নুহাশপল্লী
নানা আয়োজনে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন
প্রয়াত জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন কেক কেটে, মোমবাতি জালিয়ে, কবর জিয়ারত ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নুহাশ পল্লীতে পালন করা হয়েছে। জননন্দিত এই লেখকের নিজ হাতে গড়া দৃষ্টিনন্দন ওই পল্লীতে শ্রদ্ধা জানাতে আর ভালবাসার প্রকাশ ঘটাতে দিনভর আসতে থাকেন নানা বয়সী লোকজন।
সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন ভক্তরা দলে দলে আসতে থাকেন নুহাশপল্লীতে। সেখানে এসে তারা প্রিয় লেখককে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। ভেসেছেন আবেগে।
যারা হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে থেকেছেন, কাজ করেছেন, কিংবা তাঁর লেখা প্রকাশ করেছেন তারাও স্মৃতি বিজড়িত স্থানে এসে আপ্লুত হয়েছেন।
হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর দুই সন্তানসহ স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে কবরে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে কেক কেটে শামিল হন জন্মোৎসবে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে স্মরণ
জন্মদিনে ভোরে সন্তান নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে যান মেহের আফরোজ শাওন।নিষাদ-নিনিতও বাবার কবরে ফুল দেয় এবং অন্যদের সঙ্গে তারা বাবার জন্য দোয়া করে। এর আগে প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীর পক্ষ থেকে একটি কেক কাটা হয় এবং কবরের চারপাশে, নুহাশ পল্লীর প্রবেশ পথে, ভেতরের বিভিন্ন পথে, পল্লীর ভেতরে হুমায়ূন আহমেদ যে সব জয়গায় বসতেন সে সব জায়গায় মোমবাতি জ্বালানো হয়। দিনভর নানা বয়সী লোকজন আসতে থাকে নুহাশপল্লীতে। এভাবেই বছর ঘুরে আবারও জন্মদিন আসবে, যুগ যুগ ধরে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির হৃদয়ে।
কেক কাটার পর শাওন জানান, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে যেন সঠিক ভাবে চর্চা করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের যারা পাঠক- ভক্ত রয়েছেন, তারা যেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখা তাঁর কর্ম তুলে ধরেন। সেটাই হবে তার বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরীর আর নেই, প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের জীবনাবসান
৩ বছর আগে
হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (সোমবার ১৯ জুলাই)।
দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি এই কথাসাহিত্যিক। পরে তাকে নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।
১৯৪৮ সালে ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি।
গত বছরের মতো কোভিড-১৯ এর চলমান পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন সংগঠন সীমিতভাবে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে।
পড়ুন: ফকির আলমগীর লাইফ সাপোর্টে
বিভিন্ন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশিষ্ট এই লেখককে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্ত।
বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এই লেখক দুই শতাধিক ফিকসন ও নন-ফিকসন বই লিখেছেন। হিমু, মিছির আলীর মতো চরিত্র দিয়ে লাখো-কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর। ১৯৯০ ও ২০০০ দশকে তার বইগুলো একুশে বইমেলায় সর্বাধিক বিক্রি হয়।
তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক।
বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ুন আহমেদকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক দেয়া হয়।
পড়ুন: অভিনেতা মোশাররফ করিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা
এই ঈদে ‘বউ ডায়েরিজ, ‘রেহানা’সহ জনপ্রিয় সব টিভি শো বায়োস্কোপে
নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে তার। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আগুনের পরশমণি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, ঘেটুপুত্র কমলা। আগুনের পরশমণি, দারুচিনি দ্বীপ ও ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
৩ বছর আগে
হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ২ ছেলেকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে শাওন
গাজীপুরের পিরুজালীর নুহাশপল্লীতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
৪ বছর আগে
হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, খ্যাতিমান কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
৪ বছর আগে