মহালয়া
আজ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছে মহালয়া
দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে আজ শনিবার বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছে মহালয়া।
দেবী দুর্গার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ হিসেবে বিবেচিত মহালয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার এক সপ্তাহ আগে পালিত হয়।
হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে পৃথিবী নিজেকে প্রস্তুত করে এবং উদযাপনের মাধ্যমে দেবী এবং তার সন্তানদের আগমনকে স্বাগত জানায়। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিন থেকে দুর্গাপূজা শুরু হবে।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সকাল ৬টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই দিনে, হিন্দুরা তাদের মৃত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করে একটি পূজা করে এবং ব্রাহ্মণদের তাদের নামে জামাকাপড়, খাবার এবং মিষ্টি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসবে ঢল
বৃহস্পতিবার(১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি পূজা মন্ডপ থাকবে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজামন্ডপের সংখ্যা সীমিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মন্ডপে দুই লাখ আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন এবং জাতীয় জরুরি হটলাইন সেবা ৯৯৯ -এ কল এলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পূজা কমিটিগুলোকে মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উৎসব চলাকালীন ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ সব জেলায় কন্ট্রোল রুম থাকবে।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
১ বছর আগে
রাষ্ট্রের ভিত মজবুত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে সেই ভিত্তি মজবুত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইসলাম সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি। এই মর্মে মানুষের কল্যাণকে চেতনায় ধারণ ও অনুশীলন করলে দেশ ও পৃথিবী অনেক শান্তিময় হতো। ধর্ম নিয়ে হানাহানি থাকতো না। আমাদের দেশে যে অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চায়, সেই অপশক্তিকে সবাই মিলে দমন করতে হবে। তাহলেই যে চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র রচিত হয়েছে সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত আরও মজবুত হবে।’
রবিবার রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভ মহালয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর বিএনপিকে সবক্ষেত্রে প্রতিহত করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত সংগ্রাম এবং মিলিত রক্তের স্রোতের বিনিময়ে রচিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই সব ধর্মের অনুসরীরা একযোগে লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যার নেতৃত্বে এই দেশ রচিত হয়েছে সেই জাতির পিতাকে ৭৫ সালে হত্যা করার পর যে চেতনার ভিত্তিতে দেশ রচিত হয়েছিল সেই চেতনায় আঘাত হানা হয়েছে। ভুলুণ্ঠিত করার চেষ্টা এবং রাষ্ট্রকে আবার সাম্প্রদায়িক বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রের মূল চেতনার পুণরুদ্ধার করে মূল চেতনায় ফিরিয়ে নেয়া লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই রাষ্ট্রকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে তারা এখনও সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছড়ায় এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সবসময় কঠোর ব্যবস্থাও নিয়েছে। দেশে একটি রাজনৈতিক পক্ষ আছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে অপরাজনীতি করে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে আ.লীগ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটির কারণ হচ্ছে, মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা আছে, মানুষের সামর্থ্য আছে এবং একইসঙ্গে সরকার আপনাদের পাশে আছে। এই তিনটি কারণে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গত বছর বিভিন্ন জায়গায় পূজার সময় গণ্ডগোল করার চেষ্টা করা হয়েছিল এরপরও এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।
এ বছর অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সমগ্র দেশে পূজা উদযাপন এবং প্রতিমা বিসর্জন হবে। দুর্গা উৎসবের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক, সেই আনন্দ সারাবছর জাগরত থাকুক এবং আপনাদের আনন্দের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আনন্দময় হোক, শান্তিময় হোক এই আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করুন: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে, ভোর ৬টা ২মিনিটে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকরা। অভিনেতা মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, শিল্পী লাল দত্ত প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
সারাদেশ জুড়ে হিন্দুরা আজ মহালয়া উদযাপন করছে। বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে রবিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা।
হিন্দু ধর্মমতে, দুর্গাপূজা শুরুর সাত দিন পূর্বে দুর্গা দেবীর আনুষ্ঠানিক প্রার্থনা হিসেবে মহালয়া বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: শিকদারবাড়ির দুর্গোৎসব এ বছরও বড় পরিসরে হচ্ছে না
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিনে দুর্গাপূজা শুরু হবে। এবার দেবী দুর্গা মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হাতি (গজ) চড়ে পৃথিবীতে (মর্ত্যলোকে) আসবেন।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ভোর ৬টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
এই দিনটিতে হিন্দুরা মৃত পূর্বপুরুষদের পূজা করে এবং তাদের নামে ব্রাহ্মণদের পোশাক, খাবার ও মিষ্টি উপহার দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বছর সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপ হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা মণ্ডপে স্থায়ীভাবে আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
তিনি আরও বলেন, আমরা এসব পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী, এটা পুলিশ হতে পারে, হতে পারে আনসার, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেখানে সেইভাবে ব্যবস্থা করা হবে।
২ বছর আগে
সারাদেশে মহালয়া উদযাপন
ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- বিভিন্ন মণ্ডপে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে শনিবার ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা।
৫ বছর আগে