আবহাওয়া অফিস
টানা বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় জলাবদ্ধতা
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় ও সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ৪৮ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে টানা বৃষ্টির ফলে মাথাভাঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। নিচু এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা বাড়তে পারে।
এই জলাবদ্ধতার কারণে চুয়াডাঙ্গার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা এরইমধ্যে বেশ দুর্ভোগে আছেন। শহরের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়ছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির আশায় অপেক্ষা করছেন স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা মন্টু মিয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে পাড়ার মোড় হয়ে মূল শহরে যাওয়ার রাস্তাটি সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার জন্য ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে দূরত্ব বাড়ছে। প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।’
একই এলাকার স্কুল শিক্ষক উজ্জল বলেন, ‘প্রতিদিনের কাজকর্ম করতে পারছি না। বৃষ্টির পানি ঘরের সামনে জমে আছে, বের হওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। কেউ পড়তে আসতে পারছে না। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক হান্নান মিয়া বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষ কমে গেছে। ১০-১১ দিন ধরে বৃষ্টির কারণে তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যা আয় করছি, তাতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
ইজিবাইক চালক সাগর হোসেন বলেন, ‘ভাড়া এমনিতেই কম, তার ওপর যাত্রীও কম। সারা দিন ইজিবাইক চালিয়ে যা পাই, তাতে তেল কেনার টাকাই ওঠে না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার কীভাবে চালাব, বুঝতে পারছি না।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় মোট ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এসময় আকাশে মেঘ থাকলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যাবে।’
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে মাথাভাঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে, তবে এ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। শহরের কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা তৈরি হয়েছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুততম সময়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর হাটবোয়ালিয়া পয়েন্টে মঙ্গলবার পানির উচ্চতা ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এখন পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সাধারণত পদ্মা নদীর পানি বাড়লে মাথাভাঙ্গা নদীতে পানি বেড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত পদ্মা নদীর পানি মাথাভাঙ্গা নদীতে আসেনি। পদ্মা নদীর পানি মাথাভাঙ্গায় আসলে পানির উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২ মাস আগে
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আবহাওয়া অফিসের
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) বিকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন হচ্ছে এবং গভীর চাপের আধিক্য বিরাজ করছে।’
এসময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
৪ মাস আগে
রংপুর-রাজশাহী বিভাগসহ কয়েক জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে: আবহাওয়া অফিস
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁওয়ের বদলগাছী উপজেলা ও দিনাজপুরে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে আকাশপথে চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কবলে পড়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
৯ মাস আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, নওগাঁ, দিনাজপুর ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে পারে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলা, ফেনী ও কক্সবাজারে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের সম্মুখীন হওয়ায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে দিনমজুর, শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
৯ মাস আগে
২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
কুয়াশার কারণে সারা দেশে শীতল আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, ‘আগামী দুই দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে এটি প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ইউএনবি'র কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জেলার দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য অদৃশ্য থাকায় রাস্তায় লোকজনকে নিজেদের উষ্ণ রাখতে আগুন জ্বালাতে দেখা গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, আরও দুই দিন শীতের এই পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
৯ মাস আগে
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার সকালেও ‘মধ্যম’
এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছে- মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
১ বছর আগে
রাজধানীতে বৃষ্টির কারণে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত, আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের
রাজধানীতে আজ (১৭ মে) সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি। এতে নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তির ভাব ফিরে আসে।
তবে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও দিনমজুরেরা।
এছাড়াও যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। সকাল ৯টার দিকে রাজধানীতে শুরু হওয়া বৃষ্টি প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
আরও পড়ুন: দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, ৬ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবহাওয়া অফিস রাজধানীতে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অফিস তিন মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
শাহিনুল আরও বলেন, বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বুধবার সকালে হঠাৎ বৃষ্টিতে দোকানের ছাউনির নিচে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক লোকজনকে।
এছাড়া বৃষ্টির সময় যানবাহন কম থাকায় এবং ধীরগতির কারণে অনেক অফিসগামীদের গন্তব্যস্থলে যেতে দেরি হয়ে যায়।
আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের বিচ্ছিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নোয়াগাঁও, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা হ্রাস পেতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
১ বছর আগে
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আটটি বিভাগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুঁড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা দুই খেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়, মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (১৩ মে) সকাল ৬ টায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৫.৪ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
যা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অফিস
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিযেছে, ‘দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি একই এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ অবস্থান করছে।’
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, নেত্রকোণা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের চতুর্থ দূষিত শহর ঢাকা
চুয়াডাঙ্গায় আবারও টানা ৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১ বছর আগে
ঢাকাসহ কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।’
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুধবার আবহাওয়া অফিস থেকে একটি বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ৭মে এর দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এবং এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) পূর্বাভাস দিয়েছে যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি ঘূর্ণিঝড়টি ১০মে পর্যন্ত উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং তারপরে ১১মে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার উপকূলের দিকে ফিরে আসবে।
আইএমডির মডেল নির্দেশিকা অনুসারে, ৬ মে এর কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হতে পারে যা একটি শক্তিশালী সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডির মতে, ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনের প্রভাবে গঠিত নিম্নচাপ এলাকাটি ৮ মে এর কাছাকাছি একই এলাকায় একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে।
আইএমডি বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ‘তারপরে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে’।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে