সেনাপ্রধান
রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া সফর: দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছয়দিনের সফর শেষে শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি।
সফরকালে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টারসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এমন তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ৭ এপ্রিল রাশিয়ার ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার জেনারেল এ ফোমিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
এ সময়ে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, রাশিয়াতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা এবং যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিইউকভের সঙ্গে তিনি দেখা করেন ৮ এপ্রিল। দুদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, প্রশিক্ষণ সহায়তা, বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষনার্থী বিনিময় এবং যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে রাশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
এছাড়াও রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা রোসাটামের মহাপরিচালকের সাথে রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থাকরণের ব্যাপারে আলোচনা করেন তারা।
গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তোহিমির কুন্দিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময়ে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্য সুযোগ, যৌথ সামরিক মহড়া এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
গত ৬ এপ্রিল সরকারি সফরে রাশিয়া এবং পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া গমন করেছিলেন ওয়াকার-উজ-জামান।
৫ দিন আগে
সরকারি সফরে রাশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
ঢাকাসরকারি সফরে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রবিবার(৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
রাশিয়া সফর শেষে আগামী ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সফরকালে তিনি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রতিরক্ষা ও সংশ্লিষ্ট খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্র তৈরির কারখানা পরিদর্শন করবেন।
দুদেশ সফর শেষে আগামী ১২ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রবিবার (৩০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের এই বৈঠক হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে আসন্ন ঈদে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন সেনাপ্রধান।
এছাড়াও লঞ্চ টার্মিনাল, ট্রেন স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে নিরাপদ সেবা নিশ্চিতকরণসহ সড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল; শিল্পাঞ্চলের মালিকদের সাথে শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ব্যবস্থাকরণ এবং সেনাবাহিনীর চলমান বিবিধ কার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সম্মানে দেশের সব সেনানিবাসে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন এবং আহত যোদ্ধা ও শহীদ যোদ্ধাদের পরিবারকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান সেনাপ্রধান। প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
১৮ দিন আগে
পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এ সময় দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন সেনাপ্রধান। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কেও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
জবাবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে—এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
সাক্ষাতকালে নিজের সাম্প্রতিক সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে সেনাপ্রধান বলেন, এই সফরটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ, পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের বিষয়ে চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদের অগ্রগতির বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।
২৯ দিন আগে
সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত করেছে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক। দেশটির জনগণের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট তাকে এই পদকে ভূষিত করেন।
সফর শেষে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহ ও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করা হয়। এসময় তিনি মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন।
সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অব দ্য সেক্রেটারি জেনারেল ভ্যালেন্টাইন রুজাবিজা এবং ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামফ্রি নয়নের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক আর্মড ফোর্সের প্রধান জেনারেল মামাদু জেফিরিনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন।
বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট এবং সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী মিশনের অধীনে বেসামরিক লোকদের সহায়তার অংশ হিসেবে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ নির্মিত তোয়াদেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের প্রেসিডেন্ট ফস্টিন আরচাং টুডেরার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেনাপ্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের বাংগি এলাকায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কন্টিনজেন্টসমূহ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনী প্রধান গত ৩ মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরে যান।
৪১ দিন আগে
কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বলেছিলেন, ‘নিজেরা কাদা-ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। এই দেশ আমাদের সবার, আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই।’
সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। বাকিটা ইন্টারপ্রিটেশন কী—আপনারা জানুন।’
আরও পড়ুন: নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
‘আমি যতটা উনাকে চিনি, ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রধান কী বলেছেন না বলেছেন, সেটার ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব না। সেটা উনিই বলতে পারবেন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি যেভাবে সম্বোধন করেছেন, সেটা পারেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা আপনারা উনাকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
৪৯ দিন আগে
নিজেদের মধ্যে মারামারি করলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে: সেনাপ্রধান
নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। যদি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করা না হয়; তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলেও হুঁশিয়ারি করে দেন তিনি।
২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ আহ্বান জানান। রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের হেলমেট হলে এ অনুষ্ঠান হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশ-জাতি যাতে একসাথে থাকতে পারি, সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু দিনশেষে যাতে আমরা সবাই দেশ-জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে পারি; তাহলে এ দেশ উন্নত হবে—সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না-হলে আমরা আরও সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না।’
‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি—আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করতে না পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন; এ দেশ ও জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে,’ বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
তিনি বলেন, ‘আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই, একটিই আকাঙ্ক্ষা দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর জায়গায় রাখা। আই হ্যাড ইনাফ। লাস্ট সেভেন-এইট মান্থ, আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই, দেশ ও জাতিকে একটি সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসবো।’
‘আরেকটি জরুরি বিষয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার নেপথ্যে কিছু কারণ আছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে—আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত। একজন-আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, সেহেতু তারা ভালোভাবেই জানেন যে এই সময় এসব অপরাধ করা গেলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সে কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে।’
ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, ‘আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই—এগুলো দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ অতীতে করেছে। খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজ দেশের যে স্থিতিশীলতা, দেশকে যে এতগুলো বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনা সদস্য, সিভিলিয়ান—সবাই বিলে এই সংস্থাগুলোকে কার্যকর রেখেছে।’
আরও পড়ুন: সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
‘সে জন্য এতদিন ধরে আমরা একটি সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। এরমধ্যে যারা কাজ করেছেন, যারা অপরাধ করেছেন, তাদের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না-হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজটা করবো, যাতে এসব সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। তার একটি বড় কারণ হচ্ছে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, তবে কাজটি এমনভাবে করতে হবে, যাতে এসব সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়। এসব সংস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে যদি মনে করেন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, সেটা হবে না। সেটা সম্ভব না। আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।’
‘এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর না, দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র্যাব আছে, আনসার-ভিডিপি আছে। আমার আছে ত্রিশ হাজার সেনা। কিন্তু এই একটা ভয়েড (শূন্যতা), সেটা এই ত্রিশ হাজার সেনা দিয়ে কীভাবে পূরণ করবো? ত্রিশ হাজার আসে, আবার ত্রিশ হাজার ক্যান্টনমেন্টে চলে যায়, এটা দিয়ে দিন-রাত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এখানে যেসব উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না, এটা মনে রাখতে হবে।’
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। তার আগে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, অবশ্যই সরকার সেদিকে খেয়াল করবেন। যতবার ড. ইউনূসের সাথে কথা বলেছি, ততবার তিনি আমার সাথে একমত হয়েছেন যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার এবং সেই নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম আঠারো মাসের মধ্যে একটি নির্বাচন। আমার মনে হচ্ছেওয়াকার-উজ-জামানসরকার সেদিকে ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। তাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে।’
৫১ দিন আগে
শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে: সেনাপ্রধান
নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সেনা সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাভার ক্যান্টনমেন্টে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাবো, কিন্তু কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সাময়িক বহিস্কার হলেন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মেহেদি
এ সময় কাজ দীর্ঘায়িত হওয়ায় সেনাদের ধৈর্য ধরে রাখতে ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশে যতদিন না একটা নির্বাচিত সরকার পাই, ততদিন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় উশৃংখল কাজ করা যাবে না, এটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
কাজ করতে গিয়ে বল প্রয়োগ করা যাবে না উল্লেখ করে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, যেটুকু না করলেই নয়, সেটুকু বল প্রয়োগ করে কাজ করতে হবে।
৫২ দিন আগে
সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সেনাপ্রধান
দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন থেকে নবীন কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। সামরিক চেতনামূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অধীনস্তদের সামনে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন কর্মকর্তাদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: ‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকা শক্তি। এখানে সকল নির্ধারিত নিয়ম প্রথা ও অনুশাসন পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিবেকের দারস্ত হবে। তোমরা ভুলে যাবে না তোমাদের গড়ে তুলতে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
৮৭তম বিএমএ'র দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৯তম বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ২৪ জন নারীসহ ২৩১ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
সকাল ৯টায় ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুরু হয় কুচকাওয়াজ।
প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সকালে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান- জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্টেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে মা-বাবা-অভিভাবকরা নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকতাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৩ জন ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স থেকে ১৪ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট অফিসার ও ৪ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেছেন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
১৩৪ দিন আগে
‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সপ্তম সেনাপ্রধান হিসেবে 'হল অব ফেম'-এ অভিষিক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) তাকে 'হল অব ফেম'-এ অভিষিক্ত করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর বিএমএ থেকে ১৩তম বিএমএ লং কোর্স সম্পন্ন করেন এবং পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন।
উল্লেখ্য, তিনি ২০২৪ সালের ২৩ জুন ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আর্টডকের জিওসি, ইবিআরসির কমান্ড্যান্ট, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল, বিএমএ'র কমান্ড্যান্ট, সামরিক সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ সেনা সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও বিএমএ'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডারের সাক্ষাৎ
১৫৬ দিন আগে