বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১৮ মিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রায় ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা বাড়তি রেমিট্যান্স পাঠানোয় মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে।
১৯ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ জুন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৯.২১ বিলিয়ন ডলার। ১৯ জুন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে।
আগামী সপ্তাহগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়তে থাকবে। কারণ জুন শেষ হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এপ্রিল থেকে ১০.৩ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে
জুনের শেষ সপ্তাহে আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১.১৫ বিলিয়ন ডলার দিতে পারে এবং বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেট-সেটিং মেকানিজমের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়ার এবং তুলনামূলক নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু করার এক মাস পরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির সর্বশেষ উন্নতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
৫ মাস আগে
অফশোর ব্যাংকিং বিল সংসদে উত্থাপন, একদিনের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সংসদে অফশোর ব্যাংকিং বিল ২০২৪ উত্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিলটি উত্থাপন করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, কোনো অনাবাসিক ব্যক্তি বা বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করতে চাইলে তারা অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
অফশোর ব্যাংকিং করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। যারা এই লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের আর নতুন লাইসেন্স নিতে হবে না।
যে পাঁচটি মুদ্রা দিয়ে অফশোর ব্যাংকিং করা যাবে- মার্কিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানিজ ইয়েন ও চীনা ইয়েন।
বিদেশে বসবাসরত একজন বাংলাদেশির যেকোনো আত্মীয় একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং একজন সমর্থক হিসেবে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যারা অর্থ জমা করেন, তাদের দেশ থেকে টাকা পাঠানোর অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু অফশোর ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে তারা কোনো অনুমতি ছাড়াই দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন।
অফশোর ব্যাংকিংয়ের পদক্ষেপটি শুধু রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য নয়, আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও।
যদি কেউ অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা রাখে, টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে না।
বিদেশে বসবাস করা ব্যক্তি বা সংস্থা বা বিদেশিদের প্রস্তাবিত আইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে কর্মরত তফসিলি ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আইএমএফের মান অনুযায়ী ভালো করছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট শিডিউল ব্যাংকের জন্য ব্যাংক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা থাকতে হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য অ্যাকাউন্টের পৃথক বই ব্যবহার করা হবে; যা আর্থিক ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলো যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদনে দেশীয় ব্যাংকিং ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সব ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড সীমা তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত সব ধরনের প্রতিবেদন জমার ধরন প্রযোজ্য হবে।
বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের দেওয়া সুদ বা মুনাফা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আমানতকারী বা বিদেশি ঋণদাতাদের অ্যাকাউন্ট যেকোনো শুল্ক ও কর থেকে অব্যাহতি পাবে।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
৮ মাস আগে
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ, রাজস্ব সংগ্রহ, জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়সহ বেশ কয়েকটি লক্ষ্য শিথিল করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে আইএমএফ ঋণ প্যাকেজের শর্ত হিসেবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
নিট ভিত্তিতে, এই পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফকে ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার আহ্বান বাংলাদেশের
এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করার জন্য আইএমএফকে অনুরোধ করেন অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা।
সেই অনুরোধ বিবেচনায় আইএমএফ লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী বছরের জুন শেষে ২০ বিলিয়ন ডলারে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার ও বুধবার সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আলোচনার পর আইএমএফ কিছু শর্তে নমনীয় হতে সম্মত হয়। সভায় সরকারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। আইএমএফ মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ দল
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ
১ বছর আগে
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ মাসে সর্বনিম্ন
শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ১৫ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে ৫৯৩ দশমিক ০৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর সপ্তাহ শেষে বৈদেশিক মুদ্রা ৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে।
বলা হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বর্তমান মূল্য ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাসের জন্য গত বছর থেকে বৈশ্বিক উন্নয়নের কারণে সৃষ্ট চাপের মধ্যে ভারতীয় রুপিকে রক্ষা করার জন্য আরবিআই কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে।
আরবিআই প্রকাশিত উইকলি স্ট্যাটিসটিকাল সাপ্লিমেন্ট অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের একটি প্রধান উপাদান বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদও ৫১১ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়ে ৫২৫ দশমিক ৯১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ধার দিল ফেডারেল রিজার্ভ
১ বছর আগে
আ.লীগ সরকার এ দেশের একটা টাকাও অপচয় করে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের একটা টাকাও অপচয় করে না। প্রতিটি অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে-কল্যাণে এবং তাদের ভালো-মন্দ দেখে।
শনিবার ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পয়সা কেউ তুলে নিয়ে চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সবসময় তাদের (বিএনপির) মনে এই ভয় থাকে। বিএনপি এ কথাই বলবে। এর পেছনের কারণ হলো অর্থ পাচার মামলায় তাদের নেতা তারেক জিয়াকে সাত বছরের সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ পাচার যাদের অভ্যাস, তারা (বিএনপি) ভাবে যে টাকা নিয় যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ করছে, কেননা অন্য দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সেই ডলার সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নিজেদের ডলার ব্যবহার করলে সেই টাকা আমাদের দেশেই থেকে যায়। সে কথা মাথায় রেখে আমরা ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে থাকাকালীন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে কিছু ডলার ঋণ হিসেবে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ‘রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়া নিয়ে তারা (বিএনপি) সারাদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র দুই দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সালে তা বেড়ে হয় মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলারে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই অবস্থান থেকে আমরা এর পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয়েছি। করোনাভাইরাস মহামারির সময় এই পরিমাণ বৃদ্ধি হয় যখন যোগাযোগ, পরিবহন, আমদানি ও সবকিছু প্রায় বন্ধ ছিল।’
আরও পড়ুন: গ্রামে ফিরে যান, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করুন: যুবলীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, কিন্তু যখন বিশ্ব খুলতে শুরু করে, তখন আমদানি বেড়েছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে এবং বাংলাদেশও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের আমদানি ব্যয় রিজার্ভ মানি থেকে পরিশোধ করছি, পাশাপাশি আমরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি এবং বিনামূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এই টিকাদান ও পরীক্ষা বিনামূল্যে করেনি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি। এর পরে আমরা অনুদান হিসাবে টিকা পেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে পরিবহন খরচ,খাদ্য, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, গম, মসুর ডাল ও ভুট্টার দাম বিশ্বজুড়ে বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এগুলো আমদানি করছি। আমরা চাল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছি, এর বাইরে আমাদের আরও কিছু জিনিস আমদানি করতে হবে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সময় আমাদের কিছু জিনিস আমদানি করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যা ব্যয় করছে তা শুধু দেশের জনগণ ও তাদের কল্যাণে। তাদের জন্য নগদ অর্থ দিয়ে খাদ্য সংগ্রহ, ক্যান্সারের ওষুধ, সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংগ্রহের কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা বিমান কিনেছি। নদী ড্রেজিং আমাদের নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করেছি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ধনী দেশগুলো ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
আগামী দিনে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি আবারও যে কোনো ধরনের খাদ্যসংক্রান্ত সংকট এড়াতে সকলকে প্রতি ইঞ্চি জমি খাদ্য উৎপাদনে কাজে লাগানোর অনুরোধ করেন।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন ইতিবাচক দিকের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানি রোধের পদক্ষেপ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে মুদ্রা বৈচিত্র্যকরণ সত্ত্বেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত সোমবার ছিল ৩৭ দশমিক শুন্য ৮ বিলিয়ন ডলার।
এই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) এর জুলাই-আগস্টের বকেয়া এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে ৩৭ দশমিক শুন্য ৬ বিলিয়ন হয়ে গিয়েছিল। গত বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১১ দশকিম ৫ বিলিয়ন ডলার ।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
পড়ুন: আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক শুন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে 'স্থিতিশীলতা' আনতে গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এবং চলতি অর্থবছর ২০২২-২৩-এ রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিটেন্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে গেলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
২০২১ সালের ডিসেম্বরে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে।
৪ বছর আগে
জুলাইয়ে রেকর্ড ২.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু জুলাই মাসেই ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
৪ বছর আগে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ৩৭.১০ বিলিয়ন ডলার
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সোমবার পর্যন্ত ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। দেশের ইতিহাসে যা এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৪ বছর আগে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ৩৬.০১৬ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৪ বছর আগে