দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখন থেকে নবীন কর্মকর্তাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হলো।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। সামরিক চেতনামূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অধীনস্তদের সামনে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন কর্মকর্তাদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন: ‘হল অব ফেমে’ অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকা শক্তি। এখানে সকল নির্ধারিত নিয়ম প্রথা ও অনুশাসন পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিবেকের দারস্ত হবে। তোমরা ভুলে যাবে না তোমাদের গড়ে তুলতে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অনেক অবদান রয়েছে।
৮৭তম বিএমএ'র দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৫৯তম বিএমএ বিশেষ কোর্স থেকে ২৪ জন নারীসহ ২৩১ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
সকাল ৯টায় ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে নতুন ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে শুরু হয় কুচকাওয়াজ।
প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সকালে সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান- জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্টেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট।
এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে মা-বাবা-অভিভাবকরা নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকতাদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৩ জন ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্স থেকে ১৪ জন কর্মকর্তা ক্যাডেট অফিসার ও ৪ জন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেছেন। কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা।