রেলওয়ে
সিগন্যাল ব্যবস্থা আধুনিকায়নে কাজ করছে রেলওয়ে
দুর্ঘটনা কমাতে সব জায়গায় সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের সব মিটার গেজ লাইন বদলে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
ইউএনবিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রেলওয়ের চলমান ও ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ট্রেনের সাংঘর্ষিক বা কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কুপিবাতি ব্যবহার করে সিগন্যাল দেওয়ার সিস্টেম পুরোনো হলেও এটি কার্যকর এবং পরীক্ষিত একটি সিগন্যাল ব্যবস্থা। ডিজিটাল সিস্টেম চালু করা ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার।’
সম্প্রতি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েছে। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যাল ব্যবস্থাকে।
আরও পড়ুন: সংস্কারের অভাবে রেললাইন ও সেতুতে ঘটছে দুর্ঘটনা
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত মিটার গেজের জন্য লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হবে। ২০৩০ সালের পরে এই ইঞ্জিন আর সংগ্রহ করা হবে না। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে মিটার গেজ অবলুপ্ত করে সম্পূর্ণটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। ফলে ট্রেনে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না।’
সরদার সাহাদাত আলী আরও বলেন, বর্তমানে যে লোকোমোটিভ ব্যবহৃত হচ্ছে তার মধ্যে ব্রডগেজের লোকোমোটিভগুলো চাহিদার মোটামুটি কাছাকাছি পরিমাণে আছে। ব্রডগেজ লাইনে ইঞ্জিনের সংকট এই মুহূর্তে নেই। আরও ৪৬টি লোকোমোটিভ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মিটারগেজের জন্য ৫০টি লোকোমোটিভ আসবে। এছাড়া চট্টগ্রাম-দোহাজারী প্রজেক্টের মধ্যে আরও ৩০টি লোকোমোটিভ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মিটারগেজ লোকোমোটিভের কিছুটা সংকট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আব্দুল্লাহপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডিজিটাল সিগন্যাল সিস্টেমের টেন্ডার হয়েছে। এটি মূল্যায়ন পর্যায়ে আছে। পদ্মা রেললাইন প্রজেক্টে জুন মাসের মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেম চালু করে দেবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে এরই মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেম চালু রয়েছে। টঙ্গী, জয়দেবপুর, দিনাজপুর, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব-পশ্চিম এসব জায়গায় নন-ইন্টার লকিং প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে। তাদের সবারই কাজ শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ হলে এগুলো ইন্টার লকিংয়ের মধ্যে চলে আসবে, তখন আর এ সমস্যা থাকবে না। তাই পর্যায়ক্রমে সবগুলোই আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
মিটারগেজ মেরামতের বিষয়ে ডিজি বলেন, ‘মিটারগেজ মেরামতের জন্য কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপে নিতে হয়। এগুলো আবার যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে পার করতে হয়, সেক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থাকে। এছাড়া ওয়ার্কশপে লোকবলের সংকটও আছে।’
নতুন কিছু লোকোমোটিভ না আসা পর্যন্ত মিটারগেজের এ সংকট কাটবে না উল্লেখ করে সাহাদাত আলী বলেন, ‘আমরা আশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে মিটারগেজের সব সংকটই কেটে যাবে। এ বিষয়ে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: পরিবহন-যোগাযোগ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
লোকোমোটিভের বেশ কিছু ত্রুটির কথা শোনা গেছে- এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে পরিচালক বলেন, ‘তিন হাজার সিরিজে যে লোকোমোটিভ আনা হয়েছে কিছু কিছু সমস্যা আমাদের নজরেও এসেছে। সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্যে সমস্যাগুলো মেরামত করা হচ্ছে। যে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড আছে এ সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেলে ঠিক করে নেওয়া যাবে।’
ট্রেন সংযোগ সম্প্রসারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জায়গায় ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ আছে সরকারের। পর্যায়ক্রমে সেটি করা হবে। কোথাও কোথাও ট্রেন/বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী। আরও নতুন নতুন লোকোমোটিভ কেনা হবে।’
দক্ষ জনবলের অভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। আগে জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কর্মচারীরা অবসরে যাবে আবার নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে- এটা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।’
রেলওয়ে সার্ভিসের উন্নয়নে আর কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রেলওয়ে ডিজি বলেন, ‘আমরা যাত্রীসেবার মান বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ট্রেন যথাসময়ে ছাড়া এবং পৌঁছানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এছাড়াও ট্রেন যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং খাবারসহ সব বিষয়ে মান ভালো করছি।’
ট্রেনের টিকিট সহজে পাওয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হয়েছে, কালোবাজারি টিকিট বিক্রি নেই বললেই চলে। ঘরে বসে অনলাইনেই টিকিট কেনা যাচ্ছে, স্টেশন থেকেও যথাসময়ে মধ্যে টিকিট নিতে পারছে, তবে ট্রেনের যে চাহিদা সে অনুযায়ী অনেক সময় সিট দেওয়া যায় না। তারপরও মানুষ ট্রেন জার্নিতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।’
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
৬ মাস আগে
গাজীপুরে রেলওয়েতে ‘নাশকতা’: ট্রেন চলাচল শুরু, তদন্ত চলছে
গাজীপুরে ‘নাশকতা’য় ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত ও উদ্ধার তৎপরতা শেষে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনো কিছু মেরামত কাজ চলছে। নাশকতার এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে গ্যাসচালিত মেশিন দিয়ে রেললাইন কেটে নাশকতায় নেত্রকোণা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এতে ৬০০ ফুট রেল সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ১১ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক
এরপরই জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার পর রেল কর্তৃপক্ষ বুধবার সন্ধ্যায় লাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেন জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এছাড়াও ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর কমিউটার ট্রেন ও যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন মেরামত করা অংশ দিয়ে ঢাকা প্রবেশ করেছে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়কে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ ইমাম আলী রেজাকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মহিউদ্দিন আরিফ ও পরিচালক (মেকানিক্যাল) এ বি এম কামরুজ্জামান। এই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে।
ওই কমিটির আহ্বায়ক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহ ইমাম আলী রেজা জানান, আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। নির্ধারিত তিন কর্ম দিবসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের গঠিত তথ্য কমিটিও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত, নিহত ১
১১ মাস আগে
প্রায় ৫ ঘণ্টা পর দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের একটি অংশের রেললাইনে অবরোধের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে ফের রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে ঢাকা ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অস্থায়ী রেল শ্রমিকদের মালিবাগ রেলগেটে অবরোধ, সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
তিনি আরও জানান, বেলা আড়াইটার দিকে সাড়ে চার ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ইউএনবিকে বলেন, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করায় তাদের চাকরি স্থায়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
শ্রমিকদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ হলেই তিনি কর্মী নিয়োগের সুপারিশ করবেন।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। এসব সেবা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, সেবা তিনটির মধ্যে আছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের প্রবর্তন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কেনা টিকিট অনলাইনে ফেরতের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
বুধবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধ, বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের জরিমানাসহ ভাড়া আদায় সহজ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এছাড়া ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কেনার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক করেছে।
কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়কারী যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে যেকোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন করতে পারবেন।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাজবাড়ীতে রেলওয়ে ওয়ার্কশপ স্থাপনে চুক্তি সই
রাজবাড়ীতে কোচ ও ওয়াগন মেরামত বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের বিষয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগের চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার রেলভবনেবাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কুদরাত ই খুদা এবং কনসালটেন্ট এর পক্ষে সই করেন সিস্ট্রা’র সাউথ এশিয়া বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারি সোমাল রাজু।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুই ধরনের গেজ ব্যবস্থা বিদ্যমান। মিটার গেজ এবং ব্রডগেজ।
মিটারগেজকে পর্যায়ক্রমে আমরা ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। উন্নত বিশ্বে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে রেলওয়ে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আমারা রেল ব্যবস্থাকে এখনও সেভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের দেশে রেল ব্যবস্থা এখনও ডিজেল চালিত অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রায় পুরোটা বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন।
আরও পড়ুন: ১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র সেবা সপ্তাহ শুরু
রেলপথমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে এই কারখানা করার ফলে আমাদের বহরের বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে যেগুলো যুক্ত হবে সেগুলোর কোচ ও ওয়াগন এখান থেকে মেরামত করতে পারব।
এছাড়া পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ফলে রাজবাড়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে এখান থেকে কোচ এবং ওয়াগন মেরামত করে সারাদেশে চালানো সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন. প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নতুন করে রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার ১০টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি রেলওয়েতে চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। ভারতের সঙ্গে আটটি ইন্টার সেকশন পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া কলকাতা শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু আছে। আমাদের দেশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার জন্য পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন এ রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছি।
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী, খুলনা থেকে দর্শনা, ঈশ্বরদী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের সিস্ট্রা কাজটি করবে।
আগামী ১৬ মাসের মধ্যে তারা বিস্তারিত নকশা সহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার সহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
কুড়িগ্রামে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান
২ বছর আগে
ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরু
বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে ২১ মার্চ থেকে স্থগিত থাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট বিক্রি কার্যক্রম আবার শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,‘সহজ’এর মাধ্যমে ২৬ মার্চ থেকে আবারও অনলাইন টিকেট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার শুধুমাত্র ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলা তালিকাভুক্ত ৭৭টি স্টেশনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র এর কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে বা অনলাইনে পাওয়া যাবে। তবে ২৫ মার্চের টিকিট পাওয়া যাবে না।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রেলের অনলাইন, অফলাইন টিকিট বিক্রি আগের নিয়মেই চলবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ২১ থেকে ২৫ মার্চ ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ
৭ মার্চ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানী ও পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
৩ বছর আগে
রেলওয়েকে ১০০টি ট্রলি দিল মধুমতি ব্যাংক
কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য মঙ্গলবার ১০০টি আধুনিক ট্রলি প্রদান করেছে মধুমতি ব্যাংক।
৪ বছর আগে
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে আগ্রহী হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
কম খরচ ও নিরাপদ হওয়ার কারণে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
৪ বছর আগে