চাকরি
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা
নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চাকরি থেকে বেআইনিভাবে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত কর্মী তাসনিম ফারহানাজ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকা প্রথম শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আসামিদের প্রতি নোটিশ জারি করেছে।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন—নভোএয়ারের হিউম্যান রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান বিক্রয় ও বিপনন শাখার কর্মকর্তা মেসবাউল ইসলাম ও এইচআর বিভাগের জুনিয়র এক্সিকিউটিভ মশিউর রহমান শুভ। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সোমাইয়াদ শাহেরিয়া ফিদা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় , ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ‘জুনিয়র এক্সিকিউটিভ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং’ পদে চাকরি করছিলেন তাসনিম ফারহানাজ। পরবর্তীতে স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি পান।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর তাকে সম্মানসূচকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে ২০২৫ সালের ১১ মার্চ তাকে কোনো প্রকার লিখিত নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যা তিনি বেআইনি এবং অন্যায় বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় বাদী ৩০ এপ্রিল নভোএয়ার কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। জবাবে নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু বাদীর দাবি, এই অর্থ যথেষ্ট নয় এবং তাকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার ফলে তার কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে। তিনি পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবিতে ডাকযোগে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। মামলায় তিনি তার চাকরিতে পুনর্বহালসহ সকল বকেয়া বেতন ও সুবিধা দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
১৬৮ দিন আগে
আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবে এআই: ফাইভারপ্রধানের হুঁশিয়ারি
চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রভাব নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি বহুজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিকা কাউফম্যান। এআইনির্ভর ভবিষ্যতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে দক্ষতা ও খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।
ফাইভারের একটি অভ্যন্তরীণ মেমোর বিস্তারিত বিবরণে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। পরবর্তীতে সেটি সামাজিকমাধ্যমেও শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।
যেভাবে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, তাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মনির্ভর বাজারসহ শিল্পকারখানা নতুন করে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই দিকে আভাস দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় উপযুক্ত করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ফ্রিল্যান্সার্স ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘কঠিন সত্য হলো—আপনার কর্মসংস্থান দখল করতে আসছে এআই, আমার চাকরিটাও তারা নিয়ে নেবে। এটা আপনাদের জেগে ওঠার ডাক। তাতে হোক না আপনি প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, পণ্য ব্যবস্থাপক, ডেটা বিজ্ঞানী, আইনজীবী, বিক্রেতা কিংবা কোনো ব্যবসায়ী। আপনাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিতে ধেয়ে আসছে এআই।’
“একসময় যেসব কাজকে সহজ বলে বিবেচনা করা হতো, এখন আর সেগুলোর অস্তিত্ব নেই। আবার যে কাজগুলো কঠিন বলে বিবেচনা করা হতো, সেগুলো সহজ হয়ে গেছে। আর যে কাজগুলো অসম্ভব বলে মনো হতো, সেটা এখন নতুন ‘কঠিন কাজ’।”
তিনি বলেন, ‘আপনি যা করছেন, সেখানে যদি একেবারে ব্যতিক্রমী মেধাবী না হন, কয়েক মাসের ব্যবধানে আপনাদের কর্মসংস্থান পরিবর্তনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে,’ বলেন ফাইভারের এই প্রধান নির্বাহী।
আরো পড়ুন: ইসরাইলকে এআই সরবরাহের প্রতিবাদ: মাইক্রোসফটের ২ প্রকৌশলী বরখাস্ত
সর্বশেষ এআই উদ্ভাবন নিয়ে আরও লেখাপড়া ও দক্ষতা অর্জনে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘এআই প্রোগ্রাম লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলসের (এলএলএমএস) ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’
যারা এটার কদর বুঝবেন না, অর্থাৎ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না, তাদের ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলেও হুশিয়ার করেন ফাইভার প্রধান নির্বাহী। কাজেই কর্মীদের আরও দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সার্চ জায়ান্ট গুগল ‘সেকেলে’ হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মিকা কাউফম্যান।
২১২ দিন আগে
ঢাকার বিকল্প রাজধানী সম্ভব?
রাজধানীর পল্টন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জাহিদুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। হঠাৎ বাতাসে ধুলোবালি এসে নাকে-মুখে ঢুকে যায় তার। চারপাশে গাড়িগুলো পাল্লা দিয়ে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে, দুই কান হাত দিয়ে চেপে ধরেও রেহাই পাচ্ছেন না।
তার ভাষ্যে, ‘মানুষ বাস করার মতো অবস্থায় নেই এই শহর। কেবল চাকরি করতে হবে বলে ঢাকায় আছি, নাহলে অনেক আগেই (এই শহর ছেড়ে) চলে যেতাম।’
‘সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় নাগরিকদের এই শহরে এসেই ভিড় করতে হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও নিরাপদ জীবনের খোঁজে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব নয়’, বুধবার (১৯ মার্চ) কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
নগরীর গণপরিবহনগুলোতে বেশিরভাগ সময়ই যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো জায়গাও থাকে না। বাইরে বের হলে বাসের দরজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ঝুলে থাকার দৃশ্য চোখে পড়তে বাধ্য। বারিধারা
ডিওএইচএসে বসে এসব কথারই পুনরাবৃত্তি করছিলেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মারুফুল হক। বলেন, ‘অফিসের সময় বাসে জায়গা পাওয়া যায় না; আবার অফিস কামাইও দেওয়া যাবে না। যে কারণে লোকজন ঠেলেঠুলে হলেও বাসে উঠতে হয়। অনেকসময় ভেতরে একদমই জায়গা থাকে না, সেক্ষেত্রে দেরিতে অফিসে প্রবেশ এড়াতে গেটে ঝুলে পড়া ছাড়া উপায় থাকে না।’
‘ঢাকার সড়কে যানজট, বাসে ভিড়; আবার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচল করবেন, তারও জো নেই। একে তো অনেক ফুটপাত ভাঙাচোরা, কোথাও আবার ম্যানহোলের ঢাকানা নেই; তার ওপর আবার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কারণে হাঁটার জায়গাও নেই অনেক জায়গায়।’
মারুফুল বলেন, ‘অর্থাৎ চলাচলের সব বিকল্প বন্ধ। ফলে রাস্তায় বের হলেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে—এ একপ্রকার নিশ্চিত।’
‘অথচ এই শহরেই আমাদের বাস করতে হচ্ছে। গাদাগাদি করে বাসে উঠি, যানজট ঠেলে কোনোরকমে অফিসে পৌঁছাই। ক্লান্তি নিয়ে সারা দিন কাজ করি।’
ঢাকার বিকল্প কোনো রাজধানীর দরকার আছে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, ‘বিশ্বের চল্লিশটির মতো দেশ তাদের রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। কয়েকটি দেশ এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়া তাদের রাজধানী পরিবর্তন করে নুসানতারায় নিয়ে গেছে। মিসরও চলে যাচ্ছে।’
কাজেই বাংলাদেশের রাজধানীও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এমন একটি বাস্তবতা, যা নিয়ে সমীক্ষারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।
শামসুল হক বলেন, ‘চিকিৎসক যেমন রোগীর রেকর্ড দেখলে বুঝতে পারেন, হার্টবিট ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, তখন তো চিকিৎসকরা বলেন, এটা বেয়ন্ড রিপেয়ারড (মৃত্যু আসন্ন)। এরকম ঢাকার সবকিছুই এত তলানির দিকে চলে যাচ্ছে যে, এত এত বিনিয়োগ করার পরও অর্থাৎ এত চিকিৎসা করার পরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না, একেবারে নন-রেসপন্সিভ।’
ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের রাজধানী পরিবর্তন করেছে কিংবা করছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও যানজটের কারণেই দেশগুলো তাদের রাজধানী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাওয়া, পরিবেশগত উদ্বেগ, দূষণ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়—এমন নানা কারণে বিভিন্ন দেশের রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আরও আধুনিক, স্মার্ট, পরিবেশগত টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব রাজধানী গড়ে তুলছে দেশগুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
বিকল্প রাজধানী হতে পারত পূর্বাচল
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঢাকারও বিকল্প বের করা একটি চরম বাস্তবতা বলে উল্লেখ করেছেন ড. এম শামসুল হক।
তার ভাষ্যে, ‘অনেকের কাছে শকিং (তাক লাগানো) মনে হতে পারে, অনেকের কাছে এমন কিছু আবেগেরও মনে হতে পারে; কিন্তু আবেগ দিয়ে তো আর দেশ চলে না। যদি আমরা অনেক আগেই (এ বিষয়ে) চিন্তা করতাম, তাহলে অনেক সম্ভাবনা ছিল। এমনকি কম খরচে পূর্বাচলে আমরা বিকল্প রাজধানী করে ফেলতে পারতাম।’
‘পূর্বাচলের জায়গাটা অনেক উঁচু, বন্যামুক্ত। কৌশলগতভাবে একটি রাজধানী শহর বন্যামুক্ত হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে পূর্বাচল উঁচু জায়গায়, মাটিও অরিজিনাল।’
ঢাকার অন্যান্য জায়গায় মাটি ভরাট করে সবকিছু করা হয়েছে। মাটি ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে যেকোনো ভবনের ভিত্তি ব্যয় অনেক বেড়ে যায় বলে উল্লেখ করেন এই নগর প্রকৌশলী।
দুর্বল মাটিতে বিনিয়োগও খুব একটা কার্যকর হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের একটি অংশ দুর্বল মাটির জন্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রাজধানী এমন একটি জায়গায় হতে হয়, যেখানকার মাটি ভালো। সে অনুসারে পূর্বাচল ভালো অপশন ছিল।’
‘অথচ সেখানে সাত হাজার একরের একটি টাউনশিপ গড়ে তোলা হয়েছে। প্লট দিয়ে ব্যক্তিকে কোটিপতি বানানো হয়েছে। এত বড় অন্যায় একবিংশ শতাব্দীতে কেউ করবে না, যেটা সেখানে হয়েছে।’
‘যদি আবাসনের কথা বলি, তাহলে ফ্ল্যাট দেওয়া যায়; কিন্তু আমাদের মতো জনবহুল দেশে প্লট দেওয়া যায় না।’
রাজধানী হিসেবে ঢাকার কার্যকারিতা নেই উল্লেখ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘তবে এটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য লাভেই হবে, কারণ তাতে মানুষের মধ্যে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা দূর হয়ে যাবে, সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সুবিধা হবে।’
‘কিন্তু কেউ যদি এসব নিয়ে নাড়াচাড়াই না করেন, তাহলে একজন রোগী মারা যাচ্ছেন কিনা, পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে চলে যাচ্ছেন কিনা— তা কিন্তু বোঝা যাবে না। এতে আমরা একটি অদূরদর্শী জাতি হিসেবে পরিচিতি পাব।’
ইন্দোনেশিয়ার উদহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘তারা জাকার্তা থেকে রাজধানী সরিয়ে নুসানতারায় নিয়ে গেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত অক্টোবরে তাদের কাজের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা যে ছয়টি মেট্রো করতে যাচ্ছি, সেটারও ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ পড়বে।’
বিনিয়োগ ও পরিবেশবান্ধব, বাসযোগ্য, দূষণমুক্ত, গ্রিনসিটি হিসেবে ভাবলে ঢাকা কখনোই হবে না বলে জানান তিনি।
‘ঢাকায় যেভাবে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হচ্ছে, তাতে প্রতিনিয়ত আমাদের পানির স্তর নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, ফলে পানি গভীর থেকে গভীরে নেমে যাচ্ছে।’
‘জাকার্তায়ও একই অবস্থা হয়েছিল। সেখানে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি তোলা হয়েছিল। একসময় দেখা গেল, পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পানি না থাকলে বসতি হবে কীভাবে! ঢাকায়ও ভূগর্ভস্থ পানি দিন দিন তলানির দিকে চলে যাচ্ছে।’
শামসুল হক বলেন, ২০০৫ সালেও ঢাকা শহরে গাড়ির গতি ঘণ্টাপ্রতি ২৫ কিলোমিটার ছিল। এখন সেটা প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। ঢাকা শহরের হার্টবিট কমে শূন্যের দিকে যাচ্ছে। আমরা ঢাকাকে বাঁচাতে অনেক কিছু করেছি, কিন্তু ধীরে ধীরে এই শহরের অধঃপতন হয়েই চলেছে।’
২৫৬ দিন আগে
২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গতকার বুধবার এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা তিনটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এদিন ধার্য করেন।
আদালতে আপিলকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পিএসসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: এক বছরেই বিসিএস পরীক্ষা সম্পন্নের সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, এর আগে এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন—এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এ ক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন। এ রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।
ওই রায় নিয়ে রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা পৃথক আপিলের ওপর আজ রায় হলো। রায়ে নিয়োগ বঞ্চতদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২৮৮ দিন আগে
২০২৫ সালে যে প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে
উত্তরোত্তর ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় প্রযুক্তি খাতে এক বিপুল সমৃদ্ধির বছর হতে চলেছে ২০২৫। এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে চাকরির বাজারে। অধিকাংশ নিয়োগের কর্মযজ্ঞগুলোতে আধিপত্য থাকবে আইটি বা তথ্য-প্রযুক্তিগত দক্ষতার। এআই থেকে শুরু করে সাইবার নিরাপত্তার ব্যবহারিক জ্ঞান ২০২৫-এর পরেও সর্বোচ্চ চাহিদার স্থানটি ধরে রাখবে। চলুন, নতুন বছরের কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে চাহিদার শীর্ষে থাকা ১২টি প্রযুক্তিগত দক্ষতা
ফুল-টাইম চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং নির্বিশেষে যেকোনো ধরনের কর্মক্ষেত্রে উচ্চ-চাহিদাসম্পন্ন আইটি দক্ষতাগুলো নিম্নরূপ:
ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটালকরণের ধারাবাহিকতায় ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসনের মতো সেক্টরগুলোতে প্রয়োজন হচ্ছে অ্যাপ এবং সফ্টওয়্যার।
বিভিন্ন ধরনের ডেস্কটপ সফ্টওয়্যারের পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির অপরিহার্য দক্ষতা হলো ফ্রন্ট-অ্যান্ড ও ব্যাক- অ্যান্ড সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। সঙ্গত কারণেই চাহিদা বাড়ছে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারদের, যা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন: টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ক্লাউড কম্পিউটিং
বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে অনলাইন বা ক্লাউড অবকাঠামো। এই অনলাইন কাঠামো গঠন ও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজন পড়ছে ক্লাউড আর্কিটেক্ট বা ইঞ্জিনিয়ার। ফলে নিয়োগের সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস (এডব্লিউএস), মাইক্রোসফট আজুরে এবং গুগল ক্লাউডের মতো ক্লাউড প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাস্তব অভিজ্ঞতাকে। এই দক্ষতাকে কেন্দ্র করে এক অভাবনীয় সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের রূপরেখা তৈরি হয়েছে, যা নিকট ভবিষ্যতে চাকরির বাজারকে নেতৃত্ব দেবে।
ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন
একটি সফ্টওয়্যার বা অ্যাপের ইন্টারফেস, নকশা এবং অপারেশন সহজবোধ্য এবং সার্বজনীন না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়ে। অপরদিকে, একটি সার্বজনীন নকশার কারণে অ্যাপ বা সফ্টওয়্যারটিকে ঘিরে ব্যবহারকারীর ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়। আর এখানেই আসে ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন শেখার প্রসঙ্গ। এই দক্ষতার মাধ্যমে আউটসোর্সিং প্ল্যাটফর্মে ফুল-টাইম চাকরি বা ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জনের পথ সুগম হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা
বিভিন্ন ছোট-বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। শুধু তাই নয়, একজন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও এই ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপদ নয়।ঘনঘন এই সাইবার অপরাধের বৃদ্ধির কারণে, সংস্থা ও মানুষ উভয়েরই অনলাইন ডেটা রক্ষার জন্য দরকার হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা, ইথিকাল হ্যাকিং এবং ঝুঁকি যাচাইয়ের দক্ষতা ২০২৫-এ কতটা মূল্যবান হতে যাচ্ছে!
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ডেটা অ্যানালাইসিস এবং বিগ ডেটা
বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বিপুল পরিমাণ ডেটার চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি। এখানে বিশেষত্ব পায় এসকিউএল, পাইথন এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন টুলগুলোর ব্যবহারিক দক্ষতা। ব্যবসা, বিপণন, ব্যাংকিং, ফিন্যান্স ও একাডেমিক গবেষণাসহ বিভিন্ন খাতে আজকাল নিয়োগ হচ্ছে ডেটা অ্যানালিস্ট এবং ডেটা সায়েন্টিস্ট। নতুন বছরে এই ধারা আরও বেগবান হবে।
পেশাদার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি পরিসংখ্যানবিদ, গণিতবিদসহ অন্যান্য সেক্টরের কর্মকর্তারাও এখন ঝুঁকে পড়ছেন এই দক্ষতাগুলো শেখার দিকে।
ডেভঅপ্স এবং অটোমেশন
খাবারের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় কল-কারখানায় কম সময়ে উৎপাদন বাড়াতে অটোমেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেকটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যবহৃত সফ্টওয়্যারগুলো কাজের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। এগুলোর চালনার ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে হলে ডেভঅপ্স অনুশীলন এবং অটোমেশন সরঞ্জামগুলোতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাক্টরি নির্ভর কর্মসংস্থানগুলোতে ইতোমধ্যে এর এক বিশাল অবস্থান তৈরি হয়েছে, যা সামনের বছরগুলোতে আরও প্রসারিত হবে।
এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (এআর/ভিআর)
গেমিং, ই-স্পোর্টস এবং বিনোদন ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা এবং ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন খাতে বিস্তৃতি পাচ্ছে অগমেন্টেড এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি। তাই গ্রাহকদের সেবা প্রদানে বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরিতে ভিআর প্রযুক্তির দক্ষতা আগামী দিনে ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন: শীতকালে গরম পানির গিজার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি)
পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইসের মাধ্যমে স্মার্ট অবকাঠামো ও পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত আইওটি ডেভেলপমেন্ট ও সেন্সর প্রযুক্তির দক্ষতা। আগামী বছরগুলোতে স্মার্ট শহর, কারখানা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং, স্মার্ট হোম্স, স্মার্ট গ্রিড, পরিধানযোগ্য জিনিসপত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়বে আইওটি-দক্ষ পেশাদারদের।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল)
প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এআই ও এমএল-এর সন্নিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাওয়ায় অনপেক্ষণীয় হয়ে পড়েছে দক্ষ পেশাদারদের উপস্থিতি। এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের দক্ষতা বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে প্রয়োগ করা হবে। ব্যবসা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও ফিন্যান্সের পাশাপাশি আরও নানা খাত এআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে বিশ্বব্যাপি চাকরির বাজারে আরও পেশাদারদের প্রয়োজন হচ্ছে।
রোবটিক্স এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল, উৎপাদন ও পরিবহনে অভূতপূর্বভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা। সেই বিবেচনায় বলা যেতে পারে যে, আগামী বছরটি হতে যাচ্ছে রোবটিক্স ও অটোমেশনের বছর। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুরো সিস্টেম ডিজাইন, নিয়ন্ত্রণ, এবং স্বয়ংক্রিয়তা বজায় রাখার জন্য রোবটিক্স ও অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।
আরো পড়ুন: শীতে রুম হিটার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল, ধরন ও দাম
ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও
ব্যবসা, নিউজ পোর্টাল ইত্যাদির ডিজিটালকরণের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যবহুল দুটি বিষয় হচ্ছে এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা এখন নির্ভর করে কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট টিম ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারনেট পাঠকদের পছন্দ-অপছন্দ নিরীক্ষণ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গ্রাহক ধরে রাখার উপর। এগুলোর প্রতিটি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারের বিশেষত্বের জায়গা। সুতরাং, আসছে বছর নতুন মাত্রায় উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার।
লো-কোড ও নো-কোড ডেভেলপমেন্ট
একটা সময় ছিল, যখন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি বা ব্যবহারের জন্য আবশ্যিকভাবে একজন আইটি বিশেষজ্ঞেরই দরকার হতো। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ন্যূনতম কোডিং দক্ষতাতেই অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের সুযোগ থাকে। এই কার্যক্রম দ্রুত সমাধান প্রদানের তাগিদে অনলাইন টুলস ব্যবহারে দক্ষ জনগোষ্ঠীর এক বিশাল ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে।
পরিশিষ্ট
পেশাগত ক্ষেত্রে যেখানে সর্বত্র ডিজিটাল রূপান্তর ঘটছে, সেখানে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপযুক্ত হাতিয়ার হলো এই চাহিদাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত দক্ষতাগুলো। পরিবর্তনের সঙ্গে এই আলিঙ্গন কেবল ২০২৫-এ নয়, তার পরেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সুদীর্ঘ মাইলফলক স্থাপন করবে।
আরো পড়ুন: শীতে ঘরের শুষ্কতা দূর করতে হিউমিডিফায়ার: জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, মডেল ও দাম
৩৩৯ দিন আগে
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ ও নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন এই সুপারিশ করা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক মুয়ীদ চৌধুরী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা দেন তিনি।
কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও। সেজন্য আমরা এ সুপারিশ দিয়েছি। যাতে নারীরা এ সুবিধাটা পায়, তারা আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ বছর (চাকরিতে প্রবেশে) সবার জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে নারীদের জন্য আমরা ২ বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর সুপারিশ করেছি। এতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও দেখেছি। বিভিন্ন দেশে যে বয়সসীমা আছে সেটার সঙ্গে আমাদের সুপারিশ সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে আলাদা নয়।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে, এ বিষয়ে উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এমন সুবিধা আছে সেজন্য আমরা এটা করেছি। আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করিনি।’
সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বিষয়ে কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যাদের বিষয়ে সুপারিশ করলাম, তারা চাকরি করে অবসরে আসতে অনেক সময়। এরমধ্যে অনেক কিছু চিন্তা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এছাড়া এখন যারা অবসরে যাবেন, তারা আগের বয়স অনুসারী চাকরিতে ঢুকেছেন, তাদের অবসরের ক্ষেত্রে তো কোনো অসুবিধা নেই। আগামী ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত তো তারাই অবসরে যাবেন। এটা নিয়ে এখনই চিন্তার কোনো কারণ নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কারণে তাদের ওপর তো কোনো প্রভাব পড়ছে না। যাদের বয়সের সুপারিশ আমরা করেছি তারা এখনও চাকরিতে ঢুকেইনি, জন্মগ্রহণই করেনি। তারা চাকরিতে ঢোকার পর চাকরি করলে তখন কী করতে হবে, সেটা সরকার সেই সময় সিদ্ধান্ত নেবে।’
চাকরিতে অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে কোনো ক্ষোভ হবে না বলেও জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে চাকরিচ্যুত!
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তাদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড ছোড়ে পুলিশ। এরপরও তারা সেখানে অবস্থান নেন। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে ওইদিনই চাকরি প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব। কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও তৎকালীন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে ছিলেন। কমিটি গত ৯ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়ক
৪১৬ দিন আগে
তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও ভ্রমণসহ নানা কাজে বিদেশ যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিমানের টিকিট কেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এবং সবচেয়ে কম সময় লাগে বলে বিদেশগামী মানুষ ভ্রমণের জন্য আকাশপথ বেছে নেয়। কিন্তু বিমান ভাড়ার চওড়া মূল্যের কারণে বাজেট-সচেতন ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতাটি খুব একটা সুখকর হয় না। তাই ব্যয়বহুল যাত্রাপথের চাপ এড়াতে আগে থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। সাশ্রয়ী বিকল্পের এই অনুসন্ধান অর্থসংকটের বিড়ম্বনা অনেকটাই লাঘব করতে পারে। চলুন, অপেক্ষাকৃত কম দামে ফ্লাইট বুকিং দেওয়ার দশটি কার্যকর কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
স্বল্পমূল্যে বিমানের টিকিট কেনার ১০টি টিপস
অগ্রিম টিকিট বুকিং
বিমান ভাড়ায় খরচ বাঁচানোর সাধারণ এবং কার্যকরি উপায় হচ্ছে অগ্রিম ফ্লাইট বুক করা। এয়ারলাইন্সগুলোর সাধারণত প্রস্থানের সর্বোচ্চ ১১ মাস আগ পর্যন্ত টিকিট প্রকাশ করে। যত আগে টিকিট সংগ্রহ করা যায় ততোই ভালো। তবে এর সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ভ্রমণের তারিখের ন্যূনতম ১ থেকে ৩ মাস। এই শেষ সময়ের আগেই বুকিং দেওয়া হলে নিজের পছন্দসই সিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। টিকিট ছাড়ার সময় থেকে চালু হওয়া প্রচারণামূলক ভাড়া এবং ছাড়ের সুবিধাগুলোর মেয়াদ সাধারণত এই সময়ে এসেই শেষ হয়।
এই সুযোগগুলো পাওয়ার জন্য যেকোনো উদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: ভুটান ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইন্টারনেট ব্রাউজারের ইন্কগ্নিটো মুড ব্যবহার করা
অনেক ট্রাভেল ওয়েবসাইট যাত্রীদের টিকিট খোঁজার বা কেনার ইতিহাস ট্র্যাক করে। কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো এয়ারলাইন্সের একই ফ্লাইট বা রুট বারবার সার্চ করলে এই অনুসন্ধান কুকিজ আকারে তার ব্যবহৃত ব্রাউজারে জমা হয়। এতে করে সেই এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর সার্চ করা রুটগুলো দেখে তার চাহিদা বুঝতে পারে। এর ফলে তারা সেই নির্দিষ্ট রুটে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে ভাড়া আরও বেড়ে যাওয়ার আগেই সেই যাত্রী দ্রুত টিকিট কিনে ফেলার জন্য তাগাদা অনুভব করেন। এমন মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার বশবর্তী হয়ে অধিকাংশরাই টিকিট কিনেও ফেলেন।
কিন্তু ইন্কগ্নিটো মুডে গিয়ে এই সাইটগুলো ব্রাউজ করলে সেই ট্র্যাকিং সিস্টেম আর কাজ করে না। ফলে একজন ব্যবহারকারী যেকোনো সময়ের স্বাভাবিক দামটি দেখতে পারেন। এই পদ্ধতিতে একসঙ্গে কয়েকটি টিকিট বিক্রি প্লাটফর্মের দামগুলো পক্ষপাতহীনভাবে যাচাই করা যায়।
এই সুবিধাটি পাওয়ার জন্য যেকোনো ব্রাউজারের একদম ওপরে ডান কোণে উল্লম্বভাবে থাকা তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করতে হবে। অতপর ড্রপডাউন লিস্ট থেকে বাছাই করতে হবে ‘নিউ ইন্কগ্নিটো উইন্ডো। অথবা কিবোর্ড থেকে এক সঙ্গে প্রেস করতে হবে কন্ট্রোল, শিফ্ট এবং এন বোতাম তিনটি। এরপর নতুন যে উইন্ডোটি ওপেন হবে এখানেই পাশাপাশি একাধিক ট্যাবে ওপেন করা যাবে বিভিন্ন ট্র্যাভেল ওয়েব পোর্টাল।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপ ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৪৩০ দিন আগে
ডিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে বাংলাদেশ-মিশরের আলোচনা
এতে বলা হয়েছে, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে অভিযোগের দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে ১৫ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অব্যাহতি দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ডিইউজের অনুরোধ
৪৫৩ দিন আগে
কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রমিত নিরীক্ষণ পদ্ধতি ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম সংক্ষেপে আইইএলটিএস। বিদেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরিসহ নানা কারণে অভিবাসনের পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হতে হয় এই পরীক্ষায়। ইংরেজি ভাষাভাষি দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার রাষ্ট্রগুলোও আইইএলটিএস স্কোরকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বহুজাতি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে এই যোগ্যতাকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন জেনে নিই, কিভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন।
আইইএলটিএস নিবন্ধনের জন্য যা জানা জরুরি
বাংলাদেশে আইইএলটিএস টেস্ট নিয়ে থাকে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) এডুকেশন। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরেই এই প্রতিষ্ঠান দুটির একাধিক কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে সশরীরে নিবন্ধন করে টেস্টগুলোতে অংশগ্রহণ করা যায়। প্রতি মাসেই পূর্ব নির্ধারিত নির্দিষ্ট তারিখগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন মডিউলের পরীক্ষা।
মূলত একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং (জিটি)- এই দুই ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন নেওয়া হয়ে থাকে। যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়, তাহলে ক্যাটাগরি হবে একাডেমিক। আর চাকরি বা অন্য কারণে অভিবাসন প্রার্থীদের জিটি নির্বাচন করতে হবে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পরীক্ষা কম্পিউটারে অথবা সরাসরি কাগজে (চিরাচরিত পরীক্ষা পদ্ধতি) দেওয়া যায়। কম্পিউটার বেইজ্ড টেস্টের ক্ষেত্রে স্কোর পেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৫ দিন। অপরদিকে, পেপার বেইজ্ড টেস্টের ফলাফল আসতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও বৈধ পাসপোর্ট ছাড়া আর কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। কম্পিউটার বা কাগুজে এবং একাডেমিক বা জেনারেল; সর্বক্ষেত্রে আইইএলটিএস টেস্টের জন্য বর্তমান নিবন্ধন ফি ২২ হাজার ৫০০ টাকা।
ধাপে ধাপে আইইএলটিএস পরীক্ষার নিবন্ধন পদ্ধতি
ব্রিটিশ কাউন্সিলে আইইএলটিএস নিবন্ধন
টেস্ট টেকার পোর্টালে অ্যাকাউন্ট তৈরি
শুরুতেই https://eamidentity.britishcouncil.org/account/login- লিংকে যেয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ওয়েবসাইটের এই অংশটির নাম টেস্ট টেকার পোর্টাল। এখানে প্রয়োজন হবে প্রার্থীর নাম, জন্ম তারিখ, এবং একটি ই-মেইল ঠিকানা। অতঃপর একটি অনন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং নিবন্ধনের শর্তাবলীতে সম্মতি সূচক টিক চিহ্ন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হবে অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজ।
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এই পোর্টালে অ্যাকাউন্ট করার সুবিধা হলো- পুরো নিবন্ধন একবারে না করে প্রার্থী প্রয়োজনমতো বিরতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়া পরবর্তীতে আইইএলটিএস স্কোর চেক করা এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিআরএফ (টেস্ট রিপোর্ট ফর্ম) পাঠানো যাবে এই পোর্টালের মাধ্যমে।
টেস্ট ক্যাটাগরি নির্বাচন
লগইনের পর স্ক্রিনের উপরের বাম কোণে ‘বুক নিউ টেস্ট’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর আসবে টেস্ট ক্যাটাগরি নির্বাচনের পালা। একাডেমিক বা জেনারেল ট্রেনিং থেকে যে কোনো একটি বেছে নিতে হবে।
পরের ধাপে দেশ ও বিভাগ নির্বাচনের পর ফরম্যাট হিসেবে কাগুজে বা কম্পিউটার বেইজ্ড যে কোনো একটি বাছাই করতে হবে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে অ্যাক্সেসিবিলিটি রিকোয়ারমেন্ট বিকল্প। এই ক্যাটাগরিতে তাদের জন্য স্ক্রাইব, সহায়ক প্রযুক্তি, পরিবর্তিত শ্রবণ সিডি, শ্রবণ প্রতিবন্ধী সংস্করণ বা পরীক্ষার স্থানে শ্রবণসহায়ক ডিভাইস বহন করার সুযোগ থাকে।
বিভিন্ন মডিউলের টেস্টগুলো দেখার জন্য প্রথমে কাঙ্ক্ষিত তারিখটি বেছে নিতে হবে। বাছাই করা নির্দিষ্ট তারিখে ভেন্যু ও নিবন্ধন ফিসহ দিনের বিভিন্ন সময়ের টেস্টগুলো দেখা যাবে। এগুলোর মধ্য থেকে পছন্দসই সময় ও ভেন্যু অনুযায়ী ‘বুক টেস্ট’-এ ক্লিক করে টেস্ট বাছাই করা যাবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সরবরাহ
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদনের এই মূল ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হবে। এখানে মাতৃভাষা ও টেস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য যোগ করতে হয়। অতঃপর সংযুক্তি হিসেবে আপলোডের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে পাসপোর্ট বা এনআইডি কার্ডের স্ক্যান কপি।
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ যদি কাছাকাছি থাকে, তবে আইইএলটিএসে নিবন্ধনের আগেই রিনিউ করে নেওয়া আবশ্যক।
রিভিউ সেকশন
এ পর্যায়ে পরীক্ষার তারিখ, পাসপোর্ট এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুক্ষ্মভাবে যাচাই করতে হয়। কোনো ভুল হলে এটিই সঠিক ধাপ তা পরিবর্তন করার।
নিবন্ধন ফি পরিশোধ
এখানে প্রার্থী তাৎক্ষণিকভাবে কিংবা পরবর্তীতে অন্য যে কোনো সময়ে ফি পরিশোধ করতে পারেন।
ঘরে বসেই ফি পরিশোধের জন্য রয়েছে কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর মতো অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
এগুলোর মধ্য থেকে সুবিধাজনক উপায়টি নির্বাচন করে তার যাবতীয় বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। ফি সফলভাবে পরিশোধ হলে প্রার্থীর ই-মেইল ঠিকানায় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে একটি নিশ্চিতকরণ ই-মেইল পাঠানো হবে।
৪৮০ দিন আগে
চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এফিডেভিট দায়েরের জন্যে ওই দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন: রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের কঠোর ‘বাংলা ব্লকেড’
চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এফিডেভিট দাখিলের জন্যে অনুমতি দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করা হয়।
আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আলসাদি ভূঁইয়া ও আহনাফ সাঈদ খান।
তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রিটকারী পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সংহতি প্রকাশ
রিট আবেদনকারীপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নট টুডে’ (আজ নয়) বলে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
এ আদেশের পর কোটাবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, চাইলে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। এমন মন্তব্যের পর মঙ্গলবার দুইজন শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীদের পক্ষে আবেদন করেন। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৪ জুলাই শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। ক্রম অনুসারে বিষয়টি উঠলে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী অন রেকর্ড মো. জহিরুল ইসলাম একদিনের (নট টুডে) সময়ের প্রার্থনা জানান।
৫১৩ দিন আগে