অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর সঙ্গে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া না দেয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
রবিবার (১০ অক্টোবর) কাতারের দোহায় আফগান-মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তালেবান এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘ভালো হয়েছে’। ওয়াশিংটন আফগানিস্তানে মানবিক সহায়ত দেবে। তবে এর সাথে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টির কোনো সম্পর্ক নেই।
খবরে বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই আলোচনা কোনোভাবেই তালেবানদের স্বীকৃতির প্রস্তাবনা নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, তালেবানের সাথে হওয়া বৈঠকটি ছিল পেশাদার এবং প্রাণবন্ত।
পড়ুন: আইএস নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চায় না তালেবান
চলতি বছরের ১৫ আগস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখল ও সেপ্টেম্বরে সরকার গঠনের পর থেকেই তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তালেবান সরকারকে অনেক দেশ সহায়তা করলেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ।
কাতারের দোহায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবানের দুদিনের বৈঠক শুরু হয় শনিবার। প্রথম দফা বৈঠকের পর তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানান, তালেবান স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা তাদের দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে আফগানের মাটি কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না।
খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এখন তালেবানের প্রধান শত্রু আইএস। শুক্রবারের (৮ অক্টোবর) আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। ওয়াশিংটনও আইএসকে তালেবানের চেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে।