দোহা
বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে: দোহায় কাতারের শিক্ষার্থীদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার কাতারের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নেতা হওয়ার জন্য তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত সাতটি পরামর্শ তুলে ধরেছেন।
দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব পরামর্শ দেন।
তিনি 'বাংলাদেশ: আ ডেভেলপমেন্ট মডেল: লার্নিং ফ্রম শেখ হাসিনা' প্রতিপাদ্যের ওপর বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম থেকে ভবিষ্যত নেতাদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিতে চাই: প্রথম: উপযুক্ত মূল্য উপস্থাপন করুন, দ্বিতীয়: আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে মনোনিবেশ করুন, তৃতীয়: আপনার দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন, চতুর্থ: উদাহরণ দিয়ে নেতৃত্ব দিন এবং পরিবর্তনকারী নির্মাতা হোন, পঞ্চম: আপনার মানুষ ও দলকে বিশ্বাস করুন, ষষ্ঠ: আপনার মাতৃ-আত্মাকে আহ্বান করুন এবং সপ্তম: নতুন ও ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করুন।’
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাম্প্রতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ভূখণ্ড এক সময় ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির দেশ ছিল। ১৯৪৭ সালে অবিভক্ত ভারত বিভক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শাসকরা এটিকে নির্মমভাবে শোষণ ও লুণ্ঠন করেছিল এবং তারপরে পাকিস্তানিরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভিক্ষ, চরম দারিদ্র্য, অনাহার, অপুষ্টি, মৃত্যু ইত্যাদির ব্যাপকতা এই ভূখণ্ডে সাধারণ জনগণের প্রতি শাসকদের প্রতিশ্রুতিহীনতার কারণে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম ও ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তার সরকারের প্রথম শাসনামলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন যে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে তার দল পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এবং এরপর পরপর আরও দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে তারা বাংলাদেশকে তার বাবার স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ 'সোনার বাংলাদেশ' এর জন্য প্রস্তুত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয় এবং আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় সকল আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো কয়েকটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, যার জিডিপি হচ্ছে ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৫-২০০৬ সালে জিডিপি’র আকার ছিল মাত্র ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে। ২০০৫-২০০৬ সালে মাথাপিছু দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমি ৫ শতাংশ, যেখানে বর্তমান দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার দাঁড়ায় ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকায়। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ১০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মহামারি আঘাত হানার আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে ও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল সেবা, বিদ্যুতের সহজলভ্যতা, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং জলবায়ু অভিযোজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।’
এ ছাড়া গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণে বাস্তবায়নাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্প, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১৮ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও পল্লী স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়তায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা খাতে উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সমাজ এবং স্মার্ট জনশক্তি। মানুষকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা হবে, যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে।’
নারী শিক্ষা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সরকার নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এক দশকের প্রচেষ্টার পরে আমরা এখন লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছি… প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় আমাদের মেয়েদের পক্ষে লিঙ্গ সমতা রয়েছে।’
নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আমরা বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে রয়েছি। বাংলাদেশ সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা এবং সংসদ উপনেতা সবাই নারী। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষিত আসন রয়েছে। আমি আমাদের যোগ্য নারীদের সর্বত্র শীর্ষ নেতৃত্বের পদে বসিয়ে সমস্ত কাচের আবরণ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ। একে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে আমাদের কষ্টার্জিত উন্নয়ন অলৌকিক কিছু নয়। এটা আমাদের নারী ও পুরুষের সম্মিলিত কাজ। আমি শুধু তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছি। তবে আজকের অবস্থানে পৌঁছানো সহজ যাত্রা ছিল না। আমাকে সারা জীবন প্রচুর অগ্নিপরীক্ষা ও নিপীড়নের সম্মুখীন হতে হয়েছে।’
অগ্নিপরীক্ষা ও নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি শুধু আমার দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এটা চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। আমার স্বপ্ন আমাদের বদ্বীপকে আবারও সমৃদ্ধির দেশে পরিণত করা।’
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে কাতার ইকোনমিক ফোরাম-২০২৩ এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে সোমবার দোহায় পৌঁছান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে দোহায় তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
ফোরামটি ২৩-২৫ মে লুসাইল শহরের ফেয়ারমন্ট এবং র্যাফেলস হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ফোরামে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সোমবার দোহায় পৌঁছান।
বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে বের করাই এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য।
পরে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ দেবেন, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে, কাতারের জ্বালানিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিহ’র সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করবেন এবং কাতার ইকোনমিক ফোরাম গালা ডিনারে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
১ বছর আগে
কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে সোমবার দোহা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনদিনের সরকারি সফরে সোমবার দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ২৩ মে থেকে ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩-এ যোগ দিতে তিনি দোহা যাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট এদিন বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম: এ নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রম-২০২৩ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কাতার ইকোনমিক ফোরাম হলো-মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠস্বর যা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত।
এছাড়া এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ মে) শেখ হাসিনা তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন।
এছাড়া তিনি দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন তিনি।
বুধবার (২৪ মে) প্রধানমন্ত্রী ফোরামে যোগ দেবেন।
এছাড়া কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির (আমিরি দিওয়ানে) সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়াও শেখ হাসিনা আওসাজ একাডেমি (একটি বিশেষ স্কুল) পরিদর্শন করবেন।
এরপর দোহা ত্যাগ করে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
দোয়া করবেন যেন বাংলাদেশ মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকে: হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩-২৫ মে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ সফরের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
দোহায় অবস্থিত ফোরামটি কৌশলগতভাবে এশিয়াকে আফ্রিকা এবং তার বাইরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য কাতারের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক হাব ও এলএনজি জ্বালানি প্রযুক্তির অন্যতম নেতা হিসেবে এর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।
আয়োজকরা বলেছেন, ফোরামে বৈশ্বিক নেতা এবং উদ্ভাবকদের একটি কিউরেটেড গ্রুপ রয়েছে, যারা বর্তমানের আরও কিছু প্রাসঙ্গিক চ্যালেঞ্জের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। কারণ তারা আমাদের ভাগ করা ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন-ইরাক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এস আল-সুদানী, জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি, রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি পল কাগামে, কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইও আকবর আল-বাকার, সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ, সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-জাদান,কাতারের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এবং কাতার এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও সাদ শেরিদা আল-কাবি।
আরও পড়ুন: ইউএনইএসসিএপি’র ৭৯তম অধিবেশনে ৪ দফা সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে অন্যতম অতিথি উল্লেখ করেন।
কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩ বিশ্বব্যাপী সমাজ ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এমন উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর ফোকাস করবে।
২০২৩ সালের আয়োজনে এই চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়নে একটি নতুন রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রী ২২ মে দোহার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন এবং ২৬ মে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: যুক্তরাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে দোহা ছেড়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারে চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে বুধবার সকালে দেশের উদ্দেশে দোহা ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় সময় ১১টা) হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি বিকাল ৩টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি-৫) বিষয়ে জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ দোহায় আসেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কাতারে থাকার সময়, তিনি এলডিসি-৫ সম্মেলন, বিভিন্ন পার্শ্ব বৈঠক এবং একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখা মোজা বিনতে নাসের, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট সাবা করোসিসহ বিভিন্ন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোজা বিনতে নাসেরের সাক্ষাৎ
কাতার ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন শেখা মোজা বিনতে নাসের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সোমবার দোহায় ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে শেখা মোজা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের উন্নয়নে শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান।
মোজাকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেছেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জনগণের জন্য কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছি। আমি অসাধারণ কিছু করিনি।’
নাসের জানতে চেয়েছিলেন নারী ও শিশুদের জন্য বাংলাদেশ কী করছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫টি মূল সহায়তা প্রয়োজন: দোহায় প্রধানমন্ত্রী
এরপর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ; বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা বিস্তারের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি এবং বিনামূল্যে বই বিতরণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
বৈঠকে কাতার ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
কাতার ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন, সায়েন্স অ্যান্ড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট হল কাতারের একটি রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বাধীন অলাভজনক সংস্থা। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি এবং তার স্ত্রী মোজা বিনতে নাসের এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি-৫ সম্মেলন: দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
১ বছর আগে
এলডিসি-৫ সম্মেলন: দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫-৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) বিষয়ক জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর করছেন।
৮ মার্চ পর্যন্ত কাতারে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি-৫) সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছাড়াও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তিনি কাতারের আমিরের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। জ্বালানি খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউসিসি) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা কোরেসি ও ইউএনডিপি’র প্রশাসক আচিম স্টেইনারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কিউসিসিতে এলডিসি-৫ সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
এরপর তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কেগামে, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনের (আঙ্কটাড) মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরিন বোগডান-মার্টিনের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে রওনা হবেন শনিবার
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, লাওস ও নেপালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'সাসটেইনেবল অ্যান্ড স্মুথ ট্রানজিশন ফর দ্য গ্র্যাজুয়েট কোহর্ট অব ২০২১' শীর্ষক সাইড ইভেন্টে ভাষণ দেবেন।
শেখ হাসিনা ৬ মার্চ সেন্ট রেজিস দোহায় 'দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়াল অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী মালাউই-এর প্রেসিডেন্ট ড. লাজারাস ম্যাকার্থি চাকভেরার সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং কিউসিসিতে 'স্মার্ট ও উদ্ভাবনী সমাজের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ' শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে অংশ নেবেন। তিনি আবাসস্থলে আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে যোগ দেবেন।
৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী 'আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সংহতির ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী ড্যান জর্গেনসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন, কিউসিসিতে 'গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন: মার্চিং টুয়ার্ড স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন এবং কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ মার্চ (বুধবার) সকালে ঢাকার উদ্দেশে দোহা ত্যাগ করবেন।
দোহায় এলডিসি-৫ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, সংসদ সদস্য এবং তরুণদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নতুন ধারণা এগিয়ে নেবেন, সহায়তার নতুন অঙ্গীকার উত্থাপন করবেন এবং দোহা প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনের মাধ্যমে সম্মত অঙ্গীকার পূরণে উৎসাহিত করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবেন
১ বছর আগে
ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায়, কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
দোহার ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দুই ম্যাচে দুটি জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে। কাগজে কলমে ও শক্তির বিচারে ডেনমার্ককে হারাতে ফ্রান্সের খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা না। তবে অঘটনের ফিফা ফুটবল ২০২২ বিশ্বকাপে ঘটতে পারে যেকোন কিছুই। শেষ মুহূর্তেও বদলে যেতে পারে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক খেলার চিত্র।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ: কিভাবে দেখবেন ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ সরাসরি
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর প্রতিটি ম্যাচ বাংলাদেশের ১টি সরকারি টিভি চ্যানেলসহ মোট ৩টি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করছে। আপনি যদি তিউনেশিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া লাইভ ম্যাচ টি টিভিতে দেখতে চান সেক্ষেত্রে বিটিভি, গাজী টিভি অথবা টি-স্পোর্টস চ্যানেলে দেখতে পারবেন।
কোথায় দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
টিভিতে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ খেলা
বাংলাদেশ: BTV, Gazi TV, T-Sports
ভারত: Sports18, Sports18 HD, Sony TV Networks
পাকিস্তান: ARY Digital Network
নেপাল: Media Hub Private Limited
ভারতীয় উপমহাদেশ: Sony Network
টফি অ্যাপে লাইভ বিশ্বকাপ
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সাথে সাব-লাইসেন্সিং এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক। সুতরাং টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজি টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল, বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ।
বিশ্বকাপের জন্য ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক সম্ভাব্য একাদশ–
সম্ভাব্য লাইন আপ
ফ্রান্স: (৪-২-৩-১): লরিস (গোলরক্ষক), পাভার্ড, উপমেকানো, ভারানে, হার্নান্দেজ, চুয়ামেনি, রাবিওট, দেম্বেলে, গ্রিজম্যান, এমবাপে, জিরুদ
ডেনমার্ক: (৩-৪-৩) স্মাইকেল (গোলরক্ষক), ক্রিস্টেনসেন, অ্যান্ডারসেন, কেয়ার, হজবার্গ, এরিকসেন, মাহেল, ক্রিস্টেনসেন, ডামসগার্ড, ডলবার্গ, ওলসেন
সবমিলিয়ে দলদুটি মোট ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ফ্রান্সের জয় আটটি এবং ডেনমার্কের ছয়টি। অপর দুটি ড্র।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২: উরুগুয়ে-দ. কোরিয়া শূন্য গোলে মাঠ ছাড়ল
২ বছর আগে
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ব্রাজিল সার্বিয়াকে ২-০ গোলে পরাজিত করে।
ব্রাজিল কোচ তিতে একটি আক্রমণাত্মক স্কোয়াড দিয়ে শুরু করেছিলেন। যাতে চারজন ফরোয়ার্ড ছিলেন - নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রাফিনহা ও রিচার্লিসন। আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা একাই সার্বিয়ার রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার কাসেমিরোর সঙ্গে খেলেন।
কিন্তু সার্বিয়ার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ও দুর্দান্ত খেলে ব্রাজিলকে আটকে রাখতে চেষ্টা করে।
তবে নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রাফিনহা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
৩০ বছর বয়সী নেইমার তার তৃতীয় বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রে পৌঁছেছেন।
ব্রাজিল শেষ ২০টি উদ্বোধনী খেলায় ১৭টি জয় নিয়ে অপরাজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
জি গ্রুপের অন্য ম্যাচে ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ড।
এর আগে ২০১৮ সালেও ব্রাজিল ও সার্বিয়া গ্রুপ পর্বে খেলেছিল। সেবারও ব্রাজিল সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে হারায়।
ব্রাজিল একাদশ
অ্যালিসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহস, এলেক্স সান্দ্রো, ক্যাসেমিরো, পাকুয়েতা, নেইমার, রাফিনহা, রিচারলিসন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কোচ: তিতে
সার্বিয়া একাদশ
মিলিনকোভিচ স্যাভিচ, পাভলোভিচ, মিলেনকোভিচ, ভালেকোভিচ, মিলাদেনোভিচ, মিলিনকোভিচ স্যাভিচ, গুদেহ, লুকিচ, জিভকোভিচ, ট্যাডিচ, মিত্রোভিচ। কোচ: দ্রাগান স্টোকোভিচ
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২: উরুগুয়ে-দ. কোরিয়া শূন্য গোলে মাঠ ছাড়ল
পর্তুগাল বনাম ঘানা লাইভ স্ট্রিমিং, কোথায়, কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
২ বছর আগে
আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর সঙ্গে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া না দেয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
রবিবার (১০ অক্টোবর) কাতারের দোহায় আফগান-মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তালেবান এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘ভালো হয়েছে’। ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে মানবিক সহায়ত দেবে। তবে এর সাথে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই।
খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই আলোচনা কোনোভাবেই তালেবানদের স্বীকৃতির প্রস্তাবনা নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, তালেবানের সাথে হওয়া বৈঠকটি ছিল পেশাদার এবং প্রাণবন্ত।
পড়ুন: আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
চলতি বছরের ১৫ আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখল ও সেপ্টেম্বরে সরকার গঠনের পর থেকেই তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তালেবান সরকারকে অনেক দেশ সহায়তা করলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ।
কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবানের দুদিনের বৈঠক শুরু হয় শনিবার। প্রথম দফা বৈঠকের পর তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানান, তালেবান স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা তাদের দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে আফগানের মাটি কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না।
খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এখন তালেবানের প্রধান শত্রু আইএস। শুক্রবারের (৮ অক্টোবর) আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। ওয়াশিংটনও আইএসকে তালেবানের চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে।
পড়ুন: ২৩ যাত্রী নিয়ে রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত
পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী কাদির খান আর নেই
৩ বছর আগে