পর্যটন শিল্প
পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, কোনো সমবায় সমিতি পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে তাদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, সমবায় সমিতিগুলো বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে যেমন সমিতিগুলোর আয় বাড়বে অপরদিকে তারা দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্যা মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বিমানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের প্রচলিত সব আইনকে যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সমবায় সম্পর্কিত আইন ও বিধি রিভিউ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা একটি ভালো উদ্যোগ।
তিনি আরও বলেন, আশা করি এ আইন রিভিউ হওয়ার পর তা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমবায় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আরও বাড়বে।
ফারুক খান বলেন, সমবায় সমিতি ভালোভাবে চলার জন্য এর প্রত্যেক সদস্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সমিতিগুলোকে সফল করতে হলে এর সদস্য ও তাদের সন্তানদের মধ্যে থেকে উচ্চ শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সফলতা দেখে অন্যরাও সমবায় সম্পর্কে আগ্রহী হবেন। এই সমিতি শুধু এর সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থাই করছে না, পাশাপাশি এর সদস্যদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতাল স্থাপন ও আয় বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করেছেন। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।
দ্যা মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি অগাস্টিন পিউরিফিকেশনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ ও এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান ও অনিমা মুক্তি গোমেজ।
আরও পড়ুন: উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
৮ মাস আগে
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বিনিয়োগের সবচেয়ে উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই আমাদের বিদ্যমান পর্যটন অকাঠামো উন্নয়ন এবং নতুন পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণে জাপানি বিনিয়োগ একটি লাভজনক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠককালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
ফারুক খান আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্ব বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার। জাপান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। এভিয়েশন খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে জাপান আনন্দিত। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা চমৎকার।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি দ্রুতই তৃতীয় টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ অপারেশন শুরু করা যাবে। পাশাপাশি বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট ইতোমধ্যে জাপানের যাত্রীদের মধ্যে ইনফ্লাইট সেবা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটনে জাপানি বিনিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে জাপান তা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, এভিয়েশনের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে দুই দেশ একত্রে কাজ করার ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করাই লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রমজানে ইফতার পার্টি না করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
কাজের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে ১২ তম ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অস্থিরতায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পর্যটন খাত
তিনি আরও বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি আমরা অতিথিপরায়ন জাতি। এটি শুধু বললেই হবে না, সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সেবার মান ও সেবার ধরন বাড়াতে হবে। শুধু কথা নয়, কাজ ও সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প বিভিন্ন দেশের জিডিপি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে এবং উন্নয়নেও যাতে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। বর্তমান পৃথিবী প্রচারের পৃথিবী। সারা বিশ্বের পর্যটকদের জানাতে হবে আমাদের কী কী সুবিধা আছে, কীভাবে তারা আমাদের এখানে আসবেন, কী কী দেখবেন। আমাদের এখানে নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই। পর্যটক বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কৌশলের মাধ্যমে আমাদের প্রচার বাড়াতে হবে।
ফারুক খান বলেন, বিদেশে বিভিন্ন পর্যটনমেলায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেখানে ভালো জায়গায় স্টল নিতে হবে, সৃজনশীল কর্মতৎপরতা ও প্রচারের মাধ্যমে দেশকে উপস্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন মেলায় আমাদের বেসরকারি খাতের অপারেটররা যাতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে পর্যটন শিল্পে সরকারের কাজ পলিসি তৈরি করা আর পর্যটনের প্রসারে কাজ করে বেসরকারি খাত। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পলিসি পর্যটনবান্ধব। আমরা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করব। অন-অ্যারাইভাল ভিসা সহ তাদের আর কী কী সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তা স্টেকহোল্ডার সভার মাধ্যমে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শিবলুল আজম কোরাইশির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. মাহবুব আলম, বেসামরিক বিমান পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাস্ট্রদূত নগুয়েন মান চোং, নেপালের রাস্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি প্রমুখ।
উল্লেখ্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ৩ দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নিয়েছে। মেলায় তিনটি স্টলে ১২টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল থাকছে। সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে থাকছে বি টু বি সেশন, সেমিনার ও রাউন্ড টেবিল ডিসকাশন। এছাড়াও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
৯ মাস আগে
পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে একত্রে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: বিমানে দুর্নীতি আছে কি না আগে দেখতে হবে: ফারুক খান
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে ফিলিপাইনে রাষ্ট্রদূত বলেন, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও অনন্য সুন্দর প্রকৃতি নিয়ে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন গন্তব্য। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় ঢাকা-ম্যানিলা সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার বিষয়েও রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস চুক্তিটি অনেক আগের হওয়ায় তা দ্রুত পরিবর্তন করে নতুন করে সই করার বিষয়ে তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন এবং ঢাকা-ম্যানিলা সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে যাত্রী ও কার্গোর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্যও তিনি নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মান চোং মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেসময় তারা দুই দেশের পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হতে হবে: ফারুক খান
৯ মাস আগে
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: 'হাওর ভিত্তিক পর্যটন' উন্নয়নে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে কাঙ্ক্ষিত মানে বিকশিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নতুন যুগে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী জাপান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিমন্ত্রীর কথার জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, আগামী অক্টোবরে জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে জেনে জাপান আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে চালু হতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।
এছাড়াও, সাক্ষাৎকালে জাপানের রাস্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এভিয়েশন সেক্টরে চলমান উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও জাপান সহযোগিতা করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারকে আকাশপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
১৫ বছরে এভিয়েশন খাতে প্রবৃদ্ধি হবে তিনগুণ: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ বছরই ডিসেম্বরে এই মহাপরিকল্পনার কাজ প্রণয়ন শেষ হবে। ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্তৃক আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য র্যালি এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের খাদ্য উৎসব ও লাইভ কুকিং শো উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, পর্যটনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তার নেতৃত্বে পর্যটনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আমাদের নির্দিষ্ট যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমরা দ্রুতই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। দেশের পর্যটনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পর্যটনে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও প্রকৃতিসহ পর্যটনের সকল উপাদান ও সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। ব্র্যান্ডিং করতে হবে। দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে প্রচার করতে হবে। তাহলেই বিদেশি পর্যটকরা আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো নিয়ে আকর্ষণ বোধ করবেন।
মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির অভিজ্ঞতা বিশ্বের পর্যটন শিল্পকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। টেকসই ও ধারাবাহিক পর্যটন উন্নয়নে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও পণ্যের বহুমাত্রিকরণের কোন বিকল্প নেই। দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকরী কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। জেলায় পর্যটনের উন্নয়ন কাজ সমন্বয় করার জন্য একজন এডিসিকে পর্যটনের দায়িত্ব দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র, আ, ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. অলিউল্লাহ এনডিসি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মো. জাবের ও ট্যুরিজম পুলিশের ডিআইজি ইলিয়াস শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
২ বছর আগে
পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে বান্দরবানের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো সহজ।
রবিবার দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে পুলিশের উদ্যোগে হাইজল্যান্ড পার্ক রিসোর্ট উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা বাড়াতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন করতে প্রয়োজনে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিফর্মে পরিবর্তন আসবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমর্ড পুলিশের তিনটি ব্যাটালিয়ান ও পুলিশের একাধিক ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, পুলিশ হেডকোয়ার্টার -এর ডিআইজি (ফাইন্যান্স) মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাইমুল হক প্রমুখ।
পুলিশে মহাপরিদর্শক হাইজল্যান্ড পার্কটি পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি বৃক্ষের চারা রোপন করেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সতেরশ’ ফিট উচ্চতায় বান্দরবানের থানচিতে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পার্কটি গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থায়নে এই হাইজল্যান্ড পার্কটি বান্দরবানের পর্যটনশিল্পে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু: খুলনার পর্যটন শিল্পের দুয়ার উন্মোচন
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে খুলনার পর্যটন খাতে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ইতোমধ্যে ইউনেস্কো ঘোষিত মসজিদের শহর বাগেরহাটের ১৭ স্থাপনা, সুন্দরবন ও কুয়াকাটাকে ঘিরে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে এবং কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সেতুর চালুর ফলে এ অঞ্চলের সরকারি-বেসরকাররি পর্যটন খাতের আয় ব্যাপ্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে দুটিই বাগেরহাটে অবস্থিত। ইউনেস্কো ঘোষিত সুন্দরবন ও ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মজসিদসহ ১৭টি স্থাপন। ২০২১-২২ অর্থবছরে সুন্দরবনের বাগেরহাট অংশে এক লাখ ২০ হাজার পর্যটক এসেছেন। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় এসেছে এক কোটি ২৫ লাখ টাকা। একই সময়ে ষাটগম্বুজ মসজিদে এক লাখ ৮০ হাজার দর্শনার্থীর কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাগেরহাট হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব
সুন্দরবন টুরিস্ট ক্লাবের শেখ শাকির হোসেন বলেন, বাগেরহাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য যাতায়াতের প্রধান ব্যবস্থা হচ্ছে সড়ক পথ। আর এই সড়ক পথে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকদের দুর্ভোগে পড়তে হতো। তবে পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে সেই চিরচেনা রূপ একেবারেই পাল্টে যাবে। সম্ভাবনাময় বাগেরহাটের পর্যটন শিল্পও ঘুরে দাঁড়াবে।
মোংলার ট্রলার ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, সুন্দরবনের ইকো টুরিজমকেন্দ্র ও বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্র করমজলকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যবসা। মোংলা থেকে ট্রলার করে আধাঘণ্টায় করমজল যাওয়া যায়। কিন্তু সড়ক পথে ভোগান্তি থাকার কারণে দর্শনার্থী কম আসত। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আশাকরি সুন্দরবনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে সেই সঙ্গে আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
মোংলা জয়মনির ঘোল এলাকার বিজন কুমার রায় বলেন, সুন্দরবনের কাছেই আমাদের বসবাস। তাই বন কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্পের সঙ্গে আমরা জড়িত। পদ্মা সেতুর চালুর ফলে সুন্দবনের বিভিন্ন পয়েন্টের অবকাঠামো ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি ফলে আমাদেরও ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হবে।
স্থানীয় ট্যুরিস্ট গাইড ও ফটোগ্রাফার সোহেল হোসেন বলেন, বাগেরহাটে যে পরিমান দর্শনার্থী বর্তমানে ঘুরতে আসে, পদ্মা সেতুর ফলে সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। দর্শনার্থী বাড়লে গাইডের প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে। ফলে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: ফরিদপুরের অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত
খানজাহান আলী (রহ.) মাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. কামরুজ্জামান বলেন, পথের ভোগান্তির কারণে বাগেরহাটে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকে। এ কারণে হোটেল ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পদ্মা সেতু চালু ফলে বাগেরহাটে পর্যটকদের আগমন ঘটবে। হোটেল-মোটেল গুলোতেও চাপ থাকবে।
ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, সেতুর ফলে বাগেরহাটসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতি হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ জানান, পদ্মা সেতু যে অমীত সম্ভাবনা দেখাচ্ছে তাতে দর্শনার্থী সংখ্যা ধারণার চেয়েও বেশি হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ষাটগম্বুজের সামনের বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ সংলগ্ন ঘোড়াদিঘিকে নান্দনিক করতে ওয়াক ওয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, আগত পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যটন করপোরেশনের অর্থায়নে ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয়ে খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজার মোড়ে একটি তিন তারকা মানের হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। যার প্রায় ৮০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুর ফলে কয়েক গুণ বেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সুন্দরবনকে আরও বেশি পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তুলতে সুন্দরবনের আলীবান্ধা ও আন্ধারমানিক দুটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লাখের বেশি কোরবানি পশু প্রস্তুত: জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো.আজিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাটে অসংখ্য দর্শনীয় স্থাপনা রয়েছে। এসবের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি যাতায়েত ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি পদ্মা সেতুর হাত ধরে বাগেরহাটের পর্যটন শিল্প বিকশিত হবে। এই খাতে ব্যাপক আর্থিক উন্নতি ঘটবে।
২ বছর আগে
নেতিবাচক প্রভাবে কক্সবাজারে পর্যটনে ভাটা
সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটক নারী ও স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাসহ খাবারের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাবে কক্সবাজারে কাঙ্খিত পর্যটক আসেনি। আগে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে হোটেলে কোন রুম খালি থাকত না। এবার ৫০ শতাংশ হোটেলের রুম খালি রয়েছে। দেশে অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এমন দিনে কাঙ্খিত পর্যটক না থাকা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য উদ্বেগজনক।
গাড়ি পার্কিং পর্যটন গলফ মাঠের ইজারাদার কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন সেতু বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর ছুটির ৩ দিনে পর্যটকদের বড় বাস পার্কিং ছিল সাড়ে ৩শ টি। পার্কিং জায়গা না পেয়ে স্থানীয় ইলিয়াছ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে আরো আড়াইশ বড় বাস পার্কিং করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ৭শ বাস কক্সবাজারে পার্কিং হয়। কিন্তু এবারে বছরের বিদায় ও বরণ উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের বড় বাস পার্কিং করা হয় মাত্র ৫০ টির মতো। এ থেকে বুঝা যায় অন্যান্য ছুটির সময়ের তুলনায় এবার পর্যটক আসেনি বললেই চলে।
তিনি বলেন, এতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটক ব্যবসায়ীরা। মূলত থার্টি ফাস্ট নাইটকে উপলক্ষ্য করে পার্কিং ইজারা নেয়া হয়। এতে করে এবার কাঙ্খিত প্রাপ্তি হয়নি। মূলত পর্যটক নারী ধর্ষণ ও ডাল ভাতের দাম বেশি নেয়ার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার কারণে এবার কক্সবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পর্যটকরা।
কক্সবাজারে পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটন জোন। তাই বিদেশি বেশ কিছু পর্যটক এসেছে এবার। বছরের প্রথম দিনে পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এ জন্য স্ব স্ব হোটেল পর্যটকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারকে নিয়ে প্রচারণায় কিছুটা নেতিবাচ প্রভাব পড়লেও পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একাধিক বৈঠকে প্রয়োজনী সিদ্ধান্ত ও প্রস্তুতি নেয়া হয়। শুধু থার্টি ফাস্ট নাইট বা বর্ষবরণ নয় ভরা পর্যটন মৌসুমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন জানিয়ে মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারিভাবে জানিয়ে দেয়ার কারণে এবার উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফাস্ট নাইটের কোন আয়োজন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: আরেক আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে