ভুটান
বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘নেপাল মাত্র ৪০ মাইল দূরে হওয়ায় বাংলাদেশ সহজেই জলবিদ্যুৎ আনতে পারে। নেপালের জলবিদ্যুৎও সস্তা হবে,’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির কথা ভাবতে হবে।
বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বেশিরভাগই অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, তার দেশের ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো বড় দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
আজারবাইজানের রাজধানীতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা প্রতিরোধ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানির সর্বোত্তম ব্যবহারে বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পানি আমাদের প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। আমাদের পানি ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হবে যাতে তা প্রকৃতিকে সহায়ক হয় ‘
সামাজিক ব্যবসা সভায় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ওপরও জোর দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার আগামী জানুয়ারিতে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে। এই আয়োজনে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
১ সপ্তাহ আগে
ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে রবিবার প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ২০২৪ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।
ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন দর্শনীয় হ্যাটট্রিক করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান এবং এবারের আসরে তাদের অপরাজিত রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখেন।
এর আগে ২০২২ সালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের মৌসুমে আরও একবার বাংলার মেয়েরা তাদের আধিপত্য প্রমাণ করল।
আজ একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত ও স্বাগতিক নেপাল। এই দুই দলের মধ্যে জয়ী হবে যে দল, তাদের সঙ্গে আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সাফের সেমিফাইনালে এবারও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান
আজকের ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। তহুরা খাতুন শুরুতেই গোলের খাতা খোলেন এবং তিনবার জালে বল আটকান। প্রথমার্ধে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের দুটি এবং রিতুপর্ণা চাকমা ও মাসুরা পারভীনের একটি করে গোল বাংলাদেশকে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়।
সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিপুণ শটে বাংলাদেশের হয়ে গোলের খাতা খোলেন রিতুপর্ণা চাকমা। এর ঠিক আট মিনিট পর দূরপাল্লার জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তহুরা (২-০)। ২৬ মিনিটে মনিকা চাকমার পাসে আলতো টোকা দিয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
৩৫ মিনিটে ভুটানের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের প্রান্ত থেকে শট নেন তহুরা (৪-০)। দুই মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সাবিনা, ভুটানের গোলরক্ষককে কাটিয়ে অনায়াসে বল জালে জড়ান (৫-০)। দ্বিতীয়ার্ধে ৪২ মিনিটে ফরোয়ার্ড ডাকি লাজোম ভুটানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন।
৫৮ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তহুরা, দক্ষতার সঙ্গে বক্সের ভেতর থেকে শট নিয়ে স্কোরলাইন ৬-১ করেন। এই পারফরম্যান্সের সঙ্গে, তহুরা পাঁচটি গোল করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। ট্রফি উৎসর্গ করে সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে। তোহুরা বলেন, 'এই জয় ও হ্যাটট্রিক দুটোই তার।’
৭২ মিনিটে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন কর্নার কিক থেকে দারুণ প্লেসিং হেডে গোল করে দলকে ৭-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
গ্রুপ পর্বে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় লাভ করে বাংলাদেশ। এছাড়া শামসুন্নাহার জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের সমতাসূচক গোলে পাকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে দল।
গ্রুপ পর্বে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে ১৩-০ গোলের জয় ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে ভুটানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতকে উড়িয়ে সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
৪ সপ্তাহ আগে
ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
অনন্য সংস্কৃতি এবং রাফটিং ও হাইকিংয়ের মতো রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে খুব বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেই এমন ভ্রমণের সুযোগ মিলবে যথেষ্ট সাশ্রয়ী খরচে। স্বতন্ত্র স্থাপত্য শিল্পকর্মের সাক্ষী হতে পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিশ্বপরিব্রাজকরা ভীড় করেন এই দেশগুলোতে। বিশেষ করে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে বাজেট ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পছন্দের দেশ ভুটান। সার্কভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য এই বৌদ্ধ রাজ্য ভ্রমণ বেশ সুবিধাজনক। চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক নৈসর্গের মাঝে তাদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর দর্শন এক অভূতপূর্ব অনুভূতির সঞ্চার করে। চলুন, দেশটির সেরা পর্যটন স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি জেনে নেওয়া যাক।
ভুটানের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
থিম্পু
রাজধানী শহর থিম্পুতে হাঁটা দূরত্বেই দেখা যাবে থিম্পু নদী, মেমোরিয়াল চর্টেন, সিটি ভিউ পয়েন্ট, ক্লক টাওয়ার, থিম্পু জং, পার্লামেন্ট হাউস, লাইব্রেরি ও থিম্পু ডিজং। শহর থেকে একটু দূরেই রয়েছে বুদ্ধ দর্দেন্মা স্ট্যাচু, থিম্পু ন্যাশনাল মেমোরিয়াল চর্টেন ও চিড়িয়াখানা, যেখানে সংরক্ষিত আছে ভুটানের জাতীয় পশু তাকিন।
পুনাখা
এখানে কম সময়ে অনেকগুলো পর্যটন এলাকা ঘোরার উপায় হচ্ছে সর্বপ্রথম দোচুলা পাস যাওয়া। অবশ্য পুরো দোচুলা পাস ঘুরতে প্রায় সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। তবে ফেরার পথে একে একে পড়বে পুনাখা জং, আর্ট স্কুল, ন্যাশনাল লাইব্রেরি ও ফোক হেরিটেজ যাদুঘর।
ভুটানের যে স্থানটি রাফটিংয়ের জন্য জগদ্বিখ্যাত, সেটি হচ্ছে এই পুনাখা। রাফটিংয়ের জন্য এই শহরে একটা দিন থাকা উচিত।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
লাখাং মন্দির, তালো মনস্ট্রি ও পেলিরি মন্দির ঘুরে চলে যাওয়া যেতে পারে ফু ছু নদীতে। এখানে রাফটিংয়ের সময় চোখে পড়বে সাস্পেন্শন ব্রিজ। এছাড়া পুনাখার নান্দনিক ঐশ্বর্যের পরশ পেতে ঘুরে আসা যেতে পারে টর্সা ন্যাচারাল রিজার্ভার ও ন্যাশনাল পার্ক।
পারো
ভুটানের সর্বোচ্চ রাস্তা চেলে লা পাস অবস্থিত এই শহরে। মেঘমুক্ত দিনে এই রাস্তা থেকে চোখে পড়ে দূরের জলমহরি পর্বত। পারোর জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে টাইগারস নেস্ট, রিনপুং জং, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, পারো মনস্ট্রি, পারো চু ও কিচু মনস্ট্রি। শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান তাং সাং। হিমালয়ের এই দর্শনীয় জায়গাটি দেখার জন্য পারোতে ন্যূনতম একটি দিন অবশ্যই থাকতে হবে।
ভুটান ভ্রমণের সেরা সময়
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাস ভুটান ভ্রমণের সর্বোত্তম সময়। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের সময়টা পারোতে ভুটানিদের নানান ধরনের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরিষ্কার আকাশসহ এ সময়ের অনুকূল আবহাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি রাফটিং ও হাকিংয়ের জন্যও উপযোগী। এছাড়া মার্চ থেকে মে মাসে পুনাখাতে পর্যটকদের বেশি ভীড় থাকে।
আরো পড়ুন: ভিয়েতনাম ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
২ মাস আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ভুটানের রাজার সফর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সাক্ষ্য: যৌথ বিবৃতি
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর এবং একটি গাছের চারা রোপণ করবেন।
ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুকও রাজার সঙ্গে থাকবেন।
ভুটানের রাজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সফর করছেন।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বড় সাক্ষ্য।
এতে বলা হয়, রাজা ও রানীর বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও সুসম্পর্কের ঐতিহাসিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
রাজা ও রানী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাষ্ট্রপতি রাজার সম্মানে মঙ্গলবার একটি ভোজের আয়োজন করবেন।
সোমবার রাজা ও রানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সফরকালে থিম্পুতে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনে সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্য সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওএমএস) স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য, বাংলাদেশের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ভুটানের প্রতিযোগিতা ও ভোক্তাবিষয়ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতামূলক চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভুটানের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ভর্তির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সহযোগিতার বিদ্যমান গতি আরও সুসংহত করার জন্য, ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক এমবিবিএস আসন সংখ্যা ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
আনুষ্ঠানিক বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, যা অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য এবং সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে একটি বিশেষ বিষয়।
রাজা জিগমে তাকে এবং তার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আন্তরিক অভ্যর্থনা ও উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য গভীর প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভুটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক এবং সেদেশের জনগণের অমূল্য সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের কথা স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ ও ভুটান ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট চলাচল চুক্তি এবং এর প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এ নিয়ে দুই পক্ষই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি এবং এর প্রটোকল কেবল দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্যই অভূতপূর্ব হবে না বরং আন্তঃসংযুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার পথ প্রশস্ত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করবে।
আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ অর্থনৈতিক সংহতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বলে উভয় পক্ষই সম্মতি প্রকাশ করেছে।
সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক সংহতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করছে দুটি দেশই।
উন্মোচিত হলো নতুন এক দিগন্ত
ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিলেফু থেকে ১৯০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের 'কুড়িগ্রামে' 'বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল' আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়ায় ভুটান বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানায়।
এই অর্থনৈতিক অঞ্চল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জনে নতুন দিগন্ত যোগ করবে।
দুই পক্ষই ভুটান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি খাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
এই অঞ্চলের অভিন্ন শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উভয় পক্ষই বৈঠকে জানিয়েছে।
রাজা ২৬ মার্চ ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আরেকটি মাইলফলক হবে।
আরও পড়ুন: ভুটানের রাজাকে ঢাকায় লাল গালিচা সংবর্ধনা
কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক যোগাযোগ থাকায় উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তারা ভুটানের হিমালয়কে বাংলাদেশের কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে যুক্ত করে বাংলাদেশ ও ভুটানের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সফরে রাজা জিগমে পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন, যা সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশ সরকারের স্ব-অর্থায়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে নির্মিত একটি স্মরণীয় অবকাঠামোগত সাফল্য।
অসাধারণ এই অবকাঠামো প্রকল্পটি যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদারে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের সাক্ষ্য বহন করে।
রাজা জিগমে আড়াইহাজারের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন এবং সেখানকার অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা প্রত্যক্ষ করবেন।
ঢাকায় অবস্থানকালে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় করবেন রাজা।
ভুটানের রাজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ভুটান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: হাছান মাহমুদ
৭ মাস আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে ভারত: হাছান মাহমুদ
নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে, সেভাবে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতেও সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ বৈঠক হয়।
বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় এবং ভারতের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ আনতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে এই সফরে চুক্তি হচ্ছে না। ভারত যেভাবে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা করেছে, ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটানের রাজার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভুটানকে আবার বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ইনিশিয়েটিভ) -এ যোগদানের জন্য এবং এয়ার-কানেক্টিভিটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-থিম্পু পথে এখন সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট আছে। এটি বাড়ানো প্রয়োজন, কারণ ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ। আমি কয়েকবার গেছি, বর্তমান রাজার বিয়ে উৎসবেও যোগ দিয়েছি। গত বছর তিনি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার সময় যাত্রাবিরতিতে আমি তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলাম।’
মানুষ যাতে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ভুটানকে জায়গা দেওয়া হবে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ দিন ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি পুনর্নবায়নের কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই
২৫-২৮ মার্চ সফরে সোমবার ঢাকায় আসেন ভুটানের রাজা। এ দিন ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি পদ্মা সেতু, শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
শেষদিন ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। ভুটানের রানী, পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তারা রাজার সফরসঙ্গী হিসেবে সফরে যোগ দিয়েছেন।
৭ মাস আগে
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। আর এ বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে। তাই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, সেখানে ভুটানের ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুভেচ্ছা স্বরুপ বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ করবে, যা দেশের সক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সফর সম্পর্কেও জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার ই ধারাবাহিকতায় চার দিনের সফরে ভুটানের রাজার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভুটানের রানী সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভুটানের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে বাদশাহকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে রাজার।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের রাজা। তারা দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করবেন রাজা।
তিনি বঙ্গভবনে যাবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা।
রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার সকালে রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে বলেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বিরাজের পাশাপাশি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি ভুটানকে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
ভুটানের ‘কুইন মাদার’র ঢাকায় যাত্রাবিরতি
ভুটানের ‘কুইন মাদার’ দরজি ওয়ানমগমো ওয়াংচুকান্দ এবং তার রাজকীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় যাত্রাবিরতি করেছেন।
ট্রানজিটের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দরজি ওয়ানমগমো ওয়াংচুকান্দ এবং ভুটানের রাজকীয় প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং এমপি নাহিদ এজাহের খান।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
১১ মাস আগে
ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু
হিমালয়ের লীলাভূমি ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুটান ও বাংলাদেশ নিজ নিজ রাজধানীতে দু’দেশের পরস্পরের দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ একর জমি প্রদান করে। উক্ত জমিতে দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, ভুটান সরকার প্রদত্ত জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দেশটির ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: থিম্পুতে স্থাপিত হবে বিশেষ বার্ন ইউনিট
১১ মাস আগে
তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে
তিন দিনব্যাপী ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা রবিবার শেষ হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাস বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এর উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে ভুটানের মিশন প্রধান, বিজনেস চেয়ারপার্সন, শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী প্রথম ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা
ভুটানের প্রায় ২৫টি কোম্পানি এই মেলায় অংশ নিয়েছে। এমনকি মেলায় তারা ভুটানে তৈরি এবং ভুটানে উৎপাদিত প্রিমিয়াম মানের পণ্য প্রদর্শন করে।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ভুটানেরও আসার সুযোগ আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমি ভুটানকে অনুরোধ করব, বাংলাদেশে আসুন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করুন।
আরও পড়ুন: প্রান্তিক তরুণদের ক্ষমতায়নে ‘তরুণ উদ্যোক্তা মেলা’
কুড়িগ্রামে গঙ্গাপূজা ও দশহরা মেলা অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে