রেললাইন
রেললাইন ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা, ট্রেন চলাচল শুরু
বকেয়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রেললাইন অবরোধ করার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সরে গেছেন রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মীরা। এর ফলে কমলাপুরের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টা থেকে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাওরানবাজার রেললাইন এলাকা অবরোধ করে রাখেন তারা।
অস্থায়ী এসব কর্মী (টিএলআর) দৈনিক কাজের ভিত্তিতে রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পোর্টার, গেটকিপার (ট্রাফিক/ইঞ্জিনিয়ারিং), খালাসি, ওয়েম্যান, অফিস সহকারী, ওয়েটিং রুম কেয়ারটেকারসহ বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত এবং দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি পান।
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুতির সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, অস্থায়ী শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল পৌনে এগারোটা থেকে কারওয়ান বাজার রেলপথ অবরোধ করলে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১২টা ৫০ মিনিটে তারা অবরোধ তুলে দিলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
এর আগে, গত ২৫ মার্চও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এই অস্থায়ী কর্মীরা।
৫ দিন আগে
নাটোরে আবারও ভেঙেছে রেললাইন
নাটোরের লালপুরে আবারও ভেঙে গেছে রেললাইন। তবে ডবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে আজিমনগর রেলস্টেশন ও আব্দুলপুর জংশনের মধ্যবর্তী বিহারি পাড়া এলাকায় রেললাইন ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আজিমনগর রেল স্টেশন ও আব্দুলপুর জংশনের মধ্যবর্তী বিহারি পাড়া এলাকায় রেললাইনে মাঝের একটি বেল ভেঙে প্রায় আধা ইঞ্চি ফাঁক হয়ে গেছে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা আব্দুলপুর জংশন কর্তৃপক্ষকে জানায়।
আরও পড়ুন: নাটোরের লালপুরে রেললাইন ভেঙে গেছে
আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, রেললাইনে ফাটলের বিষয়টি জানার পর রেলওয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। শ্রমিকরা রেললাইনের মেরামতের কাজ করছেন। তবে ডবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি, বিকল্প পথে ট্রেন আসা-যাওয়া করছে।
গত মাসেও বিহাড়িপাড়া এলাকায় রেললাইন ভেঙে গিয়েছিল বলে জানান স্টেশন মাস্টার জিয়া।
২ সপ্তাহ আগে
নাটোরের লালপুরে রেললাইন ভেঙে গেছে
নাটোরের লালপুরে রেললাইন ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে রেলওয়ের গ্যাংটিম লাইন চেক করার সময় আজিমনগর রেলস্টেশন থেকে ৩০০ গজ পশ্চিমে বিহাড়িপাড়া রেলগেট সংলগ্ন নর্থবেঙ্গল সুগারমিল এলাকায় রেললাইনে ভাঙা দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়।
এ অবস্থায় সকাল সোয়া ৭টায় রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী কমিউটার ট্রেন ধীর গতিতে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা স্থান পার হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা রেললাইন মেরামতের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান বলে জানান গেটম্যান আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ
ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জিয়া উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ের গ্যাংটিম কর্মীরা নিয়মিত রেললাইন পরিদর্শনে গিয়ে লাইনে ভাঙা দেখতে পান।
তিনি বলেন, ‘রেললাইনে ফাটলের খবর পাওয়ার পরেই সেখানে রেলের শ্রমিকরা গিয়ে মেরামত শুরু করে এবং দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেরামত কাজ শেষ করে রেলের প্রকৌশল শাখার কর্মীরা। এর পর থেকে স্বাভাবিকভাবে শুরু হয় ট্রেন চলাচল।’
আরও পড়ুন: রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
৩ সপ্তাহ আগে
রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
কুমিল্লায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে আপন রবি দাস নামে একজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ অক্টোবর) কুমিল্লার শাসনগাছা রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
আপন রবি দাস (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জমিনপুর গ্রামের সাধু রবি দাসের ছেলে। কাজের সন্ধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কুমিল্লায় গিয়েছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশন অতিক্রম করে যাওয়ার সময় রবি লাইনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ট্রেন থেকে হুইসেল বাজিয়ে সরে যেতে সতর্ক করা হলেও রবি দাস সরেননি। পরে ট্রেনে কাটা পড়েন রবি।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছেন। তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু ডায়েরি লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকরিয়া ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
২ মাস আগে
বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া রেললাইন আজ সচল হয়েছে: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া রেললাইন আজ সচল হয়েছে। এতে করে ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে আসতে সময় লাগছে মাত্র দুই ঘণ্টা।
জিল্লুল হাকিম বলেন, রাজবাড়ীতে ১০৫ একর জায়গার ওপর দেশের সর্ববৃহৎ রেল কারখানা হচ্ছে। এতে করে জেলার অনেক বেকার কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দেওয়া হবে: রাজবাড়ীতে রেলপথমন্ত্রী
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রবিবার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রেলপথমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তাই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যার পক্ষে সম্ভব ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া। সেই সঙ্গে জনগণকে স্বাধীনতার স্বপক্ষে যুদ্ধে নামানো ও সেই যুদ্ধে জয়লাভ করা।
আরও পড়ুন: ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তকারীরা হত্যা করল। আমাদের পিছিয়ে দেওয়া হলো। আর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে চক্রান্ত শুরু হলো। কিন্তু চক্রান্ত বেশি দিন থাকে না, চক্রান্ত বেশি দিন টিকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতাকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্তব্য হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলো। তারপর সমস্ত রকম ষড়যন্ত্র থেমে গেল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তারই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা পদ্মা সেতুর মতো একটা সেতু বানাতে পেরেছি। মেট্রোরেল তৈরি করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আপনাদের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঈদে প্রত্যেক মানুষ যারা ট্রেনে বাড়ি যেতে চেয়েছে তারা সহজে বাড়ি পৌঁছাতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমন একটা দল গঠন করব, এমন একটা আওয়ামী লীগ গঠন করব, যাদের নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করার দুঃসাহস বিএনপি কেন, কেউ করবে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সংস্কারের অভাবে রেললাইন ও সেতুতে ঘটছে দুর্ঘটনা
বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে একাধিক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও সংস্কার হচ্ছে না পুরোনো রেললাইন ও সেতু। দেশজুড়ে ৩ হাজার ৪০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-জয়দেবপুর এবং যশোর-আব্দুলপুর ডাবল রেললাইন। আর বাকি রেললাইনগুলো সিঙ্গেল রেললাইন এবং বেশির ভাগই জরাজীর্ণ। এসব রেললাইনে প্রতিনিয়তই ঘটছে লাইনচ্যুতিসহ নানা দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির প্রায় ৬৩ শতাংশই হয় ঝুঁকিপূর্ণ লাইন ও দুর্বল সেতুর কারণে। গত পাঁচ বছরে রেলপথে ২ হাজারের বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে ৫০০ যাত্রীকে।
রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, গত চার মাসে সারা দেশে রেল দুর্ঘটনা ও নাশকতার ঘটনা ঘটেছে ১৬০টি। এসব ঘটনায় ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না এসব দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: আবেদনের মেয়াদ শেষ হলেও ভিসা অনিশ্চয়তায় ১১ হাজারের বেশি হজযাত্রী
এদিকে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাযোগব্যবস্থায় রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এরপরও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। একের পর এক স্টেশন বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ রোলিং স্টক, জরাজীর্ণ রেল কারখানা, জনবলসংকট, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারা, টিকিট পেতে ভোগান্তি, টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যসহ নানা অব্যবস্থাপনা লেগেই আছে।
রেল মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে ৩১৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্রেন বিগত ১৫ বছরে চালু করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে ৮৪৩ কিলোমিটার রেলপথ। মেরামত করা হয়েছে ১ হাজার ৩৯১ কিলোমিটার রেললাইন।
আরও উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে, ১৪৬টি নতুন রেলস্টেশনের ভবন নির্মাণ, ২৭৩টি স্টেশন ভবন পুনর্নির্মাণ, ১ হাজার ৩৭টি নতুন সেতু নির্মাণ, ৭৯৪টি রেলসেতু পুনর্নির্মাণ, ১০৯টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ, ৬৫৮টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ, ৫৩০টি যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুনর্বাসন, ৫১৬টি মালবাহী ওয়াগন সংগ্রহ, ২৭৭টি মালবাহী ওয়াগন পুনর্বাসন ইত্যাদি।
রেলে বর্তমানে কোচ আছে ১ হাজার ৭৮৮, যার ৪৭ শতাংশেরই অর্থনৈতিক মেয়াদকাল শেষ। আর সচল ইঞ্জিন মাত্র ২৯৫টি, যার ৬০ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ। আর মালবাহী ওয়াগনের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৭টি, যার ৬৭ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ। রেলওয়েতে ৪৭ হাজার ৬০০ জনবলের বিপরীতে মাত্র ২৪ হাজার জনবল রয়েছে।
বেসরকারি তথ্য মতে, বর্তমানে সারা দেশে ৩ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি রেললাইন রয়েছে। এর মধ্যে মানসম্পন্ন রেললাইন মাত্র ১ হাজার কিলোমিটার। সিগন্যালিং ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, মেয়াদোত্তীর্ণ কোচ সংযোজন, জরাজীর্ণ রেললাইন, রেললাইন পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব ও জনবলের অভাবের কারণে রেল দুর্ঘটনা বাড়ছে।
গণপরিবহন বিশ্লেষক ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে একাধিক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও সংস্কার হচ্ছে না পুরোনো রেললাইন ও সেতু। নতুন প্রকল্পের পাশাপাশি পুরোনো রেললাইন ও সেতু যথাযথ সংস্কার না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ট্রেন লাইনচ্যুতিসহ নানা দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ডলার সংকট, দাম বেড়ে ১২৫ টাকায় উন্নীত
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন রেললাইনের পাশাপাশি পুরোনো রেললাইনগুলো মেরামত করতে হবে। মেরামতের পেছনে কম টাকা খরচ হয় বলে রেল সবসময় বিদেশ থেকে লোকোমোটিভ ও কোচ কেনায় আগ্রহী। আবার রেললাইন ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার নামেমাত্র করা হচ্ছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা কেনাকাটায় মন না দিয়ে বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ সংস্কার করাটাই জরুরি।’
এছাড়াও সিগন্যালিং ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, মেয়াদোত্তীর্ণ কোচ সংযোজন, জরাজীর্ণ রেললাইন, পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব ও জনবল অভাবের কারণে রেল দুর্ঘটনা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন নতুন লোকোমোটিভ, কোচ কেনা হচ্ছে। এসব কেনাকাটায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু এতে যাত্রীসেবার মান বাড়ছে না। এই লোকোমোটিভ ও কোচ যখন দেশে আনা হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে যে, এগুলো পরিচালনার জন্য মানসম্মত লাইন নেই। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব লাইন মেরামত না করেই কেনাকাটা করা হচ্ছে। এতে রেলের গতি বাড়ছে না। রেলের গতি কমছে।’
সম্প্রতি গাজীপুরের জয়দেবপুরে সংকেতের (সিগন্যাল) ভুলে দুই ট্রেন এক লাইনে এসে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিনই বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে একই ভুল হয়। ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ঢাকা-রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস সিগন্যালের ভুলে এক লাইনে চলে এলেও অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
এছাড়াও চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে গত এক মাসে তিনবার ভুল সংকেতের ঘটনা ঘটেছে।
সিবিআইএসে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সংকেত দেওয়া হয়। লাইন পরিবর্তনের সময়, পয়েন্ট ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনকে চলাচলের অনুমতি দেয় না সিবিআইএস। কিন্তু পুরোনো পদ্ধতিতে পয়েন্টসম্যানরা ট্রেনকে এক লাইন থেকে অন্য লাইনে নিতে পয়েন্ট তৈরি করেন। এতে ভুল হওয়া এবং স্টেশন মাস্টাররা সঠিক সংকেত দিতে না পারায় দুই ট্রেন এক লাইনে চলে আসার ঘটনা ঘটছে। আবার পয়েন্ট ঠিকভাবে তৈরি না হওয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ, শিশু ওয়ার্ডে আসন সংকট প্রকট
এদিকে গত এক দশক ধরে ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকাসংলগ্ন টঙ্গী জংশনও চলছে সনাতন সংকেত পদ্ধতিতে। ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থছাড়ে ধীরগতি এবং অন্যান্য জটিলতায় ঠিকাদাররা সময়মতো বিল পাচ্ছেন না। এতে কাজ এগোচ্ছে না। প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিবিআইএস চালু করাও সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী ইউএনবিকে বলেছেন, ‘বছরের পর বছর চলমান এসব প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় কম্পিউটারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা তথা কম্পিউটারবেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) নেই। সনাতন পদ্ধতির নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় মানুষ সংকেত দেন। মানুষ কাজ করলে ভুল হবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্ধেক জনবল দিয়েছে সংস্থাটি। সিবিআইএসে দুইজন কর্মী লাগলে সনাতনে লাগে পাঁচজন। যারা নতুন আসছেন, তারাও দক্ষ নন। শিখিয়ে-পড়িয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। সিগন্যালের ভুল রোধে এখন থেকে কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এ বিষয়ে প্রতিটি সিগন্যালে দক্ষ লোক বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও দক্ষ জনবল সংকট তবে আমরা দক্ষ জনবল নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
রেলওয়ে মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘রেল দুর্ঘটনা রোধে আমরা মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করব। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক আমরা খেয়াল রাখছি, কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি সিগন্যাল পরিচালনা করা যায়। আর যাতে কোনো ভুলের কারণে দুর্ঘটনা না ঘটে সেটি আমাদের লক্ষ্য।’
এছাড়াও রেলওয়ে থেকে জানা যায়, নতুন নিয়োগ পাওয়া জনবল পুরোনো সংকেত (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেননি। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারের সরবরাহ করা পয়েন্টসম্যান রেলের বিশেষায়িত কাজ জানেন না। এসব কারণে ভুল হচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া জনবলের দক্ষতায় ঘাটতি রয়েছে। আবার নিয়মিত লোক বদল হয়।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ঢাকায় বসবে ২২টি পশুর হাট
৭ মাস আগে
পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলপথমন্ত্রী
নতুন রেলপথ নির্মাণ করে পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন রেলপথ নির্মাণ করে সারা বাংলাদেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ট্রেনের যাত্রীদের সেবার মান বাড়িয়ে রেলকে একটি নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর পাংশা-বালিয়াকান্দি ও কালুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়োজনে পাংশা জর্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে যাবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কালোবাজারি চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসন্ন ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে না। সবাই স্বস্তিতে টিকিট পাবে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির চক্রের সঙ্গে ‘সহজ’ ডটকম ও রেলের কর্মচারীসহ অসাধু কিছু কর্মকর্তারা জড়িত।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের জন্য খাবারের মান উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষ টাকা দিয়ে খাবার কিনে খায়।
জিল্লুল হাকিম বলেন, বিএনপির সময় রেলপথ ধ্বংস করা হয়েছিল। এখন আবার রেলে আগুন দিয়ে রেলপথকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নেত্রকোণায় রেললাইনের ডগপিন, নাট-বল্টু খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা
নেত্রকোণার পূর্বধলায় রেললাইনের ৪০টি ডগপিন, নাট-বল্টু খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) সকালের দিকে উপজেলার জারিয়া বালুরঘাট সেতু এলাকায় এই অবস্থায় দেখতে পায় টহলরত আনসার সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জারিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মনির হোসেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশন ও জারিয়া স্টেশনের মাঝামাঝি বালুঘাটায় রেললাইনের ১৭ নম্বর সেতুর ওপর ৪০টি ডগপিন, নাট-বল্টু খোলা অবস্থায় দেখতে পান আনসার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
এদিকে যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা জারিয়াগামী ২৭২ ডাউন ট্রেনটি আসছিল। এমতাবস্থায় ট্রেনটি পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে জারিয়া স্টেশনের আগেই বালুঘাটায় থামান টহলরত আনসার সদস্যরা।
পূর্বধলা রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারী আবদুল মোমেন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান বলেন, খবর পেয়ে পরিদর্শন করেছি। রেললাইনে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্যরা পাহারায় আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত: যুবদল নেতা ও সহযোগী গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে
ফেনীতে রেললাইনের ১২টি স্লিপারের রিং খুলে নাশকতার চেষ্টা
ফেনীর ফাজিলপুর রেলস্টেশন এলাকায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের স্লিপারের রিং স্পাইক (ক্লিপ) খুলে নেওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেছেন আনসার সদস্যরা। এ সময় তারা খুলে নেওয়া ১২টি ক্লিপ রেখে পালিয়ে যায়।
এর আগে শনিবার ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেললাইনে ১৩০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ফেনী জেলা আনসার সূত্রে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা ফাজিলপুর রেল স্টেশন এলাকায় রেললাইনের স্লিপারের ক্লিপ খুলে ফেলার সময় টহলে থাকা কয়েকজন আনসার সদস্যের নজরে পড়ে। তারা ধাওয়া করলে ১২টি ক্লিপ ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
ফেনী জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট জানে আলম সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে টহল সদস্য বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছি।
ফেনী ফাজিলপুর রেলস্টেশন মাস্টার মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে রেলের লোকজন গিয়ে মেরামত করেছে। শিডিউলের ট্রেন চলাচলে অসুবিধা হয়নি। তবুও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ফেনীর রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া রেল পুলিশের কয়েকটি টিম ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেলপথ ও রেল স্টেশনে সর্তক পাহারায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী স্টেশন, শর্শদী, ধুমঘাট, ফাজিলপুর, কালিদহসহ রেললাইনের চারটি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১১টি, ফেনীর অংশে স্থানে স্থানে ব্যাটেলিয়ান ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ফেনী রেলস্টেশন মাস্টার মো. হারুন জানান, ঘটনাটি জিআরপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনে নাশকতা ও ট্রেনে আগুনে দেওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে অগ্নিসংযোগে মা-শিশুসহ ৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চায় জাতিসংঘ
হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪
১১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জে রেললাইনে বোমা নিক্ষেপের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জ ২ নম্বর রেলস্টেশনে ‘নাশকতার উদ্দেশ্যে’ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রেললাইন লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপের চেষ্টা করার সময় তিন যুবককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জয়নাল, হাবিবুর ও হাসান।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে সম্ভাব্য হামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশের একটি দল স্টেশনে রেললাইন পাহারা দিচ্ছে।
পুলিশ সদস্যরা লক্ষ্য করেন কিছু যুবক বিকালে রেললাইন লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপের চেষ্টা করছে।
পরে পুলিশ তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে বলে জানান এসআই মোখলেছুর।
তবে গ্রেপ্তারদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা, বিস্ফোরক আইন ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার পোস্তগোলায় বাসে আগুন
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ নেতা গ্রেপ্তার
১১ মাস আগে