে আমলে নিতে হয় শক্তির মাত্রা। কম বিদ্যুৎ খরচ করে পুরো ঘর কভার করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া আবশ্যক। এনার্জি সেভিং মোড থাকলে তা কেবল বিদ্যুৎ বিলই কমায় না বরং পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাবও হ্রাস করে।
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য এবং খরচ
আধুনিক হিউমিডিফায়ারগুলোতে প্রায়শই উন্নত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। অতিরিক্ত মান সংযোজনের জন্য অধিকাংশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান একের ভেতর অনেক কিছু রাখার চেষ্টা করেন। যেমন পরিবর্তনযোগ্য টাইমার, রিমোট কন্ট্রোল এবং অ্যাপভিত্তিক পরিচালনার জন্য স্মার্ট কানেক্টিভিটির সংযোগ।
খরচের ন্যায্যতা বিচারের জন্য এই উন্নত ফিচারগুলো উৎকৃষ্ট নির্ধারকের কাজ করবে। সেই সঙ্গে প্রতিস্থাপন ফিল্টার আছে কিনা ও অত্যাধুনিক ফিচার থাকলেও তা সহজে ব্যবহারযোগ্য কিনা- সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
বর্তমানে বাজারের সেরা ১০টি হিউমিডিফায়ার
প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে হিউমিডিফায়ারের ঐতিহ্যবাহী কাঠামো ও কার্যপ্রক্রিয়াতে আসছে নতুন নতুন সংযোজন।
তন্মধ্যে দেশের বাজারে চলমান ১০টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের ডিভাইসের দাম ও প্রধান ফিচারগুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
রিম্যাক্স আরটি-এ৭১০ অ্যারোমা ম্যাগ সিরিজ / দাম: ১৪০০ টাকা
ইউএসবি পোর্ট সংযুক্ত রিম্যাক্স-এর এই ম্যাগ মডেলটিতে আর্দ্রকরণের পাশাপাশি আছে অ্যারোমাথেরাপির সুবিধা। তেল যোগ করার পর সৃষ্ট মিস্ট সুগন্ধিযুক্ত। এর নকশা এমনভাবে করা যে সহজেই যে কোনো স্থানে মানিয়ে যায় এবং একই সঙ্গে সহজে বহনও করা যায়। তাছাড়া এটি বিভিন্ন ধরণের পাওয়ার সকেটের সঙ্গে স্থাপনের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। যারা অ্যারোমাথেরাপির ফিচারকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাদের জন্য এটি দারুণ একটি বাজেট-বান্ধব সমাধান।
ওরিকো ডি২০-ডব্লিউএইচ / দাম: ১৬৯০ টাকা
২৬০ এমএল (মিলিলিটার) ট্যাঙ্কের এই ডিভাইসে রয়েছে ৫০ এমএল/এইচ (মিলিলিটার পার আওয়ার) এর মিস্ট ভলিউম নির্গত করার ক্ষমতা। এর ৯০ ডিগ্রি কোণে (উল্লম্ব ও আনুভূমিক বরাবর) মিস্ট ছড়ানোর প্রক্রিয়া ৩ দশমিক ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর নেপথ্যে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে রয়েছে ১০০০ এমএএইচ (মিলি-অ্যাম্পিয়ার-আওয়ার)-এর ব্যাটারি। আরজিবি (রেড-গ্রিন-ব্লু) লাইট মুডগুলো যোগ করে নান্দনিকতা। সেই সঙ্গে কমপ্যাক্ট ডিজাইনের হওয়ায় এটি বেডসাইড থেকে শুরু করে অফিস স্পেস পর্যন্ত সব পরিবেশের জন্য উপযুক্ত।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
জো এইচএফ০৯ / দাম: ১৭৫০ টাকা
এতে একসঙ্গে ডিফিউজার এবং হিউমিডিফায়ার দুটি ডিভাইসের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। পোর্টেবল ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩০০ এমএল ট্যাঙ্ক। একটি মুড দিয়ে অবিরাম প্রবাহ পরিচালনা করা হয়, আরেকটি মুড অল্প বিরতিতে মিস্ট ছড়ানোর প্রক্রিয়া চালু থাকে। আরজিবি লাইটিং বৈশিষ্ট্য শিথিলতা বাড়ায়, সঙ্গে ৩০ ডেসিবলের নিচে থাকা নয়েজ লেভেল প্রশান্তির পরিবেশ নিশ্চিত করে। ইউএসবি পোর্ট থাকায় এটি অনায়াসেই ছোট কক্ষ; এমনকি ডেস্কের উপর মানিয়ে যায়।
লর্ডউয়ে এ৮ / দাম: ১৯৯০ টাকা
দেখতে বেশ সাধারণ হলেও কার্যকারিতার দিক থেকে এটি অতুলনীয়। ১ হাজার ১৫০ এমএল ট্যাঙ্ক এবং ডাবল মিস্ট মোড এর বিরতিহীন মিস্ট তৈরির কাজ চালু রাখে। এতে থাকা আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তি ৩০ ডেসিবল-এর নিচে কাজ করে বিধায় এটি গভীর রাতের পিনপত্তন নিরবতায় কোনো বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে না। উপরন্তু, ৭টি রঙ-পরিবর্তনকারী লাইট পুরো পরিবেশে এক ভিন্ন অলঙ্করণ যোগ করে। নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় শাট-অফ সুবিধা। ইউএসবি ডিভাইসটি যে কোনো জায়গায় সেট করার জন্য উপযোগী।
বেসউস অ্যারোমাথেরাপি হিউমিডিফায়ার / দাম: ১৯৯৫ টাকা
কমপ্যাক্ট ডিজাইনের এই মডেলে অ্যারোমাথেরাপির সঙ্গে আর্দ্রতার মেলবন্ধন ঘটেছে। ৭৫ এমএল ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক ২০ থেকে ৩৫ এমএল/এইচ আউটপুট দিতে পারে। স্বভাবতই এটি ছোট জায়গার জন্য সেরা। কাঠামোতে উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পিসি+এবিএস, যা দীর্ঘ সময়ের জন্য টেকসই হয়। মাত্র ২০০ গ্রাম ওজনের এই ডিভাইস সহজে বহনযোগ্য। নয়েজ ফ্রি হওয়ায় ডেস্ক বা বেডসাইড টেবিলে রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যায়।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
জিসুলাইফ জেবি০৮ / দাম: ২২৯০ টাকা
পোর্টেবল এবং ইউএসবি-চালিত এই হিউমিডিফায়ারে সর্বপ্রথম দৃষ্টিগোচর হয় অগ্রভাগের ডাবল স্প্রে। এর প্রতিটি পোর্ট ৩৫ এমএল/এইচ মিস্ট ভলিউম সরবরাহ করে, যা সর্বোচ্চ ১০ বর্গ মিটার পর্যন্ত আবদ্ধ জায়গা কভার করতে পারে। ৩ হাজার ৬০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত রানটাইম প্রদান করে। শুষ্কতা দূরীকরণের জন্য এতে রয়েছে ডুয়েল পাওয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আল্ট্রাসনিক পরমাণুকরণ ব্যবস্থা বেশ সূক্ষ্ম মিস্ট তৈরি করে। শব্দের মাত্রা সীমাবদ্ধ থাকে ৩৬ ডেসিবলের মধ্যে। এর সঙ্গে একটি ক্লিনিং ব্রাশও দেওয়া হয়। আরও আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে- যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের জন্য এর ৬ মাসের ওয়ারেন্টি আছে।
এইচ-টু-ও ডিকিউ১১৬ / দাম: ২৩৫০ টাকা
মাত্র ১৮০ গ্রাম ওজনের এই ডিভাইসে রয়েছে ৬০ থেকে ৯০ এমএল/এইচ পর্যন্ত ডুয়েল মিস্ট মোড এবং একটি ২ হাজার এমএএইচ রিচার্জেবল ব্যাটারি। আলাদাভাবে এসি বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই এটি কাজ করে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। ট্যাঙ্ক ধারণক্ষমতা ৩০০ এমএল হওয়ায় এটি যে কোনো সংকীর্ণ স্থানে পর্যাপ্ত কভারেজ নিশ্চিত করে। অটো স্লিপ মুড ৩ বা ৬ ঘণ্টা পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপারেশন বন্ধ করে দেয়। কম্পেক্ট ডিজাইনকে আবৃত করে রেখেছে টেকসই এবিএস উপাদান। যে কারণে একই সঙ্গে এটি সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায়।
বিম্পেরিয়াল পোর্টেবল হিউমিডিফায়ার / দাম: ৩৮৯০ টাকা
আধুনিক বৈশিষ্ট্য ও শৈলীর এক দারুণ সংমিশ্রণ ঘটেছে বিম্পেরিয়ালের এই মডেলটিতে। উর্ধ্বগামী শীতল মিস্টের পাশাপাশি এটি দ্বিগুণ অনুপাতে বাতাস পরিশোধন করে। ৮৫০ এমএল ট্যাঙ্কের এই হিউমিডিফায়ার ছোট বেডরুম বা অফিসের জন্য উপযুক্ত। এর সর্বোচ্চ মিস্ট কভারেজ প্রতি ঘণ্টায় ২০০ ঘনমিটার। সবচেয়ে চিত্তকার্ষক ফিচার হচ্ছে- এই হালকা ও পোর্টেবল ডিভাইস ন্যূনতম রক্ষণাবেক্ষণ করে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
কিউম্যালন টু পোর্ট স্প্রে / দাম: ৪৭৯০ টাকা
বিপুল জায়গার জন্য ডিজাইনকৃত কিউম্যালন টু পোর্ট স্প্রে’র রয়েছে ৮ লিটারের বিশাল পানিরভান্ডার। এর রানটাইম প্রায় ২৪ ঘণ্টা এবং এই পুরোটা সময়ে ন্যানো আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তির দৌলতে এটি অতি-সূক্ষ্ম মিস্ট সরবরাহ করতে পারে। এর অগ্রভাগের পোর্ট থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতে মিস্ট ছড়িয়ে ঘরের সর্বত্র সমহারে মিস্ট ছড়ানো নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় তিনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ মিস্ট কন্ট্রোল সেটিংসের মাধ্যমে। শীর্ষ কভারটি অপসারণযোগ্য এবং ট্যাঙ্ক স্বচ্ছ হওয়ায় এর রিফিলিং এবং পরিষ্কার করা বেশ সহজ। পানির স্তর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে এলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। নয়েজ ফ্রি অপারেশনের জন্য এটি বেডরুম ও মিটিং রুমের জন্য উৎকৃষ্ট।
শাওমি স্মার্ট হিউমিডিফায়ার টু / দাম: ৬ হাজার ৯৯০ টাকা
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সংস্পর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে হিউমিডিফায়ার ক্যাটাগরিতে শাওমির কোনো জুড়ি নেই। ট্যাঙ্কের ধারণক্ষমতা ৪ দশমিক ৫ লিটার হওয়ায় এই মডেল থেকে ৩২ ঘণ্টা একটানা অপারেশন পাওয়া যায়। এই উল্লেখযোগ্য সময়ে এর মিস্ট সরবরাহ ৩৫০ এমএল/এইচ মাত্রায় অব্যাহত থাকে। অতিবেগুনী পরিস্রাবণ ব্যবস্থার কল্যাণে মিস্ট আউটপুট পরিষ্কার থাকে। শাওমির নিজস্ব মি হোম অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসের মিস্ট সেটিংস এবং টাইমারগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর স্বয়ংক্রিয় মুডটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রতিরোধ করে ঘরের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশকে রক্ষা করে।
পরিশিষ্ট
উপরোক্ত ১০টি হিউমিডিফায়ারের যে কোনোটি শীতকালীন শুষ্কতা দূর করে ঘরকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং স্মার্ট কন্ট্রোলের জন্য শাওমি স্মার্ট হিউমিডিফায়ার টু নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। বৃহৎ ক্ষমতা এবং কভারেজের জন্য একই সারিতে থাকবে কিউম্যালন ২ পোর্ট স্প্রে। জিসুলাইফ, এইচটুও, এবং ওরিকো’র মতো ছোট কাঠামো সহজে বহনের জন্য আদর্শ। নান্দনিকতার নিরিখে বিম্পেরিয়াল বা বেসিউস-এর মডেলগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। আর সাশ্রয়ী খরচে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতার বিচারে লর্ডউয়ে, জো, এবং রিম্যাক্স-এর যথেষ্ট মান-সম্পন্ন।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
৮২ দিন আগে
ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা
বাগেরহাটে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে এমপি শিমুলের পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে ৪ লাশ উদ্ধার
নিহত মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জীর (৬৫) বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার ছোট পাইকপাড়া গ্রামে। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আহত তার স্ত্রী শেফালী রানী (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জি (৪৫) বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহত স্কুল শিক্ষকের মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর একদল দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন তাদের ঘরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের মুখে কালোকাপড় বাঁধা ছিল। এরা প্রথমে তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাত্ব করে। তার মা ও সে ঠেকাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলে বাবার মৃত্যু হয়।’
নিহত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, ‘তার স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাতে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা মৃনাল কান্তিতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে কী উদ্দেশে এই হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: থানায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি, চাঁদপুরে নিহত ১
২২৭ দিন আগে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি ঘর
গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুনে বসতবাড়ির ১৮টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে। এসময় ঘরে থাকা মালামালও পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল ৫টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের কয়েস মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়।
তবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বাড়ির মালিক কয়েস মিয়া জানান, মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের ২৪টি টিনশেড ঘর স্থানীয় পোশাক শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল।
বৃহস্পতিবার বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরগুলো পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি।আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় মেঘনা কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। তাতে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘর ভাড়া নেওয়া শ্রমিকরা কারখানায় ডিউটিরত থাকায় আগুনে বসত ঘরে থাকা খাট, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বসত ঘরের আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোন মালামালই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম জানান, বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
২৯৫ দিন আগে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্রমিকদের কলোনিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বসতঘরে লাগা আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন বলেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
তিনি আরও বলেন, আগুনে কলোনির চারটি গলির অর্ধশতাধিক টিনশেডের ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
৩০১ দিন আগে
আশুলিয়ায় তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে আগুন লেগে সাকিব (৫) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুড়ে গেছে বাড়িটির অন্তত চারটি কক্ষ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকার শামসুন্নাহারের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
সাকিব আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকার দিনমজুর নিজামউদ্দিনের ছেলে এবং মা আশে পাশের বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।
এ ব্যাপারে জিরাবো ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সায়েম বলেন, রবিবার সকালে তারা সন্তানকে ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে কাজে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে ওই ঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে শিশুটি আগুনে দগ্ধ হয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ২
তিনি আরও বলেন, চারটি টিনশেড ঘরের মধ্যে একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
আশুলিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিস পুড়ে যাওয়া লাশটি উদ্ধার করেছে। ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লাশের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, চালক আটক
৪০৪ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে ঘরের উপর গাছ পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ঘরের উপর গাছ পড়ে শামসুল হক (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার শুভগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামসুল টাঙ্গাইলের ভূঁঞাপুর থানার রামাইলচর এলাকার বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের মৃত শোমসের মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার বিকালে গাছ কাটার সময় ওই বৃদ্ধের ঘরের উপর চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
রাজধানীতে মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
৪৫৭ দিন আগে
মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
মাগুরায় ঘর দেওয়ার কথা বলে দরিদ্রদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার মাগুরা সদরের সিতারামপুর গ্রামে টাকা উত্তোলনের সময় সন্দেহ হলে প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে পড়ে।
প্রতারক চক্রের মাঠকর্মী ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ১০ সিএনজি-গাড়ি ভাঙচুর
আটক নারীর নাম ঋতুপর্ণা (১৮)। তার বাড়ি সদর উপজেলার শ্রীকুন্ডি গ্রামে। তবে ঘটনার মূল হোতা মনিরুল পালিয়ে গেছেন।
সিতারামপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী রাবেয়া, রাশেদা, জানান, সম্প্রতি সপ্তাহখানেক আগে ব্র্যাকের মাঠকর্মী পরিচয় দিয়ে এক নারী এসে নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মানুষকে তাদের নিজ জমিতে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া সহ গরু-বাছুর দেওয়ার কথা জানায়।
সদরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার জানান, ঘর নির্মাণ ও গরু-বাছুর দেওয়ার কথা বলে সাফি, জামেনা, জোসনাসহ গ্রামের প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে ঘরের ৫৮০ টাকা, গরু-বাছুরের ১৮০ টাকা করে আদায় করে নেন ওই নারী।
আগামী সংসদ নির্বাচনের পর পরই যাচাই-বাছাইসহ বাকি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে তাদের জানায়। পার্শ্ববর্তী সত্যপুর গ্রামেও ঘটেছে একই ঘটনা।
এদের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীর অধিকাংশই গ্রামের দরিদ্র নারী।
অভিযুক্ত ওই নারী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা আত্মসাতে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা এড়িয়ে ব্র্যাকের ম্যানেজার পরিচয় দানকারী জনৈক মনিরুল নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। এই কাজের জন্য তাকে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ঋতুপর্ণা জানান, দেড় মাস আগে পারনান্দুয়ালী এলাকার মনিরুল ব্রাকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে এই কাজে নিয়োজিত করেন। এরপর থেকে গ্রামে গিয়ে মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা তুলে মনিরুলের হাতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, দুপুর ২টার দিকে সদরের সীতারামপুর গ্রামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের সময় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে স্থানীয় ব্র্যাক অফিসে খোঁজ নিতেই প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তিনি আরও জানান, পরে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের জমির পর্চার কাগজসহ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় জড়িত প্রতারক চক্রে অন্যতম মনিরুলসহ অন্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: মাগুরা-১ আসনে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
মাগুরায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
৪৮২ দিন আগে
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
কোভিড-১৯ মহামারি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনের ভিত নাড়িয়ে দিলেও কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা অনস্বীকার্য। সেগুলোর মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনটি হলো নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে কাজের বদলে রিমোট বা দূর থেকেই কাজ করা। এই রিমোট কাজের ঝটিকা বিবর্তনেই অবতারণা হোম অফিস ধারণাটির, যেটি মূলত স্বাধীনচেতা জীবনধারারই নামান্তর। এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো- হোম অফিস দারুণভাবে আপনার কাজের উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করতে পারে। একটি সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কীভাবে আপনার হোম অফিস সাজাবেন তারই বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা হবে এই আয়োজনে। চলুন, নিজ ঘরের কাজের জায়গাটিকে আরও শৈল্পিক করে তোলার অভিযানে নেমে পড়া যাক।
হোম অফিস সুন্দর করে সাজানোর ১০টি টিপস
সঠিক স্থানটি নির্বাচন করুন
প্রসঙ্গ যখন কাজের জায়গা নিয়ে তখন প্রথমেই বাড়ির সবচেয়ে সুন্দর ঘরের সঠিক স্থানটি নির্বাচন করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে ঘরটিতে আলো-বাতাসের চলাচল আছে কি না তা দেখা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে প্রবেশের পর যে কেউ সহজেই যেন জায়গাটিতে পৌঁছাতে না পারে।
আসলে কাজে একান্তভাবে মনোন্নিবেশের জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসে ভরপুর শান্ত পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। ঘরটির মধ্যে অন্যান্য ঘর থেকে অপেক্ষাকৃত কম শব্দ যায় এরকমই বেঁছে নেওয়া উত্তম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
৫৯৪ দিন আগে
বাগেরহাটে ঘর পেয়ে আনন্দিত ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার
বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থ ধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে।
এসময়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
৭৩০ দিন আগে
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ দফায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান--এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সারা দেশে ৪৯৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানে উপস্থিত থেকে তারা সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির সার্টিফিকেট ও জমির কাগজপত্র তুলে দেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের ঘর বিতরণের ফলে নয়টি জেলা ও ২১১টি উপজেলায় এখন বাড়ি ও ভূমিহীন কেউ নেই।
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি প্রদান করেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা এবং আরও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
৭৩১ দিন আগে