বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করি, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
রিজার্ভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে কী না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো প্রজেক্টে সরকার স্পন্সর হিসেবে থাকতে পারে।’
‘এ ধরনের প্রজেক্টে অর্থায়ন করলে একদিকে আমাদের ঋণ বাড়লো না, আরেকদিকে আমাদের টাকাটা নিজের ঘরেই রয়ে গেল,’ বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের পরে বিশ্বব্যাপী অর্থের চাহিদা কমে গেছে। ফলে এখন কোনো বিদেশি ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা তেমন লাভের অবস্থানে নেই।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে রিজার্ভ থেকে ঋণ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে পরিকল্পিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বৈদেশিক রিজার্ভ ব্যবস্থাপনাকে তার চিন্তাভাবনার ফল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৬ বিলিয়ন ডলার, তারপরে ৩৯ বিলিয়ন ডলারে এবং সবশেষ ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বৈদেশিক রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৮ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার, জুলাইয়ে ৩৭ বিলিয়ন ডলার, জুনে ৩৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার, মে-তে ৩৩ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার, এপ্রিলে ৩২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার এবং জুনে ৩২ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।
রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা এবং এআইআইবির থেকে পাওয়া ঋণ সহায়তারও ভূমিকা রয়েছে।