আইসিআরসি
ভূমিকম্প: সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের পাঠানো মানবিক সহায়তা প্যাকেজ হস্তান্তর
সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় ও বিতরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ত্রাণ সামগ্রী ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিরিয়ার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্যাকেজ শনিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান সি-১৩০জে এর একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিরিয়ার দামেস্কে পৌঁছেছে।
সিরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান এবং সিরিয়ার স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী মোতাজ দুয়াজি দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন।
মানবিক সহায়তা প্যাকেজে শুকনো খাবার, ওষুধ, কম্বল, তাঁবু এবং শীতবস্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে সিরিয়ার প্রতিপক্ষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সিরিয়ায় সফলভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জন্য এএফডি, বিএএফ এবং এমডিএমআর-এর সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়াতেও উদ্ধারকারী দল পাঠাতে পারে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল তুরস্ক যাচ্ছে
তুরস্কে ২টি মেডিকেল ও উদ্ধারকারী দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আইসিআরসির সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসকে (আইসিআরসি) আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে আইসিআরসির সভাপতি পিটার মাউরার সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন মর্যাদার সাথে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে আইসিআরসিকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে।’
এ সময় নিজ দেশে নির্যাতানের শিকার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আইসিআরসি সভাপতি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন তিনি।
কক্সবাজার জেলা এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে মোট ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেখ হাসিনার ছয় প্রস্তাব
এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৪ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছি, আবারও বলছি- রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল এ সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, আসিয়ানের নেতারা বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবেন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্রুত উদ্যোগ চান শেখ হাসিনা
সম্ভাবনাময় খাতে মার্কিন বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বন্দ্ব বিশ্বকে সবচেয়ে বেশি দূর্বল করবে: আইসিআরসি
মানবিক খাতের ভেতরে বা বাইরের বিষয়ে সংহত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলছে, জলবায়ু ও আর্থিক সহায়তা যাতে সংঘাতময় অঞ্চলগুলোতে পৌঁছে যায় এবং পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের লোকজনকে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।