প্রায় আট মাস পর রবিবার নিজ এলাকায় যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে বাদ আছর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বসতবাড়ি প্রাঙ্গণে ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জানাজায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ওই জানাজায় ইমামতি করেন রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।
এর আগে দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে আবদুল হাইয়ের মরদেহ মিঠামইনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার প্রথম জানাজা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের কফিনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) জানানো হয়।
কলেজ প্রাঙ্গণে জানাজার আগে সেখানে আবদুল হাইয়ের জীবন ও কাজ নিয়ে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য দেন।
কফিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ভাই আবদুল হাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।