সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
কেরাণীগঞ্জে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
তিন বছর আগে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন— কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া গ্রামের মো. সজিব, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের মো. রাকিব এবং শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ওরফে ভ্যালকা শাওন।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার
এছাড়াও লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম বলেন, ‘আসামিদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, আলী আকবর (২২) এবং মো. রিয়াজ (২২) নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ এবং শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল।
ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পায়, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পরে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ মামলা দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে।
প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ভুক্তভোগীর বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানায়, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার লাশ। পরে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে।
দোষ স্বীকার করে আদালতে শাওন জবানবন্দি দেয়। শাওন জানায়, তিনিসহ মো. রাকিব, মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভুক্তভোগী মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখে।
আরও পড়ুন: আইন সংশোধনসহ শিশু ধর্ষণের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে সরকার
পরে রাকিব এবং সজিব গ্রেপ্তার হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৩ দিন আগে
কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কুমিল্লার চান্দিনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. বিল্লালের ছেলে মো. সোয়েব ও একই ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে প্রভাত চন্দ্র সরকার এর ছেলে রতন চন্দ্র সরকার।
ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা। সে কচুয়া উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ১৯ মার্চ বিকালে চান্দিনা ও কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কৈলাইন বাজারে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়- বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার পর অটোরিকশায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে ৫ থেকে ৬ জন যুবক আমার অটোরিকশাটি থামিয়ে অটোরিকশাচালক ও আমাকে চর থাপ্পর দিয়ে টেনে হেঁচরে জমির মাঝে একটি সেলু মেশিনের ঘরে নিয়ে যায়। অটোরিশাচালককের হাত-পা বেঁধে পাঁচ যুবক তাকে ধর্ষণ করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। পরদিন ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
২৬ দিন আগে
রাজধানীতে নারী সাংবাদিককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর পল্লবী এলাকায় এক নারী সাংবাদিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে আজ (মঙ্গলবার) রাতে জানিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ইউএনবিকে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী দাবি করা ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর আজ সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে এনামুল হক (৩৮) ও মহিদুর রহমান (৫০) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজনসহ আটজনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও আটজনসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিসি তালেবুর।
২৯ দিন আগে
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার
বহুল আলোচিত সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বদলি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার কামারুন মাহমুদ দীপা।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর চেয়ে রিট করেছিলেন ভিকটিমের স্বামী। প্রায় দুই বছর পরে সোমবার মামলার শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিজেদের আপিল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল। এখন এ বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে ত্বরান্বিত হবে এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আশা করি। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে ছিল। তারপর এটি আর এগোয়নি বলে জানান আইনজীবী।
এ ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০২২ সালের ১১ মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলায় এবং চাঁদাবাজির মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য প্রজ্ঞাপন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।
৩০ দিন আগে
বরিশালে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় যুবদল নেতা ইরমান আলী শোভনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
ইরমান রুপাতলি নতুন আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বর্তমানে ওয়ার্ড যুবদলের পদপ্রত্যাশী।
আরও পড়ুন: গাংনীতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করা তরুণী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে বন্ধুর সঙ্গে রুপাতলিতে ঘুরতে গেলে শোভনসহ ৩-৪ জন আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। এছাড়া আমার বন্ধুকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। টাকা না পাওয়ায় তারা তাকে বেধড়ক মারধর করে।’
এরপর বুধবার সকালে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে ওই যুবক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে বলে জানান তিনি। সেসময় শোভনকে আটক করে থানায় নিয়ে এলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। এরপর ওই মামলায় শোভনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আরও পড়ুন: মায়া চৌধুরীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
১৪৭ দিন আগে
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে অর্থদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই রায় দেন নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় ১৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন এবং এক আসামি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুবর্ণচরের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, মো. চৌধুরী, ইব্রাহীম খলিল বেচু, মো. বাদশা আলম বসু, রুহুল আমিন মেম্বার, আবুল হোসেন আবু, মোশারফ, মো. সালাউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. মুরাদ, মো. জামাল ওরফে হেঞ্জু মাঝি ও মো. সোহেল।
আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে মারধর ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ৩১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেয়। তবে কোনো সাক্ষীই ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ায় জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেননি।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার ও আইনজীবী জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে সাবেক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের পর হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
৪৩৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে ভাড়া বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ১
চাকুরির সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ বছরের এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় এই ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা করে তার পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আকাশ, ওমর ফারুক, মো. সোলেমান, মো. রাজু, মো. নাজমুন, মো. জোবাইদ ও মো. আসিফ।
তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মো. আকাশ গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা এখনও পলাতক। তারা সবাই উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর নানী। পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তিনি চাকরির সন্ধানে বৃহস্পতিবার পেকুয়া থেকে কর্ণফুলী আসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পেকুয়া থেকে বিকালে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলে সেখানে মাহিন্দ্রাচালক মো. শওকতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে সময় এই এলাকার গার্মেন্টে চাকরি করবে জানিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী তাকে কর্ণফুলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসা খুঁজে দিতে বলেন। পরে মাহিন্দ্রাচালক বাসা খোঁজার জন্য তার পরিচিত দুইজন নারীসহ শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাদের মারধর করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পেছনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
৪৫৩ দিন আগে
বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
বাগেরহাটের রামপালে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রামপাল উপজেলার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- রাসেল শেখ (২৬) ও রাকিব হোসেন সজল (২৫)।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ভুক্তভোগী শুক্রবার বিকালে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশে বের হয়।
রনসেন মোড়ে দুই যুবক রহমত ও রাসেল মোটরসাইকেলে উঠিয়ে রামপাল থানার বড় দুর্গাপুর পুঁটিমারি গ্রামে একটি টং ঘরে নিয়ে যায়।
টং ঘরে আগে থেকে অবস্থান করা সজলসহ তারা তাকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর তাকে গাড়িতে করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে ওই ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওসি বলেন, স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ যুবককে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, অপরজনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা : ওসি মিজানের ১০ বছর কারাদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫৬৫ দিন আগে
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম ওরফে হারবদলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার রামু উপজেলা রাবার বাগান এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হারবদল কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনাপাড়া এলাকার নূর আহম্মদের পুত্র। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবু ছালাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
তিনি জানান, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেন।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক নৃত্যশিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যান। অপরজন ঢাকায় চলে যান। রামুতে নেমে যাওয়া নৃত্যশিল্পীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযুক্তকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জুয়া চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাকারী ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
৫৮৭ দিন আগে
ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিয়াদ (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই দুই কিশোরীর মধ্যে একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেয়।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। অপরজন ঢাকায় চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।একজন চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
৫৮৯ দিন আগে