চাকুরির সন্ধানে চট্টগ্রামে এসে বাসা খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ বছরের এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় এই ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা করে তার পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আকাশ, ওমর ফারুক, মো. সোলেমান, মো. রাজু, মো. নাজমুন, মো. জোবাইদ ও মো. আসিফ।
তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মো. আকাশ গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা এখনও পলাতক। তারা সবাই উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর নানী। পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। তিনি চাকরির সন্ধানে বৃহস্পতিবার পেকুয়া থেকে কর্ণফুলী আসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী পেকুয়া থেকে বিকালে কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক এলে সেখানে মাহিন্দ্রাচালক মো. শওকতের সঙ্গে পরিচয় হয়। সে সময় এই এলাকার গার্মেন্টে চাকরি করবে জানিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী তাকে কর্ণফুলী এলাকায় একটি ভাড়া বাসা খুঁজে দিতে বলেন। পরে মাহিন্দ্রাচালক বাসা খোঁজার জন্য তার পরিচিত দুইজন নারীসহ শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা তাদের মারধর করে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পেছনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড