সমঝোতা স্মারক সই
ইউজিসি ও এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেসের (ইএমজিএস) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ওয়াইবি দাতো সেরি ড. জামব্রি আব্দ কাদিরের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের অধ্যয়ন, গবেষণা, পড়াশুনা ও পাঠদানের অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে ইএমজিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইভ তাজউদ্দীন স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ এবং মালয়শিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এ সমঝোতা স্বাক্ষর বৃহত্তর সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।
এক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশের ব্যাপারে ইএমজিএসের আন্তরিক আগ্রহ ও সহযোগিতার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এটি বাস্তবায়নে মিশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন হাইকমিশনার শামীম আহসান।
সমঝোতা স্বাক্ষরে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আরও সুযোগ উন্মুক্ত করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম এবং মিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
আরও পড়ুন: ইউজিসির সদস্য হিসেবে অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও ড. আনোয়ার হোসেনের যোগদান
৩ সপ্তাহ আগে
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সহযোগিতাবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে একাডেমিতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকটি সই করেন।
আরও পড়ুন: কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাক্ষী হিসেবে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন খান ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম স্মারকটিতে সই করেন।
সমঝোতা স্মারকটির আওতায় প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী আদান প্রদানে সক্ষম হবে দুই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দুই প্রতিষ্ঠান গবেষণাসংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপে এবং কার্যক্রমে একে অপরের সহযোগিতা গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাশ্ফী বিন্তে শাম্স, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জাফর উদ্দীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ বক্তৃতা করেন। তারা স্মারকের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট পারস্পরিক সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্মারকটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চীনের আনহুই প্রদেশের সঙ্গে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই
কাতারে কর্মী পাঠাতে সোমবার সমঝোতা স্মারক সই হবে: প্রবাসীকল্যাণ সচিব
৭ মাস আগে
ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশন: পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক সইয়ে সম্মত বাংলাদেশ-সৌদি আরব
পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে।
কেনিয়ার নাইরোবিতে চলমান জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশনের এক ফাঁকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সৌদি আরবের পরিবেশ, জলবায়ু ও কৃষিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. ওসামা ইব্রাহিম ফাকিহার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পরিবেশ রক্ষায় পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি স্বীকৃতি জানিয়ে উভয় দেশই সমঝোতাপত্র সইয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
পরিবেশ রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে এ সমঝোতা স্মারক সই হবে।
বৈঠক চলাকালে প্রতিমন্ত্রী ফাকিহা পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীকে আগামী ডিসেম্বর- ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ মরুকরণ কনভেনশনে অংশগ্রহণের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, এ আমন্ত্রণ বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার সাক্ষ্য দেয়।
আলোচনায় তারা জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি, কৃষি, ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট শহর উন্নয়ন এবং ভূমির অবক্ষয় মোকাবিলার কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তারা পরিবেশগত সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ সংকল্পের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাবের চৌধুরী এ সময় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশগত টেকসই এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অন্য একটি কর্মসূচিতে পরিবেশমন্ত্রী পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি কার্যকরী বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞান নীতি ইন্টারফেস শক্তিশালীকরণ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সেগমেন্টে বক্তৃতা করেন।
সেখানে তিনি জলবায়ু মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
৯ মাস আগে
ইভি চার্জিং স্টেশন স্থাপনে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে সিজি রানারের সমঝোতা স্মারক সই
দেশজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইলেকট্রিক ভেহিকেল–ইভি) বিস্তৃত চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেড ও জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানী তেজগাঁওয়ে রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এ এমওইউ সই করা হয়।
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যবহার উৎসাহিত করতে সম্প্রতি চার্জিং স্টেশন স্থাপন নীতিমালাসহ নানা নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক বাহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৩ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই লক্ষ্যপূরণে মানুষকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সারা দেশে ইভি চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
এরই ধারাবাহিকতায়, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এ বছরের মার্চের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে ১০টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে আরও বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে টেকসই চার্জিং নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বর্তমানে, দেশে চারটি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্রেতারা তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক চার্জিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, তারা চার্জ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন।
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। যদিও, এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের নিরলস পরিশ্রমকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডে আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমাজের উন্নতিতে আমাদের জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে এনে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন নির্মাণে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সহযোগী হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম বলেন, সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে এবং দেশজুড়ে চার্জিং স্টেশন স্থাপনের মতো বৃহৎ প্রকল্পে একযোগে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।
তিনি আরও বলেন, আরও বেশি মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার শুরু করলেই চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বেড়ে যাবে। আমাদের সুদক্ষ ও নিবেদিত ইপিসি টিম এই প্রকল্প যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান ও প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম ও প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ শফিকুল হাসান।
আরও পড়ুন: কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
১১ মাস আগে
বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে বিএসএমএমইউ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই পাবেন।
এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারিত করা হয় এই চুক্তির আওতায়।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
১ বছর আগে
অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (১৬ নভেম্বর) হাইকমিশনটির উদ্যোগে সই করা এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত হলো।
আরও পড়ু্ন: বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের উভয় বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে ডিগ্রী প্রদান করবে।
এছাড়া উভয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদিত কর্মসূচি ও ডিগ্রির স্বীকৃতি প্রদান করবে। এতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার মান বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ু্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
ঢাকা-জাকার্তা জ্বালানি ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কৃষি সহযোগিতার বিষয়েও আরেকটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকও সই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি দুই দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এসময় দেশটির বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের প্রবেশ সহজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জ্বালানি খাতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আধুনিক ও নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎস এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রচলিত জ্বালানির দীর্ঘমেয়াদী বিক্রি ও সরবরাহ প্রসার করা।
কৃষির উদ্দেশ্য হলো উৎপাদন, বিপণন, প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রসার এবং কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানো।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
তিনি বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: শিল্প উন্নয়নে সহযোগিতা করতে ডিসিসিআই ও বিএসসিআইসি’র সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে।
আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মন্ত্রী মোমেন বলেন, এখনও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের আহ্বান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল এবং জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও আরও প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন উপায় খোঁজার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক সই
এছাড়া, মন্ত্রীরা জ্বালানিও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপরও জোর দেন।
৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট-এশিয়া সামিটে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জাকার্তা সফর করছেন।
তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অংশগ্রহণে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন।
১ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
১ বছর আগে
ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ সাতটি ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হলো।
সাতটি চুক্তির মধ্যে কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ভারতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয় (রেলওয়ে বোর্ড), ভারত এবং বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য আইটি সিস্টেম যেমন এফওআইএস এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনে সহযোগিতার বিষয়ে দুই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচির বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (বিসিএসআইআর) এবং ভারতের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল (সিএসআইআর) এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
এছাড়া দু’দেশ মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
ভারতের প্রসার ভারতী এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচারে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর দু’দেশের প্রত্যাশিত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই সমঝোতা স্মারক সই প্রত্যক্ষ করেন।
মুদির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পেয়েছে।
উদ্বোধন ও ঘোষিত প্রকল্প
দুই নেতা মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছেন। রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ভারত ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে।
তারা যৌথভাবে রূপসা সেতুর উদ্বোধন করেন। ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা রেল সেতুটি ৬৪.৭ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর একক ট্র্যাক ব্রডগেজ রেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরকে খুলনার সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত করেছে। মধ্য ও উত্তর বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও গেদেকে সংযুক্ত করেছে।
সড়ক নির্মাণের সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ:
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ২৫টি প্যাকেজে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে।
খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযোগ প্রকল্প:
প্রকল্পটি বর্তমান (ব্রডগেজ দ্বিগুণ) অবকাঠামোর একটি আপগ্রেড যা গেদে-দর্শনা থেকে খুলনার বর্তমান ক্রস বর্ডার রেল সংযোগকে সংযুক্ত করেছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে ঢাকা এবং ভবিষ্যতে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে । এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার।
পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইন: বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইন প্রকল্পে রূপান্তরের জন্য আনুমানিক ১২০ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে।
প্রকল্পটি বিরল (বাংলাদেশ)-রাধিকাপুর (পশ্চিমবঙ্গ) এ বিদ্যমান ক্রস বর্ডার রেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে এবং দ্বিপক্ষীয় রেল সংযোগ বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
২ বছর আগে
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ৬ সমঝোতা স্মারক সই
দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে শনিবার ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
৩ বছর আগে