শিল্পী
শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। একই সঙ্গে রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিশু জায়েদকে মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নিপুণের পক্ষে আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় এই রিট করেন।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচনের পর দিনই এ বিষয়ে রিট করতাম। কিন্তু নির্বাচনের পরিশ্রম এবং নির্বাচনের রাতে নির্ঘুম থাকার কারণে অসুস্থ হয়েছিলাম। তাই ওই সময় আইনি পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এরপর মেয়ের গ্র্যাজুয়েশনের জন্য দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে হয়। আমি দ্রুত দেশে ফিরে এসে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতেও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করব।’
নিপুণের দাবি এবারের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের রাতে কমিশন থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়েছিল আমি যেন বাসায় চলে যাই। মিশা-ডিপজল প্যানেলের চেয়ে আমি অনেক পিছিয়ে আছি। কমিশন ফলাফল ঘোষণার আগে রাত ১টায় কীভাবে এটা জানলো? সকালে যখন ফলাফল ঘোষণা হলো তখন দেখলাম আমার সঙ্গে ডিপজল ভাইয়ের মাত্র ১৬ ভোটের পার্থক্য। আমাদের ইসি ও পোর্টফোলিও থেকে টোটাল ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সেগুলো আমাকে দেখানো হয়নি। তারপর আমি খবর পেলাম আপিল করে লাভ হবে না। কারণ আপিল বোর্ড ও নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। আমি দেরিতে হলেও বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি সত্যের পথে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য লড়বই।’
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদী নির্বাচনে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল।
সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে সভাপতি পদে ১৭০ ভোট পেয়েছেন মাহমুদ কলি।
মাত্র ১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ আক্তার।
ডিপজল ২২৫ ভোট পেয়েছেন এবং নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ২০৯ ভোট।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘আরসার গোপন আস্তানা’ আবিষ্কার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
৬ মাস আগে
সব মাধ্যমের শিল্পীদের নতুন প্লাটফর্ম ‘আর্টস ক্লাব বাংলাদেশ’
বাংলাদেশে শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করা শিল্পীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘আর্টস ক্লাব বাংলাদেশ’। তাদের শিল্পচর্চা ও আনন্দের জন্য একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে ক্লাবটি।
সদ্য বিদায়ী বছরে ‘আর্টস ক্লাব বাংলাদেশ’র কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। নব নির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শিল্পী ও কবি তোফায়েল আহমেদ পদ্ম এবং সাধারণ সম্পাদক শিল্পী পার্থ প্রতীম কুন্ডু।
আর্টস ক্লাব সম্পর্কে পার্থ বলেন, আর্টস ক্লাব বাংলাদেশ এমন একটি জায়গা হয়ে উঠতে চায় যেখানে তারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে শিল্প চর্চা করবেন, আড্ডা দেবেন, নিজেদের শিল্পকে প্রোমোট করবেন ও আর্টস রিলেটেড বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করবেন।
আর্টস ক্লাব তার সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে আর্টস ক্লাব তার সদস্য পেইন্টারদের ছবি আঁকার জন্য একটি স্টুডিও নির্মাণ করেছে, যেখানে পেইন্টাররা যেকোনো সময় এসে ছবি আঁকতে পারবেন।
এছাড়াও চালু হয়েছে ‘আর্টস ক্লাব ক্রিয়েটিভ স্কুল’। এখানে আর্টস ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের মেধা বিকাশে কাজ করবে।আর্টস ক্লাবের নতুন উদ্যোগগুলো প্রসঙ্গে পার্থ আরও বলেন, ‘সামনে আরও কিছু ওয়ার্কশপ, গ্রুপ এক্সিবিশন, ট্যুর ও ইভেন্টের পরিকল্পনা চলছে। তা ছাড়া আমরা খুব শিগগিরই আর্টস ক্লাব গ্রোসারি চালু করতে যাচ্ছি। সেখান থেকে আর্টস ক্লাবের সদস্যদের খাঁটি ও সতেজ খাবার স্বল্পমূল্যে সরবারহ করা হবে। সামনে আমরা আনন্দ নিয়ে একসঙ্গে আরও অনেক কিছু করতে চাই। বাংলাদেশের সব ধরনের শিল্পমাধ্যমে কাজ করা আর্টিস্টদের জন্য একটি সুখী সমাজ নির্মাণ করতে চাই। যেখানে সুখে দুঃখে সবাই সবার পাশে দাঁড়াবে, শিল্পচর্চা ও শিল্পের বিকাশে সবাই এক হয়ে কাজ করবে।’
নতুন বছরে দেশের সব মাধ্যমের শিল্পীদের সৃষ্টিকে সবার সামনে তুলে ধরতে ও আলোচনা-সমালোচনা ও মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আর্ট ক্লাবের একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হচ্ছে।
আর্টস ক্লাবের সঙ্গে যেকোনোভাবে যুক্ত হতে চাইলে বা সদস্য হতে চাইলে যোগাযোগ করতে হবে এই মেইল অ্যাড্রেসে- [email protected]।
আর্টস ক্লাব বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজ: https://www.facebook.com/artsclubbd
১০ মাস আগে
গণভবনে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন প্রধানমন্ত্রীর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন'-এর শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মানে শুক্রবার গণভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন জানান, নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ইতিহাস জানতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের প্রিমিয়ার শো দেখেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
১ বছর আগে
তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
বাংলাদেশের স্বনামধন্য কয়েকজন শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন'-শীর্ষক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে যৌথভাবে গ্যালারি কসমস ও ঢাকায় অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক অঞ্চলে তুর্কি দূতাবাসে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আটজন বাংলাদেশি শিল্পী এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। সেখানে আটজন শিল্পীর প্রত্যেকের বিভিন্ন মাধ্যমে তৈরি তিনটি অনন্য কাজ প্রদর্শন করা হয়েছে। শিল্পীরা হলেন- আবদুস শাকুর শাহ, কনক চাঁপা চাকমা, মোহাম্মদ ইকবাল, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল মজুমদার, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আজমীর হোসেন ও সৌরভ চৌধুরী।
প্রদর্শনীতে এই শিল্পীদের মোট ২৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনসহ দেশ-বিদেশের শিল্প অনুরাগী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন কসমস ফাউন্ডেশনের পরিচালক দিলশাদ রহমান।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, ‘গ্যালারি কসমস আয়োজিত ‘স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’- শিল্প প্রদর্শনীতে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা আমাদের জন্য আনন্দের। কসমস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ খান এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর মিসেস দিলশাদ রহমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সহযোগিতার প্রস্তাবের জন্য।’
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
১ বছর আগে
শিল্পী শাহাবুদ্দিনের বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে সাজানো ‘এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩’- শীর্ষক বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন তিনি।
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে মাসব্যাপী একক এ শিল্প প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা প্রায় ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে রেট্রোস্পেকটিভের উদ্বোধন করেন এবং চারুকলা প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাসব্যাপী প্রদর্শনীর সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউয়ে শিশু নেফ্রোলজি বিভাগে আইসিইউ উদ্বোধন
তিনি বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখনো তার শিল্পকর্মে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনা প্রতিফলিত হয়, যা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে।’
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘শাহাবুদ্দিন, এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩’- শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপু, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
১ বছর আগে
দুই চ্যানেলে ড. মাহফুজুর রহমানের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান
প্রতি বছরের মতো এ বছর ঈদেও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে দর্শকদের মাঝে হাজির হচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী ড. মাহফুজুর রহমান। এবারে একসঙ্গে দুই চ্যানেলে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান নিয়ে আসছেন তিনি।
এটিএন বাংলার পাশাপাশি সংবাদ ভিত্তিক চ্যানেল এটিএন নিউজেও দেখা যাবে এই শিল্পীকে।
আরও পড়ুন: আনকাট ছাড়পত্র পেল শাকিব খানের 'প্রিয়তমা'
২০১৬ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে তার গাওয়া গান নিয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। এ ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও তার গাওয়া একগুচ্ছ গান নিয়ে এটিএন বাংলায় ঈদের দিন রাত সাড়ে ১০টায় প্রচার হবে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘তুমি আমার অন্তরে’।
এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১১টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। গানের কথা লিখেছেন নাজমা মোহাম্মদ, রাজেশ ঘোষ এবং ড. মাহফুজুর রহমান।
অ্যালবামে রয়েছে- ভেঙ্গে চুরে ছারখার, তোমার হাঁসি ভালোবাসি, মনটা শুধু তোমার, চুপি চুপি কাছে এসে, তোমায় খুঁজে বেড়ায়, ঐ আকাশ নীলে দুই জন এবং রিমিক্স দাইমা-৩ শিরোনামের গান।
আরও পড়ুন: ঈদ-উল-আজহার বাংলা নাটক ২০২৩: যে নাটকগুলো দর্শকনন্দিত হওয়ার অপেক্ষায়
এছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় চারটি গজল।
এগুলো হলো- আকেলা না জানা, কাভিতো তুমকো, মুঝে তুম নাজারসে ও চুপকে চুপকে।
১ বছর আগে
পুরো কমিটি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির যাত্রা শুরু
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন নিয়ে কম জল ঘোলা হলো না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সকল কিছুর অবসান হলো।
বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিপুণ পালন করবেন।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এফডিসির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে শপথবাক্য পাঠ করান সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিপুণের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি শুরুতে জায়েদ খানের প্যানেলের বিজয়ীরা মেনে নিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত সেই অভিমানের অবসান হলো।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
রবিবার এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে মৌসুমী গণমাধ্যমে বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে। আমাদের সবকিছুর অবসান হলো। এত কিছুর পর আমরা আবার এক হয়ে গেলাম।’ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেলাম। আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি একটা দায়িত্ব নিলে সেটা সঠিকভাবে পালন না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না। দীর্ঘ ৯ মাস আমি একটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেই যন্ত্রণা রবিবার লাঘব হলো। সমিতির সকল সদস্যরা এসেছেন। সবাই কথা দিয়েছেন আমরা শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করব।’
সকল দ্বন্দ্ব ভুলে সমিতিতে আসা প্রসঙ্গে ডিপজল গণমাধ্যমে বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কখনোই চাই না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বটি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শুরু থেকেই আমরা বলেছি, আদালত যে রায় দেবেন আমরা মেনে নেব। আদালতের তরফ থেকে জানা গেছে, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রমের সঙ্গে থাকব।’
শিল্পী সমিতিতে রবিবার আরও আসেন একই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত ডিপজল ও রুবেল।
এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত কমিটির রিয়াজ, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, অঞ্জনা, কেয়া, জাদু আজাদ, আরমান, জেসমিন, নাদির খান, শাহনূরসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
বন্যার্তদের পাশে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি
১ বছর আগে
সমরজিৎ রায়ের সৎকার সম্পন্ন
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরীর সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার রাজধানীর সবুজবাগ কালিবাড়ি শশ্মানে তার শেষ যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সমরজিৎ রায় চৌধুরী।
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তার মরদেহ রাখার পর সবুজবাগের কালীবাড়ি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়ের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়, যেখানে একুশে পদক বিজয়ী শিল্পীর শেষ দেখা দেখতে আসেন অনেক বিশিষ্ট শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
অভিনেতা ও নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, গোলাম মোস্তফা, কামাল পাশা চৌধুরীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন।
আরও পড়ুন: ‘বান্ধবী’র সঙ্গে দেখা করতে বরিশালে ভারতীয় নৃত্যশিল্পী, হতাশ হয়ে দেশে ফিরলেন
সমরজিৎ রায়ের ছেলে সুরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘তিনি শুধু একজন শিক্ষকই ছিলেন না, একজন বাবাও ছিলেন। আমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। আমার প্রতিটি সমস্যার সমাধান ছিলেন বাবা। আমার বাবা শেষবারের মতো আমার জন্য দোয়াও করেছিলেন।’
রায়ের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়ার আগে তার প্রায় ছয় দশকের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সহকর্মী, ছাত্র এবং বন্ধুদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ১০টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও চারুকলা অনুষদের ডিন, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অধ্যাপক সমরজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান।
ঢাবি উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অধ্যাপক সমরজিৎ রায়ের মৃত্যুতে জাতি একজন বরেণ্য শিল্পীকে হারালো। তিনি ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বিখ্যাত শিল্পী।’
আরও পড়ুন: চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী মারা গেছেন
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক সমরজিৎ রায় তার পুরো জীবন এই অনুষদেই কাটিয়েছেন বলেই আমরা তাকে অনুষদ থেকে অবসর নেয়ার পর সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে পেতে পেরেছি। তার মৃত্যু আমাদের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। তার মৃত্যুতে শুধু চারুকলা অনুষদ নয়, দেশ একটি অপূরণীয় সম্পদ হারালো।’
সমরজিৎ রায় চৌধুরী ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে গ্রাফিক ডিজাইন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তারপরে একজন অনুষদ সদস্য হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
সাংস্কৃতিকভাবে টেকসই বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছি: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতিকভাবে টেকসই বাংলাদেশ অর্জন করতে তারা কাজ করছে এবং তারা ইউনেস্কো ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতো বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে কাজ করছে।
স্কটিশ পার্লামেন্টে সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী খালিদ বলেন, আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আমাদের কাজের হৃদপিণ্ড।
এডিনবার্গের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্কটিশ পার্লামেন্টে ২৬-২৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলনে ব্রিট্রিশ কাউন্সিল অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘হোল অব সোসাইটি’ অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন ‘আমরা বিশ্বাস করি একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অগ্রসর ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এই চেষ্টায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’
এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য সাংস্কৃতিক নীতি এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি অনন্য এবং বৈশ্বিক সুযোগ দেয়া।
আয়োজনটিতে আমাদের সময়ের সংস্কৃতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রধান উদ্বেগের ধারণা উঠে আসে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, স্কটিশ পার্লামেন্ট এবং স্কটিশ ও যুক্তরাজ্য সরকারসহ ইভেন্টটির আয়োজকরা সারা বিশ্ব থেকে আসা শিল্পী, মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই ৬ষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলনে স্বাগত জানিয়েছে।
সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক বিনিময় বিভাগ) কাজী নুরুল ইসলাম ও ব্রিট্রিশ কাউন্সিলের হেড অব আর্টস নাহিন ইদ্রিসসহ একটি প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন খালিদ।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সংস্কৃতির অবস্থান এবং অনুশীলনের উদাহরণগুলি ভাগ করে নেন।
এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্যার জোনাথন মিলস বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্টে এডিনবার্গের বিশ্ব-বিখ্যাত উৎসবের সময় একটি ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক সম্মেলনে ফিরতে পেরে আমরা পুলকিত। কারণ তারা তাদের ৭৫তম বছর উদযাপন করছে।
মিলস বলেন, সম্মেলনের অংশীদাররা –দ্যা ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, স্কটিশ পার্লামেন্ট এবং স্কটিশ ও যুক্তরাজ্য সরকার এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও জীবন ও সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য সংস্কৃতির শক্তির পক্ষে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য আবার একত্রিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে: কে এম খালিদ
২ বছর আগে
‘হাওয়া’ ও ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ
একদিকে বাংলা সিনেমায় যেমন সুদিন চলছে,অন্যদিকে সিনেমাকে মামলার বেড়াজালে আটকে দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ‘হাওয়া’ সিনেমাটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মোস্তফার সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সস বোর্ডে আটকে আছে গত তিন বছর।
সিনেমার এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছছেন অনেক তারকা। এমনকি অভিনয় শিল্পী ‘হোক প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি লিখিত প্রতিবাদ করেছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চিলচ্চিত্রের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের ‘গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’- শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা ও শিল্পী কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা উপস্থাপনা করেন পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
এই সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন- মোরশেদুল ইসলাম, মেজবাউর রহমান সুমন, কামার আহমেদ সাইমন, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, নুরুল আলম আতিক, তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, শম্পা রেজা, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, আফরান নিশো, ইরেশ যাকের, আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অনেকে।
চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্র বিকাশের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক একটা পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। এমন সময় ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলো। ‘শনিবার বিকেলে’ মুক্তি পাচ্ছে না দুই বছর ধরে। তরুণরা নতুন সহস্রাব্দের চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।”
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
সংবাদ সম্মেলনে জয়া আহসান বলেন, “প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমার নিজের একটা খাঁটি আবেগ আছে। সেই জায়গা থেকে প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমি আরও বেশি কথা বলবো। তাই বলে কি চলচ্চিত্র বন্ধ করতে হবে! বন উজাড় হচ্ছে, দিনের পর দিন পশুপাখির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে এগুলোর বেলায় বনবিভাগ বা প্রশাসন কোথায়! চলচ্চিত্রের বেলায় প্রশাসনের এই চাপ কেনো? চলচ্চিত্রের উপর অদৃশ্য চাপ বন্ধ করতে হবে। সব চরিত্র যদি নিয়ম মেনে চলতে থাকে তাহলে তো কোনো ফিকশনই তৈরি হবে না। আমরা কি তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব না।”
দাবি আদায়ে প্রাথমিক কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বরে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. ‘শনিবার বিকেলে’ চলচ্চিত্র কেন সেন্সর ছাড়পত্র পেল না তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
৩. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে ও প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালার ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. চলচ্চিত্র বা কনটেন্টবিষয়ক কোনো মামলা দায়ের করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (যেমন- খসড়া ওটিটি নীতিমালায় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলাদা কমিশন বোর্ড তৈরির প্রস্তাব আছে এ জাতীয় কোনো কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
২ বছর আগে