কেএমপি
খুলনার ১১ থানার ওসি রদবদল
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ৪টি এবং জেলার ৭টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি থানার ওসিদের জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। বাকি ৯টি থানার ওসিদের জেলা ও নগরীর ভেতরে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রদবদল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার ও খুলনা পুলিশ সুপার।
কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নগরীর সদর থানার ওসিকে আড়ংঘাটায় থানায়, আড়ংঘাটার ওসিকে সোনাডাঙ্গা থানায়, সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে খানজাহান আলী থানায় এবং খানজাহান আলী থানার ওসিকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
দু-এক দিনের মধ্যে তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, জেলার রূপসা, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, ফুলতলা ও দাকোপ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ডুমুরিয়া থানার ওসিকে মেহেরপুর সদরে এবং দাকোপ থানার ওসিকে মুজিবনগর থানায় বদলি করা হয়। নড়াইল জেলা সদরের ওসিকে ডুমুরিয়া থানায় এবং নড়াগাতি থানার ওসিকে পাইকগাছা থানায় বদলি করা হয়। বাকি ৫ জনকে জেলার ভেতরেই রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি
১১ মাস আগে
কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, এএসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী সাকিব আলী ওরফে অপি (১৭) মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে এবং বিএল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মূসা বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত।
আরও পড়ুন: ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ওসিসহ ৫ জন প্রত্যাহার
অন্যদিকে, ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশের দুজন সাক্ষীর কেউই ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করতে দেখার কথা অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন দৌলতপুর থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা সাকিবকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারপিট করে থানায় নিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর সাকিবের মা ফাতেমা বেগম জানতে পারেন তাঁর ছেলেকে ইয়াবা মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা ও সঙ্গীয় ফোর্স মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকায় সাকিব আলী ওরফে অপির খালা বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন।
তবে আটকের সময় কোন প্রকার মাদক উদ্ধারের বিষয় এলাকাবাসী জানেন না বলে জানান।
পরবর্তীতে সাকিব আলী কে ১০২টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশ আটক করেছে এমন তথ্য এজাহার সূত্রে জানা যায়।
ওই এজাহারে যাদেরকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা হলেন- দোকানী কাইয়ুম খান ও ড্রাইভার জাহেদ হোসেন মনা।
১নং সাক্ষী মো. কাইয়ুম খান বলেন, আমার সামনে পুলিশ কোনো মাদক উদ্ধার করেনি।
২নং সাক্ষী জাহেদ হোসেন মনা বলেন, পুলিশের গাড়িতে একটি ছেলেকে ওই দিন কান্নাকাটি করতে দেখেছি, আমি ওই সময় উপস্থিত থাকাকালীন কোনো মাদক উদ্ধার হয়েছে এমন কিছু দেখেনি।
কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্ট আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ধর্ষণ ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা: পুলিশ সদস্য-ছাত্রলীগ নেতাসহ আসামি ১০
১ বছর আগে
খুলনায় চালকদের প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে
খুলনা বিভাগে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উদঘাটন করেছে পুলিশ। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খুলনায় প্রতি মাসে গড়ে দুর্ঘটনা হয়েছে একশ’র বেশি এবং এতে নিহত হয়েছে গড়ে ১৩ জন।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হল সড়কে যানবাহন চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করা। এছাড়া সড়কগুলোতে কম গতি সম্পন্ন গাড়ি চলাচল, তিন চাকার নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল এবং পথচারীদের অন্য মনষ্ক হয়ে চলাচলও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তবে জনসচেনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের আরও বেশি সচেতনতার কারণে নিয়ন্ত্রণ হতে পারে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা বিভাগের সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে এক হাজার ৪৮৮টি। যা গড়ে প্রতি মাসে ১২৪টি। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং আহত দুই হাজার ২০১ জন।
কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ জানায়, খুলনা মেট্রো এলাকায় গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৮টি দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে ১৯ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় জানায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ২৩টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় জড়িত গাড়িগুলো হলো ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, বাই সাইকেল, রিকশা, ভ্যান।
খুলনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, করোনার সময় অনেক মালিক গাড়ি ফিটনেস আপডেট করতে পারিনি। বর্তমান সরকার জরিমানা ছাড়া করোনাকালীন সময়ে ফিটনেস করতে পারিনা। এতে জরিমানা ছাড়া ফিটনেস শুরু হয়েছে। প্রতিদিন অনেক গাড়ি ফিটনেস আপডেট করতে আসছেন। আমরা ৪৬টি পয়েন্ট যাচাই করেই ফিটনেস আপডেট করছি। এছাড়া পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি আটকের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। খুলনায় প্রায় ১০ ভাগ গাড়ির ফিটনেস আপডেট নেই। প্রত্যেক মালিককে চিঠির মাধ্যমে ফিটনেস আপডেট করার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার তাজুল ইসলাম জানান, সড়কে চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া ক্রটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল, হাইওয়েতে চলাচলের উপযোগী নয় এমন গাড়ি চলাচল করা, চালকদের সঠিক প্রশিক্ষণে ঘাটতি থাকা, পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এগুলোর বিষয়ে যথাপযোগী ব্যবস্থা নিলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানান, সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিরোধের বিষয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রমে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সড়কে মোটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহার করা না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। থ্রি হুইলার, ইজিবাইক এগুলোর বিষয়ে চালকদের আরও সতর্ক করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আরও সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ বন্ধু নিহত
ধামরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিকসহ নিহত ৩
৩ বছর আগে
কেএমপি’র বহরে যুক্ত হলো উচ্চগতির নতুন গাড়ি
উচ্চগতি সম্পন্ন আন্তর্জাতিকমানের চারটি গাড়ি পেল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
৪ বছর আগে