ঘর
ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা
বাগেরহাটে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ওই বাড়ির মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ছোট পাইকপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে এমপি শিমুলের পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে ৪ লাশ উদ্ধার
নিহত মৃণাল কান্তি চ্যাটার্জীর (৬৫) বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার ছোট পাইকপাড়া গ্রামে। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
আহত তার স্ত্রী শেফালী রানী (৬০) ও মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জি (৪৫) বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহত স্কুল শিক্ষকের মেয়ে ঝুমা রানী চ্যাটার্জী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যার পর একদল দুর্বৃত্ত তাদের বাড়িতে হানা দেয়। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন তাদের ঘরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের মুখে কালোকাপড় বাঁধা ছিল। এরা প্রথমে তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাত্ব করে। তার মা ও সে ঠেকাতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলে বাবার মৃত্যু হয়।’
নিহত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শেফালী রানী বলেন, ‘তার স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। রাতে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করে।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা মৃনাল কান্তিতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে কী উদ্দেশে এই হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: থানায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি, চাঁদপুরে নিহত ১
৪ মাস আগে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি ঘর
গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুনে বসতবাড়ির ১৮টি টিনশেড ঘর পুড়ে গেছে। এসময় ঘরে থাকা মালামালও পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকাল ৫টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের কয়েস মিয়ার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড হয়।
তবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বাড়ির মালিক কয়েস মিয়া জানান, মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের ২৪টি টিনশেড ঘর স্থানীয় পোশাক শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল।
বৃহস্পতিবার বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরগুলো পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি।আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় মেঘনা কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনা থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। তাতে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘর ভাড়া নেওয়া শ্রমিকরা কারখানায় ডিউটিরত থাকায় আগুনে বসত ঘরে থাকা খাট, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ বসত ঘরের আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোন মালামালই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহবুব আলম জানান, বসতবাড়িতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
৬ মাস আগে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই অর্ধশতাধিক ঘর
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্রমিকদের কলোনিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ঘর।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বসতঘরে লাগা আগুনে পুড়ে নারীর মৃত্যু
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন বলেন, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
তিনি আরও বলেন, আগুনে কলোনির চারটি গলির অর্ধশতাধিক টিনশেডের ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দোকানসহ ৫ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই
নরসিংদীর চরাঞ্চলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
৬ মাস আগে
আশুলিয়ায় তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাসা বাড়িতে আগুন লেগে সাকিব (৫) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুড়ে গেছে বাড়িটির অন্তত চারটি কক্ষ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকার শামসুন্নাহারের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শিশুর
সাকিব আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকার দিনমজুর নিজামউদ্দিনের ছেলে এবং মা আশে পাশের বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।
এ ব্যাপারে জিরাবো ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সায়েম বলেন, রবিবার সকালে তারা সন্তানকে ঘরের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে কাজে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে ওই ঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে শিশুটি আগুনে দগ্ধ হয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ২
তিনি আরও বলেন, চারটি টিনশেড ঘরের মধ্যে একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
আশুলিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম মিয়া বলেন, ফায়ার সার্ভিস পুড়ে যাওয়া লাশটি উদ্ধার করেছে। ঘরের সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লাশের কিছু অংশ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, চালক আটক
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে ঘরের উপর গাছ পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ঘরের উপর গাছ পড়ে শামসুল হক (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার শুভগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামসুল টাঙ্গাইলের ভূঁঞাপুর থানার রামাইলচর এলাকার বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের মৃত শোমসের মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার বিকালে গাছ কাটার সময় ওই বৃদ্ধের ঘরের উপর চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
রাজধানীতে মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
১ বছর আগে
মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
মাগুরায় ঘর দেওয়ার কথা বলে দরিদ্রদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার মাগুরা সদরের সিতারামপুর গ্রামে টাকা উত্তোলনের সময় সন্দেহ হলে প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে পড়ে।
প্রতারক চক্রের মাঠকর্মী ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ১০ সিএনজি-গাড়ি ভাঙচুর
আটক নারীর নাম ঋতুপর্ণা (১৮)। তার বাড়ি সদর উপজেলার শ্রীকুন্ডি গ্রামে। তবে ঘটনার মূল হোতা মনিরুল পালিয়ে গেছেন।
সিতারামপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী রাবেয়া, রাশেদা, জানান, সম্প্রতি সপ্তাহখানেক আগে ব্র্যাকের মাঠকর্মী পরিচয় দিয়ে এক নারী এসে নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মানুষকে তাদের নিজ জমিতে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া সহ গরু-বাছুর দেওয়ার কথা জানায়।
সদরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার জানান, ঘর নির্মাণ ও গরু-বাছুর দেওয়ার কথা বলে সাফি, জামেনা, জোসনাসহ গ্রামের প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে ঘরের ৫৮০ টাকা, গরু-বাছুরের ১৮০ টাকা করে আদায় করে নেন ওই নারী।
আগামী সংসদ নির্বাচনের পর পরই যাচাই-বাছাইসহ বাকি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে তাদের জানায়। পার্শ্ববর্তী সত্যপুর গ্রামেও ঘটেছে একই ঘটনা।
এদের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীর অধিকাংশই গ্রামের দরিদ্র নারী।
অভিযুক্ত ওই নারী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা আত্মসাতে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা এড়িয়ে ব্র্যাকের ম্যানেজার পরিচয় দানকারী জনৈক মনিরুল নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। এই কাজের জন্য তাকে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ঋতুপর্ণা জানান, দেড় মাস আগে পারনান্দুয়ালী এলাকার মনিরুল ব্রাকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে এই কাজে নিয়োজিত করেন। এরপর থেকে গ্রামে গিয়ে মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা তুলে মনিরুলের হাতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, দুপুর ২টার দিকে সদরের সীতারামপুর গ্রামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের সময় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে স্থানীয় ব্র্যাক অফিসে খোঁজ নিতেই প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তিনি আরও জানান, পরে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের জমির পর্চার কাগজসহ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় জড়িত প্রতারক চক্রে অন্যতম মনিরুলসহ অন্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: মাগুরা-১ আসনে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
মাগুরায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
১ বছর আগে
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
কোভিড-১৯ মহামারি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরনের ভিত নাড়িয়ে দিলেও কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা অনস্বীকার্য। সেগুলোর মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তনটি হলো নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে কাজের বদলে রিমোট বা দূর থেকেই কাজ করা। এই রিমোট কাজের ঝটিকা বিবর্তনেই অবতারণা হোম অফিস ধারণাটির, যেটি মূলত স্বাধীনচেতা জীবনধারারই নামান্তর। এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো- হোম অফিস দারুণভাবে আপনার কাজের উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করতে পারে। একটি সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কীভাবে আপনার হোম অফিস সাজাবেন তারই বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা হবে এই আয়োজনে। চলুন, নিজ ঘরের কাজের জায়গাটিকে আরও শৈল্পিক করে তোলার অভিযানে নেমে পড়া যাক।
হোম অফিস সুন্দর করে সাজানোর ১০টি টিপস
সঠিক স্থানটি নির্বাচন করুন
প্রসঙ্গ যখন কাজের জায়গা নিয়ে তখন প্রথমেই বাড়ির সবচেয়ে সুন্দর ঘরের সঠিক স্থানটি নির্বাচন করা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে ঘরটিতে আলো-বাতাসের চলাচল আছে কি না তা দেখা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে প্রবেশের পর যে কেউ সহজেই যেন জায়গাটিতে পৌঁছাতে না পারে।
আসলে কাজে একান্তভাবে মনোন্নিবেশের জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাসে ভরপুর শান্ত পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। ঘরটির মধ্যে অন্যান্য ঘর থেকে অপেক্ষাকৃত কম শব্দ যায় এরকমই বেঁছে নেওয়া উত্তম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
১ বছর আগে
বাগেরহাটে ঘর পেয়ে আনন্দিত ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার
বাগেরহাটে আবারও জমিসহ ঘর পেলেন হতদরিদ্র ৬৯৬ ভূমিহীন পরিবার। বুধবার সকালে (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি এই ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্থান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঘরগুলো দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখানে ভাল থাকবেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের ১২৫ টি ও চতুর্থধাপে ৫৭১ টি মোট ৬৯৬ টি ঘর নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৪৪, মোংলায় ২২০, মোরেলগঞ্জে ১৩৭, কচুয়ায় ১০, ফকিরহাটে ৭৫, মোল্লাহাটে ৮৩, রামপালে ২০, চিতলমারী ৩২টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭৫টি ঘর রয়েছে। চতুর্থ ধাপে প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লক্ষ ৮৪ হাজার, ৫’শ টাকা। দুই শতাংশ জমিতে নির্মান করা প্রতিটি ঘরে বাড়িতে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা রয়েছে।
এসময়, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার রঞ্জন সাহা, ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
বাগেরহাটে চুরি হওয়া শিশু খুলনা থেকে উদ্ধার
১ বছর আগে
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব গৃহহীন মানুষ যাতে জমিসহ বাড়ি পায় তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।’
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ দফায় আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা-মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান--এর পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সারা দেশে ৪৯৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের স্থানে উপস্থিত থেকে তারা সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির সার্টিফিকেট ও জমির কাগজপত্র তুলে দেন।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ ধাপের ঘর বিতরণের ফলে নয়টি জেলা ও ২১১টি উপজেলায় এখন বাড়ি ও ভূমিহীন কেউ নেই।
এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প আশ্রয়ণ-২-এর আওতায় প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি প্রদান করেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি।
প্রধানমন্ত্রী আরও সাতটি জেলা এবং আরও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। সাতটি জেলা হলো মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে ঘর পাচ্ছেন ৫৫৬ গৃহহীন পরিবার
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে কুড়িগ্রামে ৫৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, ৪র্থ পর্যায়ে সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি পরিবার এই সুবিধা পাচ্ছে।
এরমধ্যে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে 'ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ' করায় সংঘর্ষ, আহত ১০
কুড়িগ্রামে ৩য় পর্যায়ে অবশিষ্ট ১০৬টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৪৫০টিসহ ৫৫৬টি সুবিধাভোগী জমিসহ ঘর বরাদ্দ পেল।
এদিকে বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সময়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
কুড়িগ্রামে ভিজিডি কার্ডের টাকা না দেয়ায় মাথা ফাটালেন ইউপি সদস্য
১ বছর আগে