খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী সাকিব আলী ওরফে অপি (১৭) মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকার হায়দার আলীর ছেলে এবং বিএল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মূসা বর্তমানে খালিশপুর থানায় কর্মরত।
আরও পড়ুন: ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ওসিসহ ৫ জন প্রত্যাহার
অন্যদিকে, ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় পুলিশের দুজন সাক্ষীর কেউই ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করতে দেখার কথা অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন দৌলতপুর থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা সাকিবকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারপিট করে থানায় নিয়ে চলে যায়। ঘটনার দুই দিন পর সাকিবের মা ফাতেমা বেগম জানতে পারেন তাঁর ছেলেকে ইয়াবা মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মূসা ও সঙ্গীয় ফোর্স মহেশ্বরপাশা সাহাপাড়া এলাকায় সাকিব আলী ওরফে অপির খালা বাড়ি থেকে তাকে আটক করেন।
তবে আটকের সময় কোন প্রকার মাদক উদ্ধারের বিষয় এলাকাবাসী জানেন না বলে জানান।
পরবর্তীতে সাকিব আলী কে ১০২টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশ আটক করেছে এমন তথ্য এজাহার সূত্রে জানা যায়।
ওই এজাহারে যাদেরকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা হলেন- দোকানী কাইয়ুম খান ও ড্রাইভার জাহেদ হোসেন মনা।
১নং সাক্ষী মো. কাইয়ুম খান বলেন, আমার সামনে পুলিশ কোনো মাদক উদ্ধার করেনি।
২নং সাক্ষী জাহেদ হোসেন মনা বলেন, পুলিশের গাড়িতে একটি ছেলেকে ওই দিন কান্নাকাটি করতে দেখেছি, আমি ওই সময় উপস্থিত থাকাকালীন কোনো মাদক উদ্ধার হয়েছে এমন কিছু দেখেনি।
কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত রিপোর্ট আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ধর্ষণ ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে মামলা: পুলিশ সদস্য-ছাত্রলীগ নেতাসহ আসামি ১০