ভারতীয় হাইকমিশনার
কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় মো. আব্দুস শহীদ ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাব দেন তিনি।
এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝে মধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।
এ সময় কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
শিগগিরই উচ্চ পর্যায়ের সাইন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসাবে ভারতে আছি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী আরও বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
৯ মাস আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই তা চলমান রয়েছে। আমাদের এই দুই দেশের সম্পর্ক আত্মত্যাগের সম্পর্ক।
তিনি বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের বন্ধন ব্যক্তিগত সম্পর্কের। যা দুই দেশের নাগরিকদের অটুট সম্পর্কের ধারাবাহিকতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ের মতো এমন অটুট সম্পর্ক বজায় থাকলে দুই দেশই বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বন্দরের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা উভয় দেশের সঙ্গে যুক্ত। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে আমরা যা প্রত্যাশা করি, সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন যাতে আরও অগ্রসর হয়, সেলক্ষ্যে কাজ করছে দুই দেশের সরকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সহধর্মিণী মানু ভার্মা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শিমুল আহমেদ শিমুল, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পোর্ট ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদসহ অন্যান্যরা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ'র সঙ্গে মতবিনিময় করে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
বঙ্গবন্ধু বিংশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী ও সাহসী নেতা: ভারতীয় হাইকমিশনার
১ বছর আগে
‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত একটি স্মারক অনুষ্ঠানে এর বহুল আলোচিত মাসিক প্রকাশনা ভারত বিচিত্রা’র একটি বিশেষ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করে পত্রিকাটির সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করেছে।
বৃহস্পতিবারের (৬ এপ্রিল) এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ভারতবিষয়ক প্রচারের ক্ষেত্রে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি অমূল্য মঞ্চ হিসেবে ভারত বিচিত্রার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি পত্রিকাটিকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে বর্ণনা করেন।
ভারত বিচিত্রার বিশেষ সংস্করণটি যৌথ পরম্পরা ও মূল্যবোধের পাশাপাশি ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে উদযাপন করে এবং এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্কের একটি নিদর্শন।
তিনি ভারত বিচিত্রার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে ভারত বিচিত্রা। ৫০ বছর ধরে দুই দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ককে ধারণ করছে।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ, দুই দেশের রক্তের সম্পর্ককে স্মরণ করেন। বাংলাদেশকে জি-২০ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি দেশ হিসেবে সঙ্গে রাখার কথা উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
‘ভারত বিচিত্রা মানেই বেলাল চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। বেলাল ভাই বহু লেখককে সেসময় একত্র করেছিলেন। ভারত বিচিত্রা থাকায় আমি লেখক হিসেবে জায়গা পেয়েছি। আমার মতো মানুষের লেখাও তিনি ছেপেছেন। একটি পত্রিকার ৫০ বছর টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
ঢাকার বারিধায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে তিনি বলেন, ভারত বিচিত্রার প্রচ্ছদগুলো সব সময় অনেক তাৎপর্যপূর্ণ হয়। বঙ্গবন্ধু, গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ- যখন যাকে তুলে আনা দরকার তখন তাকে তুলে এনেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
১ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও তার সহধর্মিণী মিসেস ভার্মা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফর করেছেন।
শুক্রবার এই সফরে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি
সমাধি সৌধে লিখিত মন্তব্যে হাইকমিশনার বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও গৌরবময় পরম্পরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতির জন্য তার অনন্য ত্যাগস্বীকারের চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন।
গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
তার গৌরবময় পরম্পরা ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি আলোর দিশা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় অবিচল অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রণয় ভার্মার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার ও মানুষে-মানুষে বিনিময়ের প্রসারের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আমাদের স্থলবন্দরসমূহের সংযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো শক্তিশালী করার এবং সীমান্ত হয়ে পণ্য ও মানুষের চলাচল ক্রমান্বয়ে সহজতর করার জন্য উভয় পক্ষের অব্যাহত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শনে আসেন। হাইকমিশনার বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে বন্দরের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসম তিনি উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য সহজীকরণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপির তাৎপর্য এবং পণ্য ও যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে এর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবেশদ্বার, যেখানে স্থল-ভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি এই স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এই সীমান্তটি চব্বিশ ঘন্টা চালু রয়েছে।
যাত্রীদের চলাচলের ক্ষেত্রে পেট্রাপোল-বেনাপোল আইসিপির গুরুত্বের প্রেক্ষিতে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়েছিল।
যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত চলাচলের চাহিদা পূরণের জন্য দ্বিতীয় একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিংও নির্মাণাধীন রয়েছে।
এছাড়াও, ভারত সরকারের অনুদান সহায়তায় দ্বিতীয় একটি কার্গো টার্মিনাল গেট নির্মিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিদিনের আন্তঃসীমান্ত যানবাহনের যাতায়াতকে দ্বিগুণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিশ্বে ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড়ো বাণিজ্য অংশীদার। বিগত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি গত তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০২১-২২ সালে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। বৈচিত্র্যময় বাজার নিয়ে ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সংযোগ ও বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং এই দুই দেশ ও জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সাথে জড়িত থাকার যৌথ প্রত্যয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা
১ বছর আগে
আপনাদের উন্নয়নের জন্যই আপনাদের গণতন্ত্র: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় সুখী, সমৃদ্ধ ও সফল দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আপনাদের গণতন্ত্র আপনাদের উন্নয়নের জন্য।
শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসময় তিনি বীর শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন ও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
দোরাস্বামী যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ায় তিনি আগামীকাল বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবর্ধনায় দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি ট্রেনের মতো এবং ট্রেনটিকে অবশ্যই একসঙ্গে চলে আরও মহৎ কিছু করা অব্যাহত রাখতে হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত মনে-প্রাণে সম্পর্কিত, এটি রক্তের বন্ধনের চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভারতীয় হাইকমিশনারের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
সোমবার (১৫ আগস্ট) হাইকমিশনার ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্যদের গুলিতে বঙ্গবন্ধু তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন
২ বছর আগে
আমরা কোনো সীমান্তেই প্রাণহানি চাই না: ভারতীয় হাইকমিশনার
সীমান্তে হত্যা বন্ধে বিএসএফকে নির্দেশনা দেয়া আছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত কখনোই চায় না কোনো সীমান্তে প্রাণহানি ঘটুক। সোমবার দুপুরে দিনাজপুরে একটি অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বিএসএফ কখনো কোন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় না। কিন্তু অনুপ্রবেশসহ সীমান্ত সুরক্ষায় এবং কখনো কখনো নিজের আত্মরক্ষার্থে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে গুলি চালাতে বাধ্য হতে হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্ত হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক আর ভারতের জন্য লজ্জা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করলে সীমান্তে অনাকাংখিত ঘটনা বা প্রাণহানি শুন্যে নেমে আসবে বলে তিনি জানান।
এর আগে (সকালে) দিনাজপুর শহরের রায়সাহেব বাড়ীতে শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল উদ্বোধন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
এছাড়াও দিনাজপুরের কান্তজীউ মন্দির পরিদর্শনসহ ৮টি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দ্রুত ও জরুরিভাবে টিকা পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ দ্রুত ও জরুরিভাবে টিকা পাবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী শনিবার পুনরায় বলেছেন যে পূর্বের আশ্বাস অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারতীয় উৎপাদকের কাছ থেকে ‘দ্রুত ও জরুরিভাবে’ করোনাভাইরাস টিকার সরবরাহ পাবে।
৩ বছর আগে
অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ উদাহরণ বাংলাদেশের দুর্গাপূজা: ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশের দুর্গাপূজা অসাম্প্রদায়িকতা বা সার্বজনীনতার আদর্শ উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
৪ বছর আগে