চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী মজু ভান্ডার এলাকায় নুরু ছাফার বসত ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যরা জানান, নুরুচ্ছফার দোতলা বাড়ির পেছনের লোহার গ্রিলের তালা ভেঙে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেোস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে ভবনের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে।
এসময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন- শাহনাজ (৩৮), আনোয়ার ছাফা (৫৪), আফরিন সুলতানা (১৭), হাবিবুল বাশার (১৩), ফরিদা বেগম (৩৩), আহমদ ছাফা (৫২), তাহের ইসলাম (১৮), ওবাইদুল আকবর তারেক (২৪), নুর মহল বেগম (৪০) ও নুরু ছাফা (৫৬)।
নুরুচ্ছফার ছেলে ওবাইদুল আকবর তারেক জানান, দোতলা ভবনের নিচ তলায় তার চাচা আহমদ ছাফা ও আনোয়ার ছাফা ও দ্বিতীয় তলায় তারা পরিবার নিয়ে থাকেন। সোমবার রাত ২টার দিকে ডাকাতদলের দরজা ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে। ডাকাতরা চোখের পলকে কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে। তারা স্বর্ণালংকার দেয়ার জন্য ঘরের মহিলাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। এসময় তারা পরিবারের সবাইকে এলোপাতারি মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। ডাকাতদলের সদস্যদের হাতে দা, ছুরি, লোহার রড, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ডাকাতদল নগদ দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা, স্বর্ণ ৪ ভরি, ৪টি মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে বোয়ালখালী থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।