অভিমান
অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
সিলেটে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট শহরতলীর পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট শহরতলীর পীরের বাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে ওই কিশোরী। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পরগনা বাজার সংলগ্ন খুনীরচক এলাকায় পৌঁছামাত্র চার যুবকের খপ্পরে পড়ে। সেখানে যুবকরা তাকে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে।
খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
দিনাজপুরে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ছেলের ‘আত্মহত্যা’
দিনাজপুরের খানসামায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে আগাছা নাশক বিষ পানে ছেলের আত্মহত্যার খবরপাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাতে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সহজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিব হাসান (২২) ওই গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
জানা যায়, অভিভাবকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গতকাল ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে আগাছা নাশক বিষ পান করেন হাসিব। তাকে প্রথমে খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। পরে শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে তিনি মারা যান।
খানসামা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তসির জানান, একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তবে থানা পুলিশে কেউ কোন তথ্য জানাননি। ফলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানেননা তারা।
আরও পড়ুন: নিকলীতে গলায় রশি দিয়ে ৬৫ বছর বৃদ্ধের আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদকের টাকা না পেয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা
১ বছর আগে
অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫ বারের সাংসদ সাত্তার
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় অভিমানে বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে উনার আর প্রয়োজন নেই।
তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।
এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামীলীগের যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভাল মানুষ।
তবে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না তাও আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
১ বছর আগে
পরীমণির অভিমান কি ঘুচল?
শরিফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিমের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। হঠাৎ এই ধরনের পোস্ট হতবাক করেছে তার ভক্ত ও শোবিজের সবাইকে। কারণ,রাজের সঙ্গে বিয়ের পর এমন উচ্ছ্বসিত জীবনে পরীকে আর দেখা যায়নি। আর চলতি বছর এই তারকা দম্পতির ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে।
দুই দিন ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে সমালোচনার পর গতকাল একটি ছবি পোস্ট করেন পরীমণি। সেখানে দেখা যায় ছেলে জন্মের তিনমাস হওয়া উদযাপন করছেন তিনি। ছবিতে পরীমণির কোলে তাদের ছেলেকে দেখা যাচ্ছে।
আর এই ছবিটি তুলেছেন সন্তানের বাবা শরিফুল রাজ। পোস্টের মন্তব্যে ছেলের জন্য শুভকামনা জানান শুভাকাঙ্খিরা।
সংসার ও সন্তান নিয়েই আপতত ব্যস্ত পরীমণি। মাতৃত্বের সময়টা তিনি যে বেশ উপভোগ করছেন সেটি তার ফেসবুকের ছবি দেখে ধারণা করা যায়। আর এরমধ্যেই তার সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস সবকিছু যেন পাল্টে দেয়।
কিন্তু সেই পরীর সেই অভিমান কি ঘুচল অবশেষে?
আরও পড়ুন: মিমের স্ট্যাটাসের উত্তর দিয়ে স্ক্রিনশট শেয়ার করলেন পরীমনি
ফোর্বসে এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় পরীমনি
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ শহরে ‘দামাল’
২ বছর আগে
ঈদে নতুন জামা না পেয়ে অভিমানে কিশোরীর আত্মহত্যা
চাঁদপুরে ঈদে নতুন জামা কিনে না দেয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে ১২ বছরের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চাপাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসমিম আক্তার ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলী আকবর পাটোয়ারীর মেয়ে।
তাসমিমের মা কুলছুমা বেগম জানান, রান্নাঘর থেকে বসত ঘরে এসে হঠাৎ সিলিং ফ্যানের সাথে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। পরে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে থানায় খবর দেয়।
তিনি বলেন, ‘ও আমার কাছে নতুন জামা চেয়েছিল। আমি বলেছি পরে কিনে দেব। জামার জন্য সে এভাবে চলে যাবে তা ভাবিনি। তার মৃত্যু বাড়ির ঈদ আনন্দকে মাটি করে দিয়েছে।’
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পড়ুন: ঈদে নতুন জামা না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা!
২ বছর আগে
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ২৬ বছর ঘরছাড়া ছিলেন তিনি
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান চাঁন মিয়া। এরপর বাস, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্কুল বারান্দায় তার রাত কাটে। কখনও খেয়ে, কখনও আধাবেলা বা কখনও না খেয়ে কোনো রকমে জীবনের ২৬ বছর কাটিয়ে দেন তিনি। অভিমানের কাছে হার না মানা চাঁন মিয়া অবশেষে রোগে- শোকে আক্রান্ত হয়ে বার্ধক্যের কাছে হার মেনে পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
চাঁন মিয়ার পুরো নাম মুকমুল ইসলাম। তার বাবার নাম মহিদুল ইসলাম এবং মায়ের নাম অম্বিয়া খাতুন। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের খাজুরিয়া পাড়ার মন্ডল বাড়ির বাসিন্দা তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। সংসারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
সামাজিক সংগঠন ‘সহায়’ এর তত্ত্বাবধানে যৌবনে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ঘরছাড়া চাঁন মিয়া ২৬ বছর পর বৃদ্ধ বয়সে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা থেকে চান মিয়াকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান ‘সহায়’ এর সদস্যরা। চাঁন মিয়ার কোনো জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।ি
আরও পড়ুন: ফেনীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সহোদর নিহত
শেষে গত বৃহস্পতিবার ‘সহায়’ এর সদস্যরা চাঁন মিয়াকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। এই পোস্টটি নজরে আসে চাঁন মিয়ার স্বজনদের। তার স্বজনেরা তখন ‘সহায়’ এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে চাঁন মিয়াকে শনাক্ত করেন।
বার্ধক্যজনিত নানান রোগে আক্রান্ত চাঁন মিয়া দীর্ঘ একমাস ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
এরপর শনিবার রাতে দীর্ঘ ২৬ বছর পর পরিবারের কাছে ফেরেন চাঁন মিয়া। এদিন বিকেলে তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
২ বছর আগে
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ২৭ বছর পর বাড়ি ফিরলেন স্বামী!
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে কোলের শিশু সন্তানকে রেখে নিরুদ্দেশ হোন এক পিতা। এদিকে স্বামীর ফিরে আসার অপেক্ষায় একমাত্র সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী কাটিয়ে দেন জীবনের ২৭টি বছর। অবশেষে প্রায় এক মাস আগে পরিবার-স্বজনদের নিকট ফিরে আসেন জহর উদ্দিন ওরফে বাচ্চু।
সিনেমার গল্পকেও হার মানানো বাস্তব চরিত্রের মানুষটি কুড়িগ্রামের সদরের পৌরসভার বাসিন্দা মৃত কান্দুরাম মাবুদের ছেলে জহির উদ্দিন ওরফে বাচ্চু (৬৫)। পেশায় কৃষক জহির উদ্দিন ১৯৯১ সালে পাশের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের আগমনী গ্রামের জাহেদা বেগমকে (৫০) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না।
বিয়ের পর ছয় মাসের শিশু সন্তান জাহিদুল ইসলামকে রেখে নিরুদ্দেশ হন জহির উদ্দিন। ফেরেন প্রায় তিন বছর পরে। এরপর আবারও সংসারে তুচ্ছ ঘটনায় অভিমান করে ১৯৯৪ সালে একেবারই নিরুদ্দেশ হন তিনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান না পেয়ে হাল ছেড়ে দেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর হঠাৎ গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মস্থানে ফিরে আসেন জহির উদ্দিন। এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবার ও প্রতিবেশিরা।
আরও পড়ুন: ভরণপোষণ না দেয়ায় সন্তানদের বিরুদ্ধে ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধার মামলা
জহির উদ্দিন বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন। বাসে করে চলে যান যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের গোবিন্দুপর গ্রামে। সেখানকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মিলে মিশে কাটিয়েছেন জীবনের এই দীর্ঘ সময়। কেউ তার ঠিকানা না জানলেও তাকে বেশ ভালোবাসতেন। সবাই তাকে ‘বাচ্চু ভাই’ বলে ডাকতেন।
জহির উদ্দিনের ভাতিজা শফিকুল ইসলাম অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, আমার চাচা ফিরে আসবে আমরা কখনই ভাবতে পারিনি। অনেক খোঁজ করার পরেও না পেয়ে আশায় ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু আমার ফুফাতো বোন খবর পাঠায় চাচা ফেরত এসেছেন। পরে তাকে বাসায় এনে রাখার ব্যবস্থা করি। তার স্ত্রী-সন্তানকে খবর দিই। তারা এসে দেখে গেছেন। বর্তমানে বয়স বেড়ে যাওয়ায় চাচা একটু অসুস্থ রয়েছেন। তার একমাত্র সন্তান তার বাবাকে এতো দিন দেখেনি। কিছুদিন থাকার পর তার কর্মস্থল ঢাকাতে চলে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চৌকাদার শেখর এবং তার স্ত্রী সব থেকে কাছের ছিল চাচার। বয়স বেড়ে যাওয়ায় তাদের পরামর্শে গত মাসে ফেরত আসেন তিনি। চাচা সেখান থেকে আসতে না চাওয়ায় চেয়ারম্যান, সচিবসহ অনেকেই বুঝিয়েছেন যে, তুমি জন্মস্থানে গিয়ে দেখো পরিবারের কেউ না থাকলে তুমি সেখানকার একটু মাটি নিয়ে এসো। যেন তোমার মৃত্যুর পর তোমাকে সেই মাটি দিয়ে কবর দিতে পারে এখানকার মানুষ। এমন অনেক কথা বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে চাচাকে ফেরত পাঠায় তারা। বর্তমানে চাচা আমার বাড়িতেই আছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে জোড়া মাথার নবজাতকের জন্মের কয়েক ঘণ্টার পর মৃত্যু
জহির উদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বলেন, ২৭টি বছর ধরে একমাত্র সন্তানকে ভিক্ষা করে, মানুষের বাড়িতে কাজ করে বড় করেছেন। আর আশায় ছিলেন ছেলের বাবা ফিরে আসবেন। একমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অন্য কোথাও বিয়েও করেননি তিনি।
সুন্দলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন,তার মধ্যস্ততায় ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাচ্চুকে তার পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ তাকে ভালোবাসতেন। গাছের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল। অনেক গাছ সে লাগিয়েছে। তার ব্যবহার ভালো ছিল। মুসলিম হলেও তিনি প্রতিটি হিন্দু মানুষ মারা গেলে সৎকারে অংশ নিতেন। ইউনিয়নে কারও বাড়ি ভালো রান্না হলে তাকে দাওয়াত দেয়া হতো। এক কথায় সবার সঙ্গে তার সুসস্পর্ক ছিল। তার পরিবারের লোকের কাছে তাকে ফেরত পাঠাতে পেরে একদিকে আমাদের দুঃখ হলেও বড় আনন্দ তিনি তার পরিবার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় তিস্তাপাড়ের কৃষকেরা
৩ বছর আগে
সিলেটে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা!
সিলেটের বিশ্বনাথে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পান করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত জুনেদ আহমদ (৩০) উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চাঁন্দভরাং পুরানগাঁও গ্রামের মৃত আঙ্গুর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে সোমবার রাত ১টায় কীটনাশক পান করেন তিনি। এ সময় বমির শব্দ শুনে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিষপানে নারীর ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে ভবন থেকে লাফ দিলেন প্রেমিক
‘আমার লাশ যেন ময়নাতদন্ত না হয়’, চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
৩ বছর আগে
স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা!
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় বাবার উপর অভিমান করে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
রবিবার (২০ জুন) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা‘
মৃত মোবারক (২১) উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট কুমোরগঞ্জ গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
মৃতের বাবা আব্দুল হাকিম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ছেলে আমার কাছে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার জন্য আবদার করে। আমার সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে ফোন কিনে দিতে পারিনি। রবিবার দুপুরে এ নিয়ে জেদ করলে কিছুদিন পরে কিনে দিবো বলে জানাই তাকে। এ কথা শুনে অভিমান করে দুপুরের খাবার না খেয়েই নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে মোবারক। বিকালের দিকে মোবারকের মা মুসলিমা ঘরে গিয়ে দেখেন ছেলে বাঁশের সিলিংয়ে একটি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।‘
আরও পড়ুন: স্মার্ট ফোন না পেয়ে কুড়িগ্রাম স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
অভিমান করে মোবারকের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল।
৩ বছর আগে
সন্তানদের কাছে না পাওয়ার কষ্টে বাবার আত্মহত্যা!
নিজের সন্তানদের কাছে না পেয়ে অভিমানে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। ঘটনার তিন দিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সোমবার সকাল ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন সেই হতভাগ্য বাবা। এ ঘটনায় আহত আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে। তবে যে সন্তানদের কাছে পাওয়ার হাহাকারে নিজেকে পুড়িয়ে মেরেছেন তারা এখনো বাবার কাছে ফিরতে পারেননি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে হত্যার পর সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের ‘আত্মহত্যা’
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম সাগর ফকির (২৭)। তিনি বাকাল গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে।
সাগরের বাবা লিয়াকত ফকির জানান, সাগরের সাথে রাগ করে শিশু কন্যাকে নিয়ে স্ত্রী রাশিদা ৬ মাস আগে তার বাবার বাড়ি মাদারীপুরের খোয়াজপুর টেকেরেহাটে চলে যান। শুক্রবার বিকালে সাগর তার স্ত্রীর মোবাইলে মেয়েদের সাথে কথা বলতে চান। একই সাথে মেয়েদের নিয়ে স্ত্রীকে ফিরে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী ফরিদা বেগম ফিরবে না বলে জানায়। এমনকি সাগরকে তার মেয়েদের সাথে কথা বলতেও দেয় না।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছেলের সাথে অভিমান করে মায়ের `আত্মহত্যা’
মেয়েদের সাথে কথা বলতে না পারার আক্ষেপে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সাগর। তাকে বাঁচাতে গেলে আগুনে পুড়ে যায় সাগরের মা আমেনা বেগমের দুই হাত এবং চাচাতো ভাই রমজান ফকিরের শরীরের বেশ কিছু অংশ।
তিনি জানান, গুরুতর অসুস্থ সাগরকে দ্রুত ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যুবরণ করে সাগর।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এদিকে তার চাচাতো ভাই রমজান ফকিরের শরীররের অবস্থা ভালো না হওয়ায় রবিবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিয়াকত ফকির।
তবে আহত সাগরের মা আমেনা বেগম আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘মারা যাওয়া সাগর ফকিরের লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকায় হবে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’
৩ বছর আগে