জামায়াতে ইসলামী
জাতির কল্যাণে সংস্কার করতে আমরা একমত: ডা. তাহের
রাষ্ট্রের সংস্কারে প্রধান স্টেকহোল্ডার হিসেবে জাতির জন্য কল্যাণকর সংস্কার প্রস্তাবে জামায়াতে ইসলামী একমত বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে দুপুরের বিরতিতে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, আজকে কমিশনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা শেষ নাও হতে পারে, তবে আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখব। আলোচনা জাতীয় স্বার্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান স্টেকহোল্ডার হিসেবে জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে, মনোযোগের সাথে সমস্ত সংস্কারকে বিবেচনা করছে। আমরা মনে করি, এটি দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর। আমরা সেব্যাপারে মত দিচ্ছি, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার না হন: আলী রীয়াজ
জামায়াত নেতা বলেন, ‘একাধিক ব্যক্তি বা দল আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। বাংলাদেশ, দেশের মানুষ, দেশের ভবিষ্যৎ ও সমৃদ্ধ শান্তিময় বাংলাদেশ-এটিই আমাদের অগ্রাধিকার।’
সংসদের মেয়াদের বিষয়ে চার বছর ও প্রেসিডেন্টের মেয়াদ এক বছর কমিশনের এমন প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর থাকবে। প্রেসিডেন্টের মেয়াদও পাঁচ বছর থাকবে।’
তিনি বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তবে এটির কাজ ও বৈশিষ্ট্য এসব বিষয়ে আমরা এখন আলোচনা করছি।
আলোচনা শেষে পূর্ণাঙ্গ ব্রিফিংয়ে আরও বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জামায়াতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: কোনো পরিস্থিতিতেই সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়: আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের আলোচনায় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এছাড়া ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম খান মিলন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত রাষ্ট্রীয় সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য তৈরির জন্য চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে ঐক্যমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে।
কমিশন ইতিমধ্যে বিএনপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ ১৫ টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৩৪টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে।
কমিশন মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তার প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করবে। একই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু
করার কথা এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
৭ দিন আগে
চট্টগ্রামে এনসিটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিরোধী জামায়াত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে না দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: জামাতে নামাজ আদায়, ৩০০ শিশু-কিশোর পেল বাইসাইকেল
এ সময় সংগঠনের নগর শাখার আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।’
‘এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে বন্দরের সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ের উৎস। এই স্বয়ংসম্পূর্ণ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এনসিটি থেকে গত অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। বন্দরের মোট হ্যান্ডলিংয়ের ৫৫ শতাংশ হয় এই টার্মিনালে। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত আছেন, যাদের জীবিকার নিরাপত্তা এই টার্মিনালের সঙ্গে জড়িত।
এ সময় জামায়াত নেতার বলেন, ‘সাবেক সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এনসিটি টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পেছনে সক্রিয় ছিলেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে, শেখ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নিরাপদ আগমনের দাবি তাবলিগ জামাতের কিছু অনুসারীর
‘এছাড়া পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার মতো চক্রান্তের পুনরাবৃত্তি এনসিটির ক্ষেত্রেও হচ্ছে। অথচ এনসিটি এখনও লাভজনক, প্রযুক্তিনির্ভর ও উন্নত একটি টার্মিনাল। নতুন কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই এটি পরিচালনা সম্ভব। বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা নয়, বরং সেটি হওয়া উচিত নতুন প্রকল্প ও গ্রীনফিল্ডে— যেমন ইকোনমিক জোন ও বে-টার্মিনাল এলাকায়,’ বলেন তিনি।
এদিকে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি ও সফলভাবে পরিচালিত এনসিটি টার্মিনাল কেনো বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তোলে জামায়াত। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
১৩ দিন আগে
নিহত মা পড়ে আছেন বিছানায়, নিচে গড়াগাড়ি দিয়ে কাঁদছে সন্তান
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়অরি) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মিরপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা ও মহিলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভানেত্রী মিনারা বেগম(৩৮) ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। তার স্বামী আবদুল আহাদ বাহুবল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি। বর্তমানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি।আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্র জানায়, ওই এলাকায় তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী বাসায় ফিরে মিনারাকে ছুরিকাঘাতে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। নিচে ৭ মাসের শিশু সন্তান গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসির সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। জামায়াতে ইসলামী হবিগঞ্জ শাখার আমীর কাজী মুখলিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭১ দিন আগে
নো ইলেকশন উইদাউট রিফর্ম: জামায়াত
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজনে সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদসহ ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, নো ইলেকশন, উইদাউট রিফর্ম।’ অর্থাৎ সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে না ইসলামপন্থি এই রাজনৈতিক দলটি।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে যতটুকু সংস্কার দরকার, তা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এটি জামায়াতের প্রথম কোনো বৈঠক হয়েছে। এর আগে দলটির নিবন্ধন থাকা অবস্থায় বার্ষিক অডিট রিপোর্ট দিতে ইসি সচিবালয়ে গিয়েছিলেন জামায়াত প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে এসেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের সাথে কথা বলব। আমাদের বক্তব্য তাদেরকে জানাব। পরে গণমাধ্যমের সাথেও আমরা কথা বলব।’
৭৯ দিন আগে
‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
ক্ষমতায় যাওয়া নয়, দেশে সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর একমাত্র উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করি, তাহলে আপনাদের অন্তরের ভালোবাসা চাই। ভালোবাসার সঙ্গে সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুঃশাসন ও দুর্নীতিতে দেশ ডুবিয়ে দিয়েছে। গায়ের জোরে দেশ শাসন করার নামে সাড়ে ১৫ বছর শোষণ করেছে। (আওয়ামী লীগের শাসনামলে) জুলুম-নির্যাতন ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’
মানুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। সাংবিধানিকভাবে সবাই সমান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করি।’
এ সময় সংখ্যালঘু নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি আপনাদের সংখ্যালঘু বলে, চিৎকার করে বলবেন- আমরা রাষ্টের নাগরিক, আমাদের সবার অধিকার সমান।’
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
জামায়াত আমির বলেন, ‘পুরাতন জেলা হিসেবে যশোরে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে উন্নয়নের কথা বলে পা ছুঁয়ে সালাম নেয় আর ক্ষমতায় গেলে তা ভুলে যায়। জামায়াতে ইসলামী খেদমত করার সুযোগ পেলে সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন করবে।’
সম্মেলনে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আজিজুর রহমান, ঝিনাইদহ জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আজম, সাতক্ষীরা জেলা আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল, মাগুরা জেলা আমির এমবি বাকের, নড়াইল জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চু, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ আব্দুল্লাহর পিতা আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, যশোর পূর্ব আমির মাওলানা আব্দুল আজিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, যশোর জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, জামাত নেতা সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের প্রমূখ।
১২৭ দিন আগে
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই: জামায়াতের আমীর
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কেননা রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্খাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগর জামায়াত আয়োজিত রুকন সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা সদস্য হত্যাসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আমীর। তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে আবারও জালিমদের আগমন হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।’
শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আল্লাহকে স্বীকার করেন না এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষা সংস্কার কমিশনে কমপক্ষে একজন আলিয়া ও একজন কওমী নেসাবের আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জামায়াতের আমীর আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী শাসনামলে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকই লুটপাট ও জুলুমের বাইরে ছিল না। হাজারো মানুষের, মা-বোনদের, শিশুর কান্নার রোল আল্লাহর আরশে পৌঁছে গেছে। যার ফলেই দেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়।’
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মো. মোবারক হোসাইন ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
২১৮ দিন আগে
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ছবি দিয়ে শোকপ্রকাশ করায় কিশোরগঞ্জে সাত নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। সেইসঙ্গে অভিযুক্তদের সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ ওমান খান এর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হচ্ছেন- কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া রাজু, রাকিব চৌধুরী ও ওয়াসিম খান এবং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান; পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন; একই উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাছির এবং বুরুদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব আল হাসান ডেবিড রাকিব।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: নওগাঁয় ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকে অব্যাহতি
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলীয় নীতি-আদর্শ ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও ছবি পোস্ট করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক সিদ্ধান্তে এই সাতজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ রকম নীতি-আদর্শ ও সংগঠন বিরোধী কাজ আরও যদি কেউ করে থাকে, তাদেরকেও খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে অনুরূপ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট: খুলনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতা বহিষ্কার
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
৬১৭ দিন আগে
সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকাল ও রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই ১৭জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সই রয়েছে।
বহিষ্কৃত ১৭ নেতা-কর্মীর মধ্যে জেলার কসবা উপজেলার ৭ জন, আখাউড়া উপজেলার ৪ জন, সরাইল উপজেলার ৪ জন এবং আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার একজন করে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার
তারা হলেন- কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ ইসলাম, খাড়েরা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দীপু মিয়া, একই কমিটির সদস্য আসিফুল আলম, কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, একই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাছিব, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য নাজমুল সরকার, বিনাউটি ইউনিয়ন শাখার সদস্য সৈকত আলী।
আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুরকান আহম্মেদ, একই শাখার কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান খাদেম এবং আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাইজিদ খান।
সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, একই শাখার কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান মাইনুর, শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ নিয়ামুল এবং একই কমিটির সদস্য আজহার উদ্দিন।
এ ছাড়া, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান এবং নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. মমিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে যেসব ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কাজ করেছেন। এজন্য তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাঈদীর চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৬২৫ দিন আগে
জামায়াতের ১০ দফা দাবি ঘোষণা, গণমিছিল ২৪ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। যেখানে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে গণমিছিলের কথা উল্লেখ করা হয়। তাদের এই দাবি শুক্রবার বিএনপির সমাবেশে ঘোষণা দেয়ার পরে পেশ করা হয়।
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী যুগপৎ গণআন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আছে। দেশ অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সামাজিক অঙ্গণে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিদ্যমান।’
আরও পড়ুন: ২০১৩-১৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার কথা ভুলে যাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
দেশে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি দেশকে আর্থিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ থেকে প্রায় আট লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প ও মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’
১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়া; ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত করা সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের খ, গ ও ঘ ধারা অনুসারে একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, যা সব দলের জন্য সমান অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার বাতিল করবে; বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ধর্মীয় আলেমসহ সকল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর সাজা বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি; অবিলম্বে জামায়াতের কার্যালয় খুলে দেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮, সন্ত্রাস দমন আইন-২০০৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে হবে; বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ সেবা খাতসমূহে মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে; গত ১৫ বছরে ব্যাংকিং ও জ্বালানি খাতে এবং শেয়ারবাজারে দুর্নীতি শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে হবে; গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের শিকার সকলকে উদ্ধার করতে হবে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে, শুক্রবার ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে বিএনপি।
গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ২৪ ডিসেম্বর ‘যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন’ ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে শনিবার সকালে ঢাকায় গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর হত্যাকাণ্ড চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করে: জয়
৮৭৪ দিন আগে
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ১০ নেতাকর্মী আটক
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এবং দলের অফিসের তিনজন কর্মচারী।
আরও পড়ুন: জামায়াত নিষিদ্ধে সরকারের কিছু করার নেই: প্রধানমন্ত্রী
ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কিছু নেতা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরার ওই বাড়িতে ডিএমপির একটি দল অভিযান চালিয়ে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী এই আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবারের এই বৈঠক নিয়মিত বৈঠকের একটি অংশ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার নারীকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতা
১৩৩৫ দিন আগে