বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
ফেনী ও নোয়াখালীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা
কয়েক জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ফেনীর মুসাপুর রেগুলেটর, বামনি ক্লোজার এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তা এবং নোয়াখালীর খাল পরিষ্কার ও ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নত করার গুরুত্ব নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে আজকের বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো জানায়।
সভায় জানানো হয় যে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দুটি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ, নদী তীরের সুরক্ষা এবং পানি নিয়ন্ত্রণের অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলছে।
এছাড়া, দুটি জেলার চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
১৪৭ দিন আগে
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীতে টানা ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি স্থানে ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ২০ হাজার মানুষ। বন্ধ রয়েছে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষ।
ফেনী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ ব্যবস্থা চলতে পারে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ফেনী জেলায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে আজ বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
পড়ুন: ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ১৭টি স্থানে ভাঙন ধরেছে। প্লাবিত হয়েছে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩৫ গ্রাম। পরশুরামে মুহুরী নদীর গেজ ষ্টেশনে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় পানির লেভেল ৬.৯৭ মিটার, রাত ৮টায় ১৩.৮৫ মিটার ছিল (বিপদসীমা ১২.৫৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। দীর্ঘ সময় বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর ডান তীরে জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ ভারত টাই বাঁধের সংযোগস্থল দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
মুহুরী নদীর উভয় তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলগোনা-২টি (মুহুরী, ডান তীর), উত্তর শালধর- ১টি (মুহুরী নদীর ডান তীর), নোয়াপুর - ১টি (মুহুরী নদীর বাম তীর), পশ্চিম অলকা- ১টি (মুহুরী নদীর বাম তীর), ডি এম সাহেবনগর- ১টি (সিলোনিয়া নদীর বাম তীর), পশ্চিম গদানগর-১টি (সিলোনিয়া নদীর বাম তীর), দক্ষিণ বেড়াবাড়ীয়া -১টি (কহুয়া নদীর বাম তীর), পূর্ব সাতকুচিয়া- ১টি (কহুয়া নদীর ডান তীর), উত্তর টেটেশ্বর- ১টি (কহুয়া নদীর বাম তীর) সহ ১০টি স্থানে ভাঙ্গন হয়েছে এবং ফুলগাজী উপজেলায় দেড়পাড়া ২টি (মুহুরী নদীর ডান তীর), শ্রীপুর- ২টি (মুহুরী নদীর ডান তীর), উত্তর দৌলতপুর ১ টি (কহুয়া নদীর ডান তীর), কমুয়া ১টি (সিলোনিয়া নদীর বাম তীর) সহ ৭টিসহ মোট ১৭টি স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, বন্যায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি উপচিয়ে বন্যা বাঁধে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। সবশেষ সকাল ১০ টায় পানির লেভেল ১৩.৮৫ মিটার। বিকেল ৫ টায় পানির লেভেল ১২.৭৪ মিটার।
১৪৮ দিন আগে
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীতে টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে ফেনী শহরের।
ফেনী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হতে পারে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১২টায় নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১৩.৯২ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ১.৫৭ মিটার বেশি। মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি বেড়েছে ৬.৯২ মিটার (২২ ফুট ১০ ইঞ্চি)।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেনীতে ৪৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বাঁধের পরশুরামের জঙ্গলঘোনায় দুটি, অলকায় তিনটি, শালধরে একটি এবং ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুরে একটি স্থানের বাঁধ ভেঙেছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগরে একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়ায় দুটি স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরামের সাতকুচিয়ায় দুটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি এবং ফুলগাজীর দৌলতপুরে একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।
১৪৯ দিন আগে
মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ওই উপজেলার ফেনী-পরশুরাম সড়কটিও পানিত ডুবে গেছে। ফলে ওই সড়কে সকাল থেকে ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পাহাড়ি ঢল ও উজানের পানির চাপে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশের একটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর, ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া ও কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ বিষয়ে ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুর অংশে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
ফুলগাজীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, বিকালে পানির প্রবাহ বেশি ছিল। দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
এর আগে ১ জুলাই টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিতে ভেসে যায় কয়েকশত পুকুরের মাছ। নষ্ট হয় জমির ফসল ও সড়ক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেয়া হয়েছে সব গেট
১৫৬১ দিন আগে
ফরিদপুরে আবারও ভেঙে গেছে শহররক্ষা বাঁধ
ফরিদপুরে বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার বিপদসীমরা ১১৯ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
১৯৫৬ দিন আগে
আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে নওগাঁয় ২২ গ্রাম প্লাবিত
নওগাঁর মান্দা ও আত্রাই উপজেলায় নতুন করে আরও ছয়টি স্থানে আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত ২২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
১৯৬৭ দিন আগে
কুড়িগ্রামে হুমকির মুখে বাঁধ, ২০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
ধরলা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার।
১৯৮১ দিন আগে