খাল
ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমরা যদি ঢাকার খাল ও নদী নিয়ে না ভাবি তাহলে ঢাকাকে বাঁচাতে পারব না। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা খালের বাস্তব চিত্র খুঁজে বের করতে হবে। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে রক্ষা করতে আমাদের তাৎক্ষণিক, মধ্যমেয়াদি ও তিন বছরের রোডম্যাপ এবং সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, গুজব ছড়ানো হয়েছে
ঢাকায় পানি ভবনে বুধবার (৯ অক্টোবর) এক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এসময় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান প্রাথমিকভাবে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাল দূষণমুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকার বর্তমান প্রজন্ম কোনো পরিষ্কার খাল দেখেনি।
তিনি তার বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যুক্ত করে দ্রুত ঢাকার খাল ও নদী দূষণ এবং দখলমুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া তিনি ঢাকার খালগুলো দূষণ এবং দখলমুক্ত করার প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে: উপদেষ্টা
কৃষির উন্নতি নিয়ে সরকার কাজ করছে: কৃষি উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ঢাকার খালগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার যেসব খাল এখনও উদ্ধার করা সম্ভব, সেগুলো দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘বিগত ১০০ বছরে ঢাকা শহরের নগর প্রতিবেশ, ভূমি ব্যবহার, জীববৈচিত্র্যে স্থানিক, সময়ানুক্রমিক পরিবর্তন ও কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, অবৈধভাবে দখল খাল উদ্ধারে রাজউককে প্রতি সপ্তাহে অভিযান করতে হবে। কোনো অন্যায়কে বৈধতা দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, খাল উদ্ধারে অভিযান বাড়াতে হবে। ঢাকার উন্মুক্ত মাটিতে ঘাস লাগাতে হবে। এ কাজে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার নগর পরিকল্পনায় সবুজায়ন, জীববৈচিত্র্য ও জলাভূমি সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সবুজ ও জলাভূমি রক্ষায় সব বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
এছাড়া পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এসময় বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার ও বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক ও পরিবেশকর্মীরা অংশ নেন।
কর্মশালার শেষে ঢাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর পরে উপদেষ্টা রাবার বাগান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা করেন। তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
২ মাস আগে
নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই: ডিএনসিসি মেয়র
নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোর খালের আদলে ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চান বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডসের শহরগুলোতে দেখেছি দৃষ্টিনন্দন খাল। খালগুলোতে নৌযান চলাচল করে। তাই ঢাকার খালগুলোর উন্নয়ন করতে চাই।
এদিকে ডিএনসিসি আওতাধীন কল্যাণপুর খালের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি ও নেদারল্যান্ডসের ‘ডাচ ওয়াটার সেক্টর কনসোর্টিয়ামের’ মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মেয়রের কার্যালয়ে মেয়র ও ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেনের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম এবং সিডিআর ইন্টারন্যাশনাল বিভি বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিপ্রিয়ান হেনড্রিক্স সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় ডিএনসিসি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেদারল্যান্ডসের উত্তম কার্যক্রমের মডেল ও অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সহায়ক হবে। এই চুক্তির মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় কল্যাণপুর খালের সমন্বিত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এসময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, জলাধার ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের অংশীদার।
তিনি আরও বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২ হাজার ১০০ এবং পানি অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যান্য অনেক উদ্যোগের গর্বিত অংশীদার।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প একটি টেকসই এবং জলবায়ু সহনশীল ভবিষ্যতের দিকে একটি নতুন যাত্রা চিহ্নিত করবে।
জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসন করার জন্য কল্যাণপুর খালকে পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া এবং খালের পানির গুণমান উন্নত করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এর মাধ্যমে একদিকে যেমন কল্যাণপুরের চারপাশের সামগ্রিক পরিবেশের উন্নত হবে, তেমনি প্রস্তাবিত কল্যাণপুর হাইড্রো-ইকো-পার্কসহ অন্যান্য নগর উন্নয়ন উদ্যোগের সাফল্যকে ত্বরান্বিত করবে।
উল্লেখ্য, কল্যাণপুর খালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলো অনুসন্ধানের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, পাইলটিং এবং অন্যান্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে।
এরমধ্যে রয়েছে কল্যাণপুর খালের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চারপাশের এলাকার উন্নয়ন, পার্ক উন্নয়ন এবং বাঁধের সৌন্দর্যবর্ধন। সম্মিলিত এই প্রচেষ্টা কল্যাণপুর এলাকার রূপান্তর ঘটাবে, এর বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করবে। সেই সঙ্গে টেকসই নগর উন্নয়নের জন্য এটি একটি রোল মডেল হবে।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মাহে আলম, ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেলিগেটেড রিপ্রেজেন্টেটিভ-ওয়াটার নিলচা কিলেন, রেড অরেঞ্জ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক অর্ণব চক্রবর্তী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রকল্পের অনুমোদন: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসিতে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: মেয়র
৬ মাস আগে
খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে: ডিএনসিসির বর্জ্য প্রদর্শনীতে মেয়র
রাজধানীতে খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে বলে আক্ষেপ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বিচারে ময়লা ফেলায় ড্রেন ও খালের প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং এ কারণে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সময় লাগে।
তিনি বলেন, 'আমরা দেখছি অনেকে অসচেতনভাবে গৃহস্থালির বর্জ্য খাল, ডোবা, নালা, ড্রেনে ফেলে দেই। সারফেস ড্রেনে ও খালে এমন কোনো ময়লা নেই পাওয়া যায় না। আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে।’
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের স্যালাইন-পানি ও ছাতা বিতরণ করলেন ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। এগুলোর কারণেই মূলত পানি প্রবাহ নষ্ট হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার।'
শনিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় ডিএনসিসির সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠোনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খালে, ড্রেনে ও যত্রতত্র ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে সপ্তাহব্যাপী বর্জ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিএনসিসি। পরে মেয়র ঘুরে ঘুরে বর্জ্যগুলো দেখেন এবং প্রদর্শনীতে আসা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সচেতন করেন।
গুলশান-২ ডিএনসিসি'র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ১১ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ড্রেনে, খালে ও যত্রতত্র এসব বর্জ্য ফেলায় দূষণ হয় নগরের পরিবেশ। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আজকে এই বর্জ্য-প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি হয়। জনগণ যেন বুঝতে পারে কী ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ও খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে এই জন্যই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি।'
মেয়র আরও বলেন, 'উন্নত দেশে বাড়ির সামনের দিকে খাল থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো চিত্র। সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি বানায়। খালগুলোকে সবাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শহরের প্রতিটি খাল থেকে নানা ধরনের বর্জ্য পাওয়া যাচ্ছে। খালগুলোতে চেয়ার টেবিল, লেপতোশক, টায়ার, কমোড, সোফাসহ এমন কিছু নেই যে পাওয়া যায় না। সারফেস ড্রেনে প্লাস্টিক বোতল, পলিথিনে ভর্তি। এগুলোর কারণে ড্রেন ও খালের প্রবেশ মুখ ব্লক হয়ে থাকে। ফলে বৃষ্টি হলেই জলজট সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ড্রেন থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে সময় লেগে যায়।'
আরও পড়ুন: ৫৪টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রচার শুরু: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'এছাড়াও যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় জন্ম হয় এডিস মশার। আমাদের অসচেতনতায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হতে পারে। খাল জলাধার রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আর খাল-ড্রেন ও জলাধারে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করা অপরাধ। এই বিষয়ে আমি জনগণের সহযোগিতা চাই। নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল বলেন, 'রাজধানীতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতার জন্য ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে জলজট দূর করতে এই কুইক রেসপন্স টিম কাজ করছে।’ কোথাও পানি জমে থাকলে নগরবাসীকে ১৬১০৬ হট লাইনে যোগাযোগ করার কথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, ডিএনসিসি'র হট লাইনে অভিযোগ করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে যাবে এবং কাজ শুরু করবে।
খালে বর্জ্য ফেলা নিয়ে মেয়র বলেন, বৃষ্টি হলে শহরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়েছে। একসময় বিভিন্ন প্রধান সড়কেও কয়েকদিন জলাবদ্ধতা হতো। এখন আর প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন এখনো অল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা শুধু ড্রেনে ময়লা জমে জলাবদ্ধতা হয়। এখন কেউ খাল ও ড্রেনে বর্জ্য ফেললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুশিয়ারি দেন ডিএনসিসি মেয়র।
বর্জ্য প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: রিকশাচালকদের ছাতা-স্যালাইন-পানির বোতল দিলেন ডিএনসিসি মেয়র
৭ মাস আগে
সুন্দরবন থেকে বাঘের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলাধীন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের আন্ধারিয়া খালে ভাসমান অবস্থায় বন বিভাগ বাঘটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়। বন বিভাগের ধারণা গরমের কারণে বাঘটি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, বন বিভাগের সদস্যরা মঙ্গলবার বিকালে সুন্দরবনের জোংড়া এলাকার আন্ধারিয়া খালে টহলে ছিল। এসময় তারা একটি বাঘের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। ওই রাতে বাঘটির মরদেহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়। পরে সেখানে বনবিভাগ ও দাকোপ উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে প্রাণীসম্পদ বিভাগ বাঘটির ময়নাতনন্ত সম্পূর্ণ করে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গরমের কারণে ৩ থেকে ৪ দিন আগে বাঘটি হিটস্টোকে মারা গেছে। বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বাঘের মরদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে খালে পানি খেতে এসে বাঘটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত বাঘের মরদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার রাতে করমজলে আনা হয়। বাঘের চামড়া পচে গেছে। ময়নাতদন্ত করে বাঘের দাঁত ও হাড়গোড় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য বাঘের লালা, চামড়া, লিভার, রক্তসহ বিভিন্ন আলামত সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে বাঘের নিরাপ্তা নিশ্চিত করতে টহল ফাঁড়ির কার্যক্রমের পাশাপাশি স্মার্ট পেট্রোল করা হচ্ছে সুন্দরনে। বাঘ যাতে সুন্দরবন ছেড়ে লোকালয়ে বের হতে না পারে এজন্য বনের সীমানা এলাকায় বন বিভাগের টহল বাড়ানো হয়েছে।
সার্বক্ষণিক বন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে ডিএফও জানান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
৭ মাস আগে
রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ ১০তলা ভবন নিলামে বিক্রি করল ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মোহাম্মদপুরের বছিলার রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ভেঙে সরিয়ে নিতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় (ভ্যাট, আইটি ব্যতীত) ভবনটি বিক্রি করেছে ডিএনসিসি।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ভবনটির উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম।
আরও পড়ুন: শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কটি একটি আধুনিক ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক: ডিএনসিসি মেয়র
নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরদাতাকে ১৩ মার্চ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ সমাপ্ত করে অবশিষ্ট মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ভবন ভাঙার কাজ চলছে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ জানান, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়রের উপস্থিতিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি ভাঙা হয়।
তিনি আরও জানান, ভবনের মালিক ম্যাপ ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখে খালের সীমানায় ভবনের ৮০ শতাংশ পড়ার বিষয়টি মেনে নেয় এবং ভবনের মালিক ভবনটি ভেঙে নেওয়ার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরে ভবন মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী।
সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম নিজে সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন। টানা কয়েকদিনের অভিযানে খালের সীমানায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ছয়টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করেছে ডিএনসিসি
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
৯ মাস আগে
সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরণখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবনের কচিখালী এলাকার একটি খাল থেকে বাঘটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে বাঘটি কি কারণে মারা গেছে তা জানাতে পারেনি বন বিভাগ। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার বনের কচিখালী কার্যালয়ে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে জানান, বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া বাঘটির শরীরে কোন আঘাত বা গুলির চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বন কর্মকর্তার ধারণা করছেন যে- বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বাঘটি।
বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাহেব আলী জানান, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুন্দরবনের কচিখালী স্টেশনে গিয়ে মৃতবাঘটির ময়নাতদন্ত করেছে। সংগ্রহ করা বাঘের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করার পর বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে রুপার খাল থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।
২০২১ সালের মার্চে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা নদীর ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকায় বনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল দুইটি বাঘ। পরে বন বিভাগের সদস্যরা ওই মৃত বাঘ দু’টি উদ্ধার করে।
১০ মাস আগে
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদেরকে আমি ধিক্কার জানাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারা একশ’ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের দলখ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, নদী রক্ষা কমিশনসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিব। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব। অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে।
শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খাল এবং পরে পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খালের পাড় দিয়ে হেটে যান।
এসময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মত বিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, মূল খালের পাশে অনেক খাস জমি রয়েছে। সেসব খাস জমিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা করে দেওয়া হবে, খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, নান্দনিক গণপরিসর, পার্ক, নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ধাপে ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর আওতায় সূতিভোলা খাল ও সমুদ্র খালের উন্নয়ন হবে। প্রায় সাত কিলোমিটার খাল উন্নয়নের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, ঢাকার পূর্ব পাশে মোট প্রায় ২৯ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন ও খালগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। এ বছরের মধ্যে প্রথম ধাপে সূতিভোলা খালের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন করব এবং পরে বাকী ২২ কিলোমিটারের উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
১০ মাস আগে
ঝালকাঠিতে খাল থেকে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির রাজাপুরে খাল থেকে শাহরিয়া ইসলাম তাওহীদ নামে এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলায় দক্ষিণ রাজাপুর বলইবাড়ি এলাকায় তাফালবাড়ি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাওহীদ (১১) রাজাপুর এলাকার মিলন হাওলাদারের ছেলে। সে রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত শাহরিয়া ইসলাম তাওহীদ (১১) রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র এবং রাজাপুর সরকারি কলেজ এলাকার ইজিবাইকের গ্যারেজ মালিক মিলন হাওলাদারের ছেলে।
নিহতের পিতা মিলন জানান, দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় তাওহীদ। পরে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তাকে খাল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শিশুর পিতা মিলন অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) ফিরোজ কামাল জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার
নাটোরে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঝালকাঠিতে খাল থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির নলছিটিতে খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা (৭৫) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভরতকাঠি গ্রামের বুড়িরহাট ট্রলারঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বুড়িরহাট ট্রলারঘাটের সেনের খালের কাল ভার্টের নিচে অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তির ভাসমান লাশ দেখে নলছিটি থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয়রা খালে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নলছিটি থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রংপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে