হিলি বন্দর
হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু, প্রথম চালানে আসল ১৩১ টন
সরকার আমদানিতে পুরোপুরি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ২০ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল ১৩১ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ভারত থেকে চালের প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করে। এরফলে চালের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় এই চাল আমদানি করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে চালের দামে লাগাম টানতে সরকার গত ৩১ অক্টোবর চালের উপর থেকে সম্পূর্ণ শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর চাল আমদানিকারকরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আমদানির জন্য আবেদন করেন। সেখান থেকে গতকাল রবিবার অনুমতি পেয়ে আজ সোমবার ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই পর্যন্ত বন্দরের পাঁচজন আমদানিকারক ৩৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। বর্তমানে ভারতে ৪২০ থেকে ৪৩০ ডলারে এলসি করে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তাতে সব খরচসহ প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকা। বাজারে চাহিদা থাকায় এই মুহূর্তে লোকসানের কোনো আশঙ্ক নেই বলে জানান তিনি।
আরেক আমদানিকারক মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ললিত কেশরা জানান, দেশে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে আজ ভারতীয় ৩টি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেছি। এখন প্রতিদিনই চাল আমদানি হবে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী মো. ইউসুফ আলী জানান, সরকার গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ রাখে। সেসময় চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে সরকার চালের উপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করেছিল। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়নি।
আরও পড়ুন: আমন মৌসুমের ধান-চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
অনুমতি থাকার পরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। এজন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বৈষম্য ও অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, শুধুমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ডিম আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বন্দরের স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। কিন্তু হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এখানকার আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চান। এই সহযোগিতা কাস্টমসের কাছে চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। আমদানিকারকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুরল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ডিম আমদানি করার জন্য অনুমতি পেয়েছি। সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই যে নিদিষ্ট কোনো বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকারকরা যেই বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করলে খরচ কম হবে সেই বন্দর দিয়ে আমদানি করবে এটাই ব্যবসায়িক নিয়ম। আমাদের জন্য হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করতে পরিবহনসহ বিভিন্ন খরচ কম হওয়ার জন্য আমরা আমদানি করার জন্য হিলি কাস্টমসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলে এই বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এই বলে সময় ক্ষেপণ করছে। আমরা বাধ্য হয়ে বেনাপোল দিয়ে আমদানি করছি। তাতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বন্দরের আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যত সব বৈষম্য হিলি কাস্টমসে। আমাদের মনে হয় তারা কাজ সম্পর্কে কম জানেন। সরকার যেখানে আমদানিকারকদের অনুমতি দিয়ে দ্রুত ডিম আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্ট করছে, সেখানে কাস্টমসের অনভিজ্ঞ জনবলের কারণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। আমদানিতে কোনো পণ্যের ওজন নিদিষ্ট করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা গেলে অনেকটাই খরচ কম হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলে ডিমের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি কমে আসবে দামও। হিলি কাস্টমসের প্রতিবন্ধকতার কারণে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে পারছেন না। কাস্টমসের এই বাধা অতিদ্রুত নিরসন হওয়া দরকার। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার জানান, আমাকে এ বিষয়ে বুঝতে হবে। এটা নতুন পণ্য। নতুন কোনো কিছু হলেই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার হয়। আবার পণ্যটি আসার পর শুল্কায়ণ ও পরীক্ষায়নের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় থাকবে সব মিলে আমাদের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এটাই বলা হয়েছে। আমরা বলিনি যে আমদানি করতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ডজন ডিম ভারত থেকে দশমিক ৫৮ মার্কিন ডলারে আমদানি করা যাবে। সরকারের সদ্য ঘোষণা অনুযায়ী ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় প্রতিটি ডিমে শুল্ক হবে ৫৩ পয়সার মতো। তাতে একেকটি ডিম আমদানি করতে সবমিলে খরচ হবে ১০ টাকার মতো।
শনিবার বন্দরের হিলি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম সাইজ ভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার প্রতিটি ডিম ১ টাকা বেশিতে বিক্রি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হলে দাম ১১ টাকা হবে বলে জানান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ মাস আগে
হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় নতুন আলু আমদানি শুরু
দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় নতুন আলু আমদানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন নতুন আলু আমদানি করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে আলু আবাদের এখনও মৌসুম শুরু হয়নি। কিন্তু ভারতের বাজারে নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশের বাজারে এই নতুন আলুর চাহিদা রয়েছে। তাই আমদানি করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে দাম পাবো বলে আশা করছি। এই প্রথম ভারত থেকে একটি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন নতুন আলু আমদানি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমদানি করা ভারতীয় আলুর চালান রাতের মধ্যে কাস্টমস থেকে খালাস হলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে হিলিসহ ঢাকার বাজারে পাওয়া যাবে।
১ মাস আগে
হিলি বন্দরে সেই মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করেছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে দুটি পণ্য আমদানি করেছিল সাভারের মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ৮০ দিন পর গত ২ আগস্ট সেই পণ্য আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করল কাস্টমস।
যে সময় এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, সে সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ রেখেছিল সরকার। তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন পর পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
কিন্তু আমদানির কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) বায়জিদ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস এবং পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট ছাড়া পণ্য ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনা গেছে, আমদানি করা প্রাণিজ পণ্য চালান ছাড়করণে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০০৫ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক প্রাণি সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র এবং উদ্ভিদজাত পণ্যচালান ছাড়করণে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১১ ও আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাংসের আচার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে পণ্য দুটি আমদানি করলেও কাস্টমস থেকে ছাড় পেতে কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র নিতে পারেনি কোম্পানিটি। মহিষের মাংস আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও, এই মাংস আমদানিতে কোনো পূর্ব অনুমোদন নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে মাংস ছাড় না দিতে চিঠি দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
অনুমতি না থাকায় হিলি স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন কর্তৃপক্ষের কাছে থেকেও কোনো ছাড়পত্র পায়নি মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
৬ দিন পর হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা ছয় দিন বন্ধের পর শনিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বাংলাহিলি কাস্টমস সি অ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, ঈদুল ফিতর, মে দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত ১- ৬ মে পর্যন্ত ছয় দিন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়ার মধ্যদিয়ে বন্দরে কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় পর থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
২ বছর আগে
বাংলা নববর্ষ: হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা ও নেয়াসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: টানা ৩ দিন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এ ব্যাপারে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি থাকায় দিনটি উদযাপনে দুই দেশেরএই বন্দর দিয়ে পণ্য আনা ও নেয়া এবং বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণেও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শনিবার থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
২ বছর আগে
হিলি বন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দুই দিন বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সেদিনও কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
এ ব্যাপারে বাংলা-হিলি কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, বৃহস্পতিবার সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার এই সিন্ধান্ত নেয়। তাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানী-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শনিবার থেকে পুনরায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
২ বছর আগে
বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার
বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সীমান্তের চেকপোস্ট গেটে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ইয়াসিন আলী ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার সিতারাম সিংয়ের হাতে তিন প্যাকেট মিষ্টি তুলে দেন।
এ সময় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছাসহ কুশল বিনিময় করেন তারা। সেখানে বিজিবি ও বিএসএফের নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
বিজিবি জানায়, সীমান্তে দায়িত্বরত দুই বাহিনী তাদের মাঝে বিরাজমান সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হিলি সীমান্তে বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে একে অপরকে মিষ্টিসহ বিভিন্ন উপহার দিয়ে থাকে।
২ বছর আগে
হিলি বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
ছয়দিন বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার (২৫ জুলাই) থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে। সকাল ১১টায় ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২৪ জুলাই পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল।
পড়ুন: ভারতে চামড়া পাচাররোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা
বন্দরের বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৯-২৪ জুলাই পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে সব ধরণের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ফলে এ কয়দিন বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত কোন পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশ ও ভারতে আসা-যাওয়া করেনি। আজ ২৫ জুলাই সকাল ১১টা থেকে যথারীতি বন্দর দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পড়ুন: ঈদুল আজহা: হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি ৬ দিন বন্ধ
হিলি দিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন ভারতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত
৩ বছর আগে
হিলিতে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ, চলবে আমদানি-রপ্তানি
১৫ জুন (ইউএনবি)- করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকবে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ২১ জুন বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এই বিধি-নিষেধ আরোপ করে।
এ উপলক্ষে সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর-এ-আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু
বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো হলো- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকবে, কাঁচাবাজার ও মুদিখানা দোকান সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, মাস্ক ছাড়া চলাচল করলে জরিমানা করা হবে, বিকাল ৪টার পর জরুরি সেবা ব্যতীত কোনও দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।
এছাড়া বিকেল ৪টার পর অযথা চলাফেরা করা যাবে না, মাস্ক ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার বাড়ি লাল পতাকা দিয়ে লকডাউন করা হবে, করোনায় আক্রান্ত কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না এবং গ্রামে-গ্রামে গিয়ে মেডিকেল টিম করোনা পরীক্ষা করবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক, বাংলাহিলি কাষ্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ, বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আরমান আলীসহ অনেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একদিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ও উপসর্গে ১৩ মৃত্যু
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গাদ্দাফি শিকদার জানান, গত ৪৮ ঘন্টায় হিলিতে ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন। তার মধ্যে ১০১ সুস্থ হয়েছেন। আর ১ জন মারা গেছেন। বর্তমান করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
৩ বছর আগে