ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা সুশাসন নিশ্চিত ও (প্রশাসনিক) সংস্কার করা এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলাম।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা তার একটি নজির স্থাপন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধলপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ৪ ও ৫ তলা দুটি ভবনে দক্ষিণ সিটিতে অন্তর্ভুক্ত নতুন পাঁচটি অঞ্চলের জন্য পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ স্থাপনাগুলো ২০০৮ সাল থেকে র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এটাকে প্রথমে দখলমুক্ত করি। তারপর সংস্কার করে আজ এটাকে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারলাম। ফলে দীর্ঘ ছয় বছরের অধিক সময়ে জনগণ, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তার নিরসন হবে। তারপরও আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো চালু হওয়ায় জনগণের আর ভোগান্তি থাকবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের ১১টি স্থাপনা পুলিশ-র্যাবের দখলে ছিল। আমরা এ যাবৎ চারটি স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের একটা সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র দখল অবস্থায় ছিল। তারা সেটা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। লালবাগে আমাদের আরেকটি স্থাপনা র্যাব ছেড়ে দিয়েছে। সেটাতেও আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। বাকি স্থাপনাগুলোও দখলমুক্ত করতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সঙ্গে দেন-দরবার ও আলোচনা করছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এগুলো জনগণের স্থাপনা। জনকল্যাণেই এসব স্থাপনা ব্যবহার করা হবে। আমরা আশা করছি, অচিরেই বাকি স্থাপনাগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, আমাদের নতুন পাঁচটি অঞ্চল ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনেছিলেন। এর দীর্ঘ ছয় বছর পরে সেসব অঞ্চলের জন্য আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন করছি। পরে ধাপে ধাপে পাঁচটি অঞ্চলের জন্য অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ যে, ধলপুরে অবস্থিত করপোরেশনের মালিকানাধীন ৩, ৪ ও ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনগুলো র্যাব-১০ ব্যবহার করে আসছিল। এ বছরের ৪ জুন র্যাব-১০ ভবনগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। এরপর সেসব ভবন সংস্কার করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত নতুন ৫টি অঞ্চলের জন্য আজ পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো।
আরও উল্লেখ যে, ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ১৮টি নতুন ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভাজন করে নতুন পাঁচটি অঞ্চল সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরোনো ৫টিসহ দক্ষিণ সিটিতে মোট অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে ১০টি অঞ্চলে উন্নীত হয়। নতুন অঞ্চলগুলোর সেবা এতদিন ধরে পুরোনো পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দেওয়া হতো।
পরে মেয়র দক্ষিণগাঁও এলাকায় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের পিএ-৬ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র