গুরুত্বারোপ
তরুণ জনশক্তিকে দক্ষ করতে দৃষ্টিভঙ্গি-নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান ড. ইউনূসের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,আমাদের আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে যে, কীভাবে লাখ লাখ তরুণকে এমন একটি কর্মক্ষেত্রে দক্ষ করে তোলা যায়- যেখানে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, নৈতিকতাও কঠিন দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা তারপরও ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রবাবে লাখ লাখ লোককে পুনরায় দক্ষ করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হয়েছি।’
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং ডি-৮ সেক্রেটারি জেনারেল অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এখন মৌলিক এআই-ভিত্তিক সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সুবিধা আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আসুন আমরা একটি সহযোগিতামূলক শিক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে চিন্তা করি, যা আমাদের জাতীয় উদ্যোগের পরিপূরক হতে পারে।’
অধ্যাপক ইউনূস কায়রো ঘোষণা এবং সম্মেলনের ফলাফল গ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সমাধানে তাদের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা ও অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটান। সকলকে তাদের সম্মিলিত কর্মসূচিগুলোকে নতুন করে দেখার আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
সামনে এগিয়ে যাওয়ার উপায় হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা দুটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রস্তাব করেন।
ফলিত বিজ্ঞান বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রথমত, আসুন আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকরী, প্রভাবিত সংযোগ তৈরি ও গভীর করি, বিশেষত ছেলে এবং মেয়েদের স্বার্থে তাদের উদ্যোক্তা হিসাবে প্রস্তুত করার দিকে মনোনিবেশ করি।’
ড. ইউনূস বলেন, উদ্যোক্তা ও উচ্চতর জ্ঞানকে বর্তমানের চেয়ে অনেক কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ফলাফল ভিত্তিক জ্ঞানার্জন। যা ডি৮ দেশগুলোর তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারের নেতাদের কাছ থেকে বিশ্বব্যাপী সুরক্ষিত ব্যবসা এবং শিল্প তৈরি করতে পারে। যদি ডি-৮ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কাঠামোর দিকে নতুন করে নজর দিতে বলা হয়, তাহলে আমাদের তা করা উচিত।’
ড. ইউনূস বলেন, মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবসার পরিবর্তন কেবল মাত্র তাদের পেশা হবে না, বরং তারা নতুন সভ্যতা গড়তে সামাজিক ব্যবসায় জড়িত হবে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, বহু বছর ধরে আমরা প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে আমাদের দেশগুলোতে লাখ লাখ লোককে মৌলিক শিক্ষা এবং দক্ষতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘১২০ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায়শই এটি একটি ক্রমবর্ধমান কঠিন কাজ। একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে আমরা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, তারা এমন এক সময়ে মিলিত হচ্ছেন যখন বিশ্ব নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ‘তারপরও অনেক সুযোগ আমাদেরও তাক লাগিয়ে দিচ্ছে।’
ড. ইউনূস বলেন, 'তরুণ ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) ওপর আলোকপাত করা এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য আমাদের অভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যথাযথভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’
ডি-৮ দেশগুলোতে বিশাল জনগোষ্ঠী রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে গড় মধ্যবয়সী (২৭ বছর) বেশি।
তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। একটি বেসরকারি খাত চালিত অর্থনীতিতে, আমরা যখন তাদের বাজারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করি বা চটপটে উদ্যোক্তা হিসাবে আত্মপ্রকাশে উৎসাহিত করি, তখন আমরা দেখতে পাই যে প্রযুক্তির উত্থান কীভাবে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলো তৈরি করছে যা আগে কখনও হয়নি।
আমাদের দেশে ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যান্ডস্কেপে লাখ লাখ শ্রমিক রয়েছে যাদের সাধারণত কম দক্ষ।
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
ড. ইউনূস বলেন, 'কিন্তু আগামীর উৎপাদন ও সেবা অর্থনীতি দ্রুত রূপান্তরিত হচ্ছে, যা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ডেটা-চালিত সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশনের উপর নির্ভর করে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি এখনও সমাজ ও অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তারা দেখতে পায় যে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র কৃষকের সন্তানরা তাদের পিতামাতারা ঐতিহ্যের বিষয় হিসাবে যেভাবে গ্রহণ করেছিলেন সেভাবে তাদের জন্য কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায়শই অনিশ্চিত কৃষিকাজ করতে খুব কমই আগ্রহী।
ড. ইউনূস বলেন, 'বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল এমনকি এশিয়া, আফ্রিকা ও আরব বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ করে আমি দেখেছি আজকের লাখ লাখ তরুণ চারপাশের সবকিছুতে দ্রুত প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে গ্রহণ করছে। এটি হচ্ছে- হয় দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জ ঘুরিয়ে দিতে অথবা নতুন নতুন সুযোগের সন্ধান করতে। এসব কয়েক বছর আগেও অনেকে অসম্ভব বলে মনে করত।
প্রায়শই, তরুণরা মাঠে অসহনীয় জলবায়ু চাপ মোকাবিলায় অদ্ভুত কল্পনা করছে।
ড. ইউনূস বলেন, 'আমি বিশেষ করে এটি গুরুত্ব দিচ্ছি যে, আমাদের কৃষি ও খাদ্য আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের নিজস্ব সমাজে সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হচ্ছে।’
এর ফলে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) তাদের বিবেচনায় আসে।
বেশিরভাগ এসএমই অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির মধ্যে সাফল্য লাভ করে। তারা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে বৃদ্ধি এবং সংযুক্ত হতে চায়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্রায়শই, তাদের আনুষ্ঠানিক কাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন বা সমর্থন আর্কিটেকচারের সুবিধার অভাব রয়েছে এবং তারা বাজারের নিয়ম-অনুশীলন-মানগুলোর সঙ্গে অপরিচিত। তবুও, আমি দেখতে পাচ্ছি যে এসএমইগুলো কতটা আশ্চর্যজনকভাবে সক্ষম এবং প্রতিযোগিতামূলক।’
তিনি বলেন, ডি-৮ দেশগুলোতে সম্মিলিতভাবে তাদের যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। এমনকি ব্যক্তিগত জনকল্যাণমূলক অবস্থায়ও এই অসংখ্য এসএমইর পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের সামান্য সমর্থন দিয়ে আমরা তাদের জন্য এবং আমাদের জনগণের জন্য একটি পুণ্যময় 'শুভ চক্র' গঠন করতে পারি। আমাদের উচিত ঝুঁকিমুক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে তাদের কাছে অর্থ প্রবাহের সুযোগ করে দেওয়া।”
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা যা আলোচনা করি তার বাইরে আমরা ডি-৮ সরকারগুলো, যুব সম্প্রদায় - স্টার্টআপ - ব্যবসা - অর্থের সঙ্গে জড়িত অকপট, ফলাফল-ভিত্তিক কথোপকথনের আয়োজন করি। দেখুন আমরা তাদের মধ্যে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারি কিনা। বাংলাদেশ এ ধরনের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে এবং ২০২৫ সালে প্রথম মাল্টি-স্টেকহোল্ডারদের বৈঠক আহ্বান করুন।’
তিনি বলেন, যুব উদ্যোক্তাদের বিশ্ব হিসাবে 'কাজের ক্ষেত্র' যেভাবে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, ডি-৮ দেশগুলোকে তাদের ছেলে এবং মেয়েদের অর্থনীতির নেতা হওয়ার জন্য জায়গা তৈরি করতে 'শিক্ষা' পুনরায় উদ্ভাবন করতে হবে।
ইউনূস বলেন, 'আমাদের দেশে রয়েছে সুমহান ঐতিহ্য, প্রজ্ঞা ও অর্জন। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে আমরা সেগুলো সন্নিবেশিত করতে পারি এবং তৈরি করতে পারি।বহু বছর ধরে আমাদের সঙ্গে থাকা ডিজিটাল বিপ্লবের পূর্ণ সুবিধা আমরা এখনও গ্রহণ করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, 'এখন যেহেতু এআই এসেছে, আসুন আমরা চিন্তা করি, আমাদের উদ্যোক্তা ছেলে-মেয়েদের সুবিধার্থে লাফিয়ে বাধাগুলো দূর করতে পারি।’
আরও পড়ুন: সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত ড. ইউনূসের
৩ দিন আগে
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
গণভবনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. নলিনী তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে জোর দেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: জাতীয় অগ্রগতিতে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
এসময় থাই বিনিয়োগকারীদের তাদের পর্যটন ব্যবসার বিকাশের জন্য কক্সবাজারে একটি বিশেষ জমি বরাদ্দের প্রস্তাব করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'থাই বিনিয়োগকারীরা যাতে তাদের পর্যটন ব্যবসা বিকশিত করতে পারে সেজন্য কক্সবাজারে একটি পৃথক জমি দিতে পারে বাংলাদেশ।’
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান।
থাই ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দল নিয়ে চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছেন থাইল্যান্ডের মন্ত্রী ও থাই বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. নলিনী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। সুনীল অর্থনীতির জন্য দেশের সমুদ্রসীমাকে কাজে লাগানোর ওপরও জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমাদের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। থাই বিনিয়োগকারীরা এখানে তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিতে পারে।’
এসময় ড. নলিনী বলেন, তারা বাংলাদেশে জ্বালানি, লজিস্টিকস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সামুদ্রিক খাদ্য এবং পর্যটন খাতে সম্ভাবনা খুঁজে বের করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, 'তারা এখানে সক্রিয়ভাবে অংশীদার খুঁজছেন এবং সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।’
হালাল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে আগ্রহ প্রকাশ করে থাই প্রতিনিধিদল জানায়, তাদের হাজার হাজার হালাল খাদ্য পণ্য রয়েছে এবং বৈশ্বিক ও জাতীয় উভয় বাজার ধরতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার একটি চমৎকার সুযোগ দেখতে পায়।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, 'এই খাতে সহযোগিতা করার এবং বৈশ্বিক ও জাতীয় বাজারে যুক্ত হতে বাংলাদেশের জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।’
বৈঠকে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন।
আরও পড়ুন: আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে রপ্তানিকারকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
৫ মাস আগে
রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বাজার যেমন বাড়াতে হবে তেমনি পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্যও আনতে হবে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে নিকারাগুয়ার নেতাদের অভিনন্দন
তিনি আরও বলেন, উৎপাদিত পণ্যে গুনগত মান যেন নিশ্চিত থাকে সেদিকেও ব্যবসায়ীদের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলটি ব্যবসা, বাণিজ্য, রপ্তানি ও সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
আরও পড়ুন: ১৯৭৫ সালের পর ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
এসময় তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ নানা কারণে সৃষ্ট কিছু সমস্যাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যথাসম্ভব সমাধানের আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, প্রাক্তন সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমানসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় হাঙ্গেরি ও কিরগিজস্তানের অভিনন্দন
১০ মাস আগে
কানেক্টিভিটির মূলে থাকা অংশীদারিত্বের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণ থেকে জনগণের (পিটুপি) মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কানেক্টিভিটির দীর্ঘমেয়াদি তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, একটি সমন্বিত ভূগোল এবং অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগের সুযোগ এবং গুণমান বৃদ্ধি একটি সাধারণ আকাঙ্ক্ষা, পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি।
শনিবার এক সেমিনারে হাইকমিশনার বলেন, সড়ক ও রেল, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, জ্বালানি ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সংযোগ গড়ে তোলা হবে।
তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্যকে শক্তিশালী কানেক্টিভিটি উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগের শিকড় বলে বর্ণনা করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংযোগের উদ্যোগগুলোও পারস্পরিক সহানুভূতি এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একই চেতনা দ্বারা পরিচালিত হয়। যা আমাদের জনগণ এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণ ও মঙ্গলকে কেন্দ্র করে।
সেমিনারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পণ্ডিত, বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যমকর্মী এবং অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
'ডেভেলপমেন্ট অব চট্টগ্রাম থ্রু ইনহ্যান্স কানেক্টিভিটি: প্রস্পেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক সেমিনারে হাইকমিশনারকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐক্য পরিষদের সহযোগিতায় শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
আরও পড়ুন: ভারত পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ঠিকানা: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
বাঙালির সহস্র বছরের আকাঙ্ক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়ন করেন বঙ্গবন্ধু: হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী
১ বছর আগে
দেশের উন্নয়নে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ মঙ্গলবার বঙ্গভবনের মন্ত্রিসভা হলে বঙ্গভবন তোশাখান জাদুঘরের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে কতটা এগিয়ে নিতে পারব তা নির্ভর করবে প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং এর সঠিক ব্যবহারের ওপর। আমাদের তরুণ প্রজন্ম খুবই মেধাবী।
তিনি আরও বলেন, যদি তাদের সঠিক সুযোগ দেওয়া হয়, তবে তারা যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
আবদুল হামিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে; বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের, প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ অংশীজনদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ নিতে বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভিআর এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সঠিক বিকাশের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা, মৌলিক গবেষণার সুযোগসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশে প্রযুক্তির যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ভিআর প্রযুক্তি সত্যিকার অর্থে মানুষের জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করবে। আমাদের এখন থেকে এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হবে।
সংস্কারের পর রাষ্ট্রপতি হামিদ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং ম্যাজিক সফটওয়্যার লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, বঙ্গভবনের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে শেষবারের মতো বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বাণিজ্য সক্ষমতার বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার-প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি।
রিয়াদে বুধবার তার কার্যালয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
মহামারি কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এটা বাংলাদেশের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ভাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।
এ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান। তিনি এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
মন্ত্রী ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে জানান, তার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে নেয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি এ মাসের শেষে দু’দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম যৌথ কমিশন সভার বিষয়েও অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ১৩৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকরী সহায়তার আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশের মৎস্য, হালাল মাংস, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স ও সিরামিক পণ্যের মতো অগ্রসরমান বিভিন্ন খাতের উল্লেখ করে সৌদি আরবে এসব পণ্য আমদানি বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া দুপক্ষের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সৌদি বিনিয়োগ এবং এ বিষয়ে সৌদি প্রস্তাবের ওপরও বৈঠকে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুপক্ষের সম্মতির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান।
মন্ত্রী এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সক্ষমতার বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর প্রচার-প্রসারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও তিনি এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব সৌদি চেম্বার্স এন্ড কমার্সের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া সৌদি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সফরের আমন্ত্রণবার্তা পৌঁছে দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-কাসাবি তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশের বানিজ্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের নুতন মাত্রা হিসেবে দ্বিপক্ষীয় কার্যকর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে পারস্পারিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করে বৈঠকের সমাপ্তি হয়। সভায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাস হতে মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা ও ইকনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
৪ বছর আগে