সেনাপ্রধান
সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন থেকে নবীন কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। সামরিক চেতনামূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অধীনস্তদের সামনে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন কর্মকর্তাদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: ‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকা শক্তি। এখানে সকল নির্ধারিত নিয়ম প্রথা ও অনুশাসন পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিবেকের দারস্ত হবে। তোমরা ভুলে যাবে না তোমাদের গড়ে তুলতে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
৮৭তম বিএমএ'র দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৯তম বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ২৪ জন নারীসহ ২৩১ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
সকাল ৯টায় ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুরু হয় কুচকাওয়াজ।
প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সকালে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান- জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্টেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে মা-বাবা-অভিভাবকরা নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকতাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৩ জন ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স থেকে ১৪ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট অফিসার ও ৪ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেছেন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
২ সপ্তাহ আগে
‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সপ্তম সেনাপ্রধান হিসেবে 'হল অব ফেম'-এ অভিষিক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) তাকে 'হল অব ফেম'-এ অভিষিক্ত করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর বিএমএ থেকে ১৩তম বিএমএ লং কোর্স সম্পন্ন করেন এবং পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন।
উল্লেখ্য, তিনি ২০২৪ সালের ২৩ জুন ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আর্টডকের জিওসি, ইবিআরসির কমান্ড্যান্ট, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, বিএমএ'র কমান্ড্যান্ট, সামরিক সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ সেনা সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও বিএমএ'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের সাক্ষাৎ
১ মাস আগে
সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের সাক্ষাৎ
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জশুয়া এম রুডের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সেনা সদর দপ্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করেন।
এই সফরে উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (এইচএডিআর) প্রচেষ্টায় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলটি সেনা সদর দপ্তর আয়োজিত এইচএডিআর সম্পর্কিত একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়। এতে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জড়িত চ্যালেঞ্জ এবং সক্ষমতা অন্বেষণ করেন। আলোচনায় দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং সঙ্কটের সময়ে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য যৌথ প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়।
আইএসপিআর জানায়, এই সফর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান
১ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ১১ দিনের সরকারি সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন সেনাপ্রধান।
সফরকালে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মার্কিন সেনাপ্রধান ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
১ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জি পিয়েরে ল্যাক্রইক্স, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ জেনালের জেই মেননের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি, সেনাবাহিনী প্রধান র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত না করার বিষয় সবাইকে জানান। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কর্মকাণ্ডের উপর আলোকপাত করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি শৃঙ্খলার উন্নয়নে গৃহীত নানামুখি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়ও তাদের জানান। মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে শান্তিরক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ বিনিময়, আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মিশন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জোরালো ভূমিকা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত ২২ অক্টোবর সেনাপ্রধান ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দি আর্মি জেনারেল র্যান্ডি এ জর্জের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ পরবর্তী মানবিক সহায়তা, যৌথ প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধানের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব ডিফেন্স অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী সামরিক সচিব ড. এলি রাটনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশসমূহ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসি ডব্লিউ ফোর্ডসহ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী সচিব ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সরকারের সমর্থনে সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যকলাপ সম্পর্কে জানান। কানাডা সফরকালে সেনাপ্রধান ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন আর কেলসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজতর করার জন্য কথা বলেন। তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংসদ সালমা জাহিদ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেনাপ্রধান বিশেষ করে ছাত্রদের এবং কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, শিক্ষা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ পরিচর্যাকারী পাঠানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মনোনীত কানাডার হাইকমিশনার এইচ ই অজিত সিং এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাপ্রধান।আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
১ মাস আগে
সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় গিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণের বিবেচনায় জাতিসংঘ সদর দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সফর শেষে আগামী ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান সেনাপ্রধান।
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ইউনূস। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন তিনি।
এর আগে অধ্যাপক ইউনূস তার অধীনে থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সারা দেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনও।
বিকালে প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৪ মাস আগে
পুলিশ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত যাবে: সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান বলেছেন, পুলিশ সংগঠিত হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করলে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত যাবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আশাব্যঞ্জক। পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে সব নিয়মিত বাহিনী সন্ত্রাসদমনে তাদের অভিযান পরিচালনা করবে।’
দেশের ২০ জেলায় ৩০ সংখ্যালঘু জড়িত অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেনারেল ওয়াকার সব সহিংসতা পরিহার করে জনগণ ও রাজনীতির জন্য কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান।
এর আগে তিনি খুলনা বিভাগে কর্মরত সেনাবানীহিনর সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এছাড়াও খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ডিআইজি, কেএমপি কমিশনারসহ উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সেনাপ্রধান
শিগগিরই ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সেনাপ্রধান
৪ মাস আগে
বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সেনাপ্রধান
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বুধবার (৭ আগস্ট) সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দুপুর ২টা ১০ মিনিটে দেশে পৌঁছাবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে যাব। সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমানবাহিনী প্রধান আমরা সবাই তাকে সহযোগিতা করব। তিনি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র ফোরামসহ সবার সহযোগিতা পাবেন। তিনি তার সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টার সংখ্যা হবে ১৫ জন। এ সংখ্যা দুয়েকজন বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দেশে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে অনুরোধ করব তারা যেন এসব গুজবে কান না দেন।’
পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে আইজিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের মনোবল আবার ফিরে আসবে এবং তারা পেশাদার বাহিনী হিসেবে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরও বলেন, উজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সম্প্রতি দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'পুলিশ নেই, তাই তারা ডিউটিতে নেই। এর কারণে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা সেনাবাহিনীর দ্বারা পূরণ করা যাবে না। সর্বোপরি আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, আমরা হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, গত এক-দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণে তিনি দুঃখিত ও বিব্রত।
আরও পড়ুন: দেশে ফেরার আগে দেশবাসীর প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছু ঘটনা ঘটেছে, সহজভাবে বললে আমাদের যথেষ্ট শক্তি ছিল না।’
পুনর্গঠনের পর পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন শুরু করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, 'আমরা এই শূন্যতা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, এসব ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, রাজনীতিবিদরা তাকে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন ‘রাজনীতিবিদরা আমাকে বলেছেন, আপনি দায়িত্ব নিন। এটা নেওয়ার কেউ নেই। কাউকে না কাউকে নিতে হবে। যদি কোনো ব্যর্থতা থেকে থাকে আমি সেই দায় নেব। আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।’
দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেবে কাল
৪ মাস আগে