মেম্বার
পুকুরে যেতে কৃষকের সর্বনাশ করে রাস্তা বানালেন মেম্বার
নিজের পুকুরে যেতে কৃষকের সর্বনাশ করে রাস্তা বানানোর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এতে ৪০ বিঘা জমির ক্ষতি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে।
এই ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
তারা জানান, কৃষকের মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজ ধানের গাছ। আর মাত্র ১৫ থেকে ২০দিন পর জমি থেকে কাটা হবে ইরি ধান। তবে এরই মধ্যে ঘটল বিপত্তি। সেই ধান গাছ নষ্ট করে হয়েছে রাস্তা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
তারা আরও জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে কৃষকের লাগানো জমিতে লাগানো ধান গাছ ধ্বংস করে নিজ পুকুরে যাওয়ার রাস্তা বানিয়েছেন ইউপি মেম্বার। এতে করে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ কাবিখা প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানাধীন ও বিরোধপূর্ণ কোনো জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না বলেও জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটপাড়া বরাক বিলের মাঝ দিয়ে ১০ ফুট প্রশস্ত নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এ সড়কের শেষ প্রান্তে কোনো বাড়িঘর নেই। রয়েছে কয়েকটি পুকুর। সেই পুকুরের মালিক ইউপি সদস্য ইকবাল হোছাইন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
নতুন সড়কটি জমিতে লাগানো ধানের গাছ ও জমি ধ্বংস করে বানানো হয়েছে, ফলে সড়কের দুপাশ গভীর হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাবিখা প্রকল্পের টাকায় অনিয়ম করে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন এই প্রকল্প করেছেন। শুধু মাত্র ইউপি সদস্যের কথায় কোনো প্রকার পরিদর্শন ও কৃষকদের মতামত না নিয়ে কৃষি জমির ওপর দিয়েই এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
কাবিখা প্রকল্পের নিয়ম গাইডলাইনে বলা আছে— ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা বিরোধপূর্ণ জমিতে এই প্রকল্প দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি শ্রমিক দিয়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির অংশ হলেও এই প্রকল্প ভেকু মেশিন দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তা বানাতে বেশি জমি পড়েনি। আর ভেকু দিয়ে কাটতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস বলেছে, তাই কেটেছি। এই বিষয়ে ইউএনও সাহেব ডেকেছিলেন, তিনি পরিদর্শনে আসবেন। এখন সবাই আপত্তি করায় কাজ বন্ধ রেখেছি।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, ‘ওই গ্রামের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন, ইকবাল হোসেন নামে একজন মেম্বার তার পুকুরে যেতে একটা রাস্তা নির্মাণ করেছেন। এতে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাস্তা বা ঘরবাড়ি করতে পারে না, এর জন্যে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে অনুমতি নিতে হয়। ঘটনাটি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
এই বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিক কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূইয়া বলেন, ‘একটি ফসলি জমির ওপর রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। উন্নয়ন যেমন দরকার আছে, তেমন কৃষি জমি সংরক্ষণে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। দেখা হবে— রাস্তাটি জনগণের উপকারের কিনা ও কৃষি জমির কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা।’
৫ দিন আগে
সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
ফেনীর সোনাগাজীতে আবুল কাসেম নামে আওয়ামী লীগের এক মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় চর দরবেশ ইউপি নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে আপেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ওই ওয়ার্ড আ .লীগের সভাপতি আবুল কাসেম। দক্ষিণ পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামের মধ্যের সমাজে নির্বাচনি কাজ পরিচালনার জন্য জনৈক ওমর ফারুক থেকে একটি ভাড়া ঘরে অফিস করেন তিনি। তার কর্মী সমর্থকেরা প্রতিদিনের মতো নির্বাচনী কাজ শেষে কার্যালয়টি বন্ধ করে বৃহস্পতিবার রাতে যার যার বাড়ি চলে যান। রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল ঢেলে কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। মুহূর্তের মধ্যে মালামালসহ পুরো ঘরটি পুড়ে যায়।
আবুল কাসেম দাবি করেন, ওই দিন রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামশেদ আলম ও তার সমর্থকেরা গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় মিছিল করেছেন। তার নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের কারণে এক দিকে ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আফ্রিকাফেরত প্রবাসীর বাড়ি লকডাউন
এ ঘটনায় আবুল কাসেম বাদী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জামশেদ আলমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।
তবে মেম্বার প্রার্থী জামশেদ আলম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে তিনি বা তার কোনো সমর্থক জড়িত নয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
১১৯৮ দিন আগে
লিচু গাছের আমটি ছিঁড়ে নেয়ার কথা স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার
ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছের সাড়া জাগানো আমটি নিজেই ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে স্বীকার করলেন সাবেক মেম্বার সিকিম।
মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সিকিম আম ছিঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করেন।
সকালে রাগের মাথায় তিনি এ কাজ করেছেন। তবে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। আমটি এখন গাছের মালিক আব্দুর রহমানের কাছে রয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, এলাকার সাবেক মেম্বার সিকিম সকালে লিচু গাছ থেকে আমটি ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে করে যারা আমটি দেখতে আসছে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। মেম্বার আমটি ছিঁড়ে ঠিক করেননি।
অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার সিকিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকায় লিচু গাছটিতে আমটি দেখার জন্য সারাদিন অনেক দূর থেকে গাড়ি নিয়ে মানুষ এসে ভিড় করছে। আম দেখতে এসে সোমবার আমার ভাতিজা মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে আহত হয়েছে। তাই রাগের মাথায় আমটি ছিঁড়ে ফেলেছি। পরে বুঝতে পেরেছি কাজটি ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার ছোট বালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের (মটকি) বাড়িতে একটি লিচু গাছের একটি ডালে ছোট ছোট ৯টি লিচু ধরেছে। ওই গাছে লিচুর একটি থোকায় লিচুর সাথে আম ধরে আছে দেখা যায়। বিষয়টি মটকির নাতি হৃদয় প্রথম দেখতে পায়। সে বিষয়টি তার দাদাকে জানায় ও পরে এলাকার লোকজন জানতে পারেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, লিচু গাছে আম ধরার বিষয়টি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। এর কোন বৈজ্ঞানিক কারণ বা গ্রামার নেই।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেন, লিচুর গাছে আম আকৃতির ফল ধরা পরাগায়ন বা অন্য কোনো মাধ্যমে হওয়ার কথা নয়। এখানে গবেষণার বিষয় রয়েছে।
লিচু ফলটি বিকৃত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
১৪৩৮ দিন আগে
৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের
এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধির (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৭৩৫ দিন আগে