উলিপুর
উলিপুরে ৫ বছরেও পুনঃনির্মাণ হয়নি দুই সেতু, ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বন্যায় ভেঙে যাওয়া দু্টি সেতু ৫ বছরেও পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৩টি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। সেতুর অভাবে এখন পাকা সড়কটি দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীরা।
ফলে সড়ক থাকলেও সেতুর অভাবে ব্রহ্মপুত্র নদী বেষ্টিত পূর্ব পাড়ের মানুষ দুই উপজেলা থেকে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তবকপুর, ধামশ্রেণী ও চিলমারী উপজেলার থানাহাট, বানীগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত পূর্ব অঞ্চলের মানুষের দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধার জন্য কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের চুনিয়ার পাড় হতে উলিপুর আজমের মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি সেতু ২০১৫ সালে ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ সালের বন্যায় তবকপুর ইউনিয়নের আমতলী সেতু ও চুনিয়ার পাড় সেতুটি দেবে যায় এবং সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই তখন থেকে সেতুর অভাবে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীর ডোমারে স্বাধীনতার পর থেকে নেই সেতু, ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় পারাপার
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি পাকা করায় দুই উপজেলার সঙ্গে এ এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু বন্যায় সেতু দুটি দেবে যাওয়ায় আবারও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকাটি। চুনিয়ার পাড়ের দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও আমতলীর দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে কোন কিছুরই চলাচল সম্ভব নয়। গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে চলাচলের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে দেবে যাওয়া সেতুর পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কোনো রকমে মানুষ ও বাইসাইকেল পারাপারের ব্যবস্থা করেছিল। কিছুদিন চলাচলের পর সে সাঁকোটিও ভেঙেচুরে শেষ হয়ে যায়। শুকনো মৌসুমে মানুষজন হেঁটে জমি দিয়ে চলাচল করলেও পানি হলে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা বা চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ বয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য উপজেলার বাজারে নিয়ে যেতে পাচ্ছে না।
বিষ্ণু বল্লভ গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি হওয়ার পর রিকশা, অটোরিকশা জেএসএ, সিএনজিসহ ছোট বড় যান চলাচল করত। ফলে আমাদের খুব সুবিধা হয়েছিল। এখন সব বন্ধ, তাই পায়ে হেঁটে কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়।
ট্রাক ড্রাইভার বকুল মিয়া জানান, ডিউটি শেষ করে ট্রাক মালিকের ঘরে রেখে রাত বিরাতে অটোতে চড়ে বাড়ি আসতাম। এখন হেঁটে বাড়িতে আসতে হয়।
উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম জানান, আমাদের এলাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কলেজ নেই। সড়কটি নির্মাণের পর আমরা এই এলাকার মেয়েরা স্কুল ও কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেতু দেবে যাওয়ায় আমাদের কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
অটোচালক আব্দুল খালেক জানান, সড়কটি পাকা হলে অটো চালিয়ে সংসার চলাতাম। এখন সে রোজগারে ভাটা পড়েছে।
আমতলী বাজারের ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, সড়ক নির্মাণের পর গ্রামীণ বাজারটি জমজমাট হয়েছিল। কিন্তু সেতু দেবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বাজারে এখন আর আগের মতো লোকজন আসে না, ব্যবসায় মন্দা চলছে।
৯৪ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এক মাস ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৯০০ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনশ' বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাকা সড়ক।
অভিযোগ রয়েছে, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ করেননি।
ফলে নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেবের আলগা, হবিগঞ্জ, উত্তর নামাজের চরসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক, শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন, বিউটি খাতুন প্রমুখ।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন বলেন, আমদের এই জায়গায় অনেক মানুষ বসবাস করত। নদী ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারা হয়েছে। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। এজন্য নদী ভাঙন রোধে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এখানে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিউটি খাতুন বলেন, নদীতে পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু নদের ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদি জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ কষ্ট করে বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু করে না। এলাকাবাসীর পক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনরোধে সাময়িক সময়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ এলে কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
১৯৬ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বজ্রপাতে দর্জির মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বজ্রপাতে মেহের জামাল (৫০) নামের এক দর্জির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৯ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহের জামাল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড়ের নয়ার হাট এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। পরে বৃষ্টি থামার পর মেহের জামাল বাজারের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওয়াপদা সড়কে পৌঁছালে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায়।
৩৪৯ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবলু মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পৌর শহরের রামদাস ধনীরাম বলদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সাইনবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু, আহত-২
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টায় গাছের ডাল কাটার জন্য গাছে উঠেন বাবলু মিয়া। ডাল কাটার সময় অসাবধানবশত ডালটি বিদ্যুতের তারে গিয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা বলে চিৎকার দেন বাবলু মিয়া।
চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে দেখতে পায় বাবলু মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছের ডালে ঝুলছিলেন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ২
উলিপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এজিএম চিরেন্দ্রনাথ রায় জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। ডাল কাটার আগে যদি আমাদের জানাতেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য সঞ্চালন লাইনটি আমরা বন্ধ করে রাখতে পারতাম।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তূজা বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
৪৮৫ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে উলিপুরে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ আফরোজা বেগম (৪২) ওই এলাকার শাহআলম মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
আফরোজা বেগমের এক ছেলে ও তিন মেয়ে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শাহআলম মিয়া গোয়াল ঘর পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তিনি স্ত্রী আফরোজা বেগমকে বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের সংযোগ দিতে বলেন।
রান্না ঘরে মোটরের সংযোগ চালু করতে গিয়ে অসাবধানতার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়েসহ প্রাণ গেল ৩ জনের
জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইজিবাইকচালকের মৃত্যু
৬১৪ দিন আগে
উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরিয়ার হোসেন বাদল (১৫) নামে স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (০৩ মে) বেলা ১১টায় উলিপুর-রাজারহাট সড়কের উলিপুর সিনেমা হলের সামনে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
শাহরিয়ার হোসেন বাদল উলিপুর পৌরসভার নারিকেলবাড়ী কুড়ারপাড় গ্রামের ফরিদুল ইসলাম বাবুর পুত্র।
সে উলিপুর মহারানী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার মানবিক বিভাগের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহরিয়ার হোসেন বাদল বুধবার সকালে পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এরপর উলিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় উলিপুর-রাজারহাট সড়কের উলিপুর সিনেমা হলের সামনে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাকা সড়কে ছিটকে পড়ে। হেলমেট না থাকায় তার মাথার সামনের অংশ থেতলে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে বাদল মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে মাথায় আঘাত পায় এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
৭৩২ দিন আগে
উলিপুরে ডায়রিয়ায় কিশোরের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ টারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সোহেল মিয়া (১৪) উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ টারিপাড়া গ্রামের ফরিদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে অতিরিক্ত মদপানে কিশোরের মৃত্যু
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় সোহেল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে পরিবারের কাউকে জানায়নি। পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, শিশুটির ফুড পয়জনিং হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রচণ্ড দাবদাহে উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দিসহ নানা রোগের প্রার্দুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সিংহভাগ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
৭৪৭ দিন আগে
কুড়িগ্রামে গলায় খেঁজুর আটকে শিশুর মৃত্যু!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গলায় খেজুর আটকে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার উপজেলার নন্দু নেফরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনজিল মিয়া (৭) নন্দু নেফরা এলাকার সোলেমান মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় পপুলার মডেল কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে শিশুর মৃত্যু
নিহত শিশুর দাদা ফয়জার আলী বলেন, ওই দিন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনজিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু আমরা তাকে রংপুর না নিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাই। সেখানে তার গলার এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে গলার সমস্যা ধরা না পরায় আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। রবিবার সকালে হঠাৎ করে মনজিলের গলায় তীব্র ব্যথা অনুভব হলে তাকে উলিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকালে শিশু মনজিল মিয়া খেজুর খাওয়ার সময় গলায় আটকে যায়। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নিলে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনজিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে রংপুর না নিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গলার এক্সরে করেন। রিপোর্টে গলার সমস্যা ধরা না পরায় তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর পরদিন সকালে গলায় তীব্র ব্যাথা অনুভব করায় ফের তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তখন মনজিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাদিয়া জেরিন বলেন, হাতপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পাওয়ার টিলার চাপায় শিশুর মৃত্যু
৭৬৩ দিন আগে
কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর চালকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের উলিপুরের মালতিবাড়ী এলাকার এমপির পুকুর থেকে আরিফ হোসেন(৩৫) নামের এক ট্রাক্টর চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে এমপির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরিফ উলিপুর পৌরসভার পাখিরখামারের পশ্চিম শিববাড়ী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এছাড়া আরিফ তার মা সহ নানার বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকালের দিকে এমপির পুকুরে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে স্থানীয়দের ধারণা লাশটি দুই থেকে তিন দিন আগের। এছাড়া দুইদিন থেকে আরিফ নিখোঁজ ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৭৮৯ দিন আগে
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গরুবোঝাই নছিমনের সঙ্গে ইটবোঝাই ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় নছিমনের চালকসহ আহত হয়েছে তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদুল হক (৫৫) থেতরাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, নাজিমখাঁন বাজার থেকে আসা গরুবোঝাই একটি নছিমনের সঙ্গে উলিপুরগামী ইটবোঝাই একটি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে গরুবোঝাই নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার একটি খাদে পড়ে যায়। এসময় নছিমনে থাকা গরু ব্যবসায়ী এরশাদুল হক নছিমনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদের মধ্যে নছিমন চালক দিপু মিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ নিয়ে গেছে। এছাড়া এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
দিনাজপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইকেল চালক নিহত
৮১৫ দিন আগে