বোয়ালখালী
১২০০ মুরগিসহ আগুনে পুড়ে ছাই পোলট্রি খামার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১ হাজার ২০০ মুরগিসহ একটি পোলট্রি খামার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ভোরের দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব কালুরঘাট এলাকায় কামাল হোসাইনের পোল্ট্রি খামারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই পুরো খামারটি পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে পোশাককর্মী নিহত
খামারের মালিক কামাল হোসাইন বলেন, ভোর ৪টার দিকে আগুন লেগে আমার পোল্ট্রি খামার পুড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই খামারে ১ হাজার ২০০ মুরগি ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে পুড়ে প্যারালাইজড নারীর মৃত্যু
বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে আগুনে পুড়ে গেছে ৫ দোকান ও ১২টি অটোরিকশা
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে গরু চোর সন্দেহে ৫ যুবককে গণপিটুনি
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে গরু চোর সন্দেহে পাঁচ যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে এবং তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় গরু চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, নিহত ১
আহত আটক যুবকরা হলেন-
পশ্চিম শাকপুরা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আহমদের ছেলে মো. জাবেদ হোসেন (৩২), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. লেদু মাঝির ছেলে মো. লিটন (৩১), শাকপুরা ইউনিয়নের ঘোষখীল গ্রামের মো. জামালের ছেলে ইমরান হোসেন বিজয় (২০) ও চৌকিদার মো. শহীদ হাসানের ছেলে ইবনূর হাসান (২১) এবং পশ্চিম গোমদণ্ডীর মো. ইউনুচের ছেলে মো. আসাদ (২৫)।
স্থানীয়রা জানান, ভোররাত ৩টার দিকে জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকায় এক গোয়াল ঘরের তালা কেটে চোরের দল ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
এসময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে বেরিয়ে এসে চিৎকার করেন। লোকজন এগিয়ে এলে চোরের দল দুটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে পালাতে থাকে।
এলাকার শত শত লোকজন তাদের ধাওয়া দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে পাঁচ যুবককে গণপিটুনি দেন।
আরেকটি সিএনজি অটোরিকশা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় সেন জানান, গণপিটুনিতে আহত পাঁচ যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আছহাব উদ্দিন বলেন, আহত পাঁচ যুবককে পুলিশ আটক করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে গণপিটুনি, মাইক্রোবাসে আগুন
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
১০ মাস আগে
বোয়ালখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি বসতঘর ও ১২ দোকান পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ১০ পরিবারের বসতঘর ও ১২টি দোকান ভষ্মিভূত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলার পূর্ব কধুরখীল ও পৌরসভার পূর্ব গোমদণ্ডীতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনু ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পার্বতীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
আগুনে অশোক তালুকদার, উত্তম তালুকদার, দীলিপ তালুকদার, কাজল তালুকদার, মৃদুল তালুকদার, দীপক তালুকদার, বিশু শীল, অমর শীল, শশী শীল ও সুধীর শীলের বসত ঘর পুড়ে গেছে।
আগুনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দাবি করলেও ফায়ার সার্ভিস বলছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
১ বছর আগে
বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কানুনগোপাড়া ডিসি সড়কের বাদুড়তলা এলাকায় এ দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত উৎপল চৌধুরী (৫০) উপজেলা দক্ষিণ ধোরলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং পূর্বগোমদণ্ডী অবর্ণ চৌধুরী উকিলের বাড়ির মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে।
আহত জাহানারা বেগমকে (৬০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কান্তা অধিকারী জানান, উৎপল চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
কাঁচপুরে অটোরিকশা-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৪
২ বছর আগে
বোয়ালখালীতে ডাকাত দলের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী মজু ভান্ডার এলাকায় নুরু ছাফার বসত ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যরা জানান, নুরুচ্ছফার দোতলা বাড়ির পেছনের লোহার গ্রিলের তালা ভেঙে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেোস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে ভবনের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। এসময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন- শাহনাজ (৩৮), আনোয়ার ছাফা (৫৪), আফরিন সুলতানা (১৭), হাবিবুল বাশার (১৩), ফরিদা বেগম (৩৩), আহমদ ছাফা (৫২), তাহের ইসলাম (১৮), ওবাইদুল আকবর তারেক (২৪), নুর মহল বেগম (৪০) ও নুরু ছাফা (৫৬)।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীকে মারধর, শিক্ষক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মো.সাইফ হোসেনের (২৬) বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেছেন আহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল বারেক।
এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার গোমদন্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল হককে (১৫) শিক্ষক সাইফ হোসেন বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে আহত শিক্ষার্থী সাইদুল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে সাইদুলের সহপাঠীরা। এসময় তারা বিদ্যালয়ের সামনে কানুনগোপাড়া ডিসি সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের সঙ্গে পুলিশভ্যানের ধাক্কা, ১৩ শিল্প পুলিশ আহত
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফররুখ আহমদ মিনহাজ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের শিশু আইনে মামলা করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা।
মামলা হওয়ায় শিক্ষক সাইফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিক্ষক সাইফ জামালপুর জেলার মেসকা ইউনিয়নের পূর্ব কলতাপাড়ার ৮নং ওয়ার্ডের মো. গোলাম রব্বানীর ছেলে। তিনি বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী সালাম মার্কেটে ভাড়া থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঈনুল আবেদীন নাজিম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় খন্ডকালীন শিক্ষক সাইফ হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতি হত্যার দায়ে বাবা-ছেলে কারাগারে
২ বছর আগে
কম খরচে অধিক ফলন: ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন বোয়ালখালীর কৃষকরা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ। কম খরচে, স্বল্প সময়ে লাভ হওয়ায় কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর বোয়ালখালীতে সাত হেক্টরেরও বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত বছর বোয়ালখালীতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল ১৮ হেক্টর জমিতে। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হেক্টরে। চলতি মৌসুমে ৩৫ জন কৃষককে ভুট্টার বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকেরা। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় ভুট্টা ও সবজি চাষে আগ্রহ তাদের। বর্ষা আসার আগেই কৃষক ভুট্টা ঘরে তুলতে পারেন। বোরো ধান চাষে সেচ খরচ বেশি, অনেক সময় উৎপাদন খরচই ওঠে না। আর ভুট্টার উৎপাদন খরচ কম, ফলনও বেশি হয়। ভুট্টা ও ভুট্টার খড় গো-খাদ্য হিসেবে চাহিদা রয়েছে উপজেলার বেশিরভাগ ডেইরি খামারে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাসায়নিকের বিকল্পে জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো সার
সারোয়াতলী ইউনিয়নের গরুর খামারি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বাজারে ভুট্টার মতো উন্নতমানের গো-খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ। তার চেয়ে ফিডের থেকে ভুট্টা খাওয়ালে গরু তরতাজা থাকে।
উপজেলার আমুচিয়া ইউনিয়নের ভুট্টা চাষি এসএম বাবর বলেন, বাজারের ফিডের চেয়ে ভুট্টা গরুর জন্য অনেক ভালো। এতে গরু সহজে রোগাক্রান্ত হয় না ও শারীরিক গঠন থাকে মজবুত। তাই নিজের খামারের চাহিদা মেটাতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় এক মাদরাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের আল্লামা হযরত শেখ অছিয়র রহমান ফারুকী (রহ.) এতিমখানা ও হেফজখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইফতেখার মালিকুল মাশফিক (৭) একই উপজেলার ফকিরাখালীর আব্দুল মালেকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদসারা ঘিরে রেখেছেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, সকালে মাদরাসায় এক ছাত্রের গলাকাটা লাশের খবর পেয়ে পুলিশের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তারা সেখানে গেছেন। শিশুটিকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ংওয়ান কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে
বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মেহেরুন্নেছা (২১) পশ্চিম গোমদন্ডী আপেল আহমদ টেক এলাকার জাফর আহমদের মেয়ে। এক বছর আগে পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রবাসী খায়রুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাহিদা আকতার জানান,মেহেরুন্নেছার স্বজনরা তাঁকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। নিহতের শ্বশুর তোফায়েল আহমদ মেহেরুন্নেছা স্ট্রোক করেছেন বলে জানালেও তার গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
গৌরনদীতে কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৩ বছর আগে
স্ত্রীকে হত্যার পর আলামত নষ্ট করতে লাশ পুড়িয়ে ফেলেন স্বামী
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ইয়াছমিন আকতার এ্যানী (২৪) নামে গৃহবধূ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি স্বামী বাবলু দে (৩০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২১ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বন আদালত) বেগম আঞ্জুমান আরা’র আদালতে আসামি বাবলু স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসান আলী বলেন, জবানবন্দিতে বাবলু দে তার স্ত্রী ইয়াছমিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মাতাব্বরদের পরামর্শে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে আদালতকে জানায়। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামি বাবলু দে প্রকাশ আদালতকে জানায়, ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় স্ত্রী ইয়াছমিনকে মাথায় ও মুখে আঘাত (ঘুষি) করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার মুখে পানি দিলেও জ্ঞান না ফেরায় পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি থেকে একজনকে নিয়ে আসলে তিনি জানান ইয়াছমিন মারা গেছে। তখন বন্ধু সুমনের সহযোগিতা ও এবং মামলার অন্যান্য আসামি মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মাতাব্বরের পরামর্শে হত্যার আলামত গোপন করতে হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী ইয়াছমিনের লাশ পুড়িয়ে ফেলি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এক দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
বাবুল দে বলেন, প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রী ইয়াছমিন আকতার এ্যানী শহরের ইপিজেডে বসবাস করতেন। আমি থাকতাম বোয়ালখালীর গ্রামে। এনিয়ে আমাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হয়। ঘটনার দিন (৩ আগস্ট) দুপুরে কথা প্রসঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে রাগের বসে স্ত্রীর মাথায় জোরে আঘাত করি। এতে অজ্ঞান হয়ে যায় এ্যানী।
ঘটনার পরপরই তিনি স্ত্রী মারা যাওয়ার ঘটনা স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মাতব্বরকে জানায়। ওদের জানিয়েই লাশ দাহ করে ফেলেন। এমনকি সৎকারের নামে মুসলিম মেয়েকে পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করে ফেলেন।
জানা যায়, ইয়াছমিন আক্তার এ্যানি চট্টগ্রাম নগরীর কেপিজেড এলাকায় অবস্থিত ‘ক্যান পার্ক’ নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সুবিধার্থে বন্দরটিলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসা থেকে কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে ওই এলাকায় অবস্থিত একটি সেলুনের কর্মচারী বাবলুর সাথে পরিচয় হয়। পরে প্রণয় এবং তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। বাবলু এবং এ্যানির সংসারে ইশা মনি নামে দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও বাবলু নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে এ্যানি’র সাথে সম্পর্ক এবং বিয়ে করে। পরে তার ধর্ম পরিচয় ফাঁস হলে এনিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বাবলু জানায় সে মুসলমান হবে তার জন্য এফিডেভিট করতে ৫ হাজার টাক দিতে বলে। এ্যানি তার খালাতো বোন হাসি থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে দেয়। এতে বাবলু ধর্মান্তরিত না হয়ে উল্টো এ্যানিকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
নিহতের মা ও মামলার বাদী রোকসানা বেগমের অভিযোগ, বিরোধের জেরে কৌশলে এ্যানিকে হত্যা করে হিন্দু রীতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয় যাতে কোন রকম প্রমাণ পাওয়া না যায়।
তিনি বলেন, গত ৩ আগস্ট আমার মেয়েকে বোয়ালখালীর বাড়িতে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলে তার স্বামী বাবুল দে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ চট্টগ্রামে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেয়া বন্ধ
চট্টগ্রামে যুবকের লাশ উদ্ধার
১৬ আগস্ট মামলা করেন তিনি। মামলায় স্বামী বাবলু দে ও এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৮ জনকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে বোয়ালখালী থানা পুলিশ অভিযানে প্রধান আসামি বাবলুকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন দে বলেন, প্রধান আসামি বাবলু দে আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে পুড়িয়ে ফেলেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
৩ বছর আগে