নিপীড়ন
হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজার প্রথম দিনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আট দফার প্রতি বিএনপির সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আপনারা যে আট দফা উল্লেখ করেছেন, আমরা তা বিবেচনা করছি। আট দফার মূল ইস্যুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা আপনাদের বলতে পারি, অতীতে যেমন প্রতিটি সমস্যায় আপনাদের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণকর্তা বলে দাবি করা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অতীতে তাদের ওপর যেসব নিপীড়ন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার পেছনেও তারা (আওয়ামী লীগের লোকজন) ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের দল সরকার গঠন করলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বৈরশাসকের সহযোগীদের চিহ্নিত করুন: রিজভী
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা নিজ সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে সংখ্যালঘুদের অন্যায় ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক ঘটনা।’
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে কীভাবে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলায় কারাবাস সহ্য করেছেন তার বর্ণনাও দেন।
তিনি সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
১ মাস আগে
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রস্তুতির কথা বলেন।
রাজধানীতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
রিজভী দাবি করেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ইউনিট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এছাড়া এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে তাদের দলের সব জেলা ইউনিট একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং যারা গুম এবং রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পুলিশ বানচাল করার পর থেকে ১০ দফা অবরোধ ও তিন দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসনে পরিণত হয়েছে… তারা চায় দেশের মানুষ সত্য ভুলে যাক এবং তারা সমাজ থেকে সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা বলা এবং মানবাধিকারের কথা বলা বা শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে দমন করার চেষ্টা করছে, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের প্রায় ২০ হাজার ৪৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
১১ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ওপর নিপীড়নের তদন্ত দাবি
মালয়েশিয়ার অভিবাসী কর্মীদের ওপর চলা নিপীড়নমূলক আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরায় প্রচারিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে একজন বাংলাদেশিকে সমন জারি করাসহ সার্বিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অভিবাসন খাতের ২২টি সংগঠন।
৪ বছর আগে