সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বরিশালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় যুবদল নেতা ইরমান আলী শোভনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
ইরমান রুপাতলি নতুন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড যুবদলের পদপ্রত্যাশী।
আরও পড়ুন: গাংনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করা তরুণী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে বন্ধুর সঙ্গে রুপাতলিতে ঘুরতে গেলে শোভনসহ ৩-৪ জন আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। এছাড়া আমার বন্ধুকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। টাকা না পাওয়ায় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করে।’
এরপর বুধবার সকালে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে ওই যুবক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে বলে জানান তিনি। সেসময় শোভনকে আটক করে থানায় নিয়ে এলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। এরপর ওই মামলায় শোভনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
২ দিন আগে
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই রায় দেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় ১৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন এবং এক আসামি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, রুহুল আমিন মেম্বার, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল।
আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে মারধর ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেয়। তবে কোনো সাক্ষীই ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার ও আইনজীবী জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে সাবেক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ১
চাকুরির সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ বছরের এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় এই ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা করে তার পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আকাশ, ওমর ফারুক, মো. সোলেমান, মো. রাজু, মো. নাজমুন, মো. জোবাইদ ও মো. আসিফ।
তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মো. আকাশ গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা এখনও পলাতক। তারা সবাই উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর নানী। পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তিনি চাকরির সন্ধানে বৃহস্পতিবার পেকুয়া থেকে কর্ণফুলী আসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পেকুয়া থেকে বিকালে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলে সেখানে মাহিন্দ্রাচালক মো. শওকতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে সময় এই এলাকার গার্মেন্টে চাকরি করবে জানিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী তাকে কর্ণফুলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসা খুঁজে দিতে বলেন। পরে মাহিন্দ্রাচালক বাসা খোঁজার জন্য তার পরিচিত দুইজন নারীসহ শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাদের মারধর করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পেছনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
১০ মাস আগে
বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটের রামপালে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামপাল উপজেলার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- রাসেল শেখ (২৬) ও রাকিব হোসেন সজল (২৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বের হয়।
রনসেন মোড়ে দুই যুবক রহমত ও রাসেল মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রামপাল থানার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে একটি টং ঘরে নিয়ে যায়।
টং ঘরে আগে থেকে অবস্থান করা সজলসহ তারা তাকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর তাকে গাড়িতে করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ওই ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ যুবককে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, অপরজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার রামু উপজেলা রাবার বাগান এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হারবদল কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনাপাড়া এলাকার নূর আহম্মদের পুত্র। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু ছালাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেন।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক নৃত্যশিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যান। অপরজন ঢাকায় চলে যান। রামুতে নেমে যাওয়া নৃত্যশিল্পীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযুক্তকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জুয়া চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাকারী ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিয়াদ (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই দুই কিশোরীর মধ্যে একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেয়।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। অপরজন ঢাকায় চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।একজন চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
মাগুরার মহম্মদপুরে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঈদগার পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চারজরনের মধ্যে বাকি তিনজন পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্তেরা হলো- উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামের আকবরের ছেলে আসকার (২৫) এবং ওই গ্রামের শামস শেখের ছেলে খাইরুল শেখ (৩৫), জাহিদ মোল্লার ছেলে আলআমিন (৩২) এবং অজ্ঞাত একজন।
ভুক্তভোগী জানায়, দীর্ঘদিন নানা-রকম প্রলোভন দেখিয়ে আশরাফুল নাম নিয়ে এলাকার একটি যুবক তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। রবিবার রাতে আশরাফুল ওরফে আশরাফের খালাতো ভাই পরিচয়ে খাইরুল নাম করে একজন ওই কিশোরীকে ভ্যানে করে পলাশবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ঈদগার কাছে নিয়ে যায়। এরপরে আসকার, খাইরুল শেখ, আলআমিনসহ আরও একজন তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় মহম্মদপুর থানা পুলিশ।
ওসি জানান, এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে নারী ইন্সুরেন্স কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক নারী ইন্সুরেন্স কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ মে) রাতে উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গুনদ্বীপ পাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলা বারশত ইউনিয়নের মোহাম্মদ নঈম (২০), ফরহাদ আলী (২১), মোহাম্মদ রাজু (২৫) ও মো. আরিফ (২৫) সহ অজ্ঞাত আরও দুই জনকে অভিযুক্ত করে আনোয়ারা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত ২৪ মে (বুধবার) নিজ বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে রওনা দিয়ে রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আনোয়ারা উপজেলার বারশত এলাকায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গাঁজা চাষের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
এসময় মাজারে যাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠলে সিএনজি চালক ফোন করে অভিযুক্তদের ডেকে এনে তাকে গুনদ্বীপ পাড়া হাজী আমির আলী বাড়ির জামে মসজিদের পূর্ব পাশের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে সকালে অজ্ঞাত এক জায়গায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে থানায় অভিযোগ করেন।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও বলেন, এই ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
১ বছর আগে
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেওয়া হয়েছে একজনকে।
বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- সাব্বির আহমেদ, রেজাউল ওরফে রাব্বি, নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম ও রেজাউল করিম। খালাস দেওয়া হয়েছে নাছির নামে একজনকে। একই সঙ্গে সবাইকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করে তা আদায় করে ভূক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১২ সালের ১৯ অক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে পাশের সিংড়া উপজেলার কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায় সাব্বির আহমেদ। সারাদিন ঘোরার পর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মির্জাপুর ঈদগাহ মাঠে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় তাকে।
নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
সিলেটে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
চাকরির কথা বলে খুলনায় নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ইটভাটায় রান্নার চাকরি দেয়ার কথা বলে খুলনা শহরে এনে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী থেকে খুলনার শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিয়ে আসে তারই গ্রামের ডালিম নামের প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
সোমবার ভোরে জিরো পয়েন্টের ফাতেমাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে চারজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
বিকালে ওই বাড়ি থেকে তিনি পালিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং ওসিসির ফোকাল পার্সন ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ভুক্তভোগীকে কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আকবর হোসেন জানান, ইটভাটায় রান্নার চাকরির কথা বলে রবিবার দুপুরে ওই নারীকে খুলনায় নিয়ে আসে ডালিমের লোক।
রাতে খুলনায় পৌঁছে ফাতেমাবাগ এলাকার এক বাড়িতে তাকে রাখা হয়। ভোররাতে ডালিমসহ চারজন তাকে ধর্ষণ করে।
সকালে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ডা. অঞ্জন চক্রবর্তী জানান, হাসপাতালেও ওই নারী একই তথ্য দিয়েছেন। নগরীর জিরো পয়েন্ট ও ফাতেমাবাগ এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচরা থানার আওতাধীন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, এখনও ধর্ষণের কোনো সংবাদ পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৩
সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
১ বছর আগে