বসতভিটা
বাগেরহাটে ৫ দিনব্যাপী খান জাহানের বসতভিটায় পাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের প্রদর্শনী
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত স্থাপনা বিখ্যাত মুসলিম শাসক উলুঘ খান জাহান আলী (রহ.) এর বসতভিটা খননে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামে খান জাহান আলী (রহ.)-এর বসতভিটায় পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: হাজার বছরের পুরনো দুর্লভ সামগ্রীর প্রদর্শনী
এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাসনিম, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন, সহকারী পরিচালক মো. গোলাম ফেরদৌস, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মোহাম্মাদ যায়েদ, আল আমীন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মোসা. আইরীন পারভীন, মো. হাসানুজ্জামানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রদর্শনীর খবরে স্থানীয় দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসব মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব দেখতে আসছেন।
স্থানীয় বাগমাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌসুমি আক্তার বলেন, খানজাহান আলী (রহ.) ও ষাটগম্বুজ মসজিদের বিষয়ে বইতে পড়েছি। আজ এখানে এসে স্বচক্ষে বসতভিটা দেখলাম। বসতভিটা খননে প্রাপ্ত খানজাহান আমলের বিভিন্ন তৈজসপত্র, পাথর ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেখে আমাদের খুব ভাল লাগছে।
ষাটগম্বুজ খানজাহানিয়া-জব্বারিয়া আদর্শ আলিম মাদরাসার সহকারি শিক্ষক ওজায়ের সরকার বলেন, প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখানে এসেছি। অনেক পুরোনো দ্রব্য দেখলাম। খানজাহানের এই বসতভিটার সঙ্গে বাগেরহাট জেলা প্রতিষ্ঠার অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে।
১০১০ দিন আগে
ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে মুহুর্তের মধ্যে একটি পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া আতঙ্কে আরও চারটি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে।
প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙনের কারণে তিন ও চার নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে ভাঙনে ছয় সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে দৌলতদিয়ার তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়।
আড়াইটার দিকে ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেলে নদী পাড়ে সিদ্দিক কাজী পাড়ার সালাম বেপারীর বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
আতঙ্কে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দেয়।
রাতেই সালাম বেপারীসহ আব্দুর রহিম বেপারী, হান্নান কাজী, মকাই মোল্লা ও একেন বেপারীর পরিবার ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
এই পাঁচটি পরিবার ফেরি ঘাটের অদূরে নিয়ে ঘরের চালাসহ জিনিসপত্র রেখেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে রাতে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আব্দুস সাত্তার রাত আড়াইটার দিকে সরেজমিন এসে তিন নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ করে দেন।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙনের খবর পেয়ে রাতেই ঘাট পরিদর্শনে আসেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তখন থেকে তিন নম্বর ঘাটটি বন্ধ করে দেন।
প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়ায় পাশের চার নম্বর ঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চার নম্বর ঘাটটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, চার নম্বর ঘাটের পন্টুনের মেরামত কাজ চলায় আপাতত বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষে রাতের মধ্যে ঘাটটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি। এর আগে ছয় সেপ্টেম্বর প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গা ভাঙন দেখা দেয়ায় পাঁচ নম্বর ঘাট বন্ধ রয়েছে।
ভাঙনে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর তিনটি ফেরি ঘাট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ছয় ও সাত নম্বর ঘাট চালু রয়েছে।
ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিন ও পাঁচ নম্বর ঘাট চালু করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ক্ষতিগ্রস্ত সালাম বেপারীর ছেলে আশিক বেপারী বলেন, আমাদের মতো শতাধিক পরিবার ফেরিঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ায় বাস করছি। বুধবার রাত দুইটার পর তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় হঠাৎ পানির শব্দ বেড়ে যায়। শব্দের ভয়ে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দেখতে দেখতে চোখের পলকে আমাদের একটি ঘরের ভিটা বিলীন হয়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য ঘরের জিনিসপত্র দ্রুত সরিয়ে নেই। এ সময় স্থানীয় আব্দুর রহিম বেপারী, হান্নান কাজী, মকাই মোল্লা ও একেন বেপারীর ঘর ভেঙে দ্রুত সরিয়ে ফেলে। যাওয়ার কোন জায়গা না থাকায় আমরা কোথায় যাব সেই চিন্তা করছি। রাত দুইটার পর থেকে ভাঙন শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে বালুর বস্তা ফেলা শুরু করেছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান কেউ খোঁজও নিতে আসেনি।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় নদীতে প্রচন্ড স্রোতের দেখা দিয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার প্রায় ১০০ মিটারের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার নির্দেশনা দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে তিন ও চার নম্বর ঘাট এলাকা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি আজকের মধ্যে তিন নম্বর ঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শেষ হবে। তবে ঘাটটি চালু হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া ৬ সেপ্টেম্বর ভাঙনে বন্ধ হওয়া পাঁচ নম্বর ঘাটটি চালু করতে পানি কমার অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নতুন করে পানি বাড়ায় আপাতত চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন: তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন, ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ
১১৮৩ দিন আগে
ফরিদপুরে পদ্মা-মধুমতির ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি
গত কয়েক সপ্তাহ যাবত ফরিদপুরের দুটি নদী পদ্মা ও মধুমতি নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বসতভিটা, ফসলি জমি ও জনপদ। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বেশ কিছু স্থাপনা।
জানা গেছে, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে মধুমতির ভাঙন শুরু হয়েছে গত ১৫ দিন ধরে। অব্যাহত এই ভাঙনের কারণে এখন হুমকির মুখে জেলার সব থেকে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প।
এখানকার বাসিন্দারা বলছেন, বঙ্গবন্ধুন কন্যার উদ্যোগে আমরা যারা গৃহহীন ছিলাম তাদের বসবাসের স্থান পেয়েছিলাম । কিন্তু আগ্রাসী এই মধুমতি এখন আমাদের ঘুম নষ্ট করছে।
উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, মধুমতির ভাঙন এ উপজেলায় দীর্ঘদিনের। বিষয়টি নিয়ে বহুবার উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করেছি, আশ্বাসও পেয়েছি, কিন্তু স্থায়ী কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। এখন সরকারের স্বপ্ন নগর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হুমকির মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
১১৯০ দিন আগে
ঝিনাইদহে গড়াই নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদী আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত ভাঙনে বসতভিটা ও চাষের জমি হারিয়ে অনেকে সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। যে হাতে মুঠো ভরে সাহায্য দিতো অন্যকে, সেই হাত এখন সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়।
অনেকে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ তখন যে টাকা ছিল তা দিয়ে নতুন জমি কিনতে পারত।
কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক মন্ডল তাদের একজন।
গত কয়েক বছরে তিনি নদীর তীব্র ভাঙন থেকে বাঁচতে অন্তত সাতবার জায়গা বদল করেছেন।
এক সময় তার একটি টিনশেড ঘর, দশ বিঘা ফসলি জমি থাকলেও এখন তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
মালেক বলেন, ‘ভিটেবাড়ি আর চাষের জমি সবই চলে গেছে গড়াই নদীর গর্ভে। একটা সময় ছিল যখন আমি অন্যদের সাহায্য করতাম। এখন আমি অন্যদের কাছে সাহায্য চাই।’
মালেকের মতো নদীতে বাড়িঘর ও জমি হারিয়েছে বহু মানুষ।
একই গ্রামের আব্দুর রহিম মন্ডল জানান, তিনি বসতবাড়ির জায়গা পাল্টেছেন ছয় বার। তারও ৮ বিঘা জমি ছিল। পাঁকা পোতার টিনের চৌরি ঘর ছিল। বাড়িতে গরু-ছাগল ছিল। যা হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। তারও সবকিছু চলে গেছে এই গড়াই নদীতেই।
এই অবস্থা ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের উত্তরপাড়ার। যে পাড়াতে ৪০টি পরিবার বসবাস করতেন, এখন সেখানে আছেন ৫টি। বাকিরা নদী ভাঙনে সব হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকে ভিটেবাড়ি হারিয়ে যাবাবরের মতো জীবন কাটাচ্ছেন। যারা এখনও আছেন তারাও নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে।
পড়ুন: সেতুর অভাবে ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
১৪০০ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনার ভাঙনে বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে যমুনা নদীতে অসময়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকার অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ ধরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। প্রতিবছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় এবং প্রচন্ড স্রোতের কারণে একের পর এক ঘরবাড়ি, বসতভিটা, জায়গা জমিন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়। এ পর্যন্ত ২০ হাজার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার পথে বসেছে।
আরও পড়ুন: যাদুকাটা নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে সুনামগঞ্জের ২ গ্রাম
এই দুর্দশা দেখতে গত ৪ বছরে কমপক্ষে ৫ বার স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীসহ পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রতিবারই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দিয়েছেন স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের নানা প্রতিশ্রুতি।
এ ভাঙন রোধে প্রায় ৪ বছর আগে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম-আড়কান্দি থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী তীর সংরক্ষণে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারছে না পাউবো। এ কারণে ভাঙনের মুখে পড়ে বহু পরিবার গৃহহীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী
গত ৭ মার্চ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙনকবলিত এনায়েতপুর-পাঁচিল এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি স্থায়ী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত অনুমোদনের আশ্বাস দেন। এখনও সেই প্রকল্প অনুমোদনের ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি বিলীন
এদিকে দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীতে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই এলাকার আড়কান্দি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও পাঁচিল এলাকা বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই এ ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া (সটক) স্থাপন করেও ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, অসময়ে ভাঙ্গন রোধে জরুরি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন হয়নি। এ কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
১৭১০ দিন আগে
বসতভিটায় ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিলেন রাষ্ট্রপতি
করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ছোট ভাই মো. আবদুল হাইয়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
১৯৮৫ দিন আগে