আইসিআরসি
আইসিআরসি: মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখাই জেনেভা কনভেনশনের ৭৫ বছরের অর্জন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনটি (আইএইচএল) ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো যেকোনো পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিক, আহত যোদ্ধা এবং যুদ্ধবন্দিদের সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এই আইন যুদ্ধকালীন নিয়ম বা নীতি নামেও পরিচিত।
বুধবার (২৯ মে) আইসিআরসি বলেছে, এখনো এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও আইএইচএল’র তাৎপর্য ও প্রয়োগ প্রায়ই স্বীকৃতি পাচ্ছে না বা এটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।
২০২৪ সালে জেনেভা কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী, এটি আধুনিক আইএইচএলের ভিত্তি।
সর্বজন গৃহীত এই নিয়মগুলো যুদ্ধ পরিচালনার উপায় ও পদ্ধতিগুলো সীমাবদ্ধ করতে একটি নির্দেশিকার কাঠামো তুলে ধরে। যারা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না বা আর যুদ্ধে নেই, তাদের রক্ষা করার জন্যই নির্দেশিকাটি।
আরও পড়ুন: নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেছেন গণপূর্তমন্ত্রী
এই আইনগুলোর ভিত্তি সহজ। এটির আলোকে সশস্ত্র সংঘর্ষের সবচেয়ে খারাপ সময়েও আমাদের সাধারণ মানবতার প্রকৃত মূল্যবোধ অবশ্যই লালন করতে হবে।
এই চুক্তি অবশ্যই কনভেনশনের প্রতিটি ব্যাখ্যায় প্রতিফলিত হতে হবে। গত ৭৫ বছর ধরে আইএইচএল সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের রক্ষায় মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে।
জেনেভা কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত নীতিগুলো সহিংসতা ও জনমতের মেরুকরণের কারণে জর্জরিত বিশ্বে আজও আগের মতোই প্রাসঙ্গিক।
আইসিআরসি বলেছে, মূল চুক্তিগুলো অনুসমর্থন এবং একটি জাতীয় আইএইচএল কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশন গ্রহণ এবং মানবিক নীতি সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালির ওয়ার্ক ভিসা: মূল পাসপোর্ট জমা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
এটি জেনেভা কনভেনশন ও অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন ব্যান কনভেনশনের বিষয়ে দুটি দেশীয় আইনের খসড়া তৈরি করে আইএইচএলকে জাতীয় আইনে একীভূত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় আইনে আইএইচএলের পূর্ণ সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ এসব অর্জনকে একীভূত করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) হেড অব ডেলিগেশন অ্যাগনেস ধুর বুধবার বলেন, বাংলাদেশে আইসিআরসি এই ঐতিহাসিক মাইলফলক উদযাপনের জন্য বেশ কয়েকটি আউটরিচ ইভেন্ট ও উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এরমধ্যে রয়েছে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিযোগিতা।
ধুর বলেন, ‘আইএইচএল প্রচার ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরতে আমি উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষ, শিক্ষাবিদ ও সাধারণ দর্শকদেরও সম্পৃক্ত করব।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা জেনেভা কনভেনশনের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই মানবতার নীতির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হবে, যা এক শতাব্দীর তিন-চতুর্থাংশ সময় ধরে আমাদের পথ দেখিয়েছে।’
ধুর বলেন, “তারা প্রতিকূলতার মধ্যে মানবতার শক্তির সাক্ষ্য দেয়। এই ঐতিহাসিক ক্ষণে আসুন আমরা রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ডুনান্টের কথাগুলো স্মরণ করি- ‘আরও বেশি মানবিক হতে শেখার মধ্যেই সত্যিকারের অগ্রগতি নিহিত।’আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৬ মাস আগে
ভূমিকম্প: সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের পাঠানো মানবিক সহায়তা প্যাকেজ হস্তান্তর
সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় ও বিতরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ত্রাণ সামগ্রী ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিরিয়ার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্যাকেজ শনিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান সি-১৩০জে এর একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিরিয়ার দামেস্কে পৌঁছেছে।
সিরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান এবং সিরিয়ার স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী মোতাজ দুয়াজি দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন।
মানবিক সহায়তা প্যাকেজে শুকনো খাবার, ওষুধ, কম্বল, তাঁবু এবং শীতবস্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সিরিয়ার প্রতিপক্ষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সিরিয়ায় সফলভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য এএফডি, বিএএফ এবং এমডিএমআর-এর সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়াতেও উদ্ধারকারী দল পাঠাতে পারে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল তুরস্ক যাচ্ছে
তুরস্কে ২টি মেডিকেল ও উদ্ধারকারী দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আইসিআরসির সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসকে (আইসিআরসি) আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে আইসিআরসির সভাপতি পিটার মাউরার সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে আইসিআরসিকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময় নিজ দেশে নির্যাতানের শিকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আইসিআরসি সভাপতি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে মোট ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছি, আবারও বলছি- রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আসিয়ানের নেতারা বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বন্দ্ব বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি দূর্বল করবে: আইসিআরসি
মানবিক খাতের ভেতরে বা বাইরের বিষয়ে সংহত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলছে, জলবায়ু ও আর্থিক সহায়তা যাতে সংঘাতময় অঞ্চলগুলোতে পৌঁছে যায় এবং পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।
৪ বছর আগে