প্রধান শিক্ষক
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পাঠ্যবই বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম ও মানিক নামে এক দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ( ২৮ আগস্ট) রাতে মোহাম্মদ আলম ও মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পীরগঞ্জ উপজেলার বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলম ও সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম গত বুধবার বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ৫৬৪ কেজি সরকারি পাঠ্যবই মানিক নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পৌর শহরের শান্তিবাগ এলাকা থেকে বিক্রি হওয়া বইয়ের মধ্যে ৯০ কেজি বই উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় রাতে প্রধান শিক্ষক মো. আলম, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম এবং দোকানদার মানিকের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ। এ ঘটনায় পুলিশ আলম ও মানিককে গ্রেপ্তার করে। তবে সালাম পলাতক রয়েছেন।
পড়ুন: গাজীপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
আটক হওয়ার আগে বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলম জানান, কয়েকদিন আগে স্টোর রুমে একটি বিষধর সাপ মারা হয়। বুধবার আবার স্কুলের স্টোর রুমে সাপের আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্টোর রুম পরিষ্কার করা হয়। আমাকে না জানিয়েই সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম পুরাতন বইগুলো বিক্রি করে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ জানান, বই বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ইউএনও নির্দেশে থানায় মামলা হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, সরকারি বই বিক্রি করার অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পলাতক আছে। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
৯৬ দিন আগে
প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে, সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য—শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটি সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র্যাংকিং করছি। যেসব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।’
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে, যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক, ব্যবহার ইত্যাদি বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
এ সময় প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের বিষয়েও নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ, তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন অধ্যাপক ইউনূস। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।’
স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কিনা—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায় ও বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয়ে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
এ ছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪২ দিন আগে
মাগুরায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এডহক কমিটির নতুন সভাপতি জিনাত সুলতানার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদনে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামানের সই করা ৩ জুনের প্রজ্ঞাপনে জিনাত সুলতানাকে চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর না করে সময়ক্ষেপণ করছেন।
আরও পড়ুন: নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বিএনপি নেতাকে গাছের সঙ্গে বাঁধল গ্রামবাসী
সভাপতি জিনাত সুলতানা জানান, বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী এখনও কোনো সভা আহ্বান করা হয়নি। প্রধান শিক্ষকের পছন্দের ব্যক্তি সভাপতি না হওয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরে বাধা দিচ্ছেন। বরং তিনি নিজের মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায়ও কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চাইছেন এবং বিভিন্ন স্থানে লবিং করছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের সময়ে তিনি নিজের অনুগত ব্যক্তিদের কমিটিতে বসিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ লেনদেন করেছেন। বর্তমানে আমি দায়িত্ব নিলে সে সুযোগ আর থাকবে না বলেই হয়তো বাধা সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গত ২ জুলাই আমি সভা আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। তারা বিষয়টি নিজেরা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই সমাধান হবে।’
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন, ‘যেহেতু বোর্ড কর্তৃক সভাপতি মনোনীত হয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের উচিত সভা আহ্বান করে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর তাকে তা জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করছেন, যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।’
এ ঘটনায় বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত বোর্ডের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে স্বচ্ছ প্রশাসনিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
১৪৩ দিন আগে
বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষককে শোকজ
শ্রেণিকক্ষ ভাড়ার বিনিময়ে একটি এনজিওকে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ সত্য কি না- তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে জানাতে বলা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মো. মকছেদ আলী কুমারখালীর যোগেন্দ্রনাথ (জেএন) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
২০০৯ সালে জেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মকছেদ আলী। তার যোগদানের পর থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রায়ই একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি অসাধু উপায়ে এভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দিয়ে আয় করে আসছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এমন বাণিজ্য চলে আসলেও ভয়ে প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে বিটিআরসির শোকজ, জরিমানা হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা
স্থানীয় ও অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা।
একাধিক এনজিও ও সংগঠনের কর্মকর্তার দাবি, শ্রেণিকক্ষে তারা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকেন, তা সত্য। তবে এর জন্য তারা প্রধান শিক্ষককে টাকাও দিয়ে আসছেন।
তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি ভাড়া বাবদ কোনো টাকা নেননি। প্রশিক্ষক হিসেবে এনজিও থেকে মাঝেমধ্যে কিছু সম্মানি পেয়েছেন মাত্র।
ছুটির দিন বা ছুটির পর এসব এনজিওর কাজ চলে থাকে বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নোটিশের জবাবে জানানো হবে।’
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া বাণিজ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাবের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
৩৬৮ দিন আগে
ফুলপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাজ্জাত হোসেন কামাল নামে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরান নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
সাজ্জাত হোসেন কামাল (৪০) গোয়াতলা রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিহতের চাচা আবুল খায়ের ও চাচাতো ভাই জাকারিয়াদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমির পানি সেচ দিতে গেলে চাচাতো ভাইদের মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটে। পরে কিল ঘুষি ও মারধরের ফলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন শিক্ষক কামাল। স্থানীয়রা তাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো ভাই ও চাচিসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২ জন
চবিতে ঘুরতে এসে ঝর্ণার পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
৫৬৬ দিন আগে
আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে মারপিট করা সেই কৃষকলীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সেই সাবেক কৃষকলীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার এরশাদপুর চাতাল মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেত্রী আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সামসাদ রানু ওরফে রাঙা ভাবি।
জানা যায়, বুধবার সকালে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পর্যন্ত ছাত্রদের অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষা চলছিলো। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষার দিন ছিল। অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষার জন্য সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিলো। সে সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিলো। এরমধ্যে সামসাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ক ছিলো। তার গায়ে রোদ লাগার কারণে সে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম স্কুলে আসতেই কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কিলঘুষিসহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে শিক্ষককে মারপিট করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে বুধবার বিকাল ৫ টায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বসুন্ধরায় ‘কীটনাশকের বিষক্রিয়ায়’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন,আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।
প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অপমানজনক। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। স্কুলের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার আমাকে ডেকেছিলেন। তার সঙ্গে পরামর্শ করে আইনগত ভাবে বিকালে থানায় মামলা করেছি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শিক্ষকের দায়ের করা মামলায় সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) কোর্টের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে ২ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৯১১ দিন আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭,৯২৬টি পদ শূন্য: প্রতিমন্ত্রী
বর্তমানে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭ হাজার ৯২৬টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সংসদ সদস্যদের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ১ হাজার ৯৫৫টি শূন্যপদ পূরণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৭ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বলেন, প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি সংসদকে জানান, বর্তমানে দেশে দু’টি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে ৫-৮ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতি বন্ধে অটোমেশন সফটওয়্যার চালুর কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়্যারটি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সব তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে এবং সার্টিফিকেট বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে যাচাই করা যাবে।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাল সনদধারী ৬৭৮ শিক্ষক/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আরও দুই বিজ্ঞপ্তি আসছে
৯১২ দিন আগে
ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শিক্ষা বিভাগের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
অভিযুক্ত মো. আলাউদ্দিন নগরীর কাপাসগোলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন: রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান জানান, কাপাসগোলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। রবিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনকে কাপাসগোলা থেকে নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রোমা বড়ুয়াকে পদায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়ন: ঢাবির শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
যুক্তরাষ্ট্রে ২ বছরে ৬ হাজার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছে উবার
১০৬৮ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, পুলিশে সোপর্দ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির মামলায় বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় পুলিশে সোপার্দ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. আব্দুল হালিম (৪০)। তিনি উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া ইউনিয়নের খলিশাদহ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
জানা যায়, বরখাস্ত হওয়ার পরও অভিযুক্ত ওই শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন। এমনকি আইন অমান্য করেই চালিয়ে যাচ্ছেন উপবৃত্তি, মাসিক রিটার্নসহ কার্যালয়ের নানা কার্যক্রম। বৃহস্পতিবারও বিদ্যালয়ে মাসিক রিটার্ন তৈরির কাজে আসেন ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের মাঠে ভিড় জমাতে থাকেন। লোকজন দেখে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে ধরে বিদ্যালয়ের কক্ষে আটক করে পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের খবর দেন।
পরে খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. জিন্নাত আরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: গ্রেপ্তার চালকের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশ, শিক্ষা কার্যালয় ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, ‘টিসি দেয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিকবার ভুক্তভোগীর শ্লীলতাহানি করেছে। সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট দুপুরে ভুক্তভোগী তার পরিবারের সদস্যদের শ্লীলতাহানির কথা জানায়। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা।
এরপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গত ২০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোয় বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ অভিযুক্ত শিক্ষককে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এসময় বিভাগীয় উপপরিচালক জানান, যতদিন মামলা চলমান থাকবে, ততদিন ওই শিক্ষক বরখাস্ত থাকবেন। বিদ্যালয়ে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না।
এবিষয়ে স্থানীয় একজন বলেন, ‘অভিযুক্ত মাস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বরখাস্ত হয়েও বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতেছে। আজ আমরা আটক করে রেখেছি। এর একটা বিচার হওয়া দরকার।'
গরিবুল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, 'বহিস্কৃত হয়ে কিভাবে স্কুলে আসে তিনি। তার (শিক্ষক) জন্য মেয়েরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিছে। এমন শিক্ষকের ফাঁসি হওয়া উচিত।'
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, 'অন্যান্য শিক্ষকেরা অফিসের কাজ বুঝতে পারছিলোনা। তাই সহযোগিতা করার জন্য বিদ্যালয়ে এসেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামান বলেন, 'স্যারের কোনো দোষ নেই। আমরা বিদ্যালয়ের সব কাজ বুঝিনা। তাই স্যারকে ডেকেছিলাম। ভুল হয়েছে। আর এমন হবেনা।'
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. জিন্নাত আরা বলেন, 'প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত রয়েছেন। উপজেলা অফিসে হাজিরা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালেও হাজিরা দিয়েছেন। কাউকে না জানিয়েই তিনি বিদ্যালয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি বিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না, কোনো কাজও করতে পারবেন না। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।'
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, 'খবর পেয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।'
আরও পড়ুন: জিন তাড়ানোর নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
খুলনায় কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
১০৮৫ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা কেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনেই চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দিয়ে এভাবেই লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফাঁকা বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিদ্যালয়টির অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার তার নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে বিদ্যালয়ে আসেন। খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোয়ার্দ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান। নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে অপারগতা জানালে অন্যান্য শিক্ষকদের সামনেই চড়াও হয়ে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দিয়ে এভাবেই লাঞ্ছিত করেন তিনি।
আমরা তার কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নুরু নবী জানান, মহন জোয়ার্দ্দার এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার নিজের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে আসেন।
তিনি এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাস করেছিলেন। খাতায় তার নাম রয়েছে আল-আমীন কিন্তু তিনি মহন জোয়ার্দ্দার নামে সার্টিফিকেট নিতে চান।
নামের মিল না থাকায় সার্টিফিকেট দিতে অপারগতা জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে চড়-থাপ্পড় মেরে গলায় ধাক্কা দেয়।
হুমকি দেয় দেখে নেয়ার।
বিষয়টি বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি শামসুর নাহারকে জানিয়েছি। আমি তার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মহন জোয়ার্দ্দার বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলাম।
পড়াশোনাও করেছি ওই প্রতিষ্ঠানে। এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট হারিয়ে যাওয়ায় ডাইভিং লাইসেন্সের জন্য অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট নিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে।
তবে প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামসুর নাহার বলেন, মারধরের ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতির সময় হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার গাঁজার গাছসহ আটক ১
১০৯৬ দিন আগে