মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক আয় বাড়ানোর জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।’
বুধবার (৩১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সব নদী, নালা, খাল, বিল, মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাছে চাষের উপযোগী যত স্থান আছে তা খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা অর্জন করতে পারব।’
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি এসময় আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী