প্রতিমা
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব
দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি হচ্ছে আজ। দেবীকে চোখের জলে বিদায় জানাতে রাজধানীতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে হাজারো ভক্তের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শহরের বিভিন্ন মন্দির ও পাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হবে নদীতে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছেন নারীরা
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ের কৈলাসে স্বামীর বাড়িতে। দেবীর অবস্থানকালে এই পাঁচ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা ‘দেবী মা’র বন্দনা করেন।
দশমী পূজা উদযাপনের প্রধান আচারের অংশ হিসেবে এদিন নারীরা ‘সিদুঁর খেলা’য় অংশ নেন। শহরের মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গার পায়ে সিঁদুর নিবেদন করেন, যা ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলার অংশ। এই আচারটি দেবী দুর্গার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তারপর হিন্দু নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর মাখিয়ে জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করেন।
হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জন দেখতে জড়ো হয়। বিসর্জনকালে অনেক ভক্তের চোখে জল চলে আসে, সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। আবার অনেকেই ক্ষণটিকে সুন্দর করে কাটাতে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেন।
বিসর্জনের আয়োজন দুর্গা পূজার স্থায়ী সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য তুলে ধরে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও ভক্তির প্রদর্শন করে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
খুলনায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুত ৯৯১টি মণ্ডপ
দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কিছু দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে খুলনার পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বেশিরভাগ মণ্ডপে প্রতিমা গড়া সম্পন্ন, চলছে রং ও সাজসজ্জার কাজ।
এদিকে বছর ঘুরে আসার এই উৎসবকে ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে যেমন বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা, তেমনই পূজার কেনাকাটা করতে নগরীর শপিং মলগুলোতে দেখা যাচ্ছে বেশ ভিড়।
এ বছর খুলনা জেলায় ৯৯১টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হবে। এর মধ্যে নগরীতে মণ্ডপ রয়েছে ১০১টি। খুলনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে বাড়তে পারে মণ্ডপের সংখ্যা।
আগামী মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার (১২ অক্টোবর) দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাৎসব।
শিববাড়ি মন্দির, ধর্মসভা, শীতলাবাড়ি, বড়বাজার, পুজোখোলাসহ নগরীর একাধিক পূজা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, মন্দিরগুলোতে প্রতিমা শিল্পীদের কর্ম-ব্যস্ততা তুঙ্গে। অধিকাংশ মন্দিরে প্রতিমা নির্মাণ শেষ করে এখন চলছে রঙ-তুলিতে দেবী দুর্গাকে রাঙিয়ে তোলার কাজ।
প্রতিমা তৈরির কাজে সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে নগরীর ধর্মসভা মন্দিরে এসেছেন চন্দ্রশেখর মন্ডল। তিনি বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পূজা মণ্ডপের সংখ্যা কম। তাই আমাদেরও কাজের সংখ্যা কমেছে। এবার মাত্র চারটি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সর্বশেষ ১০-১৫ দিন আগে এখানকার মাটির কাজ শুরু করেছি, এখন রঙের কাজ চলছে।
স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে, এবার সব পূজামণ্ডপে আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এর সঙ্গে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর আগে থেকে উৎসবের দিনগুলোতে টহল দেবে। পূজামণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর খুলনা জেলার ৯৯১টি পূজামণ্ডপের মধ্যে মহানগরে ১০১টি, বটিয়াঘাটায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ মাস আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার হরি মন্দিরের আটটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ভাঙ্গা সদর বাজারের গুড়পট্টি এলাকার হরি মন্দিরের এ ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোকসেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টির পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল জেলা পুলিশ সুপার পরিদর্শন করেছেন। প্রকৃত অপরাধী অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।
আরও পড়ুন: ২৯ অক্টোবর থেকে চলমান হরতাল-অবরোধে ৩১০টি ভাঙচুর ও ৩৭৬টি অগ্নিসংযোগ হয়েছে: পুলিশ
এ বিষয়ে ভাঙ্গার হরি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অরুণচন্দ্র সাহা বলেন,গত কয়েকদিন আগেই মাটির কারিগররা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। আমরা দু-একদিনের মধ্যে রং করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
তিনি বলেন, এই মন্দিরে মোট ১৪ টি প্রতিমা ছিল, এর মধ্যে আটটি প্রতিমা দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন অংশে ভেঙে ফেলে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
ভাঙ্গা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের বলেন, হরি মন্দিরের কার্তিক, অর্জুন, গনেশসহ মোট আটটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টির সুরাহা চাই। আমরা বিশ্বাস করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ রেস্টুরেন্টে হামলা-ভাঙচুর করে টাকা লুট, আহত ১০
৩ মাস আগে
শিকদারবাড়ি দুর্গোৎসব: পূজামণ্ডপে ৫০১ দেব-দেবীর প্রতিমা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শিকদারবাড়ির দুর্গাপূজা করোনা সংক্রমণের কারণে কর্তৃপক্ষ গেল ৩ বছর উৎসব বন্ধ রাখার পর এবার ৫০১টি প্রতিমা নিয়ে আগের রূপে ফিরছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: মৌলভীবাজারে মণ্ডপের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
মহামারির সময় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে সমুন্নত রাখার জন্য ছোট পরিসরে পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে এই বছর আগের মতোই জাঁকজমকপূর্ণ পূজা উদযাপন করতে চলেছে শিকদারবাড়ি।
শিকদারবাড়ী পূজামণ্ডপে মোট ৫০১টি দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
একাদশ প্রহরে পূজা মণ্ডপে প্রতিমা সাজানোর কাজ চলছে। দর্শনার্থীদের মুগ্ধতে প্রতিমাগুলোতে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহামায়া দেবী দুর্গার সঙ্গী হিসেবে সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলিযুগের দেব-দেবীরা পূজামণ্ডপ জুড়ে বিস্তৃত।
১ বছর আগে
নিরাপদে প্রতিমা বিসর্জন নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: নৌপুলিশ প্রধান
নৌপুলিশ সারাদেশে দুর্গাপূজা চলাকালীন প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) নৌপুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে বলে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য পূজা কমিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যারা সাঁতার জানেন, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য তাদের বেছে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ইভটিজিং ঠেকাতে পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি বসানো হবে।
নৌ পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের কারণে জনগণ এখন নৌপথে ডাকাতদের ভয় পায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌপুলিশ সব নদীকে নিরাপদ রাখতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরা: লক্ষ্মীপুরে জেলে-নৌপুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১
মেঘনায় নৌপুলিশের ওপর জেলেদের হামলা: আটক ৫
১ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১২টি হিন্দু মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি শুধু আপত্তিকরই নয়, রহস্যজনক, পূর্বপরিকল্পিত এবং লজ্জাজনকও বটে। এর নিন্দা করার উপযুক্ত শব্দ নেই।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা নরকের পোকা।
তিনি বলেন, ‘বালিডাঙ্গীর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরকারী অপরাধীদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি হিন্দু মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাতনামারা।
ফখরুল বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির পরিপন্থী এই নৃশংস ঘটনার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারের মন্দির ও প্রতিমা বেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সাধারণত রাতে এই এলাকায় টহল দেয়। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে দুর্বৃত্তরা তাদের (পুলিশের) অবহেলার কারণেই এত বড় মন্দির ও প্রতিমা সহজেই ভাঙচুর করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, দেশে চলমান দুঃশাসন একটি অস্বাভাবিক ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে প্রকৃত অপরাধীরা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অপরাধ করে পালিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘ফলে, অপরাধীরা দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন অপরাধ করে চলেছে। দেশ এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায় মানুষ এখন এখানে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীন।
দেশে অনিরাপদ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, অতীতেও মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, কিন্তু সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করতে পারেনি।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং তাদের জমি-জমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের আগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গীতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ, তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার অনুগত লোকজন শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিই দখল করেনি, হামলা ও ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
ফখরুল অবিলম্বে সরকারি খরচে ভাঙচুর করা মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল
১ বছর আগে
প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ দুই মাধ্যমিক শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিখোঁজের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরিরা প্রথমে শিক্ষার্থী সনজিত (২৩) ও কিছুক্ষণ পর তন্ময়কে (১৭) ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থী সনজিত বাশফোর জয়পুরহাট শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকার শান্তিনগর মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ বাশফোরের ছেলে। সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
তন্ময় রজক একই এলাকার পরেশ চন্দ্রের ছেলে। সে শহরের কাশিয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র, এবার এসএসসি পরীক্ষা দিতো।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষার্থী জেলা হিন্দু ছাত্র যুব পরিষদের সক্রিয় সদস্য ছিল ।
জয়পুরহাট সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মহীউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ছয় সদস্যের ডুবুরির দল জয়পুরহাটের চকশ্যামের ছোট যমুনায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
তারা রাত প্রায় সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এবং অক্সিজেন (গ্যাস) সংকটের কারণে কিছু সময় বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে।
তবে প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও ওই রাতে (বুধবার রাতে) কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ডুবুরিরা।
অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে সঞ্জিত ও তার আধঘন্টা পর সোয়া ১০টার দিকে তন্ময়কে ছোট যমুনা নদীর ওই দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার আনুমানিক দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকশ্যাম ব্রিজের কাছে ছোট যমুনা নদীতে কালী প্রতিমা (মূর্তি) বিসর্জন দিয়ে স্নান (গোসল) করার সময় এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় পাঠানো কনটেইনার থেকে লাশ উদ্ধার: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
লক্ষ্মীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
রাত পোহালেই লক্ষ্মীপূজা, জমে উঠেছে প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি
রাত পোয়ালেই লক্ষ্মীপূজা। লক্ষ্মীপূজার আয়োজন চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে। লক্ষ্মীপূজার প্রধান উপকরণ প্রতিমা আর সোলার ফুল। তাই হাট-বাজারে এখন লক্ষ্মী প্রতিমা আর সোলার ফুল বিক্রি জমে উঠেছে। নারী-পুরুষ ঘুরে দেখে পছন্দমতো প্রতিমা এবং নানা রকম সোলার ফুল ক্রয় করছেন।
ক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা আর সোলার ফুলের দাম বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সব কিছু মূল্য বৃদ্ধির কারণে এবছর প্রতিমা এবং ফুলের দাম বেড়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদ আর ঐশ্বর্যের প্রতীক। লক্ষ্মীর কৃপা হলে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
তাই প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করে থাকে।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে ২ বছর পর কুমারী পূজা
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের কাপুড়েপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সোলার ফুল আর প্রতিমা বিক্রির হাট বসেছে। ক্রেতারা দর দাম করে প্রতিমা আর সোলার ফুল ক্রয় করছেন।
পাঁচ কদমের একটি সোলার ফুল ৭০ টাকা আর ৩৬ কদমের একটি ফুল একহাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিমা ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সোলার ফুল নিয়ে হাটে বিক্রি করতে আসা কচুয়া উপজেলার শিবপুর পালপাড়া গ্রামের গৌতম শিকদার জানান, তারা প্রতিবছর লক্ষ্মীপূজার সময় সোলার ফুল বিক্রি করে।
২ বছর আগে
কলকাতার কারিগরদের রঙ, ছাঁচে দুর্গাপূজার প্রতিমা
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে হাজার হাজার মানুষ ‘সিটি অব জয়’ খ্যাত কলকাতার রাস্তায় জড়ো হয়েছে। এ যেন উচ্ছ্বসিত আত্মার ভেসে বেড়ানো!
শনিবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনের উৎসবটি হিন্দু দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা, ভোজ, আনন্দ, সঙ্গীত, নৃত্য ও মন্দের কাছে ভালোর জয়সূচক নাটকের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়। বাঙালি হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ পূজা অর্পণের জন্য জমকালো আলোকসজ্জা ও অলঙ্কৃত কমিউনিটি সেটারগুলোতে দুর্গা ও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তি পরিদর্শন করে।
মহামারির দুই বছর এবং কলকাতার এই উৎসবকে ইউনেস্কোর ‘মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ এর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বড় সমাবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
২ বছর আগে
বাগেরহাটে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ৩
বাগেরহাটের মোংলায় একটি সর্বজনীন কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে উপজেলার ‘কানাইনগর সর্বজনীন কালী মন্দির’-এ এই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে।
আটক যুবকেরা হলেন- মো. রাহাত চৌধুরী (২০), মো. নয়ন মুন্সি (২৪) এবং মো. আসিফ খান (২২)। এদের সবার বাড়ি কানাইনগর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনা রাণী বিশ্বাস জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো রবিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন্দিরে গিয়ে দেখেন ভাঙা প্রতিমা মেঝেতে পড়ে আছে। পরে তিনি প্রতিবেশিদের বিষয়টি জানান।
মন্দির কমিটির সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে মন্দিরে গিয়ে ভাঙা প্রতিমা দেখতে পান তিনি।
দেবাশীষ বিশ্বাস আরও জানান, মন্দিরের সামনে তাদের একটি মাঠ রয়েছে। সম্প্রতি বালু দিয়ে ওই মাঠ তারা ভরাট করেছে। শনিবার বিকালে স্থানীয় ১৫ থেকে ১৬ জন যুবক ওই মাঠে ফুটবল খেলছিল। এসময় তিনি তাদের ওই মাঠে খেলা করতে নিষেধ করে। এতে ওই যুবকরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা এবং এক পর্যায়ে হট্টগোল তৈরি হয়। এসময় ওই যুবকরা তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
দেবাশীষের ধারণা মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে যাদের সঙ্গে তার বাক-বিতণ্ডা হয়েছে, তারাই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করতে পারে।
রবিবার সকালে এ ঘটনার খবর পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল ওই মন্দিরে যান এবং মন্দির কমিটিসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমানে মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পীযুষ মজুমদার জানান, ওই এলাকার হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রয়েছে।
যারা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতের কোন এক সময়ে সর্বজনীন ওই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে তারা মন্দিরে ছুটে গিয়ে কমিটির কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ভাঙচুরের বিষয়টি পুলিশ গভীর ভাবে তদন্ত করছে।
তিনি বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ফুটবল খেলা নিয়ে যাদের সঙ্গে মন্দির কমিটির বাক-বিতণ্ডা হয়েছে তাদের মধ্যে তিন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে সেই যুবক গ্রেপ্তার
নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
২ বছর আগে