হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করেছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ১০ মে দুটি পণ্য আমদানি করেছিল সাভারের মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। ৮০ দিন পর গত ২ আগস্ট সেই পণ্য আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করল কাস্টমস।
যে সময় এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, সে সময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ রেখেছিল সরকার। তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে কাঁচামাল আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন পর পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
কিন্তু আমদানির কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার (ডিসি) বায়জিদ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় আমদানি করা মহিষের মাংস এবং পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট ছাড়া পণ্য ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনা গেছে, আমদানি করা প্রাণিজ পণ্য চালান ছাড়করণে বাংলাদেশ পশু ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০০৫ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক প্রাণি সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র এবং উদ্ভিদজাত পণ্যচালান ছাড়করণে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১১ ও আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর বিধান মোতাবেক উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাংসের আচার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে পণ্য দুটি আমদানি করলেও কাস্টমস থেকে ছাড় পেতে কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র নিতে পারেনি কোম্পানিটি। মহিষের মাংস আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার বিধান থাকলেও, এই মাংস আমদানিতে কোনো পূর্ব অনুমোদন নেয়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে মাংস ছাড় না দিতে চিঠি দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
অনুমতি না থাকায় হিলি স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন কর্তৃপক্ষের কাছে থেকেও কোনো ছাড়পত্র পায়নি মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ