বক্তব্য
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর 'অত্যন্ত নিন্দনীয়' বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড রাজ্য সফরে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পর্কে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের গুরুতর সংশয়, গভীর আঘাত ও চরম অসন্তোষের কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে রাজনৈতিক নেতাদেরকে পরামর্শ দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে আসা এ ধরনের মন্তব্য দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
১ মাস আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশের জনগণ (বর্তমান) সরকারকে নির্বাচিত করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।’
রুশ হাইকমিশনারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমরা বলতে চাই, তার (রাষ্ট্রদূতের) অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য ও আওয়ামীপন্থী বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশেই পরাধীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের আশা-আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন। ‘সেই অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’
দলটি বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ আশা করে যে, রাশিয়া, ভারত, চীন বা অন্য কোনো দেশ জনগণের প্রবল ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনকে অযাচিতভাবে সমর্থন করবে না।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। এজন্য বিএনপি রাশিয়াকে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার দৃঢ় সংকল্প ও মহান ত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির অভিযোগ 'বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা'।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সরকার নয়, ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার বলে বিরোধী দল যে বক্তব্য দিয়েছে তা কারো বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দলটির দাবি, জাতিকে ধোঁকা দিতে এবং শেখ হাসিনার অসাংবিধানিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তার অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সহায়তার জন্য গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপি উল্লেখ করে, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ, সাতটি খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের বঞ্চিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৯ মাস আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্য 'জনমতের প্রতিফলন': বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যকে 'জনমতের প্রতিফলন' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে তাদের দল।
আরও পড়ুন: বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টিআইবির বক্তব্যের বিরোধিতা করে মন্ত্রীদের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কে না বলেছে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি? সবাই বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং টিআইবি যা বলেছে তা জনমতের প্রতিফলন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যা বলছে তাও জনমতের প্রতিফলন। ‘তাই বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী টিআইবি এটা (নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি) বলেনি। তারা যা বলেছে তা বাস্তবতা।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
এর আগে গত বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একতরফা বলে মন্তব্য করে টিআইবি বলেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চেহারা দিতে সাজানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে দেশি-বিদেশি সংগঠনগুলোর মতামতের প্রশংসা করেন নজরুল। তিনি বলেন, 'নিরপেক্ষভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে যারা কথা বলবেন আমরা তাদের স্বাগত জানাব। আমরা কী বলি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, মানুষ কী বলছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: টিআইবি বিএনপির ‘দালাল’: কাদের
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারকে পছন্দ করে না, যারা বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। যারা অন্যায়, স্বৈরাচার, দমন-পীড়ন ও ভোট চুরির সমালোচনা করেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন তা আওয়ামী লীগ সরকার আবার ধ্বংস করেছে। ‘সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচি আমরা আপনাদের জানাব।’
নজরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বাকশালের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং খালেদা জিয়া এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। জিয়াউর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা নতুন করে শপথ নিয়েছি, এ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সহযোগিতায় যত দ্রুত সম্ভব আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির চাওয়ায় দেশের অমঙ্গল হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন জিয়া।
১০ মাস আগে
রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য জামালপুরের ডিসি বদলি
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইমরান আহমেদকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বদলি করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইমরান আহমেদকে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব করা হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে একজন ডিসি এ কথা বলতে পারেন না: ফরহাদ হোসেন
এর আগে মো. ইমরান আহমেদ আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।’
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে জামালপুরে নবনির্মিত মাদারগঞ্জ পৌরসভা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিটির একটি ভিডিও মঙ্গলবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হতে শুরু করে এবং সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও এমন মন্তব্যের কারণে সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: যাচাই-বাছাই করেই ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
দেশের ১০ জেলায় নতুন ডিসি
১ বছর আগে
আদালতের কপি হাতে পেলে তারেকের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেব: মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা এবং অবৈধ ও যাচাইবিহীন আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আদালতের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরে আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করতে পারি তা করব, তবে ডিজিটাল অঙ্গনে কী বিষয়বস্তু খোলা রাখা উচিত বা কী নয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে তারেক রহমানের সব ভিডিও কনটেন্ট ও বক্তৃতা অপসারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, আমরা তারেক রহমানের বিষয়বস্তু অপসারণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব। আমরা যতদূর জানি, আদালতের আদেশ উপেক্ষা করার মানসিকতা সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর নেই।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুলের শুনানি বুধবার
গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুল বুধবার শুনানির কার্যতালিকায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাড়ে আট বছর শুনানি না হওয়া রুলটি রিটকারীদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শুনানির আবেদনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রুলের নোটিশ রিটে উল্লেখিত তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
তবে এক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা না। তিনি এখন লন্ডনে তাই তার ঐ ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে।
তবে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছে বলেছেন। আগামীকাল এই রুল শুনানির কার্যতালিকা থাকবে। এর আগে সকালে এই শুনানিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক মিনিটের বাকবিতণ্ডা হয়।
আদালতে বুধবার রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী কামরুল ইসলাম, আইনজীবী সানজিদা খানম ও আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।
অন্যদিকে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান (ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের অবস্থান জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
পরবর্তীতে ঠিকানা ভুলের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বাদে রিট আবেদনের অন্য সকল বিবাদীদের বরাবর রুলের নোটিশ জারি হয়। অবশেষে সাড়ে আট বছর পর শুনানি না হওয়া সেই রুল শুনানির জন্য গত ২ আগস্ট আবেদন করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
১ বছর আগে
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই বোঝা যায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে, সরকার আরেকটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে বুঝতে পারলাম না তিনি পুলিশ অফিসার নাকি শাহবাগ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
রবিবার (২০ আগস্ট) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন হাছান মাহমুদ (তথ্যমন্ত্রী) এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলেন- তখন আভাস পাওয়া যায় আগামী নির্বাচন কতটা ভয়াবহ হবে।
রিজভী বলেন, জনগণ ও ভোটাররা নির্বাচনে যোগ দিতে পারবেন না, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণের কথা বাদই দিলাম। কারণ সেই নির্বাচন হবে নাটকীয়ভাবে একতরফা।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রবিবার (২০ আগস্ট) সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম রানার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
রিজভী আশঙ্কা করেন যে, বর্তমান পুলিশ-প্রশাসন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে এবং যারা নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে যাবে তাদের গ্রেপ্তার করবে।
তিনি বলেন, এই হলো পক্ষপাতদুষ্ট পুলিশ প্রশাসন। এভাবেই একতরফা নির্বাচনের বড় নীলনকশা তৈরি করছেন শেখ হাসিনা এবং জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই আবার নির্বাচন করছেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকার সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কারণ এখন মাত্র দু-একটি দেশ এই সরকারের সঙ্গে আছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে- বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ’ শাসনের পক্ষে লিখতে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ভারতের কলকাতার এক সাংবাদিককে দুই টন ইলিশ মাছ পাঠিয়েছেন। এই ঘটনা কতটুকু সত্য আমরা তা জানি না। কিন্তু এমন শোনা কথা যাচ্ছে।
রিজভী বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেখানে অনেক বিবেকবান সাংবাদিক আছেন যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লিখছেন। হয়তো দু-একজন সাংবাদিককে ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে, কিন্তু সবাইকে নয়।
ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে নগরীর নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে গ্রেপ্তার করায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল: রিজভী
১ বছর আগে
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যেই প্রমাণ হয় তারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, তারাই জঙ্গিদের মূল পৃষ্ঠপোষক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কয়েকজন জঙ্গি আটকের পর মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন- মানুষের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য না কি এই জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি মহাসচিবসহ বিএনপির নেতারা জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা জঙ্গি দমন করেছি, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি তারা জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করত।’
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার যখন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল, অনেক জঙ্গি আটক হচ্ছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে কিছু দিন আটক করে রাখার পর যখন চুলদাড়ি লম্বা হয় তখন তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। সে কারণেই তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফেটেছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং জঙ্গিদের দিয়ে হাওয়া ভবন তৈরি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ যখন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি ও তাদের দোসররা তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল, মাঝে মধ্যে দু-একটা বিবৃতিও এনেছিল। কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতি নিয়ে আমেরিকার হোয়াইট হাউজে যখন প্রশ্ন করা হলো, তারা বলল এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। অথচ এই চিঠি লেখার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে, এই ষড়যন্ত্র করে, বিদেশিদের পেছনে এত ছুটে কোনো লাভ হয়নি। সে কারণে বিএনপি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলা শুরু করেছে। বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করেনি। এ জন্য বিএনপির সুর এখন ভিন্ন। এখন তারা বলছে ভারত কী বলল আসে যায় না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বলল আসে যায় না, যুক্তরাজ্য কী বলল আসে যায় না, চীন কী বলল আসে যায় না।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খাদের কিনারে বিএনপি, নির্বাচন বর্জন করলেই পতন: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত মন্তব্য।
তিনি বলেন, এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি।
বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও 'অত্যন্ত চমৎকার': তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।
মন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন কাগজে বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এনিয়ে আলোচনা হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, কানাডার আদালত কর্তৃক রায়প্রাপ্ত সন্ত্রাসী, অর্থাৎ সিলমারা সন্ত্রাসী। আদালতের রায়ে একেবারে সিলমারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়, যাদের হামলায় এস এম কিবরিয়া, আসহান উল্লাহ মাস্টারসহ অনেকেই নিহত হয়েছেন। যাদের হামলার জজ আদালতের বিচারক নিহত হয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকদের হামলায় সারাদেশের ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা ফুটেছে।
খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার প্রতি সহানুভূতি জানাতে শেখ হাসিনা তার বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও দরজা খুলেনি।
সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন এবং আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন। যারা এ ধরনের অগ্নি সন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামল চালায় তাদের সঙ্গে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসু বা আলোচনা করে কি হবে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
তাহলে কি আলোচনার সুযোগ নেই? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন বিএনপির যদি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ থাকে, সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। নির্বাচক আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।
আরও পড়ুন: অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনার পরিকল্পনা করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণস্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক আমরা সেটি চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছ। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন।
কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভবপর হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি একটি রাজনেতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা।
কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তালেই সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচন।
নির্বাচনে আসতে বিএনপি যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি শর্ত দেয়, তাহলে সরকারের অবস্থান কি হবে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে চাইলেই সরকার মুক্তি দিতে পারবে না, উনি আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি আরও বলেন, এটি তো আদালতের এখতিয়ার। সরকার চাইলেই তো মুক্তি দিতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ওয়াজে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে মাদানীকে জামিন
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। এই আদেশের ফলে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এসব মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাইবাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই।
তবে রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনবিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন শর্ত দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানী হলফনামায় সই করেন।
হলফনামায় তিনি লেখেন, কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো বক্তব্য প্রদান করব না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ও জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য ওয়াজ মাহফিলে দেব না।
পরে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ -এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
১ বছর আগে