গোমতী নদী
বিপৎসীমার নিচে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
গোমতী নদীর পানি কমতে থাকায় কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিনে কুমিল্লাতে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং উজান থেকে পানি না আসায় পানির স্তর নামছে।
গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর বুরবুড়িয়া বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি বের হয়ে যাওয়াও কমেছে। এর ফলে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পানি কমছে।
এছাড়া প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চল লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি আছে। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বন্যাদুর্গতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কুমিল্লায় পর্যাপ্ত ত্রাণ এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণলো বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
এছাড়াও বন্যার্তদের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে ২২৫টি মেডিকেল টিম।
২ মাস আগে
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপরে, ঝুঁকিতে বাঁধ
কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে নদীর চরে থাকা ঘরবাড়ি।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিপৎসীমা থেকে ৫৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
এদিকে গোমতী নদীর তীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টির কারণে বেড়েই চলেছে নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গোমতী নদীর আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, মুরাদনগর উপজেলার অন্তত ২৫টি স্পটে ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রজেক্টে পানি ঢুকেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
এদিকে প্রবল বর্ষণে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন জায়গায়ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর চকবাজার, কান্দিরপাড়, সালাউদ্দিন মোড়, চর্থা, ঠাকুরপাড়া, ডিসি রোড, বাগিচাগাঁওসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
২ মাস আগে
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-১
চাহিদা মতো প্রশিক্ষণ শিবির চালু না হওয়াতে যুব শিবির নামে কিছু ট্রানজিট ক্যাম্প চালু হয়েছে। তাছাড়া পরিবারের সাথে ক্ষুদ্র কুড়েঘর শেয়ার করে থাকার চাইতে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেয়া উত্তম। কেউ দেশের গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আবার কেউ শহরে ঘরের কোনে লুকিয়ে আছে। ছাত্র শিক্ষক, শ্রমিক বিভিন্ন পেশার লোক, এমনকি জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়া দাগি আসামিরাও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে শুরু করেছে। বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিরোধ করা সেনা বাহিনী, ইপিআর, আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ সদস্যরা ক্লান্ত। যুদ্ধ করার সাপোর্ট পাচ্ছে না। অগত্যা তারাও ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে যোগ দেয়া শুরু করলো। যুদ্ধে যেতে হবে কি হবে না তা কাউকে বলে দিতে হচ্ছে না। দেশের এই ক্রান্তিকালে কেউ বসে নেই আদেশ-নির্দেশের অপেক্ষায়।
কাঠালিয়া ক্যাম্পে জনস্ফীতি, অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তার কারণে এখান থেকে ক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানানো হলো। শত্রুর কামানের গোলার রেঞ্জের মধ্যে এরূপ ক্যাম্প থাকা বিপদজনক। গোলাগুলির শুরুতেই অনেক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হবে। ক্যাম্প কোথায় যাবে জল্পনা কল্পনা চলল। হাবিলদার মেজর নির্দেশ দিল সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে সকাল সকাল তৈরি হয়ে নিতে। কে কি গোছাবে। আছেইবা কি? কারো পকেটে টাকা পয়সা নেই। একজন সেনা সদস্য জানালেন সরকার গঠন করা হয়েছে। এখন টাকশাল বসে যাবে। টাকা ছাপানো শুরু হলেই বেতন ও পকেট খরচ দেয়া হবে। সহজেই বিশ্বাস করলাম। তখন এত বুদ্ধি হয়নি যে সরকার কিভাবে কাজ করে আর টাকা ছাপাতে কি কি লাগে। মনোবল উঁচু রাখার জন্য যেভাবে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে আছেন আর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে টাকা ছাপানোর গল্পটাও তাই।
তবু রেশন ও অন্যান্য সামগ্রী ট্রাকে তুলে দিয়ে আমরা হেটে রওনা দিলাম সোনামুড়া অভিমুখে। ত্রিপুরার জেলা শহর সোনামুড়া গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। সীমান্তের এক দিকে কুমিল্লা বিবির বাজার অপরদিকে সোনামুড়া। পূর্বে সবাই ত্রিপুরার অধিবাসী ছিল।
ঘাটে মালপত্র নামিয়ে সারা রাত ফেরিতে করে মালামাল পারাপার করা হলো। ক্লান্ত নির্ঘুম জনযোদ্ধারা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। বিএসএফ এর নন কমিশন অফিসাররা পারাপার তদারকি করছেন। ফেরি বলতে দুটি কাঠের নৌকা জোড়া দিয়ে লাগানো, খরস্রোতা গোমতীর সাথে তামাশায় লিপ্ত।
আমাদের ক্যাম্প ত্রিপুরা রাজ্যের অম্পিনগরে স্থানান্তরিত হল বিএসএফ এর তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং পরিচালনার জন্য। মাঝে বিশালগরে একদিনের যাত্রা বিরতি হয়েছিল। সেই মিলিটারি ক্যান্টিনের গরম পাকুরা ও জিলাপি পেয়ে সবাই আত্মহারা। কত যুগ পর এরকম খাবারের দেখা মিললো।
অম্পিনগরে আমাদের প্রশিক্ষণ শুরু হলো। অম্পিনগর ছিল ত্রিপুরায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সুসংগঠিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।
কাঠালিয়ার প্রকৃত অবস্থান
কুমিল্লা থেকে ফেনী যাওয়ার পথে মিয়াবাজার নামে একটা ছোট বাজার কাঁকড়ি নদীর পাড়ে অবস্থিত। মিয়াবাজার এর পূর্ব দিকে কাঁকড়ি নদীর ধারে বিএসএফ ক্যাম্প। এর পাশেই কাঠালিয়া বাজার। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে কাঠালিয়া থেকে আরেকটু ভেতরে নির্ভয় পুর এ মুক্তিযোদ্ধাদের নুতন ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন মেহবুব বীর উত্তম (প্রয়াত)।
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: সমীরুদ্দী ও মুনিয়ারা-একই সমতলে
বীরের খেতাব হরণ
বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দারের বিদায়
২ বছর আগে
গোমতীর পাড়ে ১৩০০ বছরের তিনটি পুরাকীর্তির সন্ধান
ঐতিহ্যে ঘেরা শহর কুমিল্লা, এখানে গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে পাঁচথুবী ইউনিয়নে ১৩০০ বছরের তিনটি পুরাকীর্তির সন্ধান মিলেছে।
৩ বছর আগে
১০ কিলোমিটার সড়ক যেন বিষফোঁড়া!
কুমিল্লা সদর উপজেলার গোমতী নদীর উত্তর পাড়ের পালপাড়া-গোলাবাড়ির ১২ কিলোমিটার সড়কের ১০ কিলোমিটারই খানা-খন্দে ভরা। সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সদর উপজেলার আমড়াতলী ও পাঁচথুবী ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ।
৩ বছর আগে
নৌপথে ত্রিপুরার সাথে বাণিজ্যে গোমতীর নাব্যতা সংকটই প্রধান বাধা
ভারতের ত্রিপুরার সাথে কুমিল্লার ব্যবসা-বাণিজ্য চলত নৌপথেই। কিন্তু স্বাধীনতার পর সীমান্ত আইনের ফলে তা আর সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে সরাসরি পণ্য আমদানি-রপ্তানির রুট হিসেবে নৌপথ পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ১০টন সিমেন্ট বোঝাই কার্গো গোমতী নদীপথে পাঠানো হয় সোনামুড়ায়। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া পৌঁছাতে নৌযানটির সময় লেগেছে দুই দিন। এর মধ্যে প্রায় ১৪ স্থানে যানটি আটকা পড়ে।
৪ বছর আগে
গোমতী নদীতে নৌকাডুবিতে ২ যুবক নিখোঁজ
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী নদীতে নৌকাডুবিতে দুই যুবক নিখোঁজ হয়েছে। তাদের উদ্ধারে ডুবুরিরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
৪ বছর আগে
সোনার মতো মাটির দাম! কি হচ্ছে গোমতী নদীর চরে?
কুমিল্লা, ০১ অক্টোবর (ইউএনবি)- কুমিল্লার বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর সেই অপরূপ সৌন্দর্য এখন আর নেই। অবৈধভাবে চর কেটে মাটি-বালু উত্তোলন, নদী রক্ষা বাঁধে দোকান নির্মাণ এবং ভেতরের চর দখল করে ঘর-বাড়ি নির্মাণে নষ্ট হচ্ছে গোমতীর সৌন্দর্য। হুমকির মুখে পড়েছে নদী রক্ষা বাঁধ এবং তার পরিবেশ।
৫ বছর আগে